ট্রাম্পের চেয়ে পুতিন-সি চিনপিং বেশি বিশ্বাসযোগ্য: জরিপ প্রতিবেদন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং বেশি বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করেন বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ।
গত সোমবার (১ অক্টোবর ২০১৮) ওয়াশিংটন ভিত্তিক পিউ রিসার্চ সেন্টার প্রকাশিত এক জরিপ প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।
গত মে মাসের মধ্যবর্তী সময় থেকে আগস্টের মধ্যবর্তী সময় পর্যন্ত ২৫টি দেশের ২৬ হাজার ১১২ জনের অংশগ্রহণে পরিচালিত এক জরিপের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
বৈশ্বিক কল্যাণের ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৫২ শতাংশ জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেলকে, ৪৬ শতাংশ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে, ৩৪ শতাংশ সি চিনপিংকে, ৩০ শতাংশ পুতিনকে এবং ২৭ শতাংশ ট্রাম্পকে বিশ্বাস করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈশ্বিক বিষয়গুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক নাগরিকরা। বেশির ভাগের মতে, বৈদেশিক নীতি ও সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে অন্য দেশগুলোর স্বার্থ তাদের মতো করে বিবেচনা করে না যুক্তরাষ্ট্র।
আরও বলা হয়, অনেকেই মনে করে বড় ধরনের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার ক্ষেত্রে আগের চেয়ে কম ভূমিকা পালন করছে যুক্তরাষ্ট্র। এক দশক আগেও ব্যক্তি স্বাধীনতা প্রতি শ্রদ্ধাশীলতার জন্য সুনাম ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। তাই সব মিলিয়ে দেশটির শক্তিও দিন দিন কমে যাচ্ছে।
গত মাসে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ট্রাম্প নিজেই নিজের ঢাক পেটান। তার আমলেই যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছে বলে বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি। আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে তার শাসনকালেই নাকি যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটেছে। তার বক্তব্যে হাসি চেপে রাখতে পারেননি অনেকেই।
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্যারিস জলবায়ু বৈঠকে বিতর্কের সূত্রপাতের জন্য ট্রাম্পকেই দায়ী করা হয়। ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি বাতিল করার সিদ্ধান্তও ছিল তারই।
ন্যাটোর সঙ্গী এবং জি৭ শীর্ষ বৈঠকে জার্মানি ও কানাডার সঙ্গে ট্রাম্পের দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয় ট্রাম্পের সময়েই৷ এখানেই শেষ নয়, একটি প্লে-বয় ম্যাগাজিনের মডেলের সঙ্গে যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে যায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের নাম।
আরও পড়ুন :
কে/এসএস
মন্তব্য করুন