'ট্যাকাও পাইসি, সওয়াবও কামাইসি'
প্রিয়জনের সঙ্গে ইজতেমা শেষে এখন ঘরমুখো মানুষ। রোববার সকালে টঙ্গী-উত্তরা এলাকায় দেখা যায় ঘরমুখো মানুষের ভিড়।
যাত্রীদের অভিযোগ, তাদের ঘরে ফেরার যাত্রা শুরু হচ্ছে বাসের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পর। এর সঙ্গে রয়েছে গলাকাটা ভাড়া আদায়।
আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে, আশুলিয়া এক্সপ্রেস, গাজীপুর পরিবহন, বিকাশ, ভুইয়া, স্পেশাল সার্ভিস, ২৭ নম্বর, বিআরটিসিসহ বিভিন্ন পরিবহনের একটি বাসেও আসন খালি নেই।
শিডিউল বিপর্যয়, যানজটসহ পদে পদে বিভিন্ন বাধা উপেক্ষা করে সবাই ছুটছেন ঘরে।
যাত্রাবাড়ীর বাসিন্দা রবিউল হক বলেন, ‘বৃদ্ধ বাবা-মা বাড়িতে থাকেন। ইজতেমায় এসেছিলাম। এখন বাড়ি যেতে হবে। মোনাজাত শেষেই আব্দুল্লাহপুর বাস টার্মিনালে এসেছি। গাড়ি ছাড়তেই দুই ঘণ্টা লেগে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘আজ প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। ছেলেকে নিয়ে দীর্ঘপথ যেতে হবে। তাই অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
শুধু রবিউল একা নন, এ রকম হাজার হাজার ঘরমুখো মানুষ আব্দুল্লাহপুর বাস টার্মিনালে অপেক্ষা করলেও অধিকাংশ গাড়িই নির্দিষ্ট সময়ে ছেড়ে যায়নি।
আব্দুল্লাহপুর বাস টার্মিনালে কথা হয় অন্য এক যাত্রী কায়সার রিজভীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ফিরতে প্রতিবারই কষ্ট হয়। ট্রেনে জায়গা পাওয়া কষ্টকর হয়ে গেছে। কাটা লাইনে (ভেঙে ভেঙে) বাড়ি যাচ্ছি। টার্মিনালে হাজার হাজার যাত্রী গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছে। গাড়ি কম থাকায় গলাকাটা ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।’
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: শাহজালালে বিমান ওঠা-নামা স্বাভাবিক
--------------------------------------------------------
কায়সার রিজভীর বাড়ি রাজবাড়ী জেলায়। তিনি আরো বলেন, ‘দীর্ঘ পথ বাচ্চাদের নিয়ে যাওয়াটা খুব কষ্টকর। শীতে সবাই কাহিল। নিরাপদে যেন বাড়ি যেতে পারি।’
কথা হয় কল্মিলতা পরিবহনের একটি বাসের ড্রাইভার আশিকুর রহমানের সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘ইজতেমায় আসা যাত্রীদের পৌঁছে দেয়াটা আমরা সওয়াবের কাজ মনে করি। কিন্তু যাওয়ার সময় যাত্রী থাকলেও আসার সময় যাত্রী কম। এ কারণে অতিরিক্ত ভাড়া নিতে হচ্ছে। বছরে তো এই একটা সময় যেটুকু টাকা কামাই করি। রাস্তায় শ্রমিক নেতাদেরসহ প্রভাবশালীদের বকশিশ দিতে হয়। এই টেকা আয় করে দিতে হবে। হেইডা বিবেচনায় নিয়ে কইলে, ট্যাকাও পাইসি, সওয়াবও কামাইসি।'
এসজে/সি
মন্তব্য করুন