• ঢাকা শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১
logo
পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে: ফখরুল
পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।  শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। ফখরুল বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও দেশে এখনো নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে পরাজিত শক্তির দোসররা। তারা গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।  তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়কে মেনে নিতে পারছে না বলেই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে দেশব্যাপী খুন-খারাবিতে মেতে উঠেছে। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসকগোষ্ঠীর ভয়াবহ দুঃশাসন থেকে জনগণ মুক্তি পেলেও দেশ এখনো পুরোপুরি নিরাপদ নয়।  বিএনপির মহাসচিব বলেন, দুষ্কৃতকারীরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর এ কারণেই জনগণের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের পৈশাচিক কায়দায় হত্যাসহ গুরুতর আহত করা হচ্ছে। খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা হতাহতের ঘটনা সেটিরই নির্মম বহিঃপ্রকাশ। এসব সন্ত্রাসীকে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।  মির্জা ফখরুল বলেন, হামলা ও রক্তাক্ত পথ অনুসরণ করে ষড়যন্ত্রকারীরা যাতে ফায়দা লুটতে না পারে সেজন্য দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আর তাহলেই দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। বিবৃতিতে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে জনগণের ওপর হামলাকারী দুষ্কৃতকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বিএনপির এই নেতা। এ ছাড়া নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনার পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান মির্জা ফখরুল। আরটিভি/আরএ/এআর
৭ ঘণ্টা আগে

সব জায়গায় সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া ঠিক নয়: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের সব স্থানে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া ঠিক নয়। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘যে সব এলাকা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে সেখানেই ওই ক্ষমতা (সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা) প্রয়োগ করা উচিত।’ এ সময় অন্তবর্তী সরকারের কাছে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করারও কথা বলেন তিনি। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘হাসিনা সরকারের জঞ্জাল পরিষ্কার করে সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করার দাবি জানাই।’ অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল তার দলের পক্ষ থেকে ঠাকুরগাঁও জেলায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত চারজনের পরিবার এবং আহত ৪৩ জনের হাতে নগদ ১৫ লাখ টাকা তুলে দেন। আরটিভি/এসএপি/এআর
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:২৭

আমার বাসায় না এসে কাদের দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দেশ থেকে না পালিয়ে আমার বাসায় আসতে চেয়েছিলেন। আজ তিনি কোথায়? আমার বাসায় না এসে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়েছেন। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনা বলেছিলেন আমি বঙ্গবন্ধুর মেয়ে, আমি কোনোদিন দেশ ছেড়ে পালাবো না। অথচ তিনি দেশ থেকে পালিয়েছেন। পালাবার পথ খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তাড়াতাড়ি করে একটি হেলিকপ্টার নিয়ে ভারতে পালিয়েছেন। আওয়ামী লীগ এত খারাপ কাজ করেছে, তাদের দেশে থাকার মতো অবস্থা নেই। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া পালিয়ে যাননি, জেল খেটেছেন। তাকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে, যার কারণে আজও তিনি অসুস্থ। তিনি আরও বলেন, আমি মামলার কারণে ১১ বার জেলে গিয়েছি। তবে জমি দখল ও লুটের নয়, সব রাজনীতির মামলা। ঠাকুরগাঁওয়ের ৭ হাজার বিএনপির নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে। এরকম সারাদেশে ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। সারাদেশে প্রায় ৮০০ নেতাকর্মীকে গুম করে দিয়েছে তারা। পুলিশকে দিয়ে থানায় নিয়ে পায়ের মধ্যে গুলি করে পঙ্গু করে দিয়েছে। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ আলমের সভাপতিত্বে জনসভায় ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জেট মর্তুজা তুলা, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হায়াত নুরনবী, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ড. টিএম মাহবুবর রহমান, সিনিয়র সহসভাপতি ও ড্যাবের মহাসচিব ডা. আব্দুস সালাম, সহসভাপতি হিরু, সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম, দপ্তর সম্পাদক মকবুল হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জুলফিকার আলী, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আবু সাইদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার হাজারো মানুষ উপস্থিত ছিলেন। আরটিভি/আইএম/এআর
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৬

বাংলাদেশের সঙ্গে অন্যায় করলে ভারতকে জবাব দেওয়া হবে: মির্জা ফখরুল 
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আপনাদের পাশেই ভারত। ওরা অনেক খারাপ কাজ করে। সীমান্তে আমাদের লোকজনকে গুলি করে মেরে দেয়। আমরা তাদের সঙ্গে ভালোভাবে প্রতিবেশীর মতো থাকতে চাই। কিন্তু আমাদের ওপর যদি অন্যায়-অত্যাচার হয়, তার প্রতিবাদ আমরা জানাব। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ঈদগাহ মাঠে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের নির্যাতনের জন্য আওয়ামী লীগ আয়নাঘর বানিয়েছিল। এই ভয়াবহ দানব ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকার দুই হাজার মানুষকে খুন করেছে। গুলিতে কারও হাত চলে গেছে, কারও পা চলে গেছে, কারও মাথার খুলি উড়ে গেছে। আজকে মুক্ত বাতাসে আমরা বাস করছি। কিন্তু মনে রাখবেন, সেই পর্যন্তই মুক্ত থাকবে যত দিন আমরা স্বাধীন রাখতে পারব। আমরা যদি আওয়ামী লীগের মতো শুরু করি, তাহলে কি আমরা থাকতে পারব। আমাদেরও একই রকম দশা হবে। বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছে অনুরোধ, আপনার নিজেদের মানুষের কাছে নিজেকে প্রিয় বানান। কারও ওপর অন্যায়-অত্যাচার, নির্যাতন করবেন না। উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে যে বিজয় অর্জন হয়েছে, সেই বিজয় কিন্তু নষ্ট হতে দেবেন না। যে সুযোগ আসছে দেশকে সুস্থ করার, ভালো করার, সেটা যেন না হারাই। বিএনপি মহাসিচিব বলেন, গত ১৬ বছরে আমরা খুব কষ্ট পেয়েছি। শেখ হাসিনার সরকার আমাদের নির্যাতন করেছে। বিএনপি-জামায়াত করার অপরাধে আপনাদের জেলে পুরে রাখা হয়েছে। সেই অবস্থার পরিসমাপ্তি ঘটেছে। যেই হাসিনা সবচেয়ে প্রতাপশালী নেতা হয়েছিলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে। সেই প্রতাপশালী শেখ হাসিনা আজ ভারতে আশ্রয় নিয়ে করুণ অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। আর যারা আমাদের ওপর জুলুম করতেন, জমি-ব্যবসা নিয়ে নিতেন, তারা জেলের ভেতর চলে গেছেন। ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ওবায়দুল কাদের আমাকে বিদ্রুপ করে বলতেন, আমরা তো পালাব না। যদি পালাতেই হয়, তবে দেশের বাইরে যাব না। আমার নাম ধরে বলতেন, ফখরুল আপনি কি আপনার বাসায় আমাকে জায়গা দেবেন না? এখন তাকে (ওবায়দুল কাদের) বলতে চাই, আপনি আসেন, আমার বাসাতেই এসে ওঠেন। সনাতন ধর্মের মানুষজন সংখ্যাগুরুদের আমানত মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের দেশে একটা বিরাট অংশ আছেন সনাতন ধর্মের মানুষ। তারা আমাদের আমানত। তাদের রক্ষা করার দায়িত্বও আমাদের। এই আমানত আমাদের রক্ষা করতে হবে। সামনে পূজা আসছে। পূজায় যেন অঘটন না ঘটে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার বলছে, কিছু কিছু জিনিস আওয়ামী লীগ সরকার খুবই খারাপ করে দিয়ে গেছে। এর মধ্যে একটি হলো ভোটের ব্যবস্থা। এটা ঠিক করা দরকার। সবাই যাতে ভোট দিতে পারে। যার ভোট সেই দেবে, যাকে খুশি তাকে দেবে, এমন একটা ভোটের মধ্য দিয়ে আমরা প্রতিনিধি নির্বাচন করব। এই সময়টুকু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দিতে হবে। তারা সবাই নিরপেক্ষ মানুষ, কোনো দল করেন না। কিন্তু দেশকে ভালোবাসেন। তারা কাজ শুরু করেছেন। আমাদের উচিত হবে তাদের সহযোগিতা করা। জনসভায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, সহসভাপতি নুর করিম, ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, আবু তাহের দুলাল, হরিপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরসহ জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। আরটিভি/এমএ/এসএ  
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:০২

প্রশাসনে ফ্যাসিবাদের দোসররা চক্রান্ত করছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে ফ্যাসিজমের অনেক প্রেতাত্মা অবস্থান করছে। প্রশাসনে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসররা বসে নেই, তারা চক্রান্ত করছে। এখনও তারা ছাত্র-জনতার বিজয়কে ব্যর্থ করতে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিএনপির সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মির্জা ফখরুল বলেন, শুধু বায়ান্ন বা একাত্তর নয়, বাংলাদেশের মানুষ সবসময় গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছে। গণতন্ত্র ও বিএনপি সমার্থক। জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে এ বিজয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অর্জিত এ সুযোগ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। সেটি যেন হেলায় হেলায় নষ্ট না হয়। তা রুখে দিতে নেতাকর্মীরা সতর্ক থাকবেন। দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজ আমাদের সামনে সুযোগ এসেছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার। আমরা যেন এই সুযোগ হেলায় না হারাই। এমন অবস্থা তৈরি করতে হবে যেন এখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি। আপনারা হচ্ছেন সেই ভ্যানগার্ড, পাহারাদার। আপনারা গণতন্ত্রকে রক্ষা করবেন। এ সময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আন্দোলনে প্রতিটি আহত, পঙ্গু ও শহীদের পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান। এর আগে, দুপুর ১২টা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হয়। দুপুর আড়াইটায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় সমাবেশের মূল কার্যক্রম। দুপুর ১২টা থেকেই সমাবেশ মঞ্চে শুরু হয় দলীয় সংগীত ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ, জীবন বাংলাদেশ আমার মরণ বাংলাদেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ গানসহ বিভিন্ন দেশাত্মবোধক গান। পরিবেশন করেন বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের নেতাকর্মীরা। এরপর আড়াইটায় শুরু হয় কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্য। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হন বিএনপির ও এর বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তাদের হাতে দেখা গেছে বাংলাদেশ ও দলের পতাকা। প্রসঙ্গত, গত ১৫ সেপ্টেম্বর সমাবেশটি করার তারিখ নির্ধারণ করে বিএনপি। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে দুই দিন পিছিয়ে সমাবেশের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর পুনর্নির্ধারণ করা হয়। আরটিভি/এএইচ/ডিসিএনই
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১:৩৫

অনির্দিষ্টকালের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে মেনে নেবে না জনগণ: ফখরুল
অনির্দিষ্টকালের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জনগণ মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।   মির্জা ফখরুল বলেন, অনির্দিষ্টকালের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে মেনে নেবে না জনগণ। নির্বাচিত সরকারই ঠিক করবে কী সংস্কার হবে, পার্লামেন্টেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সংবিধান পরিবর্তন হবে কি না।   তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং শহীদদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এ সময় প্রশাসন থেকে ফ্যাসিস্টদের সমর্থক, দোসর ও মদতদাতাদের সরাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানান মির্জা ফখরুল। আরটিভি/এফএ/এসএ  
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:২২

আন্দোলনে নিহত ৮৭৫ জনের মধ্যে ৪২২ জনই বিএনপির: ফখরুল
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে গড়ে ওঠা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত ৮৭৫ জনের মধ্যে ৪২২ জনই বিএনপির রাজনীতি সঙ্গে জড়িত ছিল বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী জুলাই গণহত্যায় ১৩ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে শহীদ হন ৮৭৫ জন। যার মধ্যে কমপক্ষে ৪২২ জন মানুষ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। দেশজুড়ে শহীদ হওয়া সব শ্রেণি-পেশা-রাজনীতির মানুষের বিশাল অংশ যে বিএনপির নেতাকর্মী এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং আমাদের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের অনিবার্য ফল। তিনি আরও বলেন, এই ৪২২ জনের নাম-গ্রামসহ সম্পূর্ণ তালিকা আমাদের কাছে আছে। এটি আমাদের ওয়েবসাইট প্রকাশ করা হবে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, বস্তুত ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ৪২২ জন, ২০২৩ সাল পর্যন্ত শহীদ এক হাজার ৫৫১ জন, গুম ৪২৩ জন (সকল রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ মিলিয়ে প্রায় ৭০০ জন), আসামি ৬০ লাখ এবং মামলা দেড় লাখ। এসব কেবল বিএনপির ত্যাগের পরিসংখ্যানই নয়, বরং বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনের পথে দলটির অবিচল সংগ্রাম ও অবদানের প্রতিফলন। এ সময় আন্দোলনের কৃতিত্ব নয়, স্বৈরাচার পতন নিশ্চিত করাই বিএনপির লক্ষ্য ছিল বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনও ফ্যাসিবাদ মুক্ত হতে পারেনি। পোশাক শিল্পে অস্থিরতার জন্য ফ্যাসিবাদের দোসররা দায়ী। আন্দোলন ঘিরে ঠিক কতজন প্রাণ হারিয়েছেন সে ব্যাপারে সরকারের পক্ষে এখনও সুস্পষ্ট কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৬ জুলাই থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮৭৫ জন নিহত এবং ৩০ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস)’। ১৩ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কার দাবিতে গত জুলাইয়ের শুরুতে আন্দোলনে নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এক পর্যায়ে কর্মসূচি ঘিরে ১৬ জুলাই আন্দোলনে হামলা হয়। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভের মুখে শেষ পর্যন্ত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আরটিভি/একে/এসএ  
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:০১

সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি
চলমান সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।  রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয় দলের স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে এ সংবাদ সম্মেলন করা হবে। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার। তিনি বলেন, রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এদিকে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে রোববারের (১৫ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনের সমাবেশ স্থগিত করেছে বিএনপি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, আবহাওয়ার কারণে রোববারের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। সমাবেশটি আগামী ১৭ তারিখ বিকেল ৩টায় নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হবে। আরটিভি/একে/এআর  
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩:৫৪

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: ফখরুল
১৬ বছর যেভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম হয়েছে, এখন সেইভাবেই ঐক্যবদ্ধ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শহীদ মিনারে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের গণআন্দোলনের বীর শহীদদের স্মরণে বিএনপির আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। নিরপক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যেন গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হয়। আন্দোলনে যারা হতাহত হয়েছেন, তাদের ক্ষতিপূরণ এবং ভাতা দেওয়ার দাবি তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে সরকারকে জোরালোভাবে বলতে হবে। বিরোধী দলগুলোর ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, তারা হায়েনার মতো লুকিয়ে আছে, যেকোনো সময় আক্রমণ করতে পারে। তাদের প্রতিহত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা দরকার। নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে তিনি বলেন, কোনোভাবেই চক্রান্তের শিকার হওয়া যাবে না। তাই সবাইকে গণতন্ত্র এবং জনগণের পক্ষে থাকতে হবে। আরটিভি/একে/এআর
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:৫৬

এখনও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত পরাজিত শক্তির দোসররা: মির্জা ফখরুল
গোপালগঞ্জে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীর গাড়িবহরে আওয়ামী লীগের হামলা ঘটনা ঘটেছে। এতে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলি দিদার নিহত হওয়ার ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও দেশে এখনও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে পরাজিত শক্তির দোসররা। তারা গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। অবৈধ আওয়ামী শাসনামলে এই সন্ত্রাসীরা অনেক কালো টাকা উপার্জন করেছে, সেই কালো টাকা তারা এখন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে কাজে লাগাচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীরা ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়কে মেনে নিতে পারছে না বলেই দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর জন্যই বিএনপি এবং অন্যান্য সমমনা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ জনগণের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে খুন ও তাদেরকে গুরুতর জখম করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আজ গোপালগঞ্জে দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা এস এম জিলানীর গাড়িবহরে বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. শওকত আলী দিদারকে খুন ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীসহ অনেক নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করার ঘটনা একটি গভীর দেশি-বিদেশি চক্রান্তের বহিঃপ্রকাশ। এসব সন্ত্রাসীদের কঠোর হস্তে দমন করার কোনো বিকল্প নেই। হামলা ও রক্তাক্ত পথ অনুসরণ করে ষড়যন্ত্রকারীরা যাতে ফায়দা হাসিল করতে না পারে সেজন্য ছাত্র-জনতাসহ সকল গণতন্ত্রমনা মানুষকে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে এখনও ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ চালিয়ে যেতে হবে। আর তাহলেই দেশ থেকে ষড়যন্ত্রকারী ও দুষ্কৃতকারীদের মূলোৎপাটনসহ দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা, প্রকৃত গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে। বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে এস এম জিলানীর গাড়িবহরে পৈশাচিক হামলা চালিয়ে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. শওকত আলী দিদারকে খুন এবং এস এম জিলানী ও তার সহধর্মিণীসহ নেতৃবৃন্দের ওপর হামলাকারী দুষ্কৃতকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানান। তিনি নিহতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনাসহ তার পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জ্ঞাপন এবং আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করেন।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩:৫১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়