নাসিরপুরে ৭ থেকে ৮ জঙ্গির ছিন্ন ভিন্ন মরদেহ
মৌলভীবাজারের নাসিরপুরে জঙ্গি আস্তানায় ৭ থেকে ৮ জঙ্গির ছিন্ন বিচ্ছিন্ন মরদেহ পাওয়া গেছে। তারা আত্মহত্যা করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, বুধবার বিকেলেই সোয়াটের অভিযানের সময় তারা বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
বললেন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে মৌলভীবাজারের নাসিরপুর অভিযান পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
মনির বলেন, নিহতদের মধ্যে পুরুষ মহিলা আছে। পালানোর পথ না পেয়েই তারা এ কাজ করেছে। পুরো বাড়িতে আজকে যখন আমরা ঢুকি তখন প্রচণ্ড গন্ধ ছিল। দেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল।
মনিরুল মৌলভীবাজারের নাসিরপুরের জঙ্গি আস্তানা ঘিরে পরিচালিত অপারেশন হিটব্যাক সমাপ্ত ঘোষণা করেন। এরপরে বড়হাটে অভিযান শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
বুধবার রাতে বৃষ্টির জন্য অভিযান বন্ধের পর বৃহস্পতিবার সকালে ফের শুরু হয়। দুপুরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। পরে জঙ্গি আস্তানায় টিয়ারশেল ছোঁড়ার খবর পাওয়া যায়।
গেলো মঙ্গলবার রাত ও বুধবার ভোর থেকে মৌলভীবাজারের আলাদা দু’বাড়ি ঘিরে রাখে পুলিশ। এর মধ্যে একটি বাড়ি মৌলভীবাজার শহরের বড়হাট আবুশাহ দাখিল মাদ্রাসা গলিতে। অন্যটি শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে নাসিরপুর গ্রামে।
জানা যায়, সীতাকুণ্ড ও সিলেটে জঙ্গি আস্তানার খোঁজ মেলার পর তদন্তে মৌলভীবাজারের এই দু’বাড়ির তথ্য পাওয়া যায়।
অভিযানের অংশ হিসেবে বড়হাট ও আশপাশের এলাকার গ্যাস এবং সরকার বাজার এলাকার গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছিল।
দু’আস্তানার আশপাশে জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বাড়ি দু'টোর মালিক সাইফুর সাব্বির ও আতব্বর মিয়া নামে দু’ব্যক্তি। তারা একই পরিবারের সদস্য এবং দু’জনেই লন্ডন প্রবাসী।
- নাসিরপুরে ‘অপারেশন হিটব্যাক’ ফের শুরু
- ঝড়-বৃষ্টিতে বিলম্বিত ‘অপারেশন হিটব্যাক’
- সোয়াট চাইলে অভিযানে যাবে সেনাবাহিনী
- মৌলভীবাজারের দু’আস্তানায় বিপুল অস্ত্র-বিস্ফোরক থাকার আশঙ্কা
- মৌলভীবাজার যাচ্ছে সোয়াট
- মৌলভীবাজারে জঙ্গি আস্তানায় গ্রেনেড বিস্ফোরণ-গোলাগুলি
- এবার মৌলভীবাজারে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ২ বাড়ি ঘেরাও
এসজে
মন্তব্য করুন