পূজার লাড্ডু
হিমের পরশ লাগে প্রাণে
শারদীয়ার আগমনে
আগমনীর খবর পেয়ে
বনের পাখি উঠল গেয়ে
বুঝাই যাচ্ছে সামনেই দুর্গাপূজা। আর বাঙালির পূজা মানেই ভুরিভোজ। তবে নাড়ু কিংবা লাড্ডু ছাড়া তা জমেই না। তাই পূজার উৎসবের দিনগুলোতে ভুরিভোজের জন্য রইলো ৩টি দারুণ রেসিপি।
তিলের লাড্ডু
উপকরণ: তিল ২৫০ গ্রাম, গুড় ২৫০ গ্রাম, ঘি ১ কাপ।
প্রণালী: তিল টেলে (তেল ছাড়া ভাজা) নিয়ে পরিষ্কার করে খোসা ছাড়িয়ে নিন। এবার চুলায় একটি পাত্রে গুড় জ্বাল দিন। তা গলে গেলে তিল দিয়ে নাড়তে থাকুন। গুড়ের সঙ্গে তিল মিলে শক্ত হয়ে এলে নামিয়ে নিন। একটি পাত্রে তিলের মিশ্রণ ঢেলে গরম থাকতেই ঘি দিয়ে মিশিয়ে নিন।
এবার পছন্দ মতো আকারে লাড্ডু তৈরি করুন। আপনারা চাইলে সব ধরনের লাড্ডুতে পছন্দমতো লবণ দিতে পারেন।
নারকেলের নাড়ু
উপকরণ: নারকেল ৪টি, গুড় বা চিনি ১ কেজি, তেজপাত ১টি, লবণ এক চিমটি, এলাচ গুঁড়া সামান্য, দারচিনি কয়েক টুকরো।
প্রণালী: নারিকেল কুরিয়ে নিন। এবার কোরানো নারিকেল ও গুড় ভালো করে মিশিয়ে পাত্রে দিন। দারচিনি, তেজপাতা, এলাচ গুঁড়া ও লবণ দিয়ে দিন। এরপর ভালোভাবে নাড়ুন যাতে তলায় লেগে না যায়। হালকা আঁচে প্রায় আধাঘণ্টা রান্নার পর নরম ও আঠালো হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন।
হালকা গরম থাকতেই হাতের তালুতে অল্প ঘি মেখে নারিকেল নিয়ে ছোট বলের মতো গোল করে নাড়ু তৈরি করে নিন।
বেসনের লাড্ডু
উপকরণ: বেসন ১ কাপ, পানি আধা কাপ, কাঠ বাদাম ১ চা চামচ, এলাচ গুঁড়া সামান্য, ভাজার জন্য তেল পরিমাণ মত, সিরা তৈরি জন্য চিনি দেড় কাপ ও পানি ১ কাপ।
প্রণালী: প্রথমে পানিতে চিনি জ্বাল দিয়ে সিরা তৈরি করে নিন। এবার একটি পাত্রে পানি ও বেসন দিয়ে খুব ভালো করে মিশ্রণ তৈরি করুন। বড় হাতলসহ ঝাঁজরা চামচে মিশ্রণ নিয়ে গরম তেলে ছাড়ুন। অল্প আঁচে বুন্দিয়াগুলো সোনালী রঙ করে ভেজে তুলুন।
সবশেষে চিনির সিরায় বুন্দিয়া, বাদাম কুচি এবং এলাচ দিয়ে মেখে ১০ মিনিট রেখে দিন। হাতে চিনির সিরা মেখে গোল করে লাড্ডু তৈরি করুন।
আরকে/জেবি
মন্তব্য করুন