• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গৃহবধূ হত্যা মামলার ৩ পরিকল্পনাকারী ঢাকায় গ্রেপ্তার
নওগাঁর ধামইরহাটে গৃহবধূ মহসিনা খাতুন ওরফে আয়না (৩০) হত্যা মামলার আসামি ও মূল পরিকল্পনাকারী শাশুড়ি, স্বামী ও দেবরকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল ৬টার দিকে ঢাকার আদাবর থানার সুনিবির হাউজিং এলাকায় র‌্যাবের যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ধামইরহাট উপজেলার বিহারী নগর গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে ও নিহতের স্বামী নুরুল আমিন ওরফে এরশাদ (৩২) ও দেবর শাকিল হোসেন (২২) এবং শাশুড়ি আমেনা বেগম। তারা সকলেই ওই গৃহবধূ হত্যা মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামি।  মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে র‌্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানানো হয়। এতে বলা হয়, চলতি বছরের গত ১২ মার্চ ভোর রাতে ধামইরহাট উপজেলার উমার ইউনিয়নের বিহারীনগর গ্রামের নরুল আমিন ওরফে এরশাদ এর স্ত্রী মহসিনা খাতুন ওরফে আয়নাকে বাড়ির পূর্ব পাশে একটি আম গাছে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি দেখতে পেয়ে পরিবারের লোকজন থানা পুলিশকে খবর দিলে সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহ উদ্ধারের পর গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকজন স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। তাদের অভিযোগ মৃত আয়না আক্তারের সঙ্গে শাশুড়ি, স্বামী ও দেবরের প্রায়ই বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা, সোফা সেট, আলমারি ও খাট ইত্যাদি আনার জন্য বিরোধ লেগেই থাকতো। এই বিরোধের জের ধরে তাকে মারপিট করে শ্বাসরোধে মেরে ফেলে বসত বাড়ির আম গাছে গলায় রশি পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেন মৃতের স্বজনরা। পরবর্তীতে মৃতের চাচা আব্দুল হামিদ বাদী হয়ে ধামইরহাট থানায় ভাতিজি আয়নাকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে মূল পরিকল্পনাকারী শাশুড়ি আমেনা, স্বামী এরশাদ, দেবর শাকিল এবং আমেনার জামাতা বিদ্যুতের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রুজু করেন। মামলার রুজু হওয়ার পর থেকেই আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা গত মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) ধামইরহাট উপজেলার গোপিরামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় আসামি বিদ্যুৎকে গ্রেপ্তার করে।  এরপর অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। পরবর্তীতে র‌্যাব-২, সিপিসি-১ এর সহায়তায় হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী শাশুড়ি আমেনা, স্বামী এরশাদ ও দেবর শাকিলকে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা জেলার আদাবর থানার সুনিবির হাউজিং এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
২৬ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৭

জাবিতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মূল পরিকল্পনাকারী গ্রেপ্তার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত পলাতক মামুনুর রশিদকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।  বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এক ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি। র‍্যাব জানায়, রাজধানীর ফার্মগেট এলাকা থেকে অভিযুক্ত মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ধর্ষণে সহায়তাকারী হিসেবে অভিযুক্ত মো. মুরাদকে নওগাঁ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে স্বামীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের একটি কক্ষে আটকে তার স্ত্রীকে পাশের জঙ্গলে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরে মূল অভিযুক্তসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরের দিন ৪ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় ৬ শিক্ষার্থীর সনদ স্থগিত করা হয়েছে। এরমধ্যে তিনজনকে সাময়িক বহিষ্কারও করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনার তদন্তে চার সদস্যদের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সনদ স্থগিত হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, একই বিভাগের মুরাদ হোসেন, শাহ পরান, মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দিকী, মো. হাসানুজ্জামান ও এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান। পাশাপাশি মুরাদ, সাব্বির ও মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দিকীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৩৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়