• ঢাকা শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আইসিটি খাতে প্রস্তাবিত বরাদ্দ ১৩ হাজার ১১১ কোটি টাকা

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৭ জুন ২০১৮, ২১:৩৪

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আইসিটি খাতে মোট ১৩ হাজার ১১১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর পরিমাণ প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটের প্রায় ২ দশমিক ৮২ শতাংশ।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ সালের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে এসব তথ্য জানান।

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠন সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার- একথা উল্লেখ করে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রান্তিক মানুষসহ দেশের সবমানুষের দোরগোড়ায় সহজে সেবা প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে আমরা প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ এবং এর ব্যাপক সম্প্রসারণ করেছি।’
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : বিমানকে সরকারি সংস্থা থেকে বাণিজ্যিক করা উচিত : অর্থমন্ত্রী
--------------------------------------------------------

বিদায়ী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের তুলনায় বরাদ্দের এই পরিমাণ ১ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা বেশি। বিদায়ী অর্থবছরে এই বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ১১ হাজার ৬৪১ কোটি টাকা। অন্যদিকে, বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে এটিই এ খাতেই সর্বোচ্চ বরাদ্দ। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এখাতে সার্বিক বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রী মুহিত বাজেট বক্তৃতায় জানান, ‘৬৪টি জেলায় ১১৪টি উপজেলা হতে ১ হাজার ১০৪টি ইউনিয়নে প্রায় ৮ হাজার কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সুবিধা সম্প্রসারিত হয়েছে। সম্প্রতি কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন করার মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রমান্বয়ে ১ হাজার ৫০০ জিবিপিএস ব্র্যান্ডউইথ পাবে।

এপ্রিল ২০১৮ পর্যন্ত দেশে মোবাইল ও ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা যথাক্রমে ১৫ দশমিক শূন্য ৩ কোটি এবং ৮ দশমিক ৬ কোটি এবং টেলিডেনসিটি ও ইন্টারনেট ডেনসিটির হার যথাক্রমে ৯১ ও ৫০ দশমিক ১ শতাংশ। ইতোমধ্যে দেশের ৬৪ শতাংশ জনগোষ্ঠী এবং ৪৮ শতাংশ ভৌগলিক এলাকা ৩-জি নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। বাংলা ডোমেইন চালুর ফলে দেশে ও বিশ্বে বাংলা ভাষাভাষী মানুষ ইন্টারনেটে বাংলা ব্যবহার করতে পারছেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্র, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ই-সেবাকেন্দ্র, ১৪৭টি উপজেলা ও গ্রামীণ ডাকঘরের ই-সেন্টার, ২৫৪টি এগ্রিকালচারাল ইনফরমেশন সেন্টার ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষা, স্বাস্থ্য-পুষ্টি, কৃষি, জন্ম-নিবন্ধন, সামাজিক নিরাপত্তা ভাতাসহ প্রায় সকল সেবা সহজে ও সুলভে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে। আমাদের প্রচেষ্টায় ৩টি দুর্গম পার্বত্য জেলার সব উপজেলায় মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করা সম্ভব হয়েছে, যা পার্বত্য অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্র এক মহাউল্লম্ফন।

আরও পড়ুন :

কেএইচ/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
শনিবার থেকে ট্রেনে বাড়তি ভাড়া, কোন রুটে কত
প্রস্তুত শোলাকিয়া ঈদগাহ, বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার
ঈদ ঘিরে মেট্রোরেলে বাড়তি নিরাপত্তা
মেট্রোরেলে বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে ১ জুলাই থেকে
X
Fresh