প্রকাশক বাচ্চুকে জেএমবির সাংগঠনিক সিদ্ধান্তে হত্যা করা হয়: পুলিশ সুপার
প্রকাশক ও লেখক শাহাজাহান বাচ্চুকে জেএমবির সাংগঠনিক সিদ্ধান্তে হত্যা করা হয়েছে। তিন মাস আগে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের খাসমহল এলাকার একটি বাসা ভাড়া নিয়ে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করা হয়। জানালেন পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, সন্দেহভাজন আসামিদের গ্রেপ্তার করতে বুধবার দিনগত রাতে মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ, এন্টি টেররিজিম ইউনিট, পুলিশ হেডকোয়াটার্স ইন্টেলিজেন্স উইং, বগুড়া জেলা পুলিশ এবং গাজীপুর জেলা পুলিশের সহায়তায় গাজীপুর জেলার কেওয়া পশ্চিমখণ্ড গ্রামের একটি দোতলা বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: ত্রিশাল থানার ওসির বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানকে মারধরের অভিযোগ
--------------------------------------------------------
অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় আব্দুর রহমানকে। তিনি লালু, সাঈদ, আক্কাস ও কাওসার ছদ্মনাম ধারণ করে বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করতেন। আব্দুর রহমান পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ থানার ঢাকাইয়া পাড়ার হোসেন আলীর ছেলে। এ সময় তার ঘরের আলমারি থেকে দু’টি ৭.৬৫ পিস্তল, ২১ রাউন্ড গুলি ও রান্না ঘর থেকে চারটি তাজা গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তিনি শাহাজাহান বাচ্চু হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
গত ১১ জুন বাচ্চুকে গুলি করে হত্যার ১৩ দিনের মাথায় ২৪ জুন গাজীপুর জেলায় অভিযান চালিয়ে আবদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তাকে নিয়ে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুর, ঢাকা ও মুন্সিগঞ্জে অভিযান চালানো হয়।
সিরাজদিখান থানার বালুরচর ইউনিয়নের খাসমহল এলাকার যে বাসা ভাড়া নিয়ে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়, তার সহযোগী বাকি জেএমবি সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে পরে সে বাসায় তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশি শেষে রাত ১টার দিকে সেখান থেকে ফেরার পথে মোটরসাইকেলে করে আসা সহযোগীরা তাকে ছিনিয়ে নেয়ার উদ্দেশে পুলিশের ওপর গুলি চালায়।
এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে সহযোগীরা পালিয়ে যাওয়ার পর সেখানে আব্দুর রহমানকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। এ অবস্থায় আব্দুর রহমানকে উদ্ধার করে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেনেডসহ আগ্নেয়াস্ত্র ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন:
এমকে
মন্তব্য করুন