ছাত্র ধর্মঘটে ঢাবি, জাবির কলাভবনের ফটকে তালা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীদের’ বিক্ষোভে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ধর্মঘট পালন করছে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা।
ঢাকা, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা সোমবার সকাল থেকে মিছিল করছে এবং কলাভবনসহ মূল ভবনের গেটে তালা দিয়ে অবস্থান করছে।
এতে এই তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম অনেকটা ব্যাহত হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি ইমরান হাবিব রুমনের দাবি, সারাদেশে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই ধর্মঘট পালিত হচ্ছে।
তবে কলাভবনের সামনে তাদের অবস্থানের মধ্যেই ভবনের পেছনের ফটক, প্রক্টর অফিসের গেইট ও ডিন অফিসের গেইট দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্লাসে যেতে দেখা গেছে।
জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়ে সোমবার সকাল থেকেই জোটের নেতাকর্মীরা অনুষদগুলোর ফটক বন্ধ করে অবস্থান নিয়েছেন। ফলে অধিকাংশ বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। তবে চারটি বিভাগে পূর্বনির্ধারিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে। অপরদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে জোটের নেতাকর্মীরা ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল, সমাবেশ করেছেন। অধিকাংশ বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।
ভিসি কার্যালয়ে বিক্ষোভে দুই দফা হামলার ঘটনায় দায়ী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি, বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, প্রক্টর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচির সময় ভাংচুরের অভিযোগে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার এবং অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে বাম ছাত্র সংগঠনগুলো এই আন্দোলন করছে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: অব্যাহত থাকবে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
--------------------------------------------------------
প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা সোমবার সকাল ৭টার দিকে কলাভবনের সামনে অবস্থান নেন এবং গেটে তালা লাগিয়ে দেন। পরে মিছিল নিয়ে তারা সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সামাজিক বিজ্ঞান ভবনে যান এবং মূল ফটকে তালা দিয়ে সমাবেশ করেন।
সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের সামনে সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আবার কলাভবনের সামনে ফেরেন প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা। তারা চলে যাওয়ার পর সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের কর্মচারীরা ফটকের তালা ভেঙে ফেলেন।
কলাভবনের সামনের সমাবেশে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের স্নাতকোত্তর শ্রেণির ছাত্র রাজীব দাশ বলেন, ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীদের ডাকা ধর্মঘটে সমর্থন জানিয়েছে ছাত্রদল। কিন্তু আজও আমরা ভুলে যাইনি ২০০২ সালে শামসুন্নাহার হলে ছাত্রীদের ওপর সেই বীভৎস নারকীয় নির্যাতনের ঘটনা। আমরা ছাত্রদলের সমর্থন প্রত্যাখ্যান করলাম।’
ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি তুহিন কান্তি দাশ, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজির ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি ইভা মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক সালমান সিদ্দিকীও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৩ জানুয়ারি বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থী’ ব্যানারে শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে উপাচার্যকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করলে ছাত্রলীগ গিয়ে পিটিয়ে তাদের তুলে দেয়।
ষে বেলা ১২টার দিকে মধুর ক্যান্টিনে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন:
পি
মন্তব্য করুন