• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আখাউড়ায় ফসলি জমির মাটি উত্তোলন, ২ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন ও বিক্রির অপরাধে রৌশন আলী ব্যাপারী ও মো. সালাহ উদ্দিন নামের দুই ব্যক্তিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের বনগজ এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রাহাতুল ইসলাম। দুই ব্যবসায়ী হলেন উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের বনগজ গ্রামের রৌশন আলী ব্যাপারী ও ভাটামাথা গ্রামের মো. সালাহ উদ্দিন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তরা বিক্রির উদ্দেশ্যে ভেকু মেশিন দিয়ে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটছিল। এ খবর পেয়ে দুপুর ২টার দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রাহাতুল ইসলাম ঘটনাস্থল বনগজে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তির প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রাহাতুল ইসলাম জানান, মাটি ও বালু ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪ ধারার অপরাধে দুই ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার করে এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। তারা এই কাজের পুনরাবৃত্তি করবেন না বলেও মুচলেকা প্রদান করেছেন। জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। এ সময় আখাউড়া থানা পুলিশের সদস্যরা সহযোগিতা করেন।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৫৩

হাতিয়ায় ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইট ভাটায়, বন্ধ করলেন এসিল্যান্ড
হাতিয়ায় এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিনে তিন ফসলি জমির বিক্রি হওয়া মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে ইটভাটায়। এতে আশপাশের ক্ষতিগ্রস্থ বসতি পরিবারের লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে হাতিয়ার এসিল্যান্ড সরেজমিনে গিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করে দেন। শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মাইজচরা গ্রামের নুরউদ্দিন মার্কেট সংলগ্ন সরকারি গোপটের পাশে এ ঘটনাটি ঘটে। সরেজমিনে দেখা যায়, সরকারি গোপটের পাশে বসবাসকারি সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষের ঘর সংলগ্ন জায়গা থেকে ভেকু মেশিন দিয়ে গত দুই দিন ধরে মাটি উত্তোলন করে বিশাল আকারের গর্ত সৃষ্টি করে ফেলে। এতে বসবাসকারি লোকজনের মধ্যে বর্ষা মৌসুমে ঘর ধসে পড়ার আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে বসবাসরত পরিবার গুলোর চলাচলের রাস্তা ভেঙ্গে নষ্ট করে ফেলে। এমতাবস্তায় স্থানীয় বসবাসকারি নারী পুরুষ জড়ো হয়ে তাদেরকে বাঁধা দিলেও তারা তা উপেক্ষা করে মাটি উত্তোলন অব্যাহত রাখে। শনিবার দুপুর ১২ টায় অব্যাহত মাটি কাটার বিরুদ্ধে স্থানীয় লোকজন হাতিয়া উপজেলা ভূমি কর্মকর্তাকে (এসিল্যান্ড) মোবাইল ফোনে জানালে এসিল্যান্ড সরেজমিনে গিয়ে তা বন্ধ করে দেন। ভবিষ্যতে যেন এখান থেকে আর মাটি কাটতে না পারে তার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এতে বসবসরত সাধারণ মানুষের স্বস্তি ফিরে আসে। ঘটনার বিবরণে জানা যায় স্থানীয় আবদুল হাই মাঝির ছেলে বেলাল এখানকার প্রতি হাজার মাটি ২২০০ টাকা করে ২ লাখ মাটি ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার মাটি পাশের একটি ইটভাটায় বিক্রি করার চুক্তি করেন। চুক্তি মোতাবেক বেলাল গত দুই দিন থেকে এখানে মাটি কাটা শুরু করেছে। এ বিষয়ে সোনাদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসানের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, এটি ব্যক্তিমালিকানার জমি হলেও যেহেতু বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এখন মাটি কাটা বন্ধ থাকবে।   হাতিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) গোলাম ছারোয়ার জানান, সরকারি গোপট পাশে বসবাসকারি মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে এখানে মাটি কাটা নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং কেউ যেন আর এখানে মাটি কাটতে না পারে এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৩৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়