স্বল্প আয়ের মাঝে টাকা জমাবেন যেভাবে
বেতন পাওয়ার পর প্রথম কয়েকটা দিন ঠিকঠাক চলে, পারিবারিক খরচ, ব্যক্তিগত খরচ, কেনাকাটা সহ নানা খরচে মাস শেষে পকেটে টান পড়ে অনেকেরই। যদিও খরচ সামলে সঞ্চয়ের দিকে পাল্লা ভারী করতে সাবাই চায়। তবে আধুনিক জীবনযাত্রা ও বাজারদরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে টাকা জমানো আর হয়েই ওঠে না। মাসের মাঝে এসেই কাটছাঁট করতে হয় খরচ।
তবে কিছু কৌশল ও হিসাব মাথায় রাখলে এই সমস্যা কাটিয়ে তোলা সম্ভব।
জেনে নিন সে সব উপায় আর বাজেট তৈরি করুন সে ভাবেই-
- আজকাল বেশ কিছু অ্যাপ পাওয়া যায়, যেখানে সারা মাসের আয়-ব্যয়ের হিসাব করে নেওয়া খুবই সহজ। এমনকি, আগে থেকে দিয়ে রাখা হিসাব থেকে কোনও কারণে বেশি খরচ হলে সেই খবর অ্যাপই জানান দেবে আপনাকে। তেমন একটা অ্যাপ নামিয়ে নিন প্লে স্টোর থেকে।
- মাসের শুরুতেই একটা হিসাবের খাতা করুন। সেখানে লিখে রাখুন মাসের শুরুতেই কোথায় কত খরচ, তার হিসাব। সেই হিসাব বদলালেও তাও লিখুন খাতায়। প্রতিদিনই আপডেট করুন সেই তালিকা। তাতে আপনার আয়-ব্যয়ের সঙ্গতি রক্ষা সহজ হবে।
- অনলাইন শপিংয়ের নেশা আছে? সে অভ্যাস বদলান দ্রুত। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, অনলাইন শপিং এক ধরনের নেশা। যার প্রকোপে পড়ে ঘন ঘন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়ছে। ক্রেডিট কার্ডের ধারের বোঝা কিন্তু খরচের বোঝা বাড়ায়।
- কেউ প্রচুর বই পড়েন, কেউ বা অন্য কোনও শখে খরচ করে ফেলেন মাত্রাতিরিক্ত। এমন হলে এই ধরনের খরচ কমান। বরং এক বছরে কী কী কিনবেন তার তালিকা মাস ধরে ভাগ করে নিন। লক্ষ্য রাখুন যেন কেনার মাত্রা প্রয়োজনের বাইরে না চলে যায়।
- প্রচুর বাইরে খান? ‘ইটিং আউট’-এর ক্ষেত্রে কিন্তু খরচ বেড়ে যায় অনেক। তাই হিসাবহীন খরচে লাগাম টানুন। বন্ধ করুন ঘন ঘন ইটিং আউট।
আরও পড়ুন :
এমকে
মন্তব্য করুন
মুঠো ভর্তি চুল উঠছে, ভয়াবহ অসুখ কি না জানুন এই ৫ পরীক্ষায়
আবহাওয়ার পরিবর্তন, পরিবেশ দূষণ, অযন্ত এবং অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইলের কারণে অধিকাংশ মানুষই চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এই কথাও ঠিক যে, কয়েকটি বিশেষ শারীরিক সমস্যার কারণেও আপনার চুল পরার সমস্যা বাড়তে পারে। তাই তো অতিরিক্ত চুল ঝরতে দেখলে সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু রক্ত পরীক্ষা করানো জরুরি বলে জানালেন ত্বকরোগ বিশেষজ্ঞ, ডা. অপরাজিতা লাম্বা। সাম্প্রতিক তার একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনাও করলেন তিনি।
জেনে নিন অতিরিক্ত চুল পরলে কোন বিষয়গুলো নজরে রাখবেন-
শরীরে থাইরয়েড গ্রন্থি ঠিকঠাক কাজ না করলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই হাইপোথাইরেয়ডিসম বা হাইপারথাইরয়েডিসমে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ে। শরীরে এই হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলে অন্যান্য উপসর্গ প্রকট হওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত মাত্রায় হেয়ার ফলও শুরু হয়। তাই আপনি যদি প্রচুর পরিমাণে চুল পড়তে দেখেন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে থাইরয়েড ফাংশন টেস্ট করিয়ে নিন।
চুলের জেল্লা বাড়াতে এবং গোড়া মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আয়রন। তাই আপনার শরীরে যদি আয়রনের ঘাটতি দেখা যায়, তাহলে যে চুল পড়া বাড়বেই, সে কথা আর বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না। তাই তো এমন কোনও উপসর্গ দেখলেই রক্তে আয়রনের মাত্রা পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিলেন ডা. লাম্বা।
কোনও মহিলার শরীরে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম থাকলে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়। আর তখনই বাড়ে হেয়ার ফল। তাই আপনিও যদি অকারণে এমন সমস্যার মুখোমুখি হন, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে USG করান।
এই ২ উপাদানের ঘাটতি আছে কি না জেনে নিন-
চিকিৎসক জানালেন, শরীরে ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলেও প্রচুর পরিমাণে চুল ঝরে যায়। তাই অতিরিক্ত মাত্রায় চুল পড়তে দেখলে অবশ্যই রক্তপরীক্ষা করুন এবং দেখে নিন যে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-এর মাত্রা ঠিক রয়েছে কি না।
আসলে ভিটামিন ডি আপনার চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, একই সঙ্গে চুলের গোড়াও মজবুত করে।
ইফতার শেষে ডুমুর-চিংড়িতেই হোক রাতের ভোজন
নতুন কিছু পদ রান্না করলে ঘরের ছোট-বড় সবাই বেশ পছন্দ করে। কিন্তু নতুন কিছু রান্না করতে চাইলে প্রথমেই মাথায় আসে কি রান্না করা যায়। এমন ভাবনার সমাধানে তৈরি করতে পারেন ডুমুর চিংড়ির নতুন পদ। নিরামিষ বা আমিষ উভয়তেই ডুমুর কিন্তু স্বাদে অতুলনীয়। এমনকী, শরীরের জন্যও খুব ভালো এই ডুমুর।
যা যা লাগবে :
ডুমুর, চিংড়ি মাছ, লবণ, হলুদ, আস্ত জিরা, কাঁচামরিচ, আলু, জিরের গুঁড়ো, মরিচের গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, চিনি, নারকেল কোরা, ঘি ও গরম মশলা, সরিষার তেল।
যেভাবে তৈরি করবেন :
প্রথমে ডুমুর কেটে আগের দিন রাতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর রান্নার আগে ভালো করে লবণ-হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পর ভালো করে চটকে নিন। কড়াইতে সরিষার তেল দিয়ে জিরে, কাঁচামরিচ ফোড়ন দিয়ে ছোট ছোট ডুমো করে কেটে রাখা আলু দিয়ে ভেজে তুলে রাখুন। একটি বাটিতে জিরার গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ি পানিতে গুলে তেলে ঢেলে দিন। মসলা ভালো করে কষে গেলে লবণ, চিনি আর নারকেল কোরা দিয়ে আরও খানিকক্ষণ রান্না করে সেদ্ধ করা ডুমুর দিয়ে ঢেকে দিন। হালকা আঁচে কিছুক্ষণ রাঁধুন। রান্না মাখা মাখা হয়ে এলে, ভেজে রাখা চিংড়ি মাছ, ঘি আর গরম মশলা গুঁড়ো ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। গরম ভাতের সঙ্গে ডুমুর চিংড়ি কিন্তু অসাধারণ লাগবে খেতে।
যে ৬ খাবারেই কমবে কোলেস্টেরল থেকে ডায়াবেটিস
মানুষের খাদ্যাভ্যাসের কারণে এবং অলস জীবনযাপনে শরীরে কোলেস্টেরল ডায়াবেটিস বেড়ে যায়। কিছু রোগ রয়েছে কোলেস্টেরলের জন্য দায়ী, যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ ইত্যাদি। তাই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ফাইবারযুক্ত খাবার বেছে নিতে হবে। ফাইবার পানির সঙ্গে দ্রবীভূত হয়ে যায় এবং জেল আকারে গঠিত হয়। এটি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে। পাশাপাশি ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টি শোষণে সাহায্য করে।
জেনে নিন ফাইবারযুক্ত খাবারের নাম-
এক কাপ ওটসের মধ্যে ১.৯ গ্রাম ফাইবার রয়েছে। ওটস হলো বিটা-গ্লুটেনের সমৃদ্ধ উৎস, যা এক প্রকার দ্রবনীয় ফাইবার। এটি উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং হার্টের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে।
মুগ, ছোলা, মুসুর থেকে শুরু করে কাবুলি ছোলা, রাজমার মতো ডালেও ফাইবার রয়েছে। এক রাজমা ডালের মধ্যে ১৩৩ গ্রাম ফাইবার রয়েছে। রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে ডাল। তার সঙ্গে উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের উৎস হলো ডাল।
ফাইবারের ঘাটতি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ায়। ফ্ল্যাক্স সিডের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। পাশাপাশি শারীরিক প্রদাহ কমায় এবং পাচনতন্ত্রের কার্যকারিতা বজায় রাখে। ১ চামচ ফ্ল্যাক্স সিডের মধ্যে ০.৬ থেকে ১.২ গ্রাম ফাইবার রয়েছে।
ফ্ল্যাক্স সিডের মতো চিয়া সিডেও সলিউবল ফাইবার ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এই বীজ শারীরিক প্রদাহ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি ওজন কমাতে সাহায্য করে। ১ চামচ চিয়া সিডের মধ্যে ২৪ গ্রাম ফাইবার রয়েছে।
আপেল ফাইবারের সমৃদ্ধ উৎস। আপেলে থাকা ফাইবারকে পেকটিন বলা হয়, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। একটি মাঝারি সাইজের আপেলে ১ গ্রাম ফাইবার রয়েছে।
গাজর, ব্রকোলি, কড়াইশুঁটি, পালংশাকের মতো শাকসবজিতে ভরপুর পরিমাণে ফাইবার পেয়ে যাবেন। হজম স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে এবং কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে শাকসবজি খান বেশি করে।
গরমে যেসব রঙের পোশাকে স্বস্তি মিলবে
দিনের বেলায় এখন রোদের খরতাপে কোথাও দাঁড়ানো মুশকিল হয়ে উঠেছে। কোনো ছায়ায় না দাঁড়ালে রোদের তাপে মাথা ফেটে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। আবহাওয়া এখন বেশ উত্তপ্ত। তাই গরমে আরামদায়ক পোশাক পরার বিকল্প নেই। এর পাশাপাশি গরমে কোন রঙের পোশাক বিশেষ উপযোগী তা জানতে হবে। কিছু রঙের পোশাক পরলে শরীর ঠান্ডা থাকে ও গরমও কম লাগে, বলছে গবেষণা।
গরমে পোশাকের রঙ নির্বাচনের সময়ও সচেতন হতে হবে। হালকা রঙ বেছে নেওয়াই ভালো। চড়া ও গাঢ় রঙের তাপশোষণ ক্ষমতা বেশি। সাদা রঙের তাপশোষণ ক্ষমতা কম। তাই গরমে এই রঙের পোশাকের সংগ্রহ থাকা ভালো। সাদার পাশাপাশি যেকোনো হালকা রঙের পোশাকও গরমে স্বস্তি দেবে। পিচ কালার বা মিষ্টি গোলাপির মতো রঙেও মিলবে আরাম।
তবে অনেকে আছেন যারা উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরতে ভালোবাসেন, এড়িয়ে যান হালকা রঙ। তাদের জন্য পরামর্শ, পোশাকের মূল রঙ (বেজ কালার) হালকা রেখে এর ওপর উজ্জ্বল কাজের মোটিফ বেছে নিতে পারেন। এই যেমন সাদা টপ বেছে নিলেন, সেই টপসের মাঝ বরাবর থাকতে পারে হাতে আঁকা নকশা। আবার নকশিকাঁথার কাজও থাকতে পারে। পোশাকে খুব বেশি জমকালো কাজ এ সময়ে এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। এই যেমন চুমকি, কাচ বা লেসের কাজ। পোশাকজুড়ে থাকা কাজও এই আবহাওয়ায় বেমানান। এ ধরনের জমকালো পোশাক নিজের জন্য যেমন কষ্টদায়ক, অন্যের চোখের জন্যও অস্বস্তিকর।
২০২০ সালের আগস্টে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজের গবেষক তোশিয়াকি ইচিনোসের নেতৃত্বে জাপানি বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে আসে অবাক করা ফলাফল।
গবেষক তোশিয়াকি ইচিনোস এই পরীক্ষার জন্য কড়া রোদে ৯টি ম্যানকুইনে লাল থেকে হালকা সবুজ, হলুদ, নীল, কালো, সাদা বা গাঢ় সবুজসহ বিভিন্ন রঙের পোলো শার্ট পরান। তখন বাইরের তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৮৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। মাত্র পাঁচ মিনিট ম্যানকুইনগুলোকে রোদে রাখার পর গবেষকরা কাপড়ের ওপরিভাগের তাপমাত্রা পরীক্ষা করেন। সবচেয়ে শীতল ও উষ্ণতম পোলো শার্টের মধ্যে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার্থক্য লক্ষ করেন তারা।
অনেকেই হয়তো জানেন, গরমে সাদা রঙের পোশাক পরলে স্বস্তি মেলে। অন্যদিকে কালো রঙ অতিরিক্ত তাপ শোষণ করে।
গবেষণায় দেখা যায়, সাদা পোলো শার্টের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গবেষণার সময় বাতাসের তাপমাত্রার সমতুল্য। অন্যদিকে কালো পোলো শার্টের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ছিল ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২২ ফারেনহাইট)।
গবেষকরা জানান, সাদার পরে যে রঙগুলো শরীরকে শীতল রাখে সেগুলো হলো হলুদ, ধূসর ও লাল।
যদিও লাল রঙকে বেশির ভাগ মানুষই ‘উষ্ণ’ রঙ হিসেবে জানেন। বেগুনি তালিকার মাঝখানে আছে, তাই এটি গরম আবহাওয়ার সময় পরতে পারেন যদি এটি আপনার প্রিয় রঙ হয়।
তবে গবেষকরা গরমে নীল, হালকা সবুজ, গাঢ় সবুজ ও কালো রঙের পোশাক পরতে নিষেধ করেছেন। এই রঙগুলো বেশি তাপমাত্রা শোষণ করে।
এ গরমে পোশাকে খুব বেশি জমকালো কাজ এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। এই যেমন চুমকি, কাচ বা লেসের কাজ। পোশাকজুড়ে থাকা কাজও এই আবহাওয়ায় বেমানান। এ ধরনের জমকালো পোশাক শরীরের জন্য আরামদায়ক নয়।
সূত্র: লাইফস্টাইল এশিয়া
যে অভ্যাসে নিয়ন্ত্রণে থাকবে উচ্চ রক্তচাপ
হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় উচ্চ রক্তচাপ। অনেকসময় তা উপসর্গহীন হতে পারে। সবসময় উল্লেখযোগ্য লক্ষণ দেখা যায় না। কিন্তু তাতে ঝুঁকি থেকেই যায়। তাই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ জরুরি। কিছু অভ্যাস আপনার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারে। স্বাস্থ্যকর কিছু অভ্যাস আয়ত্ত করতে পারলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াকার ফ্যামিলি কেয়ারের চিকিৎসক ডা. রজার্স ওয়াকার। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই অভ্যাস সম্পর্কে-
ফল, শাকসবজি খাওয়া : ফল এবং শাকসবজি খুবই উপকারী। উদ্ভিদে ভিটামিন, ফাইবার, ফাইটোকেমিক্যালস এবং বায়োফ্ল্যাভোনয়েডসহ অনেক যৌগ থাকে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন কোয়েরসেটিন একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বায়োফ্ল্যাভোনয়েড যা আপেল, পেঁয়াজসহ আরও অনেক ফল এবং সবজিতে রয়েছে। কোয়েরসেটিন রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া ফল ও সবজি প্রচুর ফাইবার সরবরাহ করে। ফাইবার রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি হৃদযন্ত্র ভালো রাখে। মটরশুঁটি, নাশপাতি এবং মসুর ডালে পাবেন পর্যাপ্ত ফাইবার।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন : প্রতি সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট ব্যায়াম করা জরুরি। আপনি এটিকে সারা দিনে ১০ মিনিটের ছোট অংশে ভাগ করে নিতে পারেন। ব্যায়াম কোলেস্টেরল এবং রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। এমনটাই বলছে, আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন। সুস্থ থাকতে নিয়মিত রুটিন করে হাটতে হবে।
লবণ এড়িয়ে চলুন : রক্তচাপ বাড়ায় এমন খাবার খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। এর মধ্যে প্রক্রিয়াজাত এবং ভারী মিহি খাবার উল্লেখযোগ্য। সুপারশপগুলোতে থাকা স্বাস্থ্যকর টিনজাত স্যুপেও থাকতে পারে বাড়তি লবণ। এ ধরনের খাবার কেনার আগে সবসময় উপাদান লেবেল চেক করুন। লবন খাওয়া কমিয়ে দিন। টোকা লবনতো নয়ই।
বেশি করে পানি পান করা জরুরি : পানির অপর নাম জীবন। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানে যেমন শরীর ভালো থাকে, তেমনি রক্তচাপ স্বাভাবিক করতেও সহায়তা করে। পানি পানের অভ্যাস আপনাকে সুস্থ রাখবে। বাইরে বের হওয়ার সময় পানির বোতল সঙ্গে রাখার অভ্যাস করুন। অফিসে কাজের ডেস্কেও পানি ভর্তি বোতল রাখুন। কিছুক্ষণ পর পর পানি পান করুন। দেখবেন শরীর সতেজ লাগছে।
পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা জরুরি : ঘুম কোনও বিলাসিতা নয়। শরীরের প্রতি রাতে ঘুমের প্রয়োজন, যদি আপনি ক্রমাগত কম ঘুমিয়ে থাকেন তবে এটি আপনার রক্তচাপকে অনিয়ন্ত্রিত করে দিতে পারে। প্রতি রাতে সাত থেকে নয় ঘন্টা ঘুমানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করুন। একটি ঘুমানোর রুটিন তৈরি করুন।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা : স্ট্রেস নানা ধরনের শারীরিক জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়। এতে কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস, ধ্যান, বই পড়া বা প্রকৃতিতে সময় কাটানোর মতো কাজগুলো করে স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন।
রোজায় যে নিয়মে খাবেন ইসবগুলের ভুসি
সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারে এক গ্লাস ইসবগুলের শরবত রোজাদারকে শক্তি দেয়। ইসবগুলের শরবত শরীরের নিস্তেজ ভাব দূর করতে সাহায্য করে। সারা দিনের ক্লান্তি দূর করার জন্য স্বাস্থ্যসচেতন রোজাদাররা নিয়মিত ইসবগুলের শরবত খেয়ে থাকেন। এ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, আমাশয়সহ আরও বিভিন্ন রোগ সারিয়ে তোলে।
চলুন জেনে নিই ইসুবগুলের উপকারিতা সম্পর্কে-
ইসবগুলের পুষ্টিগুণ: ইসবগুলে রয়েছে অনেকগুলো পুষ্টি উপাদান। সেসব উপাদান শরীরের বিভিন্ন উপকার করে থাকে। ১ টেবিল চামচ ইসবগুলে থাকে ৫৩ শতাংশ ক্যালোরি, শূন্য শতাংশ ফ্যাট, ১৫ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ১৫ গ্রাম শর্করা, ৩০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, শূন্য দশমিক ৯ মিলিগ্রাম আয়রন।
কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে: ইসবগুলের ভুসি কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে দারুণ কাজ করে। এতে উপস্থিত অদ্রবণীয় ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীদের মল নরম করে দেয়। ফলে খুব সহজেই ইলিমিনেশন সম্ভব হয়। তাই প্রতিদিন ঘুমানোর আগে ২ চামচ ইসবগুলের ভুসি ও ১ গ্লাস কুসুম গরম দুধ পান করতে পারেন। কেউ যদি রোগটি পুষে রাখেন, তাহলে কোলন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ডায়রিয়া প্রতিরোধ : ডায়রিয়া প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে ইসবগুল। এটি দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ডায়রিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। দইয়ে থাকে প্রোবায়োটিক যা পাকস্থলীর ইনফেকশন সারাতে কাজ করে। এদিকে ইসবগুল তরল মলকে শক্ত করতে সাহায্য করে। ফলে ডায়রিয়া দ্রুতই সেরে ওঠে। ডায়রিয়া হলে দিনে দুইবার ভরা পেটে তিন টেবিল চামচ দই ও দুই চা চামচ ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে খাবেন। ইসবগুলের ভুসি খেলে তা আমাশয় থেকেও আপনাকে মুক্তি দেবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে : ইসবগুলের ভুসিতে রয়েছে জিলাটিন নামক একটি উপাদান। যা দেহে গ্লুকোজের শোষণ ও ভাঙার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। ফলে রক্তে সহজে সুগারের পরিমাণ বাড়তে পারে না। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এ ভুসি খুবই উপযুক্ত।
রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে : ইসবগুলের ভুসি খেলে অন্ত্রে একধরনের স্তর তৈরি হয়। যা কোলেস্টেরল শোষণে বাধা দান করে। ফলে আমাদের রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। তাই হৃদরোগীদের জন্য দারুণ একটি খাবার এটি।
ওজন নিয়ন্ত্রণে : ইসবগুলের ভুসিতে ফাইবার উপস্থিত থাকায় হজম প্রক্রিয়া অনেক ধীরগতিতে হয়। তাই ক্ষুধা লাগে অনেক কম। এটি খেলে ওজন কমানো অনেক সহজ হয়ে যায়।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে : গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার অন্যতম ঘরোয়া উপায় হতে পারে ইসবগুলের ভুসি খাওয়া। এটি পাকস্থলীর ভেতরের দেয়ালে প্রতিরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে। যে কারণে অ্যাসিডিটির বার্ন থেকে পাকস্থলীকে রক্ষা পায়। এটি হজম ঠিক রাখার জন্য পাকস্থলীর বিভিন্ন এসিড নিঃসরণে সাহায্য করে। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার জন্য এক গ্লাস ঠান্ডা দুধে দুই চা চামচ ইসবগুল মিশিয়ে খাবেন। এভাবে নিয়মিত খেলে গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হবে।
প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর করে: প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ার সমস্যা থাকে অনেকের। তাদের ক্ষেত্রে উপকারী একটি খাবার হলো ইসবগুলের ভুসি। এটি নিয়মিত খেলে কমবে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ার সমস্যা। এই সমস্যা দূর করতে আখের গুড়ের সঙ্গে ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন। এটি সকাল ও বিকালে খেতে পারেন। এভাবে এক সপ্তাহ খেলে উপকার পাবেন।
হার্ট ভালো রাখতে: হার্ট ভালো রাখার জন্য নিয়মিত ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার অভ্যাস করুন। কারণ এতে থাকা খাদ্যআঁশ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগ থেকে দূরে রাখে। এটি পাকস্থলীর দেয়ালে এক ধরনের পাতলা স্তর সৃষ্টি করে। যা খাদ্য হতে কোলেস্টেরল শোষণে বাধা দেয়; বিশেষ করে রক্তের সিরাম কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এছাড়াও এটি রক্তের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল সরিয়ে দিতে কাজ করে। ফলে ধমনীতে ব্লক সৃষ্টির ভয় থাকে না।
আমাশয় থেকে রক্ষা করে: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসবগুল আমাশয় রোগের জীবাণু নষ্ট করতে পারে না। তবে আমাশয়ের জীবাণু পেট থেকে বের করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। সেহরি ও ইফতারে দুবার করে ইসবগুলের শরবত খেলে আমাশয় থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে: উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ইসবগুলের শরবত খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
খাওয়ার সঠিক নিয়ম-
ইসবগুল আপনি পাউডার বা হাস্ক যেভাবেই খান না কেন, বেশ কিছু জার্নালে বলা হয়েছে পাঁচ থেকে ১০ গ্রাম পর্যন্ত। অর্থাৎ এক থেকে দুই চা চামচ পর্যন্ত সারা দিনে রেকমেন্ডেশন (পরামর্শ) রয়েছে, তবে এটি অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শে হতে হবে।
যারা ডক্টরের পরামর্শ ছাড়া খাচ্ছেন, তাদের জন্য ফাইভ গ্রাম বা এক চা চামচই যথেষ্ট এবং নিয়ম হচ্ছে আপনাকে ২৪০ মিলিলিটার পানি, অর্থাৎ বড় এক গ্লাস পানির মধ্যে খুব ভালো করে মিলিয়ে এটি খেতে হয়।
ইসবগুল একধরনের ডায়েটারি ফাইবার, যার কিছু পানিতে দ্রবীভূত হয়, কিছু হয় না। অন্ত্রের ভেতরে থাকাকালীন ইসবগুলের ভুসি প্রচুর পরিমাণ পানি শোষণ করে, কোনো কিছুর সঙ্গে বিক্রিয়া করে বিষ তৈরি করে না এবং অন্ত্রের দেয়াল পিচ্ছিল করে দেয়। যেহেতু এটা কার্যকারিতার জন্য অন্ত্র থেকে পানি শোষণ করে, তাই দুই চা-চামচ ভুসি, পানি বা দুধে গুলিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই খেয়ে ফেলা ভালো। দীর্ঘক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে এটা বাইরে থেকেই পানি শোষণ করে নেবে, অতএব কার্যকারিতাও কমে যাবে।
আপনার চারপাশের ‘টক্সিক’ ব্যক্তিদের চিনবেন যেভাবে
যে কোনো কিছুতে অসম্মত হওয়ার প্রবণতাকে টক্সিক পারসোনালিটি বলে। এ ধরণের মানুষ আশেপাশে থাকলে তাদের জীবন থেকে এড়িয়ে চলাই উত্তম। কারণ এ ধরণের মানুষের ব্যবহার আপনার মনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, ব্যক্তির স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়, এমনকি সামাজিকভাবেও হেয় করে। টক্সিক পারসোনালিটির মানুষকে কেউ পছন্দ করে না। টক্সিক পারসোনালিটির মানুষকে এড়িয়ে চলতে পারাটাই নিজের জন্য মঙ্গল।
কথায় বলে, আপনি আপনার আশপাশের সবচেয়ে কাছের পাঁচজন মানুষের গড়। এর মানে হলো আপনার জীবনে গুরুত্ব পাওয়া মানুষগুলো আপনার চিন্তা, জীবনসঙ্গী বাছাই, পছন্দ, অপছন্দ, রুচি, সিদ্ধান্ত গ্রহণ এ সবকিছুতে প্রভাব ফেলে। আপনি এই মানুষগুলোর দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হন। এই মানুষগুলো আপনাকে ক্রমাগত পিছিয়ে দেয়। এমনকি জীবন থেকে ছিটকেও পড়তে পারেন।
তাই ‘টক্সিক’ এই মানুষগুলো থেকে দূরে থাকার জন্য আপনি আগে জীবন থেকে এই মানুষগুলোকে বিদায় করুন, নিজে নিরাপদ দূরত্বে থাকুন।
১. ‘টক্সিক’ মানুষেরা সাধারণত কোনো কিছুর দায়িত্ব নিতে চায় না। যেকোনো কিছুর দায়ভার অন্যের কাঁধে চাপাতে তারা ওস্তাদ। তাদের নিজেদের দুরবস্থার জন্য আপনাকে বা অন্যদের দায়ী করে। অন্যদিকে কৃতিত্ব নিজের দিকে টেনে নেওয়ার বেলায় পটু।
২. এরা সহানুভূতিশীল নয়। ‘টক্সিক’ এই মানুষেরা কখনো আপনার জুতায় নিজের পা গলিয়ে আপনার অবস্থা বা পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করবে না। এই মানুষদের আপনি আপনার অনুভূতি বোঝাতে ব্যর্থ হবেন।
৩. সমালোচনা, কথা লাগানো তাদের অবসরের প্রিয় কাজ। বিয়ের পর মানুষের ব্যক্তিগত সম্পর্ক, চরিত্রের বিশ্লেষণ, নেতিবাচক চর্চা-এগুলোতে তারা কখনোই ক্লান্ত হয় না। আপনি মনে রাখবেন, আপনার কাছে অন্যের সম্পর্কে এই ধরনের কথা বলছে। এর অর্থ হলো আপনার সম্পর্কে এই ধরনের কথা বলতেও তাদের নীতিতে আটকাবে না।
৪. সম্পর্ক মানেই বিশ্বাস, ভরসা আর স্বস্তির একটি জায়গা। তা হোক বন্ধুত্বের সম্পর্ক কিংবা ভালোবাসার। কিন্তু এই সম্পর্ক যদি আপনাকে তিনটি উপাদানের একটি দিতেও ব্যর্থ হয় তবে বুঝতে হবে, কোথাও সমস্যা আছে।
৫. ব্যক্তিভেদে সম্পর্কের ধরন ভিন্ন হয়, সম্পর্কের সংজ্ঞাও একেকজনের কাছে একেক রকম। তবে আপনার সঙ্গী যদি প্রতিনিয়ত আপনাকে ছোট করে কথা বলে, যেকোনো কাজে জবাবদিহিতা চায় এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, সবসময় আপনাকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখে এমন সম্পর্ককে টক্সিক বলা যায়।
৬. আপনাকে আপনার পরিবার বা কাছের মানুষদের থেকে দূরে সরিয়ে নিতে পারে এই টক্সিক মানুষেরা। এসব টক্সিক মানুষ আপনাকে ‘একঘরে’ করে ফেলতে পারে।
৭. এসব ‘টক্সিক’ মানুষদের সঙ্গে কথোপকথনের পর আপনার হালকা অনুভূত হয় না। বরং আবেগীয়ভাবে ভার ভার লাগে। আমাদের আশপাশেই রয়েছে অনেক ‘টক্সিক মানুষ’। এই মানুষদের সঙ্গে কথা বলার পর আপনার ওপর ‘নেতিবাচক এনার্জি’ ভর করে। মাঝেমধ্যে বিরক্তি, হতাশা আর রাগ আপনাকে গ্রাস করে।
৮. আসলে আমাদের জীবনে বাড়ির বাস্তুর প্রভাব খুব বেশি করে পড়ে।
৯. নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গ করতেও পিছপা হয় না তারা।