• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ফিলিস্তিন ইস্যু / আইসিজের শুনানিতে আজ অংশ নেবে বাংলাদেশ
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বিগত ছয় দশক (৫৭ বছর) ধরে ইসরায়েল যে দখলদারিত্ব চালিয়ে আসছে, তা নিয়ে শুনানি শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস-আইসিজে)। এই শুনানিতে আজ (মঙ্গলবার) অংশ নেবে বাংলাদেশ। মোট ৫২টি দেশ এবং ৩টি আন্তর্জাতিক সংস্থা এই শুনানিতে অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে অবস্থিত জাতিসংঘের সর্বোচ্চ এই আদালতে শুনানি শুরু হয়। চলবে আগামী এক সপ্তাহ। আইসিজের ১৫ বিচারপতি প্যানেলের সব সদস্যের উপস্থিতিতে শুরু হয় এ শুনানি। ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল মালিকিও এজলাসে হাজির হয়েছেন। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কারও উপস্থিতি দেখা যায়নি। চীন, রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ ১১টি দেশ শুনানিতে অংশ নেবে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে আইসিজেতে এই শুনানি শুরু হয়েছে। ২০২২ সালে আইসিজের প্রতি এই শুনানির আহ্বান জানিয়েছিল সাধারণ পরিষদ। শুনানি শেষে একটি মতামত বা নির্দেশনা দেবেন আইসিজে। ধারণা করা হচ্ছে, আইসিজের এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা আসতে আনুমানিক ছয় মাস সময় লাগতে পারে। ইসরায়েল আইসিজের এই শুনানিতে অংশ নিচ্ছে না। তবে লিখিত পর্যবেক্ষণ পাঠিয়েছে। সপ্তাহ ধরে ধাপে ধাপে এই শুনানি হবে।  
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:১৩

তমিজী হকের জামিন শুনানিতে ক্ষুব্ধ বিচারক
আলোচিত ব্যবসায়ী আদম তমিজী হককে আদালতে হাজির না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আদালত। দেশে কি আইন-আদালত নেই। বুধবার (১০ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত জানতে চান, গ্রেপ্তারের ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে আদালতে হাজির না করে কিভাবে আসামিকে রাখা যায়। এসময় বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন আরফাতুল রাকিব।  আদম তমিজী হকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। শুনানি শেষে আদম তমিজী হকের জামিন আবেদন নাকচ করে দেন আদালত। এজন্য তমিজী হকের আইনজীবী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর দায় চাপান। তিনি বলেন, আইনের ব্যত্যয় ঘটায় আদালত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। শুনানিতে এ আইনজীবী বলেন, আদম তমিজী হক একজন মানসিক রোগী। মানসিক ইন্সটিটিউট বিকন পয়েন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত ১১ ডিসেম্বর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মানসিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারায় তাকে সেখানেই চিকিৎসাধীন রাখা হয়। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে আদালতে হাজির করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট ইস্যুর আবেদন করা হয়। আদালত তা মঞ্জুর করেন। তাকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়ে থাকলে কোর্টে না এনে কিভাবে সেখানে রাখা হলো বলে জানতে চান আদালত। এসময় আইনজীবী জানান, তাকে আদালতে আনা সম্ভব ছিলো না। এ উত্তরে ক্ষুব্ধ হয়ে আদালত বলেন, বাংলাদেশের একটা সংবিধান আছে। তাহলে সংবিধান ছিঁড়ে ফেলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেও আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়নি। এতদিন সেখানে কিভাবে থাকেন। দেশে কি আইন-আদালত নাই। গত সেপ্টেম্বরে ফেসবুক লাইভে নিজের বাংলাদেশি পাসপোর্ট পুড়িয়ে এবং নিজ দল আওয়ামী লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসেন তমিজী হক। পরে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। আদম তমিজী বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বৈত নাগরিক। এরপর গত ১৩ নভেম্বর রাত ১২টায় ঢাকায় ফেরেন আদম তমিজী। পরে রাষ্ট্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ‘কটূক্তি’ করার অভিযোগে ১৫ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আদম তমিজী হক ইচ্ছাকৃতভাবে তার কম্পিউটার, মোবাইল ফোন ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এছাড়া তিনি সরকারবিরোধী বিভিন্ন ধরনের আপত্তিকর, মানহানিকর, উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এতে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গত ১৬ নভেম্বর রাতে তার বাড়িতে যায় র‌্যাব সদস্যরা। এ সময় তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে আত্মহত্যার হুমকি দেন। পরে র‍্যাব সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার না করে চলে যায়।
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়