• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বর্ষাকালে সুস্থ থাকতে করণীয়

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৬ জুলাই ২০১৭, ১৩:২১

ঋতু পরিবর্তনের ধারায় প্রকৃতিতে এখন বর্ষাকাল। এসময় অধিক বৃষ্টির কারণে শহরের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। আর এই জলাবদ্ধতার কারণেই বাসস্থানে মশার সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে প্রকট হারে।

বর্তমানে মশাবাহিত রোগ চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই।

এছাড়া ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, কলেরা, টাইফয়েড, ডায়রিয়া, হেপাটাইটিস এ প্রভৃতি পানিবাহিত রোগ হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

সুতরাং বর্ষাকালে এ ধরনের প্রতিকূলতা এড়িয়ে সুস্থ থাকার উপায় জেনে রাখা দরকার।

খাওয়া দাওয়া

স্বাস্থ্যকর, সুষম ডায়েট মেনে চলা এসময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মৌসুমি ফল অবশ্যই খেতে হবে। কাঁচা শাকসবজি খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।

কারণ এগুলো থেকে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন ছড়াতে পারে। শাকসবজি ভালো করে ধুয়ে রান্না করে তবেই খাওয়া উচিত।

এছাড়া অত্যধিক মাছ, মাংস না খেয়ে হালকা সহজপাচ্য খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার

ভিটামিন সি সাধারণ সর্দি-জ্বর প্রতিরোধ করে। তাই বর্ষার সময় সর্দি-জ্বর এড়াতে বেশি পরিমাণে কমলালেবু, পেয়ারা ও অন্যান্য ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন।

ভিজে গেলে

বর্ষায় ভিজে গেলে অনেকেই গোসল করেন না। এই সময় গোসল না করা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ বর্ষার পানির মাধ্যমে শরীরে নানা ধরনের ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই বৃষ্টিতে ভিজে গেলে বাসায় ফিরে সঙ্গে সঙ্গে গোসল করে নেয়া উচিত।

পানি পান

বর্ষাকালে শরীর সুস্থ রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। পানি শরীর থেকে বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদান বের করে দিতে সাহায্য করে। তাই পর্যাপ্ত পানি পানের অভ্যাস থাকলে বিভিন্ন রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকা যায় এসময়।

বর্ষায় সুস্থ থাকতে হারবাল টি, যেমন আদা, গোলমরিচ, মধু, পুদিনা, তুলসী চা খেতে পারেন। এ সব চায়ের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে। যা ইনফেকশন দূরে রাখতে সাহায্য করবে। ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় যা বডি ফ্লুইড কমিয়ে শরীরকে ডিহাইড্রেট করে তোলে। তাই এ জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলুন।

বর্ষার সরঞ্জাম

যখনই বাইরে বের হবেন সঙ্গে ছাতা বা রেইনকোট রাখুন। বৃষ্টির সময় বাইরে বের না হওয়াই ভালো। কোনো প্রয়োজনে বাইরে বের হতে হলে বর্ষার সরঞ্জাম ছাড়া বের হবেন না।

পরিচ্ছন্ন ঘরবাড়ি

বর্ষার আর্দ্র আবহাওয়ায় ঘরবাড়িতে স্যাঁতসেঁতে ভাব আসে। এসময় ঘরবাড়িতে পোকামাকড় ও জীবাণুর সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়। তাই এসময় বাড়িঘর পরিচ্ছন্ন রাখা একান্ত প্রয়োজন।

হাতধোয়া

হাতের মাধ্যমে অনেক সময় শরীরে জীবাণু প্রবেশ করে থাকে। আর এই জীবাণু দেহে দীর্ঘদিন বাসা বেঁধে থাকতে পারে। তবে যথাযথভাবে হাত ধোয়ার মাধ্যমে এ ধরনের জীবাণু থেকে মুক্ত থাকতে পারেন। আর হাত ধোয়ার সময় অন্তত বিশ সেকেন্ড সময় নিতে হবে। হাতধোয়ার ক্ষেত্রে বাজারে উন্নতমানের যে হ্যান্ডওয়াশ বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাওয়া যায় তা ব্যবহার করাই ভালো।

আরকে/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • লাইফস্টাইল এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh