• ঢাকা বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নকল করতে না দেয়ায় পরীক্ষার্থীদের তাণ্ডব

চাঁদপুর প্রতিনিধি

  ০৭ এপ্রিল ২০১৮, ২০:৩৮

চাঁদপুর সদর উপজেলার ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা নকলের সুযোগ না পেয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আজ শনিবার বেলা একটার দিকে ফরক্কাবাদ উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় শনিবার ছিল ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা। ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের পাশের ফরক্কাবাদ উচ্চবিদ্যালয় ছিল ওই কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার কেন্দ্র।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : দুঃখের বিলে সুখের হাসি
--------------------------------------------------------

ওই কেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করা ম্যাজিস্ট্রেট ও চাঁদপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিষেক দাস বলেন, পরীক্ষা শুরুর পর থেকে বেলা একটা পর্যন্ত ওই কেন্দ্রে আমি ছিলাম। এ কারণে পরীক্ষার্থীরা নকল করার সুযোগ পায়নি। এতে পরীক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরপরই হল থেকে বের হয়ে আমাকে বহনকারী সরকারি জিপ গাড়িটি ভাংচুর করে। এসময় দায়িত্বরত পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।

ফরক্কাবাদ উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের সচিব কামরুল হাসান বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটের কড়াকড়ির কারণে কোনো পরীক্ষার্থী নকলের সুযোগ পায়নি। এই কারণেই পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর পরীক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে গাড়ি ভাংচুর করে।

পুরান বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, কেন্দ্রের সামনে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা এ ঘটনা ঘটালেও সেখানে কর্তব্যরত একজন পুলিশ সদস্যের পক্ষে কিছু করা সম্ভব ছিল না।

ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হাসান আহমেদের দাবি, শিক্ষার্থীরা নয়, অভিভাবকেরা ভাংচুর চালিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমার কলেজের সাড়ে তিনশ’ পরীক্ষার্থী ওই কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। কিন্তু কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেট কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকায় শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিকভাবে পরীক্ষা দিতে পারেনি। এ কারণে হয়তো অভিভাবকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে এই গাড়ি ভাংচুর করে। তবে আমরা গাড়িটি মেরামত করে দেব।’

এদিকে খবর পেয়ে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মাজেদুর রহমান খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কানিজ ফাতেমাকে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) শামসুন্নাহার বলেন, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। এ ঘটনায় মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন :

জেবি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মামলা করায় বাদীর পরিবারে হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট
X
Fresh