• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
একসঙ্গে মৃত্যুর ইচ্ছা পূরণ হলো দম্পতির, শায়িত হলেন পাশাপাশি
একসঙ্গে কাটিয়েছেন দীর্ঘ ৬০ বছর। এ দীর্ঘ সময়ের পথচলায় ছিল একে অপরের প্রতি অগাধ ভালোবাসা। বেঁচে থাকতে সবসময় কামনা করতেন একসঙ্গে মৃত্যুর এবং পাশাপাশি সমাধিস্থ হওয়ার। তাদের সেই ইচ্ছাই পূরণ হয়েছে এ দম্পতির। একই দিনে পৃথিবী ছেড়ে চির বিদায় নিলেন তার, দাফনও হলেন পাশাপাশি। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ভোরে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের ইন্দিরাপাড়া গ্রামের আজগার আলী (৮০) এবং রাত আটটার দিকে তার স্ত্রী তহিদা খাতুন (৭২) ইন্তেকাল করেন। জানা গেছে, সেহরি খেয়ে বুধবার (১৩ মার্চ) দিবাগত রাতের খাবার একসঙ্গে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন ওই দম্পতি। সকাল আটটার দিকে ঘুম থেকে জেগে ওঠেন তহিদা খাতুন। এ সময় ডাকাডাকি করেও স্বামীর সাড়া পাননি। তার কান্না শুনে বাড়ির অন্য লোকজন ছুটে আসেন। তখন তারা বুঝতে পারেন আজগর আলী মারা গেছেন। জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণকারী স্বজনদের অনেকটা শক্ত মনে বিদায় দেন তহিদা খাতুন। রাত আটটার দিকে বাড়িতে হঠাৎ মাথা ঘুরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তাৎক্ষণিক মারা যান তহিদাও। পরে মধ্যরাতে জানাজা শেষে স্বামীর কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হয়। তাদের সন্তান লাভলু মিয়া বলেন, ‘আমার বাবা-মায়ের মধ্যে যে ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব ছিল, তা এ যুগের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দেখতে পাই না। জীবদ্দশায় বাবা-মা সবসময় কামনা করতেন একসঙ্গে মৃত্যুর। আল্লাহ তাদের সেই মনোবাসনা পূর্ণ করেছেন।’ স্থানীয় ইউপি সদস্য শামসুল হক জানান, ‘ঘটনাটি বিস্ময়কর। স্বামী-স্ত্রীর একই দিনে স্বাভাবিক মৃত্যু তেমন দেখা যায় না।’
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৬

ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে যে ইচ্ছা পূরণ করতে চান পরীমণি
স্বামী শরিফুল রাজের সঙ্গে ডিভোর্সের পর পরীমণির দুনিয়া এখন একমাত্র সন্তান রাজ্য। বলা যায়, রাজ্যকে ঘিরেই তার সব। সময় সুযোগ পেলেই ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন এই নায়িকা।  শুধু তাই নয়, প্রায় সময়ই ছেলের সঙ্গে নানান খুনসুটিতে মেতে ওঠেন পরীমণি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্তদের সঙ্গেও সেসব শেয়ার করতেও ভোলেন না এই নায়িকা। এবার ছেলেকে নিয়ে আকাশ ছোঁয়ার ইচ্ছের কথা জানালেন পরীমণি।  সোমবার (১১ মার্চ) মধ্যরাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে ছেলের সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে পোস্ট দিয়েছেন পরীমণি। ক্যাপশনে চিত্রনায়িকা লিখেছেন— আমরা একদিন আকাশ ছোঁব দেখো। সকলের সৎ উদ্দেশ সফল হোক। রমজান মোবারক। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন একটি লাভ ইমোজি।  ওই ছবিতে দেখা যায়— বালুতে মোড়ানো একটি মাঠের ওপর চেয়ারে বসে আছে রাজ্য ও পরীমণি। দুজনেই হাত তুলে তাকিয়ে আছেন আকাশের দিকে।   ছবিটি পোস্ট করা মাত্রই ৫৮ হাজারেরও বেশি প্রতিক্রিয়া পড়েছেন নেটিজেনদের। রীতিমতো মন্তব্যের ঝড় উঠেছে পরীমণির কমেন্টস বক্সে। একজন লিখেছে, রমজান মোবারক পদ্মরানি। অভিনেত্রীর এক ভক্ত লেখেন, মা ছেলের ভালোবাসা এভাবেই সারাজীবন অটুট থাকুক। ভালোবাসা নিও স্নেহের পরী।  প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন পরীমণি ও শরিফুল রাজ। খবরটি প্রকাশ্যে গত বছরের ১০ জানুয়ারি। একই দিন আরও ঘোষণা করেন, সন্তান আসছে তাদের ঘরে। এরপর ২২ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও করেন তারা। ২০২২ সালের ১০ আগস্ট পরীমণির কোলজুড়ে আসে রাজ্য। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ভেঙে যায় তাদের ঘর।  
১২ মার্চ ২০২৪, ০৯:২৫

হজ করার ইচ্ছা অপূর্ণই থেকে গেল এ টি এম শামসুজ্জামানের
বরেণ্য অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) । ২০২১ সালের এই দিনে ৮০ বছর বয়সে প্রয়াত হোন তিনি। সিনেমায় খল চরিত্রে অভিনয় করলেও ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন খুবই ধার্মিক। ১১ বার হজ করেছেন এটি এম শামসুজ্জামান। তবে আরেকবার হজে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল জনপ্রিয় এই অভিনেতার। প্রয়াত হওয়ার  মাস খানেক আগে সমকালের সঙ্গে আলাপে তিনি জানিয়েছিলেন, মক্কা ও মদিনার প্রেমে পাগল তিনি। সুস্থ থাকলে আরেকবার হজে যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। কিন্তু সেই ইচ্ছা পূরণ হয়নি তার। চিরবিদায় জানিয়েছেন পৃথিবীকে। এটিএম শামসুজ্জামান বলেছিলেন, ১১ বার হজ করেছি। আরো অন্তত একবার যাওয়ার ইচ্ছা আছে। তাহল ১২ বার হজ হবে। বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান ছিলেন একাধারে পরিচালক, কাহিনিকার, চিত্রনাট্যকার, সংলাপকার ও গল্পকার। অভিনয়ের জন্য একাধিকবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। শিল্পকলায় অবদানের জন্য ২০১৫ সালে পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক। এ টি এম শামসুজ্জামান ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার ভোলাকোটের বড়বাড়ি আর ঢাকায় থাকতেন পুরান ঢাকার দেবেন্দ্র নাথ দাস লেনে। পড়াশোনা করেছেন ঢাকার পোগোজ স্কুল, কলেজিয়েট স্কুল, রাজশাহীর লোকনাথ হাইস্কুলে। তাঁর বাবা নূরুজ্জামান ছিলেন নামকরা উকিল এবং শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের সঙ্গে রাজনীতি করতেন। মা নুরুন্নেসা বেগম। পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে শামসুজ্জামান ছিলেন সবার বড়। পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে এ টি এম শামসুজ্জামানের চলচ্চিত্রজীবনের শুরু ১৯৬১ সালে। প্রথম কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের জন্য। ওই চলচ্চিত্রের পরিচালক ছিলেন নারায়ণ ঘোষ মিতা, এ ছবির মাধ্যমেই অভিনেতা ফারুকের চলচ্চিত্রে অভিষেক। শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনি লিখেছেন এ টি এম শামসুজ্জামান।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৯

প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর ভারতে করার ইচ্ছা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর 
প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে ভারতে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।  সোমবার (১৫ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। সাক্ষাৎ শেষে এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাকে দিল্লি সফরের বিষয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমরা সময়টা দেখছি, কখন আমার জন্য এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জন্য সুবিধাজনক হয়। সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা চাচ্ছি প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর ভারতেই হোক। অবশ্য, দুদিন বাদেই শুরু হয়ে যাচ্ছে নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিদেশ সফর। আগামী ১৭ জানুয়ারি বহুপাক্ষিক সফরে উগান্ডা যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ড. হাছান মাহমুদ। ভারতীয় দূতের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। এরপরও আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। বিশেষত, আমরা কানেন্টিভিটি ইস্যুতে আলোচনা করেছি। বর্ডার হাট নিয়ে আলোচনা হয়েছে, বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতীয় রুপি এবং বাংলাদেশের টাকার বিনিময় সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও কথা হয়েছে।এটি ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে, এটাতে অল্প বিস্তর বাণিজ্যও হয়েছে।এটা জনপ্রিয় করা গেলে ডলার বা অন্য কারেন্সির প্রভাব কমবে।বাণিজ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সেটি সহায়ক হবে।’ এছাড়া দুই দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, যোগাযোগ বাড়ানো নিয়েও বিস্তর আলোচনা হয়েছে। চট্টগ্রাম এবং মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের পণ্য বহন করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। এ সংক্রান্ত বিষয়ে অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। হাছান মাহমুদ বলেন, পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ছোট-খাটো কিছু বিষয় আছে, সেগুলো হয়ে গেলে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে রামগড় ও আখাউড়া দিয়ে পণ্যের পরিবহন স্থিতিশীল হবে। এরপর চীনের প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্প এবং কমপ্রিহেন্সিভ ইকোনোমিক পার্টনারশিপ (সেপা) নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তিস্তা প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়নি। সেপা নিয়ে আজকে সেভাবে বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। তবে আমাদের বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রসঙ্গত, মন্ত্রিত্ব পাওয়ার পর ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে এটি ছিল কোনো বিদেশি দূতের প্রথম সৌজন্য সাক্ষাৎ। এর আগে গত রোববার (১৪ জানুয়ারি) এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় ড. হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর।  
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:০০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়