• ঢাকা শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ডেমরায় ভলভো বাসে আগুনের ঘটনা রহস্যজনক : ফায়ার সার্ভিসের ডিজি
রাজধানীর ডেমরায় গ্যারেজে দাঁড়িয়ে থাকা লন্ডন এক্সপ্রেসের ১৪টি ভলভো বাস আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনাকে রহস্যজনক মনে করছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। তিনি বলেন, তদন্ত করে আগুনের সূত্রপাত জানার চেষ্টা চলছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার ইকবাল হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, এটি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা, সেটা তদন্তের পর বলা যাবে। পুলিশ বলছে, গ্যারেজে বাসগুলো পাশাপাশি রাখা ছিল। কীভাবে আগুন লেগেছে, তা জানার চেষ্টা চলছে। আলামত সংগ্রহ করবেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট। প্রসঙ্গত, সোমবার (১ এপ্রিল) রাত ৮টা ৫০ মিনিটে ডেমরার ধার্মিক পাড়া এলাকায় গ্যারেজে দাঁড়িয়ে থাকা বাসগুলোতে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। পরে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ০০:২৪

কফির দোকান থেকে বেইলি রোডের আগুনের সূত্রপাত
রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে আগুনের সূত্রপাতের তথ্য পেয়েছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। পুলিশের তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ‘চুমুক’ নামের চা-কফির দোকানের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। দুই দোকান মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান জিজ্ঞাসাবাদে এ কথা স্বীকার করেছেন। আগুন লাগার পর নেভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় দোকানের কর্মীরা।  ফায়ার সার্ভিসের সূত্রগুলোও বলছে একই কথা। তারা জানায়, চুমুক নামের দোকানটির চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত। তদন্ত কমিটি এখন পর্যন্ত ১০ জনের বেশি মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। আগামী সপ্তাহে তারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন। সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, সিআইডির কয়েকটি টিম এখন পর্যন্ত ১৫টির বেশি আলামত সংগ্রহ করেছে। গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুনের সূত্রপাতের সম্ভাবনাই বেশি। আলামত পরীক্ষার প্রতিবেদন পেলেই আসল কারণ জানা যাবে। এর আগে, রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ৮ জন শিশু। এ ঘটনায় অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগে গত ১ মার্চ রাতে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। ইতোমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁর ম্যানেজার জয়নুদ্দিন জিসান, ওই ভবনে ‘চা চুমুক’ দোকানের দুই মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান এবং ভবন মালিকের ম্যানেজার হামিমুল হক বিপুল। আসামিরা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪২

বেইলি রোডে আগুনের সূত্রপাতের ধারণা পেয়েছে সিআইডি
রাজধানীর বেইলি রোড ট্রাজেডির ঘটনায় ইলেকট্রিক কেতলি ও গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া। তিনি বলেছেন, ঘটনাস্থল থেকে ১৫টির বেশি আলামত সংগ্রহ করেছে সিআইডির ফরেনসিক টিম। সেগুলো পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহে স্পষ্ট হবে আগুনের নেপথ্যে কী ছিল কারণ। তবে অগ্নিকাণ্ডটি গ্যাস সিলিন্ডার থেকে সূত্রপাতের সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে করেন তিনি। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।  সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস যখন সব কাজ শেষ করে আগুন নিভিয়েছে তখন সিআইডির একাধিক টিম সেখানে কাজ করেছে। সেখানে সিআইডির ফরেনসিক টিম, ডিএনএ টিম ও কেমিক্যাল টিম কাজ করেছে। বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যেই রিপোর্ট পাওয়া যাবে। সিআইডি প্রধান বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা যেটা জানতে পেরেছি, গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাতের সম্ভাবনাই বেশি। কেমিক্যালের আলামতও পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে সেখানে বিস্ফোরকজাতীয় কিছু ছিল কি না। আলামত পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছি। রিপোর্ট পেলেই নিশ্চিত হবে আগুনের কারণ। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুন লাগে। ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ১২ জনকে। এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র সুরক্ষা সচিবের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে দেন হাইকোর্ট। কমিটি চার মাসের মধ্যে বেইলি রোডে আগুনের কারণ অনুসন্ধান করবে এবং কারা এর জন্য দায়ী, তা খুঁজে বের করবে। এ ছাড়া রাজধানীর ভবনগুলোতে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা কেমন হবে, তার সুপারিশ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবে এ কমিটি।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৮:০৭

অধিক আগুনের ঝুঁকিতে ঢাকার ৭৬ শতাংশ মার্কেট-শপিংমল
ঢাকায় অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। প্রতিটি ঘটনার পরই বেরিয়ে আসছে গাফিলতি ও তদারকির অভাবের চিত্র। ঝুঁকি সম্পর্কে না জেনে মানুষ খেতে যাচ্ছে, কেনাকাটা করছেন, সেই সঙ্গে বসবাসসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে মৃত্যুঝুঁকিতে পড়ছে, মারাও যাচ্ছে। একটি ঘটনা ঘটলে কয়েক দিন নড়েচড়ে বসে ফায়ার সার্ভিসসহ প্রশাসন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ে সবাই, আর কার্যক্রম চলতে থাকে এসব ঝুকিপূর্ণ মার্কেট, শপিংমল ও ভবনে। সারা দেশে ২০২৩ সালে ৫ হাজার ৩৩৭টি মার্কেট ও শপিংমল পরিদর্শন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। পরিদর্শন প্রতিবেদন অনুযায়ী, অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিতে আছে ২ হাজার ৮১টি ভবন। আর এর মধ্যে ৪২৪টি ভবন অতি ঝুঁকিপূর্ণ। এদিকে রাজধানীর ২ হাজার ৬০৩টি ভবন অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ১০৬টি মার্কেট-শপিংমল। তালিকায় রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, আবাসিক ভবন ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের ভবন। ফায়ার সার্ভিসের ২০২৩ সালে পরিদর্শন প্রতিবেদনের বলা হয়েছে, রাজধানীর ৫৮টি মার্কেট, সুপার মার্কেট ও শপিংমল অগ্নিনিরাপত্তার দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ। ঢাকার ১ হাজার ২০৯টি ভবনের মধ্যে ১২৭টি ছিল অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। আর সাধারণ ঝুঁকিতে ছিল ৬০২টি। পরিদর্শন করা মার্কেট ও শপিংমলের মধ্যে প্রায় ৭৫ দশমিক ৯০ ভাগই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। এসব স্থাপনায় যে কোনো সময় আগুন লাগতে পারে।  অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো হলো : রাজধানী ও নিউ রাজধানী সুপার মার্কেট, গাউছিয়া মার্কেট, বরিশাল প্লাজা মার্কেট, আলাউদ্দিন মার্কেট, শাকিল আনোয়ার টাওয়ার, শহিদুল্লাহ মার্কেট, শরীফ মার্কেট, মায়া কাটরা (২২ মার্কেট) ও সিদ্দিকবাজারের রোজনীল ভিস্তা।  মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় থাকা ভবনগুলো হলো : আলম সুপার মার্কেট, উত্তরা মার্কেট (খিলগাঁও), সালেহা শপিং কমপ্লেক্স, মনু মোল্লা শপিং কমপ্লেক্স, লন্ডন প্লাজা শপিংমল, এ কে ফেমাস টাওয়ার, রোজভ্যালি শপিংমল, মেহের প্লাজা, প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টার, নিউ চিশতিয়া মার্কেট, চিশতিয়া মার্কেট, নেহার ভবন, ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং কমপ্লেক্স, ইসমাইল ম্যানশন সুপার মার্কেট এবং সুবাস্তু অ্যারোমা শপিংমল। সাধারণ ঝুঁকির মধ্যে থাকা ভবনগুলো হলো : বুড়িগঙ্গা সেতু মার্কেট, খিলগাঁও তালতলা সিটি করপোরেশন সুপার মার্কেট, তিলপাপাড়া মিনার মসজিদ মার্কেট, হাজী হোসেন প্লাজা, ইসলাম প্লাজা, নিউমার্কেট (কোনাপাড়া, ডেমরা), আয়েশা শপিং কমপ্লেক্স, এ হাকিম কমপ্লেক্স, বাচ্চু মিয়া কমপ্লেক্স, ড্রিমওয়্যার, এশিয়ান শপিং কমপ্লেক্স, মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেট, ফেয়ার প্লাজা, শেপাল এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার লিমিটেড, নাসা মেইনল্যান্ড, জাকারিয়া ম্যানশন, হাজী আব্দুল মালেক ম্যানশন, ইপিলিয়ন হোল্ডিং লিমিটেড, গ্লোব শপিং সেন্টার, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, চাঁদনী চক মার্কেট, নিউ সুপার মার্কেট (উত্তর ডি ব্লক), নুরজাহান সুপার মার্কেট, হযরত বাকু শাহ হকার্স মার্কেট, ইসলামিয়া বই মার্কেট, ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-১, সিটি প্লাজা ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২, হান্নান ম্যানশন, নগর প্লাজা, রোজ মেরিনাস মার্কেট এবং দুকু টাওয়ার। জানা গেছে, কোনো কোনো ঝুঁকিপূর্ণ ভবন মালিককে বারবার নোটিশ দেওয়া হলেও কোনো লাভ হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে আইনগতভাবে কিছুই করার থাকছে না। তবে ভবনে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার ফায়ার সার্ভিসের আছে। তবুও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এবার ওইসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করতে নির্দেশ দিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। আগামী সপ্তাহ থেকেই মামলার কার্যক্রম শুরু হতে পারে। নারীদের কাছে জনপ্রিয় মার্কেট ঢাকার গাউছিয়া ও উল্টো দিকে ঢাকা নিউ সুপার মার্কেট (দক্ষিণ)। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ সেখানে কেনাকাটা করতে যান। অথচ তারা জানেন না মার্কেট দুটি আগুনের অতি ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রয়েছে। গাউছিয়া ও ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটকে ২০১৯ সালে অগ্নিনিরাপত্তার দিক দিয়ে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে একাধিকবার নোটিশ দিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। তবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর মধ্যে গত বছরের এপ্রিলে আগুন লাগে ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটে। গাউছিয়া মার্কেটের দোকানমালিক সমিতির বর্তমান সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদও বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি বলেন, কমিটি বিষয়টি বলতে পারবে। তিনি কিছু জানেন না। সাধারণ ঝুঁকিতে থাকা খিলগাঁও সিটি করপোরেশন কাঁচাবাজার মার্কেট পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জুয়েল বলেন, ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আমাদের এখনো কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি। কেন আমাদের ঝুঁকির তালিকায় রেখেছে জানি না। তবে যতটুকু জানি, আমাদের পানির রিজার্ভ ট্যাংকের ধারণক্ষমতা ১৫ হাজার লিটার। এটা খুবই অপ্রতুল। কম করে হলেও এখনে এক লাখ লিটার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন রিজার্ভ ট্যাংক প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ে মেয়র মহোদয়ের কাছে আবেদন জানানো হলেও লাভ হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার বলেন, ‘আমরা নিয়মিত কাজের অংশ হিসাবেই ভবনের অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন করি। যেসব ভবনে নিরাপত্তার ঘাটতি থাকে, সেসব ভবন কর্তৃপক্ষকে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য নোটিশ দিই। আইনে পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকায় আমরা এসব ভবনের বিরুদ্ধে মামলা সংক্রান্ত ব্যবস্থা নিতে পারি না। তবে এসব ভবনে বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিহ্নিত করে পর্যায়ক্রমে মামলা করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।’ এদিকে ফায়ার সার্ভিসের হিসাবে ২০২৩ সালে সারা দেশে মোট ২৭ হাজার ৬২৪টি আগুনের ঘটনা ঘটেছে।  গড়ে প্রতিদিন ৭৭টি। এইসব আগুনের ঘটনায় সারা দেশে মোট ২৮১ জন আহত এবং ১০২ জন নিহত হয়েছেন। এইসব ঘটনায় ৭৯২ কোটি ৩৬ লাখ ৮২ হাজার ১৪ টাকা মূল্যের সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের দেওয়া প্রতিবেদনগুলোতে ওই সব অনিয়ম এবং ঝুঁকির ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নিয়েছে তার উল্লেখ করা হয়নি। বাস্তবে তারা কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়না। যেমন বেইলি রোডের ‘গ্রিন কোজি কটেজের’ ব্যাপারে তারা তিন বার নোটিশ দিলেও আর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন এন্ড মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা নোটিশের পর মামলা ও মেবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে পারি। তবে মামলা করে তেমন ফল হয়না। ২০১৪ সালের ফায়ার বিধিমালা স্থগিত থাকার ফলে মামলা কাজে আসে না। আর আমাদের নিজস্ব ম্যাজিষ্ট্রেট না থাকায় মেবাইল কোর্ট পারিচালনাও কঠিন।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সিল গালা করতে পারিনা। আইনে আমাদের সেই ক্ষমতা নাই। বার বার নোটিশ দেয়ার পরও যখন ভবন  মালিক আমলে না নেয় তখন আমরা ভবনটি অগ্নি ঝুঁকিপূর্ণ বলে নোটিশ টানিয়ে দিই। কিন্তু আমরা চলে আসার পর তা তারা ছিড়ে ফেলেন।’
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩৬

বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় মোদির শোক, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি
রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ ঘটনায় শোক জানিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠিয়েছেন। শনিবার (২ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকায় ভারতের হাইকমিশন। ঢাকায় ভারতের হাইকমিশন জানায়, প্রধানমন্ত্রীকে সম্বোধন করে চিঠিতে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় আন্তরিক শোক প্রকাশ করেছেন নরেন্দ্র মোদি। সেইসঙ্গে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। চিঠিতে মোদি বলেন, ভারত এই দুঃসময়ে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। সেইসঙ্গে তার বন্ধুত্বপূর্ণ চিন্তাভাবনা ও প্রার্থনা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে থাকবে। এদিকে, বেইলি রোডে বৃহস্পতিবার রাতের ট্র্যাজেডিতে প্রাণ হারানো ৪৬ জনের মধ্যে ৪৩ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
০২ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫৮

বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় পুলিশের মামলা, আটক কয়েকজন
রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে আগুন লাগার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়েছে। শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে মামলাটি দায়ের হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ সালমান ফার্সী।  শনিবার (২ মার্চ) তিনি জানিয়েছেন, বেইলি রোডের ‘গ্রিন কোজি কটেজে’ আগুন লাগার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ বাদি হয়ে মামলাটি করেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কয়েকজন আটক আছে। মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনায় আটকদের মধ্যে আছেন ‘চুমুক’ নামের একটি খাবার দোকানের দুই মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান রিমন ও ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার মো. জিসান। শুক্রবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন। সেইসঙ্গে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভবন মালিকের দায়িত্বে কোনও অবহেলা রয়েছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত কমিশনার বলেছিলেন, ভবনের মালিক থেকে শুরু করে এই ঘটনায় যার দায় পাওয়া যাবে, তার বিরুদ্ধেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুন লেগে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া গুরুতর দগ্ধ হন অন্তত ২২ জন। আগুন নেভানোর পর হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।   
০২ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৮

ভবনের নিচতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত : সিআইডি
রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ভবনের নিচতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। সিআইডির প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ড (নিচতলা) থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে আমরা জেনেছি। তবে শর্টসার্কিট না গ্যাসের কারণে হয়েছে সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আলামত সংগ্রহ করে ল্যাবে ক্যামিকেল টেস্ট করা হবে। এরপর আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। সিআইডির প্রধান বলেন, আগুনের ঘটনায় মরদেহের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার করা হবে। এই ঘটনায় কারো যদি দায়িত্বে অবহেলা থাকে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ভবনটিতে আগুন লাগে। এতে অন্তত ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
০১ মার্চ ২০২৪, ০৬:১৪

আগুনের কারণ অনুসন্ধানে ফায়ার সার্ভিসের ৫ সদস্যের কমিটি
রাজধানীর বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনে লাগা আগুনে রাত ৩টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় দুই ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এখনও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে ফায়ার সার্ভিস।  ভয়াবহ এই অগ্নিকান্ডের কারণ, ভবনের অগ্নি নিরাপত্তা ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণসহ হতাহত বেশি হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন তিনি বলেন, পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির সভাপতি : পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, কমিটির সদস্য সচিব ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন, সদস্য করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট জোনের ডিএডি, সিনিয়র স্টেশন অফিসার এবং ওয়ারহাউজ ইন্সপেক্টরকে। সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত সময়ের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে।
০১ মার্চ ২০২৪, ০৮:২৪

মোজা কারখানায় আগুনের তীব্রতা বাড়ছে, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট
গাজীপুরে একটি মোজার কারখানায় লাগা আগুন তীব্রতা আরও বেড়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে শ্রীপুরের রাজাবাড়ি ইউনিয়নের গ্লোব গ্লোভস (বাংলাদেশ) ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডে কারখানায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল আরেফিন। এ বিষয়ে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, গ্লোব গ্লোভস (বাংলাদেশ) ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড কারখানার ভবনের দুই তলা ও তিন তলায় আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাপাসিয়া, জয়দেবপুর, রাজেন্দ্রপুর ও শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার ও হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩০

বাবরি মসজিদের জায়গায় রামমন্দির উদ্বোধনের আতশবাজির ট্রাকে আগুনের খবরটি সত্যি নয়
ভারতের বাবরি মসজিদের জায়গায় বহুল আলোচিত রামমন্দির উদ্বোধনের আগেই অনুষ্ঠানের আতশবাজির ট্রাকে আগুন লেগেছে। প্রকাশিত খবরটি সত্যি নয়।  ট্রাকটি অযোধ্যার রামমন্দির উদ্বোধনের জন্য আতশবাজি বহন করছিল না বরং উত্তর প্রদেশের দোকানে সরবরাহের জন্য আতশবাজি পরিবহন করছিল। ভারতীয় গণমাধ্যম ও স্থানীয় পুলিশ ট্রাকটি উত্তর প্রদেশের দোকানে সরবরাহের জন্য আতশবাজি পরিবহণ করছিল বলে নিশ্চিত করেছে। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিস্ফারণের এ দৃশ্য ধারণ করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আগামী সোমবার অযোধ্যার আকাশে যে আতশবাজি জ্বলার কথা ছিল তা এক সপ্তাহ আগেই দেখে ফেলেন উন্নাওবাসী। জানা যায়, গত ১৭ জানুয়ারি আতশবাজি বোঝাই ট্রাক নম্বর TN 28 AL 6639 পূর্বা থানার অন্তর্গত খড়গিখেদা গ্রামের কাছে অজ্ঞাত কারণে আগুন ধরে যায়। ট্রাকটি তামিলনাড়ু থেকে বাহরাইচ যাচ্ছিল এবং এতে দোকানে সরবরাহের জন্য আতশবাজি, শিশুদের পোস্টার, চলচ্চিত্র শিল্পীদের পোস্টার এবং ধর্মীয় পোস্টার বোঝাই করা ছিল। অর্থাৎ ট্রাকটিতে অযোধ্যার মন্দিরের অনুষ্ঠানের আতশবাজি পরিবহন করা হচ্ছিলনা। নোট: উক্ত বিষয়ে ভুল তথ্যের কারণে ‘বাবরি মসজিদের জায়গায় রামমন্দির উদ্বোধনের আতশবাজির ট্রাকে আগুন’ হিসেবে সংবাদ প্রকাশ হয়। সঠিক তথ্য জানার পরে আরটিভি অনলাইন সংবাদটি সংশোধন করে। একই সঙ্গে ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান ‘বুম বাংলাদেশ’ বিষয়টি শনাক্ত করে।  
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৩৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়