• ঢাকা শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১
logo
স্বৈরাচারের দোসরদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সজাগ থাকুন: জামায়াত সেক্রেটারি
স্বৈরাচারের দোসরদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সজাগ থাকতে সকলকে আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।   শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজশাহী জেলা পরিষদ মিলনায়তনে মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি। জামায়াত সেক্রেটারি মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, তারা আনসার কাণ্ড ঘটিয়ে আবার সচিবালয় দখল করে সরকারকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র করেছিল। সেটাও ছাত্রসমাজ রুখে দিয়েছে। জনপ্রশাসনে বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্য, ক্ষোভ তৈরি করে সরকারকে তারা ফেইল করাতে চায়। আমাদের এ বাংলাদেশ সব ধর্ম, বর্ণ, মানুষের এক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্তের বাংলাদেশ। সেখানে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক শক্তি ব্যবহার করে উস্কে দিয়ে বলছে, এখানে হিন্দুরা নিরাপদ নয়। তারা সারা দুনিয়াকে দেখাতে চায় এখানে তারা নিরাপদ নয়। সচিবালয় থেকে শুরু করে জনপ্রশাসনে অনেক জায়গায় স্বৈরাচারের অনেক দোসর ঘাপটি মেরে বসে আছে। তারা আমাদের কথা শুনে না, জনগণের কথা শুনে না। ফ্যাসিবাদের জন্য তাদের অন্তরে অনেক মায়া। এ মায়া করে লাভ হবে না। ওদের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত সম্পর্কে সজাগ থাকুন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী অন্তর্বর্তী সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত আছে জানিয়ে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেব জামায়াতে ইসলামীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তার এ সরকারকে পরিচালনায় তিনি আমাদের সহযোগিতা চেয়েছিলেন। আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে আমাদের প্রতিনিধিদল ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবের কাছে সুপারিশমালা রেখে এসেছি। তিনি ‘বলেছিলেন আপনারা আমাদের সহযোগিতা করুন।’ আমরাও সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছিলাম। আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে যাচ্ছি। এ সহযোগিতা আমাদের থাকবে। তবে দেশের রাজনীতিতে এখনও ষড়যন্ত্র চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখনও দুমাসই হয়নি কিন্তু শুরু থেকেই এ ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে ধূলিসাৎ করার জন্য একটা পাল্টা প্রতি বিপ্লবের চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী, ছাত্র-জনতার সেই বিপ্লবের প্রতি বিপ্লবকে ব্যর্থ করে দিয়েছে। তারা জুডিসিয়াল ক্যু করার চেষ্টা করেছিল। দলবাজ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে হাইকোর্টের আপিল ডিভিশনের জাস্টিসরা ষড়যন্ত্র করে প্রথমে তারা একটা ফুলকোর্ট মিটিং করে তারা ষড়যন্ত্র করছিল যে তারা এ অন্তর্বর্তী সরকারকে বাতিল করবে। এ খবর জানার পর আমাদের দামাল ছাত্রসমাজ সমস্ত হাইকোর্ট ঘেরাও করেছে এবং বিচারপতিদের পদত্যাগ দাবি করে। তখন প্রধান বিচারপতিসহ আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। আমাদের ছাত্রসমাজ জুডিসিয়াল ক্যু থেকেও বাংলাদেশকে রক্ষা করতে সফলতার পরিচয় দিয়েছে। জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, তারা আনসার কাণ্ড ঘটিয়ে আবার সচিবালয় দখল করে সরকারকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র করেছিল। সেটাও ছাত্রসমাজ রুখে দিয়েছে। জনপ্রশাসনে বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্য, ক্ষোভ তৈরি করে সরকারকে তারা ফেইল করাতে চায়। আমাদের এ বাংলাদেশ সব ধর্ম, বর্ণ, মানুষের এক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্তের বাংলাদেশ। সেখানে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক শক্তি ব্যবহার করে উস্কে দিয়ে বলছে, এখানে হিন্দুরা নিরাপদ নয়। তারা সারা দুনিয়াকে দেখাতে চায় এখানে তারা নিরাপদ নয়। সচিবালয় থেকে শুরু করে জনপ্রশাসনে অনেক জায়গায় স্বৈরাচারের অনেক দোসর ঘাপটি মেরে বসে আছে। তারা আমাদের কথা শুনে না, জনগণের কথা শুনে না। ফ্যাসিবাদের জন্য তাদের অন্তরে অনেক মায়া। এ মায়া করে লাভ হবে না। ওদের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত সম্পর্কে সজাগ থাকুন। এ সময় জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী মহানগর আমির ড. মোহাম্মদ কেরামত আলীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন, রাজশাহী মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মণ্ডলসহ আরও অনেকেই বক্তব্য দেন। আরটিভি/এমকে
১২ ঘণ্টা আগে

ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে: জামায়াত আমির
ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার জন্য দেশের ছাত্র-জনতার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জায়ামাতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।  তিনি বলেছেন, এখন নির্বাচনের সময় নয়, এটি সংকট সমাধানের সময়। ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে। অতীতের কলুষিত বাংলাদেশ দেখতে চায় না ছাত্র-জনতা।  শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ডা. শফিকুর রহমান। জায়ামাতে ইসলামীর আমির বলেন, আল্লাহর কৌশলের কাছে কোনো ষড়যন্ত্র টিকে না। গেল ১৭ বছরের যন্ত্রণা সরিয়ে দিয়েছেন আল্লাহ। প্রতিশোধের রাজনীতি করবো না। দলগত নয়, ব্যক্তি অপরাধী হলে আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে। লগি বৈঠার আন্দোলন থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকার অত্যাচারের সীমা ছাড়িয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, প্রথম আঘাত সেনাবাহিনীর ওপর হয়েছিল। এরপর জামায়াতসহ সারা দেশের মানুষের ওপর আঘাত করা হয়েছিলো। নিত্যপণ্যের দাম ছিলো আকাশছোঁয়া। উন্নয়নের নামে দেশ ফোকলা করেছে গেল সরকার। জামায়াতপ্রধান বলেন, কোনোকিছু গোপন থাকবে না। ফতোয়া দিয়ে সারা দেশের মানুষকে রাজাকার বানিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। পরিবার জানতো না স্বজনেরা বেঁচে ছিলো কিনা। নিজ দেশের মানুষের সঙ্গে এমন আচরণ মেনে নেয়া যায় না।   ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সারা দেশে সাম্প্রদায়িক হামলা করে জামায়াতের ওপর দায় চাপাতো, যেটা আজ পরিষ্কার। বিচারকরা বিচার নয়, উপরের আদেশ পালন করেছেন। বিচারের নামে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিচারিক হত্যা করা হয়েছে। 
২৪ আগস্ট ২০২৪, ০০:৩৫

পরাজিতদের চক্রান্ত প্রতিরোধে জনগণকে সজাগ থাকতে হবে: ফখরুল
ছাত্র-জনতার বিপ্লব ব্যর্থ করতে পরাজিতরা চক্রান্ত করছে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।  সোমবার (১২ আগস্ট) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর ৫৫তম জন্মদিন উপলক্ষে কবর জিয়ারত করে এসব কথা বলেন তিনি। মির্জা ফখরুল আরও বলেন, জনগণের কাছে আমাদের আবেদন, আপনারা কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। সকলে ঐক্যবদ্ধ থেকে এই যে মুক্তি হয়েছে, এই যে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে, তাকে সুসংহত করার জন্য কাজ করুন। তিনি বলেন, প্রতিবিপ্লবের যে আশঙ্কা তার জন্য অত্যন্ত সজাগ থেকে, রাস্তায় থেকে তাদের চক্রান্ত প্রতিরোধ করার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন, জনগণের কাছে সেই প্রত্যাশা আমার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অতি দ্রুত নির্বাচনের ক্ষেত্র তৈরি করার অনুরোধ জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সব বিপদ কাটিয়ে সত্যিকার অর্থে একটা মুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। জনগণের একটা সরকার প্রতিষ্ঠা করবেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা সবাই জানি, আরাফাত রহমান কোকোকে অত্যাচার ও নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। নির্যাতনের কারণে তাকে দেশের বাইরে চলে যেতে হয়েছে। কোকো রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি ছিলেন ক্রীড়াবিদ। অল্প সময়ে তিনি ক্রিকেটে বিপ্লব এনেছিলেন। তিনি বলেন, আমরা আশা করি নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমর্থন থাকবে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে। মুক্তি, বিজয় ও দ্বিতীয় স্বাধীনতার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।  
১২ আগস্ট ২০২৪, ১৪:০৩

ষড়যন্ত্রের নীল নকশা সম্পর্কে সজাগ বিএনপি: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্রের নীল নকশা সম্পর্কে দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে। শুক্রবার (৯ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান। বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, জানতে পেরেছি পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসররা পরিকল্পিতভাবে অন্তর্বর্তী সরকার, তথা বিজয়ী ছাত্র জনতার ওপর প্রতিশোধের নীল নকশা নিয়ে মাঠে নেমেছে। একই সঙ্গে এসব ঘৃণ্য অপরাধের দায় সুকৌশলে বিএনপিসহ সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তির ওপর চাপানোর জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে ব্যবহার করছে। ভারতের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এসব কাজে বিশেষ করে প্রতিবেশী একটি দেশের কিছু কিছু নিউজ চ্যানেলসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করছে একটি চিহ্নিত মহল। বিজয়ী সব শক্তি তথা জনগণের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করার অপচেষ্টায়ও তারা মরিয়া হয়ে লেগেছে। মির্জা ফখরুল বলেন, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নাগরিকদের সম্পদ ও ধর্মীয় উপসনালয়কে টার্গেট করা হয়েছে বিশেষভাবে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার লক্ষ্যে সমাজকে বিভক্ত করাই এ মুহূর্তে তাদের ষড়যন্ত্র।  কর্মীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা আশা করি ক্ষমতাসীন অন্তর্বর্তী সরকার, প্রশাসন তথা সর্বস্তরের সব নাগরিক এ বিষয়ে সজাগ আছেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এরই মধ্যে আমাদের সাধ্যমতো সব পদক্ষেপ নিয়েছে। দলের নাম ব্যবহার করে যারাই এই ধরনের অপতৎপরতায় জড়িয়ে পড়বে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, পরিস্থিতি ও পরিবেশের গভীরতা অনুভব করে দেশবাসীসহ সংশ্লিষ্ট দেশি-বিদেশি সব সহায়ক শক্তিকে আবারও সজাগ করতে চাই, পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে। বিশেষভাবে আহ্বান করতে চাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সব নাগরিককে। আহ্বান রাখছি এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যার যার স্থান থেকে সামাজিক সচেতনতা ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার, দেশপ্রেমিক প্রতিরক্ষা, প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য দল-মত নির্বিশেষে তাদের পাশে দাঁড়াতে দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
০৯ আগস্ট ২০২৪, ১৭:১০

রাষ্ট্র মেরামত না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রজনতা সজাগ থাকবে: আসিফ মাহমুদ
রাষ্ট্র মেরামত না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রজনতা সজাগ থাকবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে নিজের ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান। আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, ছাত্রজনতার প্রস্তাবিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা ও দাবি অনুযায়ী রাষ্ট্র মেরামত না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রজনতা সতর্ক ও সজাগ আছে এবং থাকবে। তিনি লেখেন, ছাত্রজনতার এই গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে মেরামত করে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ সাধন করার জন্য। গণ-অভ্যুত্থানে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব হবে ছাত্র নাগরিকের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন করা। কোনো নির্দিষ্ট দল কিংবা গোষ্ঠীর ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করার জন্য নয়। তিনি আরও লেখেন, যেকোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক উসকানি, জনগণের সম্পত্তির ক্ষতিসাধন ও বিশৃঙ্খলা প্রতিহত করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংগঠিত আছে ও জনগণের সঙ্গে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুদ্ধ করেছি আমরা, এখন আবার দায়িত্ব নিয়ে সেই যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতিও নিরাময় করছি। ভলান্টারি অ্যাক্টিভিটির মাধ্যমে দেশের দায়িত্ব নেওয়া ছাত্রজনতাকে স্যালুট জানাই।
০৭ আগস্ট ২০২৪, ২৩:০৬

আম নিয়ে সিন্ডিকেটের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
আম নিয়ে সিন্ডিকেটের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ। শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর করমপুর গ্রামে আম বাগান পরিদর্শন ও চাষি সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।  কৃষিমন্ত্রী বলেন, রাজশাহীতে আমের ফলন কম হয়েছে, সেকারণে দাম বাড়বে। ফলে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। আমের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে যেন খুব বেশি পার্থক্য না হয় সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। কৃষিমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া, বেলারুশ, চীন, জাপান ও ভারত আম নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা বেশি পরিমাণ আম রপ্তানির চেষ্টা করছি। কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, আম রপ্তানির জন্য ২৫০-৩০০ কৃষককে সহায়তা করা হয়েছে। রপ্তানির জন্য রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম গ্রেডিং শেড এবং ট্রিটমেন্ট প্লান্ট করা হচ্ছে। এর আগে সোনাদীঘি গ্রামের কৃষক রাতুলে ফার্মে মাটিবিহীন চারা উৎপাদন, ই-ফারমিং, ভার্মি কম্পোস্ট, বাসতবাড়ি বাগান ও কৃষিখেত পরিদর্শন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ।
১৭ মে ২০২৪, ১৭:৩০

‘রমজানে জিনিসপত্রের দাম যাতে না বাড়ে, আমরা সজাগ আছি’
রমজানে জিনিসপত্রের দাম যাতে না বাড়ে সেজন্য সরকার খুব সজাগ আছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় আমরা খুব গুরুত্ব দিচ্ছি। মজুতদারদের বিরুদ্ধে এবার খুবই সতর্ক সরকার। কোনোভাবেই পণ্য মজুত করে ভোক্তাদের কৃত্রিম সংকটে ফেলতে দেওয়া হবে না। রমজান মাস আসছে, জিনিসপত্রের দাম যাতে না বাড়ে এ বিষয়ে আমরা সজাগ আছি। মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি আমরা তিন মন্ত্রী (খাদ্যমন্ত্রী, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রী) মিটিং করেছি, যখনই প্রয়োজন হবে আমরা আবার বসব। প্রয়োজনে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও মিটিং করব। ছোট ব্যবসায়ীরা যাতে বিপদে না পড়ে সেটা কঠোরভাবে নজরদারি করা হচ্ছে। শিগগিরই পেঁয়াজ ও আলুর দাম আরও কমে আসবে। এর আগে, কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান স্ট্যান বর্নের নেতৃত্বে ইউএস কৃষি বিভাগের ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল, ঢাকায় নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এলদিন আহমেদ ফাহমি ও কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলস পৃথক বৈঠক করেন।  মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এলদিন আহমেদ ফাহমি মিশরে পাটের চাষ পুনরায় শুরু করতে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।  তিনি বলেন, একসময় মিশরে পাটের চাষ হতো, এখন হয় না। বর্তমানে মিশরে পাট প্রক্রিয়াজাতকরণের ভালো ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে। আমরা মিশরে পাটের চাষ পুনরায় শুরু করতে চাই। এক্ষেত্রে জাত, বীজ ও প্রযুক্তিগত বিষয়ে বাংলাদেশের সহযোগিতা প্রয়োজন। মিশরের প্রস্তাবটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হবে। মিশর ও বাংলাদেশের মধ্যে তুলা উৎপাদনে সহযোগিতার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক রয়েছে। সেটিকে কাজে লাগিয়ে তুলা উৎপাদনে সহযোগিতার জন্য মিশরকে অনুরোধ করেন মন্ত্রী। কানাডার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে আম, কাঁঠালসহ শাক-সবজি নেওয়ার অনুরোধ করেন কৃষিমন্ত্রী। এ ছাড়া কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি বিশেষ করে ড্রোনের ব্যবহার, এগ্রো-প্রসেসিং, পোস্ট হার্ভেস্ট ব্যবস্থাপনা, কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন প্রভৃতি বিষয়ে কানাডার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। এসব বিষয়ে সক্রিয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলস। বাংলাদেশের কৃষিকে আরও বেশি রপ্তানিমুখী করা এবং কৃষি প্রক্রিয়াজাত করে আম, আনারস প্রভৃতির জুস রপ্তানি করা যেতে পারে বলে জানান তিনি। ইউএস কৃষি বিভাগের প্রতিনিধিদল বৈঠকে বাংলাদেশে সয়াবিন রপ্তানি এবং কৃষি প্রক্রিয়াজাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৩১

‘অন্যদের সজাগ করলেও নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি হুমায়ুন’
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটের পাটুরিয়া ৫ নং ফেরিঘাটের কাছে ৯টি ট্রাক নিয়ে ফেরি রজনীগন্ধার ডুবির ৩ দিনেও খোঁজ মেলেনি দ্বিতীয় মাস্টার (যন্ত্রচালক) হুমায়ুন কবিরের (৩৯)। ফেরি ডুবির সময় অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পাড়ে ফিরলেও নিখোঁজ আছেন হুমায়ুন। তবে ফেরিতে থাকা ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ট্রাকের চলক ও হেলপার। হুমায়ুনের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে। স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে তার। ২০১১ সালে বিআইডব্লিউটিসিতে চাকরি শুরু করেন হুমায়ুন। সাত মাস আগে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-পথে ফেরিতে যোগ দেন। হুমায়ুন কবীর বিআইডব্লিউটিসি ওয়াকার্স ইউনিয়নের আরিচা আঞ্চলিক কমিটির দক্ষিণ (পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া) শাখার সভাপতি ছিলেন। আরও পড়ুন : স্বার্থের জন্য নির্বাচনের আগে ইস্যু তৈরি করেছিল আমেরিকা : ড. মোমেন   বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালালউদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত ফেরিতে থাকা সবাইকে আত্মরক্ষার জন্য হুমায়ন সজাগ করলেও তিনি নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি। ফেরিটি যখন ডুবছিল হয়তো কোনো কিছুর চাপায় নিচে ফেরির মধ্যে আটকে গেছেন। ৩৬ ঘণ্টায়ও তার কোনো খোঁজ না মেলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিআইডব্লিউটিসি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মহসিন ভুঁইয়া। এদিকে, তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধা উদ্ধারের কাজ বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে স্থগিত করা হয়। বুধবার দুটি ও বৃহস্পতিবার একটি ট্রাক উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তম। বুধবার সকাল ৮টার দিকে রজনীগন্ধা নামের ফেরিটি ডুবে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম মালবোঝাই ট্রাকটিকে উপরে তুলে নিয়ে আসে বলে জানান বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) খালেদ নেওয়াজ। আরও পড়ুন : ৯০ হাজার সেনা নিয়ে ন্যাটোর বিশাল সামরিক মহড়া   ফেরি ডুবির ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ পক্ষ থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, এই ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা জেসমিনকে প্রধান করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মতিউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, এই দুর্ঘটনার অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৮টার দিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের পাটুরিয়া প্রান্তে পদ্মা নদীতে ৯টি যানবাহন নিয়ে ডুবে যায় নোঙর করে রাখা ফেরি রজনীগন্ধা। এ ঘটনায় ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ফেরিটির দ্বিতীয় যন্ত্রচালক  হুমায়ূন কবীর এখনো নিখোঁজ আছেন।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়