কথা বলছেন না রাজ্জাকের স্ত্রী
শোকে পাথর নায়করাজ রাজ্জাকের স্ত্রী খায়রুন্নেসা লক্ষ্মী। হাসপাতালের যে কক্ষে রাজ্জাকের মরদেহ রাখা আছে তার সামনেই বসে ছিলেন। পাশে ছোট ছেলে সম্রাট।
একে একে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার, আলমগীর, সুচরিতা, ওমর সানি, মৌসুমী, শাকিব খান, ফেরদৌস, সাইমন ও জায়েদ খান। মুখ বুঝে তিনি শুধুই কেঁদেছেন।
৫৫ বছরের দাম্পত্য জীবনে নায়করাজের সুখ-দুঃখের পথ চলার সাক্ষী তিনি। সবাইকে জড়িয়ে ধরে শুধু গুমড়ে কেঁদেছেন লক্ষ্মী।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নায়করাজ রাজ্জাক। তার মৃত্যুতে চলচ্চিত্রাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর বিকেলে রাজ্জাকের শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়। এরপর তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক ডা. মোমেনুজ্জামান জানান রাজ্জাকের পালস ও প্রেসার পাওয়া যাচ্ছিল না। তারপর তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এখন রাজ্জাকের মরদেহ ইউনাইটেড হসপিটালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।
নায়করাজ রাজ্জাকের জন্ম ১৯৪২ সালে কলকাতায়। ১৯৬৪ সালে ঢাকায় আসেন তিনি। এর পর জড়িয়ে পড়েন চলচ্চিত্রে। দু’একটা সিনেমায় ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করার পর ৬৭ সালে মুক্তি পায় নায়ক হিসেবে তার প্রথম ছায়াছবি বেহুলা। সেই থেকে শুরু।
রাজ্জাক অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে—স্লোগান, আমার জন্মভূমি, অতিথি, কে তুমি, স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা, প্রিয়তমা, পলাতক, ঝড়ের পাখি, খেলাঘর, চোখের জলে, আলোর মিছিল, অবাক পৃথিবী, ভাইবোন, বাঁদী থেকে বেগম, সাধু শয়তান, অনেক প্রেম অনেক জ্বালা, মায়ার বাঁধন, গুণ্ডা, আগুন, মতিমহল, অমর প্রেম, যাদুর বাঁশী, অগ্নিশিখা, বন্ধু, কাপুরুষ, অশিক্ষিত, সখি তুমি কার, নাগিন, আনারকলি, লাইলী মজনু, লালু ভুলু, স্বাক্ষর, দেবর ভাবী, রাম রহিম জন, আদরের বোন, দরবার, সতীনের সংসার।
- নায়ক রাজের মৃত্যুতে চলচ্চিত্র পরিবারে শোকের ছায়া
- নায়ক রাজ যেভাবে হলেন কিংবদন্তি
- নায়করাজ রাজ্জাকের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
- রাজ্জাকের মৃত্যুতে ৩ দিনের কর্মবিরতি
- পারবো না তোমার স্তব্ধ মুখটা দেখতে : রত্না
এমকে
মন্তব্য করুন