ঘুঘুর বসবাস মেয়রের প্রিন্টারে
বনের পাখি ঘুঘুকে বাসায় পোষার কথা শুনলে নিশ্চয়ই কেউ অবাক হবেন না। কিন্তু ঘুঘু যদি কারও অফিসে থাকে, তাও আবার একজন মেয়রের অফিসে, তাহলে ব্যাপারটা অবাক করার মতোই বটে। সত্যি সত্যিই এক ঘুঘু দম্পতির সঙ্গে অফিস করছেন তুরস্কের বুরসা প্রদেশের ওসমানগাজি জেলা শহরের মেয়র মুস্তাফা দুনদার।
দুই সপ্তাহ আগে এক সকালে মুস্তাফা দুনদার অফিসে ঢুকে একটি প্রিন্টারে ঘুঘুর বাসা দেখতে পান বলে গত ১৪ মে দেশটির গণমাধ্যম হুরিয়েতে ডেইলি নিউজে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
কিছুদিন পর নারী ঘুঘুটি বাসায় একটি ডিম পাড়ে এবং সেটিতে তা দিতে শুরু করেন। দুনদার বলেন, যখন থেকে আমি ঘুঘুর বাসাটি দেখেছি, তখন থেকে কেউ যাতে তাদেরকে বিরক্ত না করে সেদিকে বিশেষ নজর রাখছি।
তিনি বলেন, আমার অফিসে ঢুকে অনেকে প্রথম দেখাতেই মনে করেন ডেকোরেশনের জন্য খেলনা ঘুঘু রাখা। কিন্তু পরে তারা ঠিকই বুঝতে পারেন যে এটি সত্যিকারের ঘুঘু। পৌর কর্তৃপক্ষ হিসেবে শহরে বসবাসকারী সব প্রাণিকে সেবা দেয়া আমাদের দায়িত্ব।
ঘুঘুদের কথা বিবেচনা করে পৌরসভা অফিসের জানালা সারাদিন খোলা রাখা হয় এবং কর্মকর্তাদের কেউ প্রিন্টারের আশেপাশে যান না।
কে/পি
মন্তব্য করুন