• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
এমভি আবদুল্লাহ / মুক্ত দুই নাবিক ফিরবেন বিমানে, বাকিরা জাহাজে  
সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে ৩২ দিনের জিম্মি জীবন কাটানো শেষে মুক্ত ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে নিয়ে দুবাইয়ের পথে এমভি আবদুল্লাহ। সেখানকার আল হারমিয়া বন্দরে পৌঁছে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা করবেন তারা। তবে সহসাই জলদস্যুদের ডেরা থেকে ফেরা নাবিকদের কাছে পাচ্ছেন না উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে পুরো রমজান মাস ও ঈদ কাটানো স্বজনরা।  কারণ, কেবল দুজন নাবিক দেশে ফিরছেন বিমানযোগে। বাকি ২১ জন নাবিক ফিরবেন এমভি আবদুল্লাহতেই। অবশ্য নাবিকদের নিজ নিজ ইচ্ছাতেই এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাহাজের মালিকপক্ষ। বিষয়টি নিশ্চিত করে বুধবার (১৭ এপ্রিল) এ বিষয়ে কেএসআরমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, এমভি আবদুল্লাহ আগামী ২২ এপ্রিল সকালে আল হারমিয়া বন্দরে পৌঁছাবে। সেখান থেকে দুজন নেমে গিয়ে বিমানযোগে দেশে ফিরবেন। বাকিরা জাহাজে করেই দেশে ফিরবেন।  প্রসঙ্গত, গত ৪ মার্চ ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ আল হারমিয়া বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল এসআর শিপিংয়ের জাহাজটির। কিন্তু পথিমধ্যে ১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। ২৩ নাবিককে জিম্মি করে জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যায় তারা। এরপর পুরো রমজান মাস ও ঈদ জিম্মি অবস্থাতেই কাটে নাবিকদের। চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ঘিরে থাকে তাদের স্বজনদের। অবশেষে গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে নেমে যায় দস্যুরা। জাহাজটির মালিকপক্ষের দাবি, ২৩ নাবিক ও জাহাজটিকে মুক্ত করতে দস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝিয়ে দিয়েছেন তারা। ওইদিন বিকেলে একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুঁড়ে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে ব্যাগ তিনটি কুড়িয়ে নেন দস্যুরা।    দস্যুমুক্ত হয়ে শনিবার রাতেই সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। এরপর নিরাপদ জলসীমায় আনা পর্যন্ত জাহাজটিকে নিরাপত্তা দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ। একইসঙ্গে কাঁটাতারের নিরাপত্তা বেষ্টনী লাগানো হয় জাহাজের চারদিকে। প্রস্তুত করে রাখা হয় জাহাজে নিরাপত্তার জন্য সংরক্ষিত এলাকা সিটাডেল, ইমার্জেন্সি ফায়ার পাম্প এবং সাউন্ড সিগন্যাল। এর আগে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল একই মালিকপক্ষের আরেক জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। পরবর্তীতে বিভিন্নভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০২

৩১ দিন পর মুক্ত জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের ২৩ নাবিক 
সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে ৩১ দিন পর মুক্তি পেলেন বাংলাদেশি ২৩ নাবিক। সঙ্গে ছাড়া পেয়েছে জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ও। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় মুক্তিপণের ডলার ভর্তি তিনটি ব্যাগ জলদস্যুদের হাতে পৌঁছালে নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেয় তারা। রোববার (১৪ এপ্রিল) মধ্যরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জিম্মি জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মুখপাত্র মিজানুল ইসলাম।  তিনি জানান, ঈদের আগেই নাবিকদের ফিরিয়ে আনার কথা ছিল। কিন্তু কিছু জটিলতায় সময় পরিবর্তন হয়। অতীতে জাহান মণির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দ্রুত সময়ে ২৩ নাবিককে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।  মিজানুল ইসলাম আরও জানান, মুক্ত হওয়া ২৩ নাবিককে বিমানে চট্টগ্রামে নেওয়া হবে। চট্টগ্রামে পৌঁছানের পর কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে তারা ফিরবেন স্বজনদের কাছে। আর উদ্ধার হওয়া জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ যাবে দুবাইয়ে। সেখানে ওই জাহাজে যোগ দেবেন নতুন নাবিকরা।  এর আগে ডলারভর্তি ৩টি ব্যাগ পাওয়ার পর শনিবার বিকেল ৪টায় ‘এমভি আবদুল্লাহ’ ত্যাগ করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। তবে মুক্তিপণ হিসেবে জলদস্যুদেরকে কতো ডলার দেওয়া হয়েছে কিংবা তারা চেয়েছিল কতো, তার কিছুই এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করে জানানো হয়নি জাহাজটির মালিকপক্ষ থেকে।  উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এর আগে, ২০১০ সালে একই গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি জাহান মণি ছিনতাই হওয়ার তিন মাস পর মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে এনেছিল গ্রুপটি। আবার কোনো জাহাজ ছয় থেকে আট মাস পর মুক্ত হওয়ার নজির রয়েছে। এদিক থেকে এবার বেশ দ্রুতই মুক্তিপণের আলোচনা হয়। 
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৭

২০৪১ সালের মধ্যে ধূমপানমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান
জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় ধূমপায়ীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে ধূমপানমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৪৪তম সভায় এ আহ্বান জানান দেশীয় মালিকানাধীন সিগারেট প্রস্তুতকারক সমিতির পক্ষে তাদের প্রতিনিধি ইকবাল আনোয়ার। সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সিগারেটকে বিদায় করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এমন বাস্তবতায় নিম্নস্তরের সিগারেটের ধূমপায়ীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে ধূমপানমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সরকারের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বিদেশি ভালো মানের ব্র্যান্ডের সিগারেট দাম ও কর হার বাড়িয়ে এবং শুধুমাত্র মধ্যমস্তরে উৎপাদনের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে ধূমপায়ীর সংখ্যা হ্রাস এবং জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি কমানোর ধারাবাহিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়।  দেশীয় মালিকানাধীন সিগারেট প্রস্তুতকারক সমিতির দৃঢ় বিশ্বাস উপরোক্ত প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়িত হলে চলতি বছরের সমপরিমাণ শলাকা বিক্রয় করে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ খাতে প্রাক্কলিত রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা, যা বর্তমান অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ২৫ শতাংশ বেশি। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  ২০৪১ সালের মধ্যে ধূমপানমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমানোর ধারাবাহিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন অপরিহার্য। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আর্ন্তজাতিক বিখ্যাত ভালো ব্র্যান্ডের সিগারেট নিম্নস্তরে কমমূল্যে বাজারজাত করার সুযোগ থাকায় তা গ্রামগঞ্জে, হাটবাজারে, শহরের অলিগলিতে সর্বত্র সহজলভ্য হয়েছে। ফলে ধূমপায়ীর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে; যা উদ্বেগজনক অবস্থায় গিয়ে ঠেকেছে। বর্তমানে নিম্নস্তরের বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় যে, বিদেশী কোম্পানীর অতি উচ্চ ও ভালো ব্র্যান্ডের  সিগারেট প্রায় ৯০% বাজার শেয়ার দখল করে আছে। ফলে ধূমপায়ীর সংখ্যা হ্রাসের সম্ভবনা দিন দিন কমে যাচ্ছে। দেশীয় মালিকানাধীন সিগারেট প্রস্তুতকারক সমিতির প্রস্তাব, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে এবং ধূমপায়ীর সংখ্যা কমিয়ে এনে সিগারেটকে ২০৪১ সালের মধ্যে বাজার থেকে বিদায় করার জন্য এদের দাম ও কর হার বাড়িয়ে মধ্যমস্তরে উৎপাদন এবং নিম্নস্তরের বর্তমান দাম ও কর হার অপরিবর্তিত রাখা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৪৪তম সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়েশা খান। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং এফবিসিসিআই যৌথভাবে এই পরামর্শক কমিটির সভা আয়োজন করে।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৬

ঠাকুরগাঁওয়ে ১১৯২ জন শিশুকে শ্রম মুক্ত করেছে ইএসডিও
দেশের উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওকে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম মুক্ত ঘোষণা করে সরকারের দায়িত্বশীলদের কাছে নথিপত্র হস্তান্তর করেছে জেলার পাঁচ উপজেলার চেয়ারম্যানরা। শনিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর বিজয়সরণীর বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ও ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য দ্রৌপদী দেবী আগরওয়ালার হাতে এসব নথিপত্র তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইকো স্যোসাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)। এর আগে ঠাকুরগাঁওকে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম মুক্ত করতে জেলার পাঁচটি উপজেলার তিনটি পৌরসভা ও ৫৪ ইউনিয়নে একটি প্রকল্প পরিচালনা করে ইএসডিও। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সহযোগিতায় ও যুক্তরাজ্যের এফসিডিও এর অর্থায়নে প্রকল্পের আওতায় ঠাকুরগাঁওয়ে এক হাজার ১৯২ জন শিশু শ্রমিককে চিহ্নিত করে তাদের শ্রম মুক্ত করে স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে সংস্থাটি। অনুষ্ঠানে প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে ইএসডিও এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ড. মো. শহিদ উজ জামান বলেন, আমরা এই কার্যক্রমটি শুরু করার আগে পুরো জেলার ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমের সার্ভে করেছিলাম। সেই সার্ভেতে আমরা দেখেছি পুরো জেলায় ১ হাজার ১৯২ জন শিশু ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমে জড়িত রয়েছে। তারপর আমরা জেলার ৫৪টি ইউনিয়ন ও তিনটি পৌরসভার সঙ্গে পৃথকভাবে মিটিং করার পর সেখানে আমরা এক ধরনের কমিউনিটি লেভেল পর্যবেক্ষণ মডেল তৈরি করি। এবং এই শিশুদের শ্রম থেকে মুুক্ত করার দায়িত্ব দেই তাদের। কারণ শিশুশ্রম মুক্ত করার দায়িত্ব সরকারের। আমরা তাদের সহযোগিতা করি। ১৪ বছর বয়সের নিচে শিশুদের আমরা স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করি এবং ১৪ বছরের বেশি বয়সের যেসব শিশু ছিল, তাদের আমরা নানা ধরনের প্রিভোকেশনাল প্রশিক্ষণ দিয়ে নানা ইতিবাচক কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্তি করেছি। এখন এটি যেন আবার বন্ধ না হয়ে যায়, সেজন্য এসব শিশুদের বাবা-মায়ের আয়ের সুবিধার্থে তাদের সরকারের বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প ও এনজিও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে যুক্ত করা হয়েছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, শিশুদের শ্রম মুক্ত করা একটি কঠিন কাজ। প্রতিটি এলাকায় গিয়ে শিশুদের বুঝিয়ে শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত করা সহজ কাজ নয়। ইএসডিও এই কঠিন কাজটি করেছে। এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমি চাই এই কার্যক্রম চলতে থাকুক। যেহেতু ঠাকুরগাঁওকে শিশুশ্রম মুক্ত করা গেছে, সেহেতু সারা বাংলাদেশও শিশুশ্রম মুক্ত করা হোক। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) জাতীয় প্রোগ্রাম কর্ডিনেটর সৈয়দা মুনিরা সুলতানা, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর তুমো পুতিয়ানিন, জাতীয় শিশুশ্রম পর্যবেক্ষণ কমিটির কো-চেয়ারম্যান সালমা আলী, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, ঢাকায় অবস্থিত ব্রিটিশ হাই কমিশনের স্যোসাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাডভাইজার তাহেরা জাবিন প্রমুখ।  
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫৭

‘বাংলাদেশে মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে চেষ্টা অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র’
বাংলাদেশে অবাধ, পূর্ণাঙ্গ এবং মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্র তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। স্থানীয় সময় বুধবার (২৭ মার্চ) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।  ব্রিফিংয়ে মুশফিকুল ফজল আনসারী নামে এক বাংলাদেশি সাংবাদিক মিলারের কাছে প্রশ্ন রাখেন, বাংলাদেশের জাতীয় দিবস উপলক্ষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন তার বিবৃতিতে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে শক্তিশালীকরণ এবং মানবাধিকারের প্রচারে তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।  বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নেই বলে যে বিশ্বাস, সে ব্যাপারে বাইডেন প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেবে? উত্তরে মিলার বলেন, বাংলাদেশ ইস্যুতে সুনির্দিষ্ট কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে, সে বিষয়ে পর্যালোচনা করে বলার মতো কিছু আমার হাতে এখন নেই। যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের গৃহীত পদক্ষেপের বাইরে আমরা যেটা স্পষ্ট করে বলেছি, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের পররাষ্ট্রনীতির  সর্বোচ্চ গুরুত্বের তালিকায় রয়েছে গণতন্ত্রের বিকাশ। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সংলাপের সময় এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে আমরা কথা বলে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় সময়ই আমরা এ ইস্যুতে কথা বলেছি। বিষয়টা ছিলো অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন নিয়ে। আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চেয়েছিলাম। বাংলাদেশে অবাধ, পূর্ণাঙ্গ এবং মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।  
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫৩

জাহাজ মুক্ত করলো ভারতীয় নৌবাহিনী, ১৭ ক্রু উদ্ধার
অক্ষত অবস্থায় ১৭ জন ক্রুসহ সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি রুয়েনকে মুক্ত করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। শনিবার (১৬ মার্চ) ভারতীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্র তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, গত বছরের ডিসেম্বরে সোমালি দস্যুদের হাতে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছিল কার্গো জাহাজ এমভি রুয়েনকে ভারতীয় নৌবাহিনী উদ্ধার করেছে। ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কলকাতা ও আইএনএস সুভদ্রার প্রচেষ্টায় গত ৪০ ঘণ্টার চেষ্টায় ৩৫ জলদস্যুকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করেছে। এরপর শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় জাহাজটি থেকে অক্ষত অবস্থায় ১৭ জন ক্রুকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছে। ভারতীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্র জানান, আইএনএস কলকাতা ভারতীয় উপকূল থেকে প্রায় ১ হাজার ৪০০ নটিক্যাল মাইল দূরে দস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা জাহাজ এমবি রুয়েনকে থামাতে বাধ্য করে। এরপর আইএনএস সুভদ্রা, হালে আরপিএ ড্রোন, পি-৮আই সামুদ্রিক টহল প্লেনের সমন্বিত কার্যকলাপ এবং সি-১৭ প্লেন থেকে কমান্ডোদের এয়ারড্রপের মাধ্যমে জাহাজটি উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশি জাহাজ আবদুল্লাহ ছিনতাইয়ে জলদস্যুরা এই জাহাজটি ব্যবহার করেছিল। #INSKolkata, in the last 40 hours, through concerted actions successfully cornered and coerced all 35 Pirates to surrender & ensured safe evacuation of 17 crew members in the evening today #16Mar 24 from the pirate vessel without any injury.#INSKolkata had carried out the https://t.co/eKxfEdMRES pic.twitter.com/tmQq2fG8yE— SpokespersonNavy (@indiannavy) March 16, 2024
১৭ মার্চ ২০২৪, ১২:২৪

বিএনপি নেতা দুদু জামিনে মুক্ত
দীর্ঘদিন কারাভোগের পর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে তিনি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদুর ছোট ভাই ওয়াহিদুজ্জামান বুলা। এর আগে রাজধানীর পল্টন থানায় নাশকতার তিন মামলায় জামিন পান শামসুজ্জামান দুদু। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতানা সোহাগ উদ্দিনের আদালত এই আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদুর আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবা। উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ নভেম্বর দিনগত রাত ১২টার দিকে শামসুজ্জামান দুদুকে তার বড় বোনের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও পুলিশের ওপর হামলা এবং পুলিশ সদস্য হত্যার অভিযোগের মামলায় তাকে রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ৯ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আটক ছিলেন।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫৬

আসামি মুক্ত করার কথা বলে হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা
কখনও জেল সুপার, কখনও পুলিশ কর্মকর্তা, কখনও আবার পরিচয় দিতেন আইনজীবী হিসেবে। নিজেকে এমন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিয় দিয়ে ফোন করতেন কারাগারে বন্দি থাকা আসামিদের নিকট আত্মীয়স্বজনদের কাছে। বিভিন্ন উপায়ে আসামি মুক্ত করার কথা বলে স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা। এমন চক্রের প্রধানসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে র‌্যাব পাবনা ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-১২ সিপিসি-২-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. এহতেশামুল হক খান। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের বোঁথড়ের আহাদ মোড় এলাকার আজহার সরকারের ছেলে মো. মামুন হোসেন (৩০) ও একই এলাকার শাহ আলমের ছেলে মো. ইমরান হোসেন (২৮)। মেজর এহতেশামুল হক জানান, সম্প্রতি এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে পাবনায় নানান কৌশলে মোবাইলের মাধ্যমে প্রতারণা করে আসছে। এ রকম একটি ঘটনায় প্রতারণার স্বীকার হয়ে একজন র‌্যাবের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করলে মাঠে নামে র‌্যাব। এরপর গতকাল অভিযান চালিয়ে তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫৯

হাবিপ্রবি উদ্ভাবিত রাসায়নিক মুক্ত টমেটো চাষে আগ্রহী কৃষকরা
বিগত কয়েক বছর ধরেই রাসায়নিক কীটনাশক মুক্ত ফসল চাষে গবেষণা করে যাচ্ছেন দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) কৃষি অনুষদের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আজিজুল হক। গবেষক ড. আজিজুল হক ও তার দল কোনো রকম রাসায়নিক বিষ ও হরমোন ব্যবহার ছাড়াই খুবই স্বল্প মাত্রায় ইউরিয়া, ফসফরাস ও ব্যাক্টেরিয়ার ব্যবহার করে টমেটো চাষে সাফল্য পেয়েছেন। সম্প্রতি তার এই গবেষণা মাঠ দিনাজপুর অঞ্চলের টমেটো চাষি কৃষকের একটি দল পরিদর্শন করেছেন। বিনা রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার ছাড়া এত সুন্দর টমেটোর ফলন দেখে অভিভূত হয়েছেন পরিদর্শনকারী কৃষকেরা। এ সময় মাঠের পাকা টমেটো খেয়ে দেখেছেন তারা। কৃষকরা জানান, আমরা টমেটো চাষে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেকবার বিভিন্ন রাসায়নিক বালাইনাশক ও কীটনাশক ব্যবহার করি এছাড়াও অনেক পরিমাণের সার ইউরিয়া, ফসফেটসহ গোবর সার ও ব্যাবহার করি। এতে আমাদের উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যায়। কিন্তু টমেটোর ফলন দেখে বিশ্বাসই হচ্ছে না যে এখানে কোনো কীটনাশক ব্যবহার করা হয় নি। রাসায়নিক কীটনাশক ও সার ব্যবহার ছাড়ায় টমেটোর এত ফলন ও এত সুন্দর কালার, খেতেও অনেক স্বাদ। স্যারের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি আমরা ব্যবহার করতে পারলে আমাদের উৎপাদন খরচ অনেক কমে যাবে সেই সাথে টমেটোর কালার এবং সাইজের জন্য অতিরিক্ত লাভ হবে বলে আশা করছি। আমরা চাইবো স্যার যেন আমাদের অল্প পরিসরে হলেও এই প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ দেন। দিনাজপুরের প্রান্তিক অঞ্চলের আরও একজন কৃষক জানান, স্যারের বিনা রাসায়নিক সার ব্যবহারে টমেটোর উৎপাদন দেখে ভালো লাগছে। আমরা সাধারণ কৃষকরা টমেটো চাষে স্যারের তুলনায় অনেক বেশি কীটনাশক ও সার ব্যবহার করি। আবার স্যারের এই ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে টমেটো চাষে আমাদের স্বাস্থ্যের কোন ক্ষতি হবে না আমরা নিজেরাও নিশ্চিন্তে খেতে পারব এবং গ্রাহককেও সর্বোত্তম টমেটো সরবরাহ করতে পারব। আমরা টমেটো চাষে সারের এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে আগ্রহী।  কৃষক প্রদর্শনী শেষে ড. আজিজুল হক কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং সারের ব্যবহার কমিয়ে ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করার উপকারিতা, পদ্ধতি নিয়ে কৃষকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।   ড. আজিজুল হক বলেন, আমি দীর্ঘদিন থেকে ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে বিষ, হরমোন-মুক্ত ও স্বল্পমাত্রার ফার্টিলাইজার প্রয়োগে সুস্বাদু টমেটো উৎপাদন নিয়ে গবেষণা করছি। ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে টমেটোর ফলন ও গাছের শাখা উপশাখা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি। আমার লক্ষ্য হলো টেকসই উন্নয়নের জন্য আমার এই গবেষণালব্ধ প্রযুক্তি কৃষকের হাতে তুলে দিতে চাই। এর ফলে টমেটো চাষে রাসায়নিকের ব্যবহার কমবে কৃষক লাভবান হবে বেশি এবং ভোক্তা সাধারণ মানুষ ভালো স্বাস্থ্যকর ফসল খেতে পারবে। আমরা এই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। গবেষক ড. আজিজুল হক বর্তমানে দ্যা সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন এজেন্সি ও ইউনেস্কোর দ্যা ওয়ার্ল্ড একাডেমী অব সাইন্সেস এর যৌথ অর্থায়নে রাসায়নিক কৃষি সামগ্রীর পরিবর্তে এন্ডোফাইটিক ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে টমেটো চাষে গবেষণা করছেন। ইতোমধ্যেই তার এই গবেষণা প্রযুক্তি ব্যবহার করে দিনাজপুরের ভিন্ন ভিন্ন তিন জায়গায় কৃষকের জমিতে পরীক্ষামূলক টমেটো চাষ করা হচ্ছে। 
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩০

৫ ঘণ্টা পর মুক্ত হলেন এমসি কলেজের অধ্যক্ষ
অবরুদ্ধ থাকার প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর নিজ কার্যালয় থেকে বেরিয়ে এসেছেন সিলেট এমসি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল আনাম মো. রিয়াজ। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে অধ্যক্ষের কার্যালয়ের তালা খুলে দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এর আগে শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি না মানায় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কলেজ অধ্যক্ষকে নিজ কার্যালয়ে তালা মেরে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক সংকট, ছাত্রাবাসের বঙ্গবন্ধু হলের পানি সমস্যা ও ছাত্রী নিবাসের নাম বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নামকরণের দাবি নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল আনাম মো. রিয়াজ। দাবি না মানায় বৈঠক থেকে বেরিয়ে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন অধ্যক্ষ। বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলেজ ক্যাম্পাস। পরে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নাজমুল ইসলামের মধ্যস্থতায় দাবি আদায়ে কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে রাজি হন শিক্ষার্থীরা। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সিলেট সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রুহেল আহমদ, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নাজমুল ইসলাম, এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা দিলোয়ার হোসেন রাহীসহ পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল। প্রায় ৪০ মিনিটের বৈঠক শেষে আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল আনাম মো. রিয়াজ। এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শিক্ষক সংকটের বিষয়টি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সমাধান করা হবে। এ ছাড়া ছাত্রী নিবাসের নাম বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নামকরণের বিষয়টি লিখিতভাবে আবেদন করতে হবে। বঙ্গবন্ধু হলে পানি সমস্যার বিষয়টি আগামী রোববারের মধ্যে সমাধান করা হবে। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:০৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়