• ঢাকা শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১
logo
উপদেষ্টারা সাহস দেখান, দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করুন
আর্থিক খাতের লুটপাট, সরকারি সম্পদ তছরুপের বেসামাল কাণ্ডে যুক্তদের বিরুদ্ধে এ মুহূর্তেই কঠোর ব্যবস্থা দরকার। শুধু আইনি বেড়াজালে তাদের ঘোরানো ফেরানোর দৃশ্যপট দেখতে চাই না, দীর্ঘসূত্রিতার বিচার ব্যবস্থার আগেই তাদের অর্থ সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে না হোক, বিচারে কেউ দোষমুক্ত হলে তখন তাদের পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া যেতে পারে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাটের টাকায় তারা আয়েশ করবেন, আইনি লড়াই চালাবেন, সুযোগে বাকি টাকাও বিদেশে পাচার করবেন- তা হবে না, তা হবে না। এগুলো না করে নানা প্রক্রিয়া খুঁজে সময় হারালে আপনাদেরও জাতি ক্ষমা করবে না। ১. দেশের ২০০০ পুলিশ অফিসারের অর্থবিত্তের পরিমাণ আড়াই লাখ কোটি টাকা। এরমধ্যে বিদেশে পাচার হয়েছে এক লাখ কোটি টাকা। দেশে থাকা তাদের স্থাবর, অস্থাবর, নামে বেনামের সকল সম্পদ সরকারের অনুকূলে জব্দ করা হোক। ২. এই দেশের চালিকা শক্তি বলে গর্ব করা গার্মেন্টস মালিকদের মধ্যে ৮০০ জন কাঁচা পণ্য সামগ্রী আমদানির নামে গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন জনের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অপকর্ম চালিয়ে আসছেন।  গত দুই বছরে নিজেদের উৎপাদিত পণ্য পাঠিয়ে তার মূল্য বাবদ ৫০ হাজার কোটি টাকা তারা দেশেও আনেননি। এসব গার্মেন্ট মালিকের এদেশে থাকা মিলকারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়ি, জমি সবকিছু নিলামে তোলা হোক। ৩. বিশ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে ব্যাংক ঋণ খেলাপির সংখ্যা ৬ হাজার জনের বেশি। তারা আটকে রেখেছেন এক লাখ বিরাশি হাজার কোটি টাকা। অথচ তাদের অন্যান্য শিল্প বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান লাভজনক ভাবে সচল রয়েছে। ঋণ খেলাপিদের সেসব প্রতিষ্ঠান জব্দের মাধ্যমে ব্যাংকের টাকা আদায় করে নেয়া হোক। ৪. দেশের ৩০ হাজার কোটিপতির মধ্যে ২২ হাজার কোটিপতির আয়ের বৈধ উৎস নেই। তারা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে দখলবাজি, চাঁদাবাজি, তদবিরবাজির মাধ্যমে রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক বনেছেন। ট্যাক্স পরিশোধিত বৈধ আয় ব্যতীত তাদের বাকি সম্পদ সরকারিভাবে জব্দ করে নিলামে তোলা হোক। ৫. বিগত বিশ বছরের সকল মন্ত্রী, এমপিদের সহায় সম্পদের পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধান করে দেখা হোক।  ৬. গত দেড় দশকে দুদক যাদের দুর্নীতির অভিযোগ থেকে ছাড়পত্র (দায়মুক্তি) দিয়েছে তারাই দেশের বড় লুটেরা। দায়মুক্তদের বিরুদ্ধে সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকা লুটপাট ও সরকারি সম্পদ তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:৪৩

নেতাকর্মীদের সাহস নিয়ে দাঁড়াতে বললেন জয়
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাহস নিয়ে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবার আওয়ামী লীগ ও দেশের মানুষের পাশে আছে। বুধবার (৭ আগস্ট) রাতে এক ভিডিওবার্তায় জয় এসব কথা বলেন। যদিও এর আগে এক বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, তার মা ক্ষমতা ছাড়ার পর দেশের কী হলো সেটি দেখার দায়িত্ব তাদের না। তার মা আর রাজনীতিতে ফিরবেন না। তবে এবার নিজের সেই বক্তব্য ফিরিয়ে নিলেন জয়। ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে। সারাদেশে ভাঙচুর-লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমি বলতে চাই, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন এবং সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলেছিলাম যে, আমার পরিবার আর রাজনীতি করবে না। তবে নেতাকর্মীর ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না।’ সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘যদি গণতান্ত্রিক নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, তবে সেটি আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না, আওয়ামী লীগকে শেষ করা যাবে না। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র-নির্বাচন সম্ভব না।’ নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা সাহস নিয়ে দাঁড়ান। আপনারা একা না, আমরা আছি, বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সাথেই আছি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও দেশকে রক্ষার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে যারা ক্ষমতায় আছেন, তাদের বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক শৃঙ্খল নিরাপদ বাংলাদেশ চাই। জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ চাই। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত, যদি তারা জঙ্গিবাদ ও সহিংসতা বাদ দেয়।’ প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গত ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
০৮ আগস্ট ২০২৪, ১৩:৪৫

সাহস থাকলে অন্তত একবার পাকিস্তানে এসে খেলে যান: তানভীর আহমেদ
গত বছর এশিয়া কাপ খেলতে ভারতীয় দল পাকিস্তানে না গেলেও, বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে এসেছিলেন বাবর-রিজওয়ানরা। কারণ, তাদের বিশ্বাস ছিল বিশ্বকাপ খেলতে গেলে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানের আসবে ভারতীয় দল। তবে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোর দাবি, এই টুর্নামেন্ট খেলতে পাকিস্তানে দল পাঠাবে না দেশটির সরকার। যে কারণে ভারতীয়দের সাহস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক পাক পেসার তানভীর আহমেদ। তার মতে, যদি সাহস থাকে পাকিস্তানে এসে খেলে যাও, বিশ্বকাপে যা করে দেখিয়েছে পাকিস্তান। তানভীর বলেন, আমরা সিংহ। আমরা আপনাদের দেশে গেছি এবং ক্রিকেট খেলেছি। এখানে আসুন এবং দেখান (পাকিস্তানে খেলা)। আমরা নিরাপত্তা দেব; যা দরকার সবকিছু দেয়া হবে। শুধু একবার এসে দেখান। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করা নিয়ে বাবর আজমদের প্রশংসা করেন তানভীর। এই পেসার বলেন, এটাই পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের একমাত্র কাজ, ভাইয়েরা। শুধু পাকিস্তানি খেলোয়াড়রাই যায় এবং খেলে, এরপর চলে আসে।  ‘তারা জিততে পারে কিংবা হারতেও, তারা সেই ধরণের ক্রিকেটই খেলে যা তারা খেলতে পারে। তারা ভারতে গেছে, সেখানে খেলেছে এবং ফিরেও এসেছে। এটাই সেটা, যাকে আপনারা সাহসী দল বলতে পারেন এবং সাহসী খেলোয়াড়রাও।’ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে পর্দা উঠবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির। এরই মধ্যে টুর্নামেন্টটির সূচি আইসিসির কাছে জমা দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে পাকিস্তানের মাটিতে টুর্নামেন্ট খেলতে ভারত যাবে কি-না, তা এখনও ধোয়াশাপূর্ণ।  ভারতের আপত্তিতে টুর্নামেন্টের কিছু খেলা পাকিস্তান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ারও গুঞ্জন রয়েছে। সে ক্ষেত্রে পাকিস্তানের জন্য বিষয়টি মোটেও ভালো হবে না। তাই পাকিস্তানের বর্তমান ও সাবেক অনেক ক্রিকেটারই ভারতকে আহ্বান জানিয়েছেন তাদের দেশে খেলতে আসার জন্য।  
২৯ জুলাই ২০২৪, ২২:৪৭

‘ভারতের কারণেই নির্বাচন নিয়ে কেউ অশুভ খেলার সাহস করেনি’
ভারত আমাদের পাশে ছিল বলেই নির্বাচন নিয়ে অন্য কোনো দেশ অশুভ খেলার সাহস করেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শনিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের সঙ্গে গায়ে পড়ে তিক্ততার সম্পর্ক তৈরি করে সমস্যার সমাধান সম্ভব না। ভারতের সঙ্গে যে অবিশ্বাসের দেয়াল তৈরি হয়েছিল শেখ হাসিনা ও মোদি সরকার তা ভেঙে দিয়েছে। তিনি বলেন, যখন কথা বলি তখন বিশ্বাস থেকেই বলি। বাংলাদেশে ৭৫ থেকে একুশ বছর কারা শাসন করেছিল? সেই একুশ বছর প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে বৈরিতা সৃষ্টি করেছিল।  তিনি আরও বলেন, সংখ্যালঘু ভাবনাটাই একটি দাসত্বের শেকল। এটি ভেঙে ফেলতে হবে। হিন্দুদের জমি দখল এবং মন্দির ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও তারা সবার অভিন্ন শত্রু, দুর্বৃত্ত। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, মুসলমানের ভোট ও আপনার ভোটের মধ্যে কোনো পার্থক্য কি আছে? আপনার ভোটের কি মূল্য কম? তাহলে কেন নিজেকে মাইনরিটি ভাববেন? এই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে মুসলমানদের পাশাপাশি হিন্দু, বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টান সবার অবদান রয়েছে, কারও অবদান কম নয়। তিনি বলেন, যারা হিন্দুদের বাড়ি দখল করে, মন্দির ভাঙচুর করে। তারা আমাদের সবার অভিন্ন শত্রু। তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। সম্মেলন উদ্বোধন করেন ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জে এল ভৌমিক। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শ্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রানা দাশগুপ্ত।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪১

আমাদের সাহস অনেক বেড়ে গেছে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, বঙ্গবন্ধু টানেলের মতো দৃশ্যমান উন্নয়ন ছাড়াও আমাদের অদৃশ্য যে উন্নয়ন হয়েছে তা হলো আমাদের সাহস। আমাদের সাহস অনেক বেড়ে গেছে। বিশ্বকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আমরা নিজের টাকায় পদ্মা সেতু, নদীর তলদেশে টানেল করেছি। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা গত ১৫ বছরে বাংলাদেশকে গ্লোবাল স্টেজে নিয়ে গেছেন। এর ফলে পাশ্চাত্যের মধ্যে সমস্যা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের দুরভিসন্ধিমূলক কার্যক্রম আমরা দেখছি। তিনি বলেন, যেহেতু বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচন হয়ে যাচ্ছে, শিক্ষার হার বেড়ে যাচ্ছে, স্বাস্থ্য সুরক্ষা হচ্ছে। তাই পশ্চিমারা নিয়ে আসছে ভোটের অধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকার এসব বিষয়। তারপারও আমরা যদি দেখি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এগুলোর সবই নিশ্চিত করেছেন। মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, আমাদের সুশীল সমাজ সরকারের অগ্রগতি সামনে আনে না। বৃহত্তর পরিসরে সরকারের অর্জন ঢেকে রেখে সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সরকারকে আক্রমণ করার চেষ্টা করছে। তাদের এসব তথ্য সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলছে। এক্ষেত্রে আমরা জয়ী হব।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়