দরিদ্রতাকে হারিয়ে ৯ সন্তানকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন রহিমা হোসেন
মা ডাকের মধ্যেই অন্তর্নিহিত রয়েছে মমতা ভালোবাসা-স্নেহ আস্থা। মায়ের অপর নাম নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগ। মায়েদের সংগ্রামের মধ্য দিয়েই আলোকিত হয় সমাজ ও সভ্যতা। এমনই এক মা কুমিল্লার রহিমা হোসেন। যিনি দরিদ্রতাকে জয় করে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ৯ সন্তানকে। ২০১৫ সালে তিনি পেয়েছেন রত্নগর্ভা পুরস্কার।
স্বামী সরকারি স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। অভাব-অনটনের সংসারে তার ৬ ছেলে ও ৩ মেয়েকে গড়ে তোলা ছিল এক দুর্নিবার সংগ্রামের দিনলিপি। সব প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। দেশকে উপহার দিয়েছেন ৯টি উজ্জ্বল নক্ষত্র।
রহিমা হোসেন বলেন, আমার সন্তানরা লেখাপড়া করতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় ছিল সবার। শেষপর্যন্ত দেখা গেছে এদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারেনি। লেখাপড়া শেষ করে সবাই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এখনও সন্তানদের সবাই তাদের সবকাজে মায়ের পরামর্শ নেন বলে জানান তিনি।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে পূর্ব ঘোষিত বাস ধর্মঘট স্থগিত
--------------------------------------------------------
সন্তানরা গর্বিত মায়ের সংগ্রামী জীবনের জন্য। রহিমা হোসেনের এক ছেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, যারা দূরে থাকি দু-এক দিন পরপরই মায়ের কাছে চলে আসি। মাকে ঘিরে আমাদের মধ্যে অন্যরকম একটা আনন্দ।
মায়ের অবদানের কথা জানাতে গিয়ে ঢাকা জজ কোর্টের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ শওকত হোসেন জানান, পরীক্ষা ফি’র টাকার জন্য প্রতিদিন ভাত রান্নার সময় একমুঠো করে চাল আলাদা করে জমিয়ে রাখতো। পরীক্ষার আগে সেই চাল বিক্রি করে আমাদের ফি দিতেন।
মায়ের প্রতি সন্তানের দায়িত্বের কথা বলতে গিয়ে রহিমা হোসেনের আরেক সন্তান নাভানা ফার্মার রিজিওনাল ম্যানেজার মোবারক হোসেন বলেন, মায়ের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্যে কোনো সীমারেখা নেই।
আরও পড়ুন :
এমসি/কে
মন্তব্য করুন