• ঢাকা শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১
logo
আমেরিকায় স্কুলে গুলির ঘটনায় অভিযুক্তের বাবা গ্রেপ্তার
আমেরিকার জর্জিয়ার স্কুলে ১৪ বছর বয়সি ছাত্রের গুলিতে চারজন মারা গেছেন। পুলিশ তার বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে। জর্জিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের সন্দেহ বুধবারের গুলিচালনার ঘটনার সঙ্গে অভিযুক্তর বাবারও যোগ আছে। বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জর্জিয়া ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (জিবিআই) সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে জানিয়েছে, অভিযুক্তের ৫৪ বছর বয়সি বাবার বিরুদ্ধে সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডার বা হত্যা এবং বাচ্চাদের প্রতি নিষ্ঠুরতা এবং অনিচ্ছাকৃত নরহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। জিবিআই ডিরেক্টর ক্রস হোসে বলেছেন, বাবা জানতেন যে তার ছেলের কাছে অস্ত্র আছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তার ছেলের কাজের সঙ্গে বাবাও যুক্ত। তার কারণ, বাবা ছেলের অস্ত্র রাখাকে অনুমোদন করেছিলেন। ২০২৩-এর তদন্ত এই অভিযুক্ত বাবা-ছেলেকে ২০২৩ সালেও স্কুলে গুলি চালানোর হুমকি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা। কিন্তু তখন তাদের গ্রেপ্তার করার মতো কোনো কারণ তারা খুঁজে পাননি বলে এফবিআই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ২০২৩ সালের তদন্তে বাবা জানিয়েছিলেন, তার কাছে শিকার করার বন্দুক আছে, কিন্তু তার ছেলে সেগুলির নাগাল পায় না। ছেলেও জানিয়েছিল, সে অনলাইন হুমকি দেয়নি। জ্যাকসন কাউন্টির মেয়র জানিয়েছেন, তিনি ২০২৩ সালের মে মাসে রিপোর্ট পান, কিন্তু তার ভিত্তিতে সেই সময় বাবা-ছেলেকে অভিযুক্ত করার মতো কিছু ছিল না। বাচ্চাদের হাতে অস্ত্র থাকলে বাবা-মা দায়ী গত এপ্রিলে মিশিগানে স্কুলে গুলি চালানোর ঘটনায় আদালত বলে স্কুলে গুলিচালনার ঘটনা ঘটলে বাবা-মা-ও আইনগতভাবে দায়ী থাকবেন। প্রথমবার আদালত এইভাবে বাচ্চার গুলিচালনার জন্য বাবা-মা-কে দায়ী থাকার কথা বলেছিল। ২০২১ সালে অক্সফোর্ড হাইস্কুলে একজন কিশোর গুলি করে তার চারজন সহপাঠীকে হত্যা করেছিল। তার বাবা-মার কারাদণ্ড হয়েছিল। জুরিদের বক্তব্য ছিল, বাবা-মা বাড়িতে বন্দুক সুরক্ষিত রাখতে পারেননি। তাদের ছেলে মানসিক দিক থেকে অস্থির জানার পরেও তারা সেই কাজ করেননি। বিশেষজ্ঞ ও আগ্নেয়াস্ত্র সুরক্ষা নিয়ে প্রচারকারীদের বক্তব্য, ওই রায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এর ফলে স্কুলে সহিংসতার দায় বাবা-মার উপরও যে থাকবে, সেটা আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:০৫

কেনিয়ায় স্কুলে আগুন লেগে নিহত অন্তত ১৭ শিশু
কেনিয়ার একটি স্কুলের ছাত্রাবাসে আগুন লেগে অন্তত ১৭ শিশু প্রাণ হারিয়েছে। মাঝরাতে আগুন লাগার সময় শিশুরা ঘুমিয়ে ছিল৷ শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানী নাইরোবি থেকে ১৭০ কিলোমিটার উত্তরে নেয়েরি কাউন্টির হিলসাইড এনদারাসা অ্যাকাডেমিতে এ ঘটনা ঘটে৷ পুলিশের মুখপাত্র রেসিলা ওনায়াঙ্গো এএফপিকে জানান, , ঐ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী আছে৷ তাদের বয়স পাঁচ থেকে ১২-র মধ্যে৷ উদ্ধার করা মরদেহগুলো এমনভাবে পুড়ে গেছে যে সেগুলোর পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি৷ আহতদের মধ্যে ১৬ জনের অবস্থা মারাত্মক বলেও জানান তিনি৷ ঘটনাস্থলে পুরোপুরি তদন্ত শেষে আরও মরদেহ পাওয়া যেতে পারে, বলে আশঙ্কা তার৷ আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি বলে জানান পুলিশের ঐ মুখপাত্র৷ তবে তদন্ত শুরু হয়েছে৷ কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন৷ কেনিয়ায় অতীতেও স্কুলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে৷ ২০১৬ সালে মেয়েদের এক হাইস্কুলে আগুন লেগে নয় শিক্ষার্থী নিহত হয়েছিল৷ নাইরোবির উপকণ্ঠে কিবেরিয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল৷ ২০০১ সালে একটি স্কুলের ছাত্রাবাসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হলে ৬৭ শিক্ষার্থী মারা গিয়েছিল৷ দক্ষিণাঞ্চলের মাচাকস জেলায় এই হামলা হয়েছিল৷ এই ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছিল৷
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:০৫

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ায় স্কুলে গুলি, বহু হতাহতের শঙ্কা
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার আপালাচি হাইস্কুলে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত চারজন নিহত ও ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে হেলিকপ্টার দিয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং অতিরিক্ত হেলিকপ্টার স্ট্যান্ডবাইতে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে স্কুলের ভেতর থেকে গুলির শব্দ শোনা যায়। স্থানীয় পুলিশের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন বন্দুকধারী হিসেবে একজনকে তাদের জিম্মায় নেওয়া হয়েছে। খবর এবিসি নিউজ ও সিএনএনের।  সার্জিও কালদেরা নামের (১৭) এক শিক্ষার্থী জানিয়েছে, ক্লাসরুম থেকে সে গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছে। ওই সময় তার শিক্ষক ক্লাস থেকে বেরিয়ে দেখতে যায় কি হয়েছে। ঠিক তখনই আরেক শিক্ষক দৌড়ে এসে জানায় স্কুলে এক সক্রিয় বন্দুকধারী রয়েছে এবং তিনি যেন ক্লাসের দরজা-জানালা বন্ধ করে দেন। এরপর তারা দ্রুত সবাই ক্লাস রুমের পেছনে চলে যায়। এর একটু পর জোরে জোরে টোকা দিয়ে কেউ একজন দরজা খুলতে বলে। কিন্তু তারা দরজা খোলেনি। ওই সময় তারা সবাই আবারও গুলির শব্দ শুনতে পায়। জর্জিয়া ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (জিবিআই) বলেছে, তারা হাইস্কুলে একটি গোলাগুলির ঘটনা প্রতিহত করেছে। এ ঘটনা সন্দেহভাজন একজনকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। জর্জিয়ার গভর্নর ব্রায়ান কেম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, সংস্থাগুলো এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিচ্ছে। হোয়াইট হাউজ বলেছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে গুলির বিষয়টি ব্রিফ করা হয়েছে।  
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩২

মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রাণ গেল মা-মেয়ের
কুমিল্লায় মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় মা ও মেয়ে নিহত হয়েছেন। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ফুটওভার ব্রিজের নিচে এ ঘটনা ঘটে।  ময়নামতি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন- কুমিল্লা সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের বুধইর গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের মেয়ে পারভীন আক্তার লিপি (৩৫) এবং তার মেয়ে লামিসা রশীদ (১৩)। লামিসা কুমিল্লা সেনানিবাস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। লিপির মামাতো ভাই আইন উদ্দিন পাভেল বলেন, ‘লামিসা সেনানিবাসের পাবলিক স্কুলে পড়তো। প্রতিদিন লিপি আপা মেয়েকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পার করে পৌঁছে দিয়ে আসতেন। আবার ছুটি হলে গিয়ে নিয়ে আসতেন। আজ সকালে স্কুলে যাওয়ার সময় রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় নিউ সুগন্ধা নামে একটি দ্রুতগামী বাস দুজনকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে আপা মারা যান। ভাগ্নিকে হাসপাতালে ভর্তি করালে দুই ঘণ্টা আইসিইউতে থাকার পর সেও মারা গেছে।’ তিনি বলেন, ‘লামিসার বাবা সৌদি আরব প্রবাসী। নতুন বাড়ি করেছেন সেনানিবাসের পাশে। তিন দিন আগে একবারে দেশে চলে এসেছেন। কীভাবে তিনি এই শোক সইবেন জানি না।’ ময়নামতি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, ‘মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত পরিবহনের বিরুদ্ধে পরিবার মামলা করলে তা নেওয়া হবে।’
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:২৭

গাজার স্কুলে হামলার ঘটনায় বাংলাদেশের নিন্দা
গাজার একটি স্কুল ভবনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় বেসামরিক নাগরিক নিহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।  সোমবার (১২ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ১০ আগস্ট পূর্ব গাজার আল-তাবিন স্কুলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী কর্তৃক জঘন্য হামলার তীব্র নিন্দা জানায় বাংলাদেশ। ওই ঘটনায় শতাধিক বেসামরিক লোকের প্রাণহানি এবং অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটে। গাজায় আগ্রাসন ও সহিংসতা বন্ধের লক্ষ্যে শান্তি প্রক্রিয়া এবং আন্তর্জাতিক উদ্যোগের প্রতি ইসরায়েলের অবহেলা প্রদর্শন করে এই হামলাকে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আইন ও মৌলিক মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন বলে মনে করে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে এবং ফিলিস্তিনে মানবিক সহায়তার নিরবচ্ছিন্ন প্রবাহ নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য বিশ্ব সংস্থার কাছ থেকে একটি নিষ্পত্তিমূলক প্রতিক্রিয়ার আহ্বান জানাই। বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে এবং ফিলিস্তিনের একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত, পূর্ব জেরুজালেমের রাজধানী এবং ফিলিস্তিন জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত তাদের অধিকারের পক্ষে সমর্থন দিয়ে যাবে। উল্লেখ্য, গাজার একটি স্কুলে শরণার্থীরা আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানে ফজর নামাজ আদায়কালে হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। এতে শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হন, আহত হন আরও অনেকে।   
১২ আগস্ট ২০২৪, ১৩:৫৪

গাজার ২ স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত অন্তত ৩০
গাজা শহরের বাস্তুচ্যুত লোকদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য দুটি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।  রোববার (৪ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা শহরের বাস্তুচ্যুত লোকদের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত দুটি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, গাজা শহরের পশ্চিমে হাসান সালামা এবং আল-নাসর স্কুলকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘নিহতদের প্রায় ৮০ শতাংশই শিশু।’ এই মুখপাত্র বোমা হামলার পর দুটি স্কুলের দৃশ্যকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘গাজা শহরে আর নিরাপদ স্থান নেই এবং (ইসরায়েলি) বাহিনী পবিত্র এসব স্থানকে সম্মান করে না।’ এর আগে, শনিবার (৩ আগস্ট) গাজা শহরের শেখ রাদওয়ান এলাকায় বাস্তুচ্যুত লোকদের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত একটি স্কুলে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান হামলা চালালে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের মতে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ১৫২টি স্কুলসহ বাস্তুচ্যুত মানুষদের আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহৃত অন্তত ১৭২টি কেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলা হয়েছে। বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘স্কুলে হামলায় এক হাজার ৪০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন এবং এই গণহত্যাগুলো টানা ১০ মাস ধরে আমাদের ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান অপরাধের অংশ হয়েই রয়েছে।’ মিডিয়া অফিস ইসরায়েলি দখলদারিত্ব এবং মার্কিন প্রশাসনকে ‘বাস্তুচ্যুত ও বেসামরিকদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত গণহত্যার জন্য দায়ী করেছে।’ একইসঙ্গে গাজা উপত্যকায় চলমান রক্তপাত বন্ধ করার জন্য তেল আবিব এবং ওয়াশিংটনের ওপর চাপ সৃষ্টি করার আহ্বান জানিয়েছে তারা। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবকে লঙ্ঘন করে, গত অক্টোবরে হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় তার ক্রমাগত নৃশংস আক্রমণের মধ্যে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক নিন্দার সম্মুখীন হয়েছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, প্রায় ৩৯ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই মহিলা এবং শিশু এবং প্রায় ৯১ হাজার ৪০০ আহত হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
০৫ আগস্ট ২০২৪, ১৩:৫২

গাজায় স্কুলে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ১৫
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় আরও ১৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু ফিলিস্তিনি। গাজা শহরের শুজাইয়া এলাকায় হামলার শিকার স্কুলটিতে ফিলিস্তিনি শরণার্থী পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছিল। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রাতে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা রিপোর্ট করেছে, গাজা শহরের শুজাইয়া পাড়ার একটি স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১৫ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলো ওই স্কুলটিতে আশ্রয় নিয়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দালাল মুগরাবি স্কুলে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য আল-আহলি আরব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অবশ্য গাজার স্কুলগুলোতে ইসরায়েলের হামলা নতুন নয়। ইসরায়েলি বাহিনী ধারাবাহিকভাবে বাস্তুচ্যুত লোকদের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত বিভিন্ন অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করে চলেছে। এর আগে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে জাতিসংঘের একটি স্কুলে গত জুলাই মাসে ইসরায়েলি হামলায় ২৫ জন নিহত হয়েছিল। স্কুলটিতে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন। এদিকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে আরও ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯ হাজার ৪৮০ জনে পৌঁছেছে বলে বৃহস্পতিবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত ৯১ হাজার ১২৮ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
০২ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৩

টেন মিনিট স্কুলে ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রস্তাব বাতিল
অনলাইন শিক্ষামূলক প্লাটফর্ম টেন মিনিট স্কুলের জন্য পাঁচ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব বাতিল করা হয়েছে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ তথ্য জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, টেন মিনিট স্কুলের জন্য পাঁচ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের পক্ষ থেকে বাতিল করা হলো। এ বিষয়ে টেন মিনিট স্কুলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আয়মান সাদিক এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে স্ট্যাটাস দেন আয়মান সাদিক। তিনি লেখেন, ‘রক্তাক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়! আমার ক্যাম্পাসে রক্ত কেন? প্রতিবাদ জানাই।’ কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে ফেসবুক প্রোফাইলও পরিবর্তন করেন তিনি।
১৬ জুলাই ২০২৪, ১২:১৮

গাজায় স্কুলে ইসরায়েলি হামলা, নিহত অন্তত ১৬
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় স্কুলে বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।  এতে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন।  আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। রোববার (৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজার নুসেইরাত আশ্রয় কেন্দ্রে জাতিসংঘ-পরিচালিত ওই স্কুল ভবন ছিল হাজারো বাস্তুচ্যুত মানুষের আশ্রয়স্থল।  বহু মানুষ সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে।  মূলত ইসরায়েল গত ৯ মাস ধরে অবরুদ্ধ উপকূলীয় এই অঞ্চলে বর্বর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। শনিবার গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে বলেছে, মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের আল-জাউনি স্কুলে চালানো ওই হামলায় ১৬ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আরও ৭৫ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, ‘আমরা বেসামরিক নাগরিক, শিশু এবং নারীদের বিরুদ্ধে এই চলমান অপরাধ এবং গণহত্যার জন্য নিন্দা করছি।’ আল জাজিরা বলছে, গত বছরের অক্টোবরে গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ইসরায়েল এর আগে বহু স্কুলেই এই ধরনের হামলা চালিয়েছে। মূলত গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩৮ হাজার ৯৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটি খাদ্য, পানি, ওষুধ এবং অন্যান্য মানবিক সহায়তা সরবরাহের মারাত্মক সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক এনজিও ‘ইন্টারন্যাশনাল কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট’ জানিয়েছে, ১৯৯২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত যত সংঘাত হয়েছে তার মধ্যে ‘গাজার যুদ্ধ সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ছিল’। ওই বছর থেকে তারা সাংবাদিকদের হত্যার তথ্য নথিভুক্ত করা শুরু করে।
০৭ জুলাই ২০২৪, ১৩:২৯

হুট করেই স্কুলে ভর্তি হলেন ডিপজল!
ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘মুভিলর্ড’ ও ‘দানবীর’ খ্যাত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। পালন করছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব। সম্প্রতি তার কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আর এই ছবিগুলো দেখলে কৌতূহলই জাগবে। তিনি কেন হঠাৎ করে স্কুল ড্রেস পরে স্কুলে গিয়ে ক্লাস করছেন? নেটিজেনরাও হয়তো বিস্ময়বোধ করছেন ডিপজল স্কুলে গিয়ে এই বয়সে কেন পড়াশোনা করছেন। যদিও শিক্ষার কোনো বয়স নেই। সব বয়সের মানুষই সবসময় নানা উপায়ে শিক্ষা গ্রহণ করতেই পারে।  জানা গেছে, ডিপজলের এটা বাস্তব জীবনের কোনো ঘটনা নয়। একটি চলচ্চিত্রে তিনি স্কুলে যাতায়াত শুরু করেছিলেন। এর অবশ্য উদ্দেশ্য রয়েছে মূলত সেই স্কুলের শিক্ষিকা মৌ খানের প্রেমে পড়েন ডিপজল। এরপর থেকে নানাভাবেই ইমপ্রেস করতে শুরু করেন মৌকে। যদিও ক্লাসে মৌ তাকে শিক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে নাকচ করে দিতে চান, বলেন- যারা মাস্তানি, গুন্ডামি করে তাদের দ্বারা শিক্ষা গ্রহণ সম্ভব নয়। এই সিনেমায় ডিপজল থাকেন একজন ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী। সেই সন্ত্রাসবাদ থেকে প্রেমে পড়ে যান ডিপজল। এরপর তার মধ্যে পরিবর্তন শুরু হয়। সম্প্রতিও ডিপজলের ফেসবুক পেজ থেকে এমন একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। সেই ভিডিওটি সিনেমার অংশ বিশেষ। নেটিজেনরাও ডিপজলের এমন চরিত্র দেখে মজা পেয়েছেন। অনেকেই নানারকম মন্তব্য করেছেন।
০৫ জুলাই ২০২৪, ১৯:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়