• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দ্রব্যমূল্য নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে স্বস্তি দেখতে পেয়েছি : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
দ্রব্যমূল্য নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে স্বস্তি দেখতে পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তার মতে, দ্রব্যমূল্য নিয়ে যেসব সমালোচনা এখন হচ্ছে তার সবই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য করা হচ্ছে।   সোমবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসব দাবি করেন তিনি। আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, এই ঈদে আমি পাঁচ দিনের জন্য গ্রামের বাড়িতে ছিলাম। মাঠে-ঘাটে ঘুরেছি, মানুষের সঙ্গে মিশেছি। সেখানে সকলের মধ্যে একটা স্বস্তি আমি দেখতে পেয়েছি। ঈদের পর ঢাকাসহ সারাদেশে বৈশাখী মেলা উদযাপন হয়েছে। মেলা থেকে মানুষ বিভিন্নসামগ্রী কিনেছে। সেখানে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখেছি। এ সময় দ্রব্যমূল্য নিয়ে সমালোচনা প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক কারণে কেউ দ্রব্যমূল্য নিয়ে অসন্তুষ্টি দেখালে সেটা নিয়ে উত্তর না দেওয়াটাই ভালো। উত্তর দেওয়ার কিছু নেই। জনগণই বুঝবে যে তারা ভালো আছে কি না। চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে রমজান মাস ভালোভাবে পার করতে পেরেছেন দাবি করে তিনি এরপর বলেন, কেবল রোজার মাস নয়, সারা বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে নিত্যপণ্য সরবরাহের জন্য কাজ করে যাব। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ও স্থানীয় সরবরাহ ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করব। এদিকে চালের বস্তায় দাম লিখে দেওয়ার বিষয়ে কতদূর কী করলেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় সঠিক উত্তর দিতে পারবে। কৃষি মন্ত্রণালয় আরো ভালো উত্তর দিতে পারবে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের কোনো কিছু থাকলে আমরা সমন্বয় করব। প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয় যার যার কাজ করে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হলো বাজার ব্যবস্থাপনা ও পণ্যের সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখা; বিশেষ করে, আমদানি করে যেসব জিনিস আনা হয় সেসব তদারকি করা। আর স্থানীয় কৃষিপণ্য ও খাদ্য, এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বললে ভালো হবে। মন্ত্রিসভায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা পাস হওয়ার কথা উল্লেখ করে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আমাদের অনেক চাওয়া এই নীতিমালায় স্থান পেয়েছে। আমদানি-রপ্তানি নীতিমালা, জাতীয় লজিস্টিকস নীতিমালা পাস হয়েছে মন্ত্রিসভায়। এই নীতিমালা নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আমি খুবই আশাবাদী।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০০

চাঁদপুরে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে অভিযান
রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং ভেজালমুক্ত পণ্য নিশ্চিতে বাজার পরিদর্শন করেছে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সরেজমিনে বাজার পরিদর্শন করেন তিনি।   পরিদর্শনকালে তিনি পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা, বাজার কমিটি এবং ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। অনুমোদিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্যে ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে কিনা এবং সকল দোকানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন করা আছে কিনা সে বিষয়ে তদারকি করেন। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, রমজানে যাতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকে, ক্রেতার কাছে অতিরিক্ত দাম না রাখা হয় এবং পণ্য ভেজালমুক্ত থাকে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে এই তদারকি কার্যক্রম। আমাদের এই বাজার তদারকি প্রতিদিনই অব্যাহত থাকবে। আমরা সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ মোতায়ন করেছি। তারা প্রতিটি দোকানে ছদ্মবেশে ক্রেতা সেজে দাম সংগ্রহ করবে এবং সেটি যদি অনুমোদিত মূল্যের চেয়ে বেশি হয় সে সকল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) রাশেদুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল)  ইয়াসির আরাফাত, চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ, ডিআইও-১, জেলা বিশেষ শাখার, অফিসার ইনচার্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা, পুলিশ পরিদর্শক শহর ও যানবাহন শাখাসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া সাংবাদিকবৃন্দ।
১৯ মার্চ ২০২৪, ২২:৫৮

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ঈদের পর আন্দোলনে যাবে জাপা
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারকে বাধ্য করতে প্রয়োজনে ঈদের পর আন্দোলন করার কথা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তাতে সায় দিয়ে দলটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, এগুলো (দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ) করার জন্য আমাদের দায়িত্ব সরকারকে বাধ্য করা। জনগণের পাশে দাঁড়াতে না পারলে, জনগণের কোনো সমর্থন পাওয়া যাবে না। রোববার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় মিরপুর ১২ নম্বরে জাতীয় পার্টি ঢাকা উত্তরের আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন জাপা নেতারা। চুন্নু বলেন, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা সরকারের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ রমজানে যাতে দিনানিপাত করতে পারে সেই ব্যবস্থা করে দেন। তিনি বলেন, আপনাদের প্রতারণামূলক কথা মানুষ আর বিশ্বাস করে না। সরকার যদি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে না আনতে পারে, তাহলে চেয়ারম্যানকে বলবো ঈদের পরে মানুষের পক্ষে আন্দোলন করা প্রয়োজন। মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে এসবের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধাচরণ করে সরকারকে বাধ্য করা উচিত, যাতে সরকার জিনিসপত্রের দাম কমায়। জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, সরকারের অনেক ধরনের আশ্বাস আমরা শুনেছি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ে অনেক বড় বড় কথা শুনেছি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নেই, সাধারণ মানুষের নামে দলীয় কিছু নেতাকর্মীকে সুযোগসুবিধা দেওয়া হচ্ছে। গুটিকয়েক মানুষকে সুযোগসুবিধা দেওয়া হচ্ছে। সামাজিক ন্যায়বিচার বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। জনগণের ভালো দেখা আমাদের দায়িত্ব। তিনি বলেন, আমাদের দায়িত্ব সরকারকে বাধ্য করা এগুলো করার জন্য। প্রস্তুতি নিতে হবে, জনগণের পাশে দাঁড়াতে না পারলে জনগণের কোনো সমর্থন পাওয়া যাবে না। সংগঠন করতে হলে জনসমর্থন দরকার। জনসমর্থনের জন্য সেই রাজনীতি দরকার যেটা জনগণ চায়। সেই রাজনীতি করার প্রস্তুতি নিতে হবে। জিএম কাদের আরও বলেন, সরকারের কাজকর্ম ও খরচাখরচ দেখে মনে হয় না দেশের মানুষ কষ্টে আছে। ধুমধাম চলছে সবখানে। সরকারি কর্মকাণ্ডে চাকচিক্য চলছে। সাধারণ মানুষকে কষ্ট দিয়ে, সাধারণ মানুষের টাকায় এগুলো করা হচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।  
১৭ মার্চ ২০২৪, ২০:৫২

রোজায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ সচিবদের একগুচ্ছ নির্দেশনা
আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, যানজট, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সচিবদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সভাকক্ষে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ, সরবরাহ, মূল্য পরিস্থিতিসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। রোজা ও ঈদকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে বিশেষ নির্দেশনাগুলো তিনি তুলে ধরেন। এ প্রসঙ্গে নিজ নিজ বিভাগের পরিকল্পনা তুলে ধরেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব। এসময় রমজান মাসে কোনোভাবেই যাতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি না পায়, সে বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে বাণিজ্য সচিবকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।  একই সাথে মজুদদারি রোধে সংশ্লিষ্ট সকলকে সজাগ থাকা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না ঘটে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলা হয়। এছাড়া ইফতার ও সাহরিতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবারের রোজায় দেশে অনেক বেশি খাদ্য ও নিত্যপণ্যের মজুদ আছে। এছাড়া পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বাজারে আছে। রোজার প্রস্তুতি আমরা যথাযথভাবে নিতে পেরেছি। যখন যার যা প্রয়োজন তা নিলে কারো কোনো সমস্যা হবে না। আমরা খুব ভালোভাবে রোজা ও ঈদ উদযাপন করতে পারব। তিনি আরও বলেন, রোজার সময় নিত্যপণ্য যাতে মানুষের কাছে পৌঁছায়, সরবরাহ-শৃঙ্খল যাতে ঠিক থাকে, সেজন্য আমরা সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছি। স্বল্পআয়ের মানুষের জন্য সরকার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি নিয়েছে। ওএমএস কর্মসূচি ও টিসিবির মাধ্যমে রোজা ও ঈদ ঘিরে দুই কিস্তিতে এবার খাদ্যপণ্য সরবরাহ করা হবে। তেল, চিনি, ডাল, ছোলা, পেঁয়াজ ও খেঁজুর আমরা দু’বার করে এক কোটি মানুষকে দেব। রোজায় মানুষের কষ্ট লাঘবে প্রধানমন্ত্রীর এসকল নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য মুখ্য সচিব সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়া ঈদ সামনে রেখে সহজে টিকিটপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা, মহাসড়কে শৃঙ্খলা রক্ষা করা, ঈদের আগে রাস্তা ও সেতু সংস্কার, নৌপথে ফেরি বাড়ানো, অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন ঠেকানো, আকাশপথে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাড়ানো এবং গার্মেন্টস ও পাটকল শ্রমিকদের বেতনের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, শিল্প মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (সমন্বয় ও সংস্কার), সেতু বিভাগ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, ধর্ম মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
০৫ মার্চ ২০২৪, ২০:০৭

রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ডিসিদের কাজ করার অনুরোধ জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকে সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আর তাই আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।  মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় দিনের একটি কার্য-অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান মন্ত্রী। অধিবেশনে ডিসিরা আইনশৃঙ্খলা নিয়ে নতুন করে কিছু বলেননি জানিয়ে তিনি বলেন, তারা ছোট ছোট কিছু পয়েন্ট সভায় তুলেছেন। ডিসিদের অনুরোধ করা হয়েছে তারা যেন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করে। বিশেষ করে রোজার আগে তারা যেন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহযোগিতা করে। কারণ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ডিসিদের সভায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে— জেলা পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা কোর কমিটির সভা যেন প্রতি মাসে করেন তারা। যাতে করে সবার সঙ্গে সবার একটা বোঝাপড়া থাকে। যেন কোনো অসুবিধা হলে সেটা দ্রুত সমাধান করা যায়। সভায় ডিসিদের আরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন তারা ইয়াবা ও এলএসডির মতো মাদকের বিরুদ্ধে সামজিক সচেতনতা গড়ে তোলেন। আমরা ধূমপানের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। এখন দেখা যায় প্রকাশ্যে কেউ ধূমপান করে না। কেউ ধূমপান করলেও তা আড়ালে করে।  নদীপথে যেন যত্রতত্র বালু উত্তোলন না করা হয় সেজন্য ব্যবস্থা নিতেও ডিসিদের অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এসব ক্ষেত্রে ডিসিদের যখন প্রয়োজন তখনই নিরাপত্তা বাহিনী তাদের পাশে থাকবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন আসাদুজ্জামান খান কামাল। এ সময় ডিসিদের উত্থাপিত পয়েন্টগুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ডিসিরা জানতে চেয়েছেন করোনার সময়ের মতো ভার্চুয়াল কোর্টের ব্যবস্থা করা যায় কি না। তারা বলেছেন বিশেষ করে জঙ্গিদের আদালতে আনা-নেওয়া করায় কিছুটা ঝুঁকি থাকে। তাই ভার্চুয়াল কোর্টের কথা বলেছেন ডিসিরা। সারাদেশে ভার্চুয়াল কোর্ট করা যায় কি না আমরা সেটা পরীক্ষা করে দেখব।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:২৯

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে যে নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
রমজানকে সামনে রেখে দ্রব্যমূল্য বাড়েই চলছে দেশে। এর নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এবার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছেন। এর বাইরেও বর্তমান সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরও কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে এরই মধ্যে দেশের সকল পৌরসভার মেয়র ও প্রশাসককে চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নজর রাখছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। গত ১৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি। পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, সরকারের বর্তমান মেয়াদে প্রথম মন্ত্রিসভা-বৈঠকে সবার প্রতি প্রধানমন্ত্রী কতিপয় নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন নিয়মিত পাঠানোর জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১. সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং অংশীজনের সঙ্গে সমন্বয় করে মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ২. পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ৩. কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খাদ্য পণ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ৪. সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি প্রকৃত উপকার ভোগীর কাছে পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে। ৫. রপ্তানি বহুমুখীকরণ, নতুন নতুন বাজার অনুসন্ধান ও প্রবেশে সহায়তা করতে হবে। ৬. নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪-এ বর্ণিত প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নে সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে সমন্বিতভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলো জাতীয় বাজেট প্রণয়নকালে নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪ বিবেচনায় রাখবে। ৭. স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের চারটি স্তম্ভ স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট জনগণ নিশ্চিত করতে নিজ নিজ মন্ত্রণালয়/বিভাগে করণীয় চিহ্নিত করে তা বাস্তবায়ন করবে।  ৮. নতুন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রকল্পের উপকারিতা/দেশের জনগণের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বিদেশি ঋণ/সহায়তা গ্রহণকালীন যথাযথভাবে সম্ভাব্যতা যাচাই করতে হবে। এছাড়া, চলমান প্রকল্পগুলো বিশেষ করে যেগুলোর বাস্তবায়ন সর্বশেষ পর্যায়ে রয়েছে সেগুলোর প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমাপ্ত করতে হবে। ৯. সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতি প্রতিরোধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করতে হবে।  ১০. সরকারের শূন্য পদগুলোতে দ্রুত জনবল নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।  ১১. নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।  ১২. গার্মেন্টস সেক্টরের মতো চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং কৃষিজাত পণ্য বিষয়ক শিল্প বিকাশে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ১৩. শিক্ষাকে কর্মমুখী করার লক্ষ্যে আইসিটি শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।  ১৪. যুবসমাজকে খেলাধুলা এবং শিল্প সংস্কৃতি চর্চায় উৎসাহ দেওয়ার মাধ্যমে তাদের মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে বিরত রাখতে হবে।  ১৫. অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতার বিরুদ্ধে সমন্বিতভাবে কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৫৭

‘যারা সরকার পরিবর্তন করতে চায়, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে তারা যুক্ত’
বাজারে সিন্ডিকেট থাকার কথা স্বীকার করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা সরকার পরিবর্তন করতে চায়, এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে তারাও যে যুক্ত, সেটিও কিন্তু সঠিক। তারা কারণে-অকারণে এই লোভাতুর সিন্ডিকেট দিয়ে বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে বিভিন্ন অজুহাতে।  শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে সংবর্ধনা, মেজবান ও মিলনমেলা-২০২৪ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। অতীতে পেঁয়াজের সংকট তৈরি করা হয়েছিল উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সংকটের মুখে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হলো। আবার যখন বাজার পেঁয়াজে সয়লাব হয়ে গেছে, তখন স্টোরেজ থেকে সেই পচা পেঁয়াজ ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমাদের সরকার সব ব্যবস্থা নেবে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসার বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে আসছে। রোজার আগে কিছু পেঁয়াজ বাজারে ঢুকবে। কাজেই বাজার মোটামুটি স্থিতিশীল আছে। কেবল পাইকারি বিক্রেতা নয়, খুচরা বিক্রিতাদের মধ্যেও একটু বেশি মুনাফা করার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। আমরা এটির বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন হতে বলেছি। সরকারও সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি, একটি কোল্ড স্টোরেজের ভেতর থেকে দেড় লাখ ডিম উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা নির্বাচনি ইশতিহারে বাজার নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছিলাম। দ্রব্যমূল্য যাতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে, সেটিই আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকার। আমরা এই সরকারের যাত্রার শুরু থেকে সেটিকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছি। আপনারা দেখেছেন, বাজার মোটামুটি স্থিতিশীল আছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৪

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে : দীপু মনি  
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, সরকারের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে, যাতে দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে। সামনে রমজান আসছে, এই রমজানে যাতে মানুষ স্বস্তির মধ্যে থাকে, এ জন্য সরকারের চেষ্টার পাশাপাশি সবার  সহযোগিতা প্রয়োজন। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুর শহরের হাসান আলী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন যেমন কাজ করবে, তেমনি আমাদের যে ব্যবসায়ী সমিতি আছে তারাও যদি সঠিকভাবে কাজ করে তাহলে দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখা সম্ভব। এ ছাড়া অন্য যেসব সমস্য আছে সেগুলো নিয়ে সরকার কাজ করছে। তিনি বলেন, আমরা ধর্ম পালনের ক্ষেত্রে ধর্মীয় পোশাকের ব্যাপারে যতটা মনোযোগী, আমরা যদি ধর্মীয় আচরণের ব্যাপারে আরেকটু মনোযোগী হই, তাহলে কিন্তু এই মজুতদারী থাকে না এবং অতিরিক্ত মুনাফার বিষয়টিও থাকে না। বিশেষ করে রমজান মাসে। রমজান সংযমের সময়। আমরা যেন সব ক্ষেত্রে অর্থাৎ ব্যবসায়ী, ক্রেতাসহ সকলেই যেন সংযম করি।  দীপু মনি বলেন, ধর্ম হচ্ছে চর্চার বিষয়। আমি শুধু বাহিরে পোষাকে দেখালাম, কিন্তু ধর্মের যে মূল মূল্যবোধ তার যদি চর্চা না করি, তাহলে আমরা খুব ভালো করতে পারব না। ধর্মীয় এই চর্চা যদি অব্যাহত রাখি তাহলে শুধুমাত্র রোজার সময় নয়, সারা বছরও কিছু লোক মানুষকে কষ্ট দেয়, সেটি আর করতে পারবে না। সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন এবং সবার একসঙ্গে কাজ করতে হবে। শুধুমাত্র সরকার একা কোনো কিছু করতে পারে না। চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।  
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:১২

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ১০ সুপারিশ বিশেষজ্ঞদের 
দেশে দিন দিন বেড়েই চলছে নিত্যপণ্যের দাম। তাই দেশ চলমান লাগামহীন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা বা সমন্বয় মন্ত্রণালয় গঠন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় আলাদা ভোক্তা বিভাগ গঠন এবং অসাধু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ দশটি সুপারিশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।  রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার বেসরকারি দৈনিক আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব সুপারিশ করেন। বৈঠকে যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেন, গুটি কয়েক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের হাতে সাধারণ মানুষ জিম্মি। অসাধু সিন্ডিকেট বন্ধ করতে হবে।  কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, নিত্যপণ্যের বাজারে সমন্বয়ের ঘাটতি আছে।সমন্বয়ের জন্য পাশ্ববর্তী দেশে কনজ্যুমারস অ্যাফেয়ার্স ফুড অ্যান্ড পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন নামে মন্ত্রণালয় আছে।আমাদের দেশেও থাকা উচিত।বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি ডিভিশন থাকা উচিত। একটি হলো-ভোক্তাবিষয়ক আরেকটি বাণিজ্যবিষয়ক বিভাগ।  গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমদানি, রপ্তানি, উৎপাদন, চাহিদা ও মজুতসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সঠিক তথ্য দরকার।দেশে তথ্য-উপাত্তের বড় গরমিল আছে।এটি দূর করা জরুরি।যতদিন পর্যন্ত না এই তথ্যের গরমিল দূর করা যাবে ততদিন নীতিমালায় সামঞ্জস্য আনা যাবে না। ফলে নীতিনির্ধারণও সঠিক হবে না।  তিনি আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে যে সম্পর্ক আছে সেটিকে কাজে লাগিয়ে চুক্তি করা যেতে পারে। সেপার (কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট) মাধ্যমে এ চুক্তি হলে তারা হঠাৎ বাংলাদেশ পণ্য রপ্তানি বন্ধ বা দাম বেঁধে দিতে পারবে না। এছাড়া রাজস্বনীতি ও মুদ্রানীতির সমন্বয় ঘটাতে হবে। কমুডিটি এক্সচেঞ্জ চালু এবং ফিউচার্স মার্কেট চালু করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে হবে।  উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএসের সাবেক মহাপরিচালক এমকে মুজেরি বলেন, পণ্যের মূল্য শৃঙ্খল বা ভ্যালু চেইন রয়েছে। এই মূল্য শৃঙ্খল প্রতিযোগিতামূলক হতে হবে। তাহলে দুরভিসন্ধি থাকলেও কেউ তা বাস্তবায়ন করতে পারবে না। দেশে চালের মূল্য শৃঙ্খল প্রতিযোগিতামূলক নয়। এক্ষেত্রে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।  বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) রিসার্স ফেলো ড. বদরুন নেছা আহমেদ। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে অসাধু সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।চাঁদাবাজি বন্ধ এবং শুল্ক ছাড় দেওয়া যেতে পারে।  দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে অধিক পরিমাণে ভোগ্যপণ্য উৎপাদনে রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে সরবরাহ এবং বণ্টনের সুব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার কথা বলেছেন বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ এমরান মাস্টার। তিনি বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাও নিশ্চিত এবং কৃষিপণ্যের উৎপাদন বাড়াতে প্রয়োজনে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ জরুরি। ভোগ্যপণ্যের অপচয় বা নষ্ট রোধে আড়ত বা পাইকারি বাজারসমূহের পাশে কোল্ডস্টোরেজ স্থাপন করতে হবে। কোনো দ্রব্যের উৎপাদন-সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিলে বা ঘাটতির আশঙ্কা থাকলে অধিক পরিমাণ আমদানিতে উৎসাহিত করা উচিত।  বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, সততা ও সুস্থ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যারা ব্যবসা করতে চান তাদের সমস্যা নেই। যারা অন্য কিছু চিন্তা করে, তাদের বিরুদ্ধে ডাক, কুরিয়ার, সরাসরি বা যেকোনো মাধ্যমে আমাদের কাছে অভিযোগ করা যেতে পারে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম(টিটু)। 
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৭

রমজানে অনৈতিকভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে ইসলামের হুঁশিয়ারি
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ। তরতর করে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। আর প্রতি বছরই রমজান ঘনিয়ে এলে তা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এতে সেহরি ও ইফতারে বিশেষ বিড়ম্বনায় পড়তে হয় রোজাদারদের। এ মাসে এমন পরিবেশ তৈরি করা উচিত যেন মানুষ সব ঝামেলা থেকে মুক্ত থেকে বেশি বেশি ইবাদত করতে পারে। কিন্তু বর্তমানে রোজা এলেই মানুষকে ভাবনায় পড়তে হয় দ্রব্যমূল্যের বাড়তি দাম নিয়ে। আর এই দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ মজুতদারি। অনেক অসাধু ব্যবসায়ী সুযোগ বুঝে বেশি লাভের আশায় অবৈধভাবে পণ্য মজুত করে। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ক্রেতাদের সংকটে ফেলেন তারা। অথচ অধিক মুনাফার প্রত্যাশায় পণ্য মজুত করা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, হারাম। ভোক্তাদের জিম্মি করে অর্থ উপার্জন সামাজিকতা ও মানবিকতা বিবর্জিত। উপরন্তু এতে উপার্জিত অর্থ হারাম হওয়ার কারণে নামাজ, রোজা, হজ, দান-সদকা কিছুই কবুল হবে না। এসব কাজ জাহান্নামে যাওয়ার প্রধান কারণ হবে। উপরন্তু এতে উপার্জিত অর্থ হারাম হওয়ার কারণে নামাজ, রোজা, হজ, দান-সদকা কিছুই কবুল হবে না। হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘কেউ যদি খাদ্য গুদামজাত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে, আল্লাহ তাকে দুরারোগ্য ব্যাধি ও দারিদ্র্য দ্বারা শাস্তি দেন।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২২৩৮) রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ৪০ দিনের খাবার মজুত রাখে, সে আল্লাহ-প্রদত্ত নিরাপত্তা থেকে বেরিয়ে যায়।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস: ২০৩৯৬) ভোক্তাদের জিম্মি করা জায়েজ নয়। কেউ তা করে ‘বিত্তশালী’ হয়ে গেলেও লাভ নেই। তার অবৈধ সম্পদ জাহান্নামে যাওয়ার কারণ হবে। দুনিয়ার জীবনও তার জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়াবে। অন্যদিকে, মজুতদারি না করে স্বাভাবিকভাবে ব্যবসা করল, এ ব্যবসা পরিণত হবে ইবাদতে। তার উপার্জন আল্লাহ তা’আলা বরকতময় করে দেবেন। তাকে অপ্রত্যাশিত রিজিক প্রদান করবেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘খাঁটি ব্যবসায়ী রিজিকপ্রাপ্ত হয়, আর পণ্য মজুতদকারী অভিশপ্ত হয়।’ (ইবনে মাজাহ : ২/৭২৮) কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে রাখে। এর ফলে সাধারণ মানুষের জীবন নাজেহাল হয়ে ওঠে। এদিকে ইসলামে খাদ্য মজুদ করার ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। হজরত মামার ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে ফাজালা (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘পাপাচারী ছাড়া অন্য কেউ মজুদদারি করে না’ (তিরমিজি)। অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি ৪০ রাত পর্যন্ত খাদ্যদ্রব্য মজুদ রাখে, আল্লাহর সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক থাকে না।’ মজুদদার ও অধিক মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে হাদিসে সতর্কবাণী উচ্চারণ করে এদের পাপী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘পণ্যদ্রব্য মজুদ করে অধিক মূল্যে বিক্রয়কারী অবশ্যই পাপী।’ (মিশকাত) অত্যধিক মুনাফা লাভের আশায় পণ্যদ্রব্য মজুদ করা, সরিয়ে রাখা, অতিরিক্ত পণ্য ধ্বংস করা শরিয়ত গর্হিত কাজ। এই মর্মে রাসুল (সা.) ভীতি প্রদর্শন করে বলেছেন, ‘কেউ যদি মুসলমানদের থেকে নিজেদের খাদ্যশস্য আটকে রাখে, তবে আল্লাহ তায়ালা তার ওপর মহামারি ও দারিদ্র্য চাপিয়ে দেবেন’ (ইবনে মাজা, বায়হাকি)। নবী করিম (সা.) আরও বলেছেন, ‘মজুদদার খুবই নিকৃষ্টতম ব্যক্তি, যদি জিনিসপত্রের দাম হ্রাস পায় তা হলে সে চিন্তিত হয়ে পড়ে আর যদি দাম বেড়ে যায় তা হলে আনন্দিত হয়।’ (মিশকাত) এমনিভাবে দালালি বা মধ্যস্বত্বভোগী হয়ে দ্রব্যের দাম বাড়ানোর জন্য হাদিসে কঠোর শাস্তির কথা বলা হয়েছে। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি মূল্যবৃদ্ধির অসদুদ্দেশ্যে মুসলমানদের লেনদেনে হস্তক্ষেপ করে, কেয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা তাকে আগুনের হাঁড়িতে বসিয়ে শাস্তি দেবেন’ (তাবরানি : ৮/২১০)। নবী কারিম (স.) বলেন, ‘কেয়ামতের দিন ব্যবসায়ীরা মহা অপরাধী হিসেবে উত্থিত হবে। তবে যারা আল্লাহকে ভয় করবে, নেকভাবে সততা ও ন্যায়নিষ্ঠার সঙ্গে ব্যবসা করবে তারা ব্যতীত’ (তিরমিজি: ১২১০) আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! নিশ্চয় পণ্ডিত ও সংসার বিরাগীদের অনেকেই মানুষের ধন-সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করে। আর তারা আল্লাহর পথে বাধা দেয় এবং যারা সোনা ও রুপা জমা করে রাখে, আর তা আল্লাহর রাস্তায় খরচ করে না, তুমি তাদের বেদনাদায়ক আজাবের সুসংবাদ দাও। সেদিন জাহান্নামের আগুনে ওগুলোকে উত্তপ্ত করা হবে। অতঃপর ওগুলো দিয়ে তাদের ললাটে, পার্শ্বদেশে এবং পৃষ্ঠদেশে দাগ দেয়া হবে, আর বলা হবে- এটি হচ্ছে ওটাই, যা তোমরা নিজেদের জন্য সঞ্চয় করে রেখেছিলে। সুতরাং এখন নিজেদের সঞ্চয়ের স্বাদ গ্রহণ কর।’ (সূরা তওবা, ৩৪-৩৫)।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়