• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
অ্যাননটেক্সের ঋণ / সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশে সংকট বাড়বে জনতা ব্যাংকের
অডিটে ঋণ কেলেঙ্কারি ও জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংককে ৩ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকার সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ অনুযায়ী, জালিয়াতির শিকার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটিকে অ্যাননটেক্সের কাছে পাওনা ৬ হাজার ৫২৮ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ হিসেবে শ্রেণিকরণ করতে হবে। ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রক সংস্থা গত ১ এপ্রিল এক চিঠিতে এসব নির্দেশ দিয়েছে। জনতা ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জনতা ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণ ২৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি দাঁড়াবে এবং তা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটিকে আরও সংকটে ফেলবে। সম্প্রতি শেষ হওয়া ফাংশনাল অডিটের ফলাফল অনুযায়ী, অ্যাননটেক্সকে ৩ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকার সুদ মওকুফ সুবিধা অনুমোদন দিয়েছিল জনতা ব্যাংক এবং ২০২২ সালের জুনে কোম্পানিটির ঋণ নিয়মিত হিসেবে রেকর্ড করেছিল। এক দশকেরও বেশি সময় আগে অনুমোদিত মূল ঋণের সঙ্গে জড়িত জালিয়াতি এবং কেলেঙ্কারির বিষয়টিও অডিটে উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, অনিয়ম ও কেলেঙ্কারির মাধ্যমে দেওয়া ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে না এবং সুদ মওকুফ করা যাবে না। অ্যাননটেক্সের ঋণকে নিয়মিত ঋণ হিসেবে রেকর্ড করে জনতা মূলত তার খেলাপি ঋণ কৃত্রিমভাবে কমিয়েছে, যদিও এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হবে। গত ১ এপ্রিল জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে পাঠানো চিঠিতে ঋণের শ্রেণিকরণ ও এর বিপরীতে যথাযথ প্রভিশন রাখতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, তারপর বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি) প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে জনতাকে ঋণ আদায়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। জনতা ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, ৬ হাজার ৫২৮ কোটি টাকার বিপরীতে জনতাকে শতভাগ প্রভিশন রাখতে হবে, যদিও ব্যাংকটির বোর্ড এখনো তার অনুমোদন দেয়নি। যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, অডিটে জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ অনুমোদনের প্রমাণ পাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক এ নির্দেশনা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাঁচ বছরের জোরাজুরির পর গত বছরের জুলাইয়ে জনতা ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা খতিয়ে দেখতে অডিট প্রতিষ্ঠান আহসান কামাল সাদেক অ্যান্ড সিওকে নিয়োগ দেয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. আব্দুল জব্বার।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ২২:১৬

শিবচরে আদালতের নির্দেশে পলাতক আসামির মালামাল ক্রোক
মাদারীপুরের শিবচরে আদালতের নির্দেশে পলাতক আসামির বসতঘরের মালামাল ক্রোক করেছে পুলিশ।   বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেলে উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের কাদির মুন্সীর চরকান্দি গ্রামের পলাতক আসামি মিলন বিবির (৪২) বসতবাড়ি থেকে মালামাল ক্রোক করা হয়।  আসামি মিলন বিবি ওই গ্রামের প্রবাসী শাজাহান শনির স্ত্রী। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানায় করা চেক ডিজঅনারের এক মামলায় আসামি মিলন বিবি দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক রয়েছেন। দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় ফরিদপুরে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নাসিম মাহমুদ আসামির মালামাল ক্রোকের আদেশ প্রদান করে। আদালতের আদেশ পেয়ে আজ বিকেলে শিবচর থানার এসআই আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল আসামির ঘরের মালামাল জব্দ তালিকা মূল্যে ক্রোক করে। ক্রোককৃত মালামালগুলো হলো- একটি পুরাতন স্টিলের আলমারি, একটি পারটেক্সের পুরাতন ড্রেসিং টেবিল,  একটি প্লাস্টিকের পুরাতন ডাইনিং টেবিল, একটি গ্যাসের চুলা, একটি প্লাস্টিকের পুরাতন স্ট্যান্ড ফ্যান, একটি পুরাতন রাইস কুকার, মাঝারি সাইজের পুরাতন পাতিল, একটি পুরাতন খালি গ্যাস সিলিন্ডার। প্রতিবেশীর মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে আসামি মিলন বিবি বলেন, আমি জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনসহ বেশ কয়েকটি এনজিও থেকে ঋণ এনেছিলাম। কোন এনজিও মামলা করেছে আমি কিছুই জানি না। শিবচর থানার এসআই আলমীর হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশে আসামির মালামাল ক্রোক করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৪ মার্চ ২০২৪, ০১:৫৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়