• ঢাকা সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘অ্যাক্টরস হোম’র জায়গা বুঝে পেল অভিনয় শিল্পী সংঘ
অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম বেশ কয়েকদিন আগে জানিয়েছিলেন ঢাকার বুকে এক টুকরো জমি পাচ্ছে অভিনয় শিল্পীরা। সরকারের কাছ থেকে পাওয়া সাড়ে তিন কাঠা জমিতে গড়ে তোলা হবে তাদের স্বপ্নের ভবন ‘অ্যাক্টরস হোম’। সেখানে থাকবে অভিনয় শিল্পীদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, আড্ডার জায়গা, চর্চার জায়গা। অবশেষে শুক্রবার (৩ মে)  বরাদ্দকৃত জায়গাটি বুঝে পেয়েছে সংগঠনটি। বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন নাসিম নিজেই।  আহসান হাবিব নাসিম ফেসবুকে লিখেছেন, আজ শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, অভিনয়শিল্পী সংঘ বাংলাদেশ, জেলা প্রশাসন ঢাকা’র কাছ থেকে তাদের জায়গা বুঝে নিয়েছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।  এরপর এ নেতা লেখেন, আরও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার জনাব মো: সাবিরুল ইসলাম এবং ঢাকা জেলা প্রশাসক জনাব আনিসুর রহমান, এসি ল্যান্ড তেজগাও জনাব শরিফ মো. হেলাল উদ্দিন সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি। এ প্রসঙ্গে নাসিম বলেন, এটা অবশ্যই আমাদের জন্য আনন্দের। কেননা দীর্ঘদিন বিষয়টি নিয়ে চেষ্টা চলছিল। অবশেষে জায়গা বুঝে পাওয়াটা অভিনয় শিল্পী সংঘের একটি সফলতা বলে মনে করছি। শিল্পীদের প্রশিক্ষণ, মিটিং, একসঙ্গে সময় কাটানোসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হবে এটি। ওই জায়গা থেকে আজ আমাদের আনন্দের দিন। এদিকে জমি গ্রহণের খবর দেওয়ার সঙ্গে দুটি স্থিরচিত্র প্রকাশ করেছেন নাসিম। সেখানে তার সঙ্গে দেখা গেছে সংঠনটির সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসানকে। আরও ছিলেন অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদসহ বেশ কয়েকজন। বোঝা যাচ্ছে জমি গ্রহণ করার মুহূর্ত ছিল এটি। রাজধানীর আফতাব নগরে দেওয়া হয়েছে জায়গাটি। 
০৩ মে ২০২৪, ১৬:২২

মিষ্টি কিনে রেখেছিলেন রিঙ্কুর বাবা, কিন্তু জায়গা হলো না বিশ্বকাপে
গত আইপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করে জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন রিঙ্কু সিং। দেশের জার্সিতে নিজেকে প্রমাণও করেছেন এই বাঁ হাতি ব্যাটার। ফলে সকলের আশা ছিল আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বিমানে উঠবেন এই তরুণ ক্রিকেটার। কিন্তু সবাইকে হতাশ করলেন ভারতীয় নির্বাচকরা। ১৫ সদস্যে স্কোয়াডে জায়গা হয়নি রিঙ্কুর। অথচ তার বাবা কিনে রেখেছিলেন মিষ্টি! ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ছেলে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাবে সেটা ভেবেই বাজারে গিয়ে মিষ্টি আর আতশবাজি কিনে এনেছিলেন রিঙ্কুর বাবা খানচন্দ্র সিং। বিশ্বকাপ দল দল ঘোষণা হলেই উদযাপন করা যাবে, মিষ্টিমুখ করানো হবে সবাইকে। কিন্তু দল ঘোষণার পর হতাশই হতে হয়েছে রিঙ্কুর বাবাকে। গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খানচন্দ্র বলেন, আশা তো অনেক ছিল। মনটা খারাপও হয়ে গেছে কিছুটা। মিষ্টি এবং বাজি কিনে এনে রেখেছিলাম। আশা করেছিলাম যে বিশ্বকাপের দলে ও একাদশে রিঙ্কু থাকবে। তারপরও আমরা আনন্দিত। তিনি আরও বলেন, রিঙ্কুর মন খারাপ। সেটা ওর মাকে বলেছে। ওরও মন ভেঙে গেছে। ওর মাকে বলছিল যে প্রথম একাদশে বা ১৫ জনের দলে আমার নাম নেই, তবে আমি আমেরিকায় যাব (রিজার্ভ খেলোয়াড়)। তবে ছেলেকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন খানচন্দ্র সিং। তার বিশ্বাস, ভবিষ্যতে ভালো করার সুযোগ পাবেন ছেলে, আমি তো এটাই চাই যে সে যেন ভারতের হয়ে আগামীতে খেলে সফল হয়। ছেলের জন্য আমি পরিচিতি পেয়েছি। সবাই এখন আমাকে ওর জন্যই চেনে। রিঙ্কু আমার নাম উজ্জ্বল করেছে। জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত ১৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন রিঙ্কু। তাতে ব্যাট হাতে মাঠে নামার সুযোগ হয়েছে ১১ ইনিংসে। ১১ ইনিংসে ৮৯ গড়ে এই বাঁহাতি রান করেছেন ৩৫৬। স্ট্রাইক রেট ১৭৬.২৩। ফিফটি রয়েছে ২টি। এমন একজনের দলে না থাকা ফিনিশিংয়ে ভারতকে বিপাকে ফেলে কিনা সেটাই এখন দেখার।
০২ মে ২০২৪, ১২:৩৪

‘তাপমাত্রা কমাতে ঢাকায় বৃক্ষরোপণের জন্য জায়গা খুঁজতে হবে’
ঢাকা মহানগরে তাপমাত্রা কমাতে বৃক্ষরোপণের জন্য জায়গা খুঁজে বের করতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সভায় তিনি এ কথা জানান। পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা মহানগরে তাপমাত্রা কমাতে বৃক্ষরোপণের জন্য জায়গা খুঁজে বের করতে হবে। একইসঙ্গে অধিক হারে বৃক্ষরোপণ করতে হবে এবং জলাশয় রক্ষা করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে প্রকল্প বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নতুন নীতিমালা অনুসরণ করা হবে। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ৮০ নম্বর না পেলে কোনো প্রকল্প বিবেচনা করা হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় এলাকা, উদ্বাস্তু এবং অভিযোজনমূলক কার্যক্রমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দেওয়া হবে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি পূরণে কাজ করা হবে। এ যাবত তিন হাজার ৮১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯৬২টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে যার মধ্যে ২৯৮টি চলমান রয়েছে।’ সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। এ সময় ঢাকা শহরসহ সারাদেশে বনায়নের জন্য ন্যাশনাল গাইডলাইন্স প্রণয়নে প্রধান বন সংরক্ষককে নির্দেশনা দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী। যেসব বৃক্ষ তাপমাত্রা কমাতে পারে বা পরিবেশের জন্য অপেক্ষাকৃত ভালো তা নির্ণয় করে গাইডলাইন্সে অন্তর্ভুক্ত করারও নির্দেশ দেন তিনি। সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মোশাররফ হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ প্রকল্প পরিচালকগণ এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩৩

ধান শুকানোর জায়গা নিয়ে দু’পক্ষের ৩ ঘণ্টা সংঘর্ষ, আহত ৫০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ধান শুকানোর জায়গা দখল নিয়ে গ্রামবাসীদের দুটি পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক লোক।  বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে ৯টা পর্যন্ত চলে এই সংঘর্ষ। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ধান শুকানোর জায়গা দখল নিয়ে সরাইল উপজেলার পরমানন্দপুর গ্রামের সোনাউল্লাহ গোষ্ঠীর মান্নান মিয়ার সঙ্গে বুইল্লার বাড়ির রাশিদ মিয়ার মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। খবর পেয়ে ওই দুই গোষ্ঠীর লোকজন পরমানন্দপুর চান্দালের মাঠে মুখোমুখী সংঘর্ষে জড়ায়। পরে সোনাউল্লাহর পক্ষে যোগ দেয় খাঁবাড়ি, কৈবতবাড়ির লোকজন। অপরদিকে বুইল্লার বাড়ির সঙ্গে যোগ দেয় বুদ্ধির গোষ্ঠী, বড়বাড়ি ও উজিবাড়ির লোকজন।  পুরো গ্রামই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের নেতৃত্ব দেন সানাউল্লাহ গোষ্ঠীর কাঞ্চন মিয়া এবং বুইল্লার দলের পক্ষে জিয়াউল আমিন। ৩ ঘণ্টা ধরে চলা এই সংঘর্ষে ৫০ জনেরও বেশি আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহতরা হলেন– ওসমান মিয়া (৫৫), কাঞ্চন মিয়া (১৬), টাক্কাবালি (১৬), জিয়াউর রহমান (১৬) ও মন মিয়াকে (৩০) ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্য আহতদের সরাইল, ভৈরব ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। সকাল ৯টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলার পর পুলিশ সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হোসেন বলেন, রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ঘটনাস্থল থেকে এ পর্যন্ত ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১১

চাঁদরাতে পা ফেলার জায়গা নেই মৌচাক-নিউমার্কেটে
দেখতে দেখতে চলে গেল পবিত্র রমজান। রাত পোহালেই খুশির ঈদ। চাঁদরাতের বেচাকেনায় ব্যস্ত ক্রেতা-বিক্রেতারা। শেষ সময়ে ক্রেতারা ভিড় করছেন রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে। চাঁদরাতে পা ফেলার জায়গা নেই রাজধানীর মৌচাক ও নিউমার্কেট এলাকায়।   বুধবার (১০ এপ্রিল) ঘড়ির কাটায় তখন বাজে রাত পৌনে এগারটা। রাজধানীর মালিবাগ ও মৌচাক এলাকায় ক্রেতাদের প্রচুর ভিড় দেখা যায়। সেই সঙ্গে রাস্তায় দেখা যায় সারি সারি গাড়ি। ছিল যানবাহনের প্রচুর চাপ। যদিও রাজধানীর অন্য এলাকায় রাস্তায় গণপরিবহন নেই বললেই চলে। এছাড়া নিউমার্কেটের সামনের রাস্তায় রাত সাড়ে এগারটায় ছিল সারি সারি গাড়ি। ফুটপাতে দেখা গেছে হাজার হাজার মানুষের ভিড়। চাঁদরাতের কেনাকাটায় ব্যস্ত ক্রেতারা। বিক্রেতাদেরও শ্বাস ছাড়ার সময় নেই। রাজধানীর মালিবাগের বাসিন্দা আবেদা রহমান। ফরচুন মার্কেটে এসেছেন মেয়ের হাতে মেহেদী লাগাতে। তিনি আরটিভি নিউজকে বলেন, ফরচুন মার্কেটে প্রতিবছর মেয়েরা মেহদী লাগায়। এখানে মনের মত করে হাতে মেহেদী লাগানো যায়। যদিও খরচ একটু বেশি। প্রতিহাতে ২০০ টাকা করে মোট ৮০০ টাকা খরচ হলো। এটা ব্যয়বহুল। তারপরেও মনের মত ডিজাইন করতে পেরেছি। ভাল লাগছে। ঈদ এলেই চাঁদরাতে হাতে মেহেদী লাগিয়ে রোজগার করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাহমিদা। তিনি আরটিভি নিউজকে বলেন, প্রথমপর্যায়ে মনে হবে হাতে মেহেদী লাগতে এত খরচ। আসলে অনেক সময় নিয়ে ডিজাইন করে কাজটি করতে হয়। পারিশ্রমিক তো নিতে হবে। এটা খুব বেশি না। তাইমু ইসলাম। বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনি। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মামার বাসায় ঈদ করতে এসেছেন। মৌচাক মার্কেটের উল্টোপাশে তার সঙ্গে একটি নামী ব্যান্ডের জুতার দোকানে কথা হয়। আরটিভি নিউজকে তিনি বলেন, চাঁদরাতে কেনা কাটার মজা আছে। অনেক সময় একটু কমে ভাল জিনিস পাওয়া যায়। কেননা শেষ সময়ে বিক্রেতারা কম লাভেই বিক্রি করে। পাঞ্জাবি, জুতা ও টিশার্ট নিলাম। দাম অন্য সময়ের তুলনায় অনেকটা কম। মৌচাক মার্কেটের কাপড়ের ব্যবসায়ী জুনায়েত। তিনি আরটিভি নিউজকে বলেন, চাঁদরাতে শেষ সময়ে বিক্রি ভাল। এখন কম লাভে, কখোনও বা কেনা দামে বিক্রি করছি। ক্যাশ দরকার। চাঁদরাতে ক্রেতাদের চাপ আছে। কামরাঙ্গীর চর থেকে নিউমার্কেটে কেনাকাটা করতে এসেছেন নাজমা আক্তার। তিনি আরটিভি নিউজকে বলেন, চাঁদরাতে নিউমার্কেটে কম দামে ভাল জিনিস পাওয়া যায়। প্রতিবছর আমরা চাঁদরাতেই কেনাকাটা করি। এবছরও পরিবারের সবার জন্য কম বেশি কেনাকাটা করেছি। গাউছিয়ার পাশের সড়কের ফুটপাত থেকে কেনাকাটা করছেন লালবাগের বাসিন্দা রাসেল আহমেদ। তিনি আরটিভি নিউজকে বলেন, মার্কেটের ভিতরে দাম বেশি। আমরা স্বল্প আয়ের মানুষ। তাই ফুটপাত থেকেই পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা করেছি। মান একবারে খারাপ না। দাম কম। তাই আমাদের জন্য সুবিধা। মাকের্ট থেকেতো আমাদের মতো মানুষের কেনাকাটা সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, ঈদের আগে সবাই কেনাকাটা করে গ্রামে চলে যায়। আর চাঁদরাতে কম দামে ভাল জিনিস পাওয়া যায়। ঈদের আগের রাতেই কিনতে ভাল লাগছে। এবার গ্রামে যাব না। ঢাকায় ঈদ করবো। তাই শেষ সময়ে মার্কেটে এসেছি। ফুটপাতের বিক্রয়কর্মী শফিক মিয়া বলেন, ৩০০ থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে মেয়েদের সব পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে শাড়ি, থ্রি-পিচ, টু পিস গাউন, টপস, বোরকা মতোর গাউন, লং ফ্রক। ছেলেদের টি-শার্ট, শার্ট, প্যান্ট ও পাঞ্জাবি ২০০ টাকা থেকে শুরু ৮০০ টাকা পর্যন্ত আছে। চাঁদরাতে এসব মার্কেটে আসা ক্রেতারা বলছেন ফুটপাতে সাশ্রয়ীমূল্যে ভালো মানের পণ্য মেলে। একই জায়গায় সব পণ্য পাওয়া যায়। আর বিক্রেতাদেরও একই কথা। মার্কেটের তুলনায় ফুটপাতে কম দামে সব পণ্য পাওয়া যায় বলে ফুটপাতে ভিড় করেন স্বলআয়ের মানুষ।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৭

লজিস্টিক্সের ক্ষেত্রে মানুষের জায়গা নিচ্ছে রোবট
চিঠি বা পার্সেল দ্রুত প্রাপকের কাছে পৌঁছে দেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ৷ বিশেষ করে ই-কমার্সের রমরমার কারণে পার্সেলের সংখ্যা বেড়েই চলেছে৷ কম্পিউটার ও রোবটের সাহায্যে সেই প্রক্রিয়ায় আরো দক্ষতা আনার চেষ্টা চলছে৷ রোবট কুকুর হিসেবে স্পট ডান্স মোডে রয়েছে৷ সেটি সামনের দিকে তাকিয়ে থাকে৷ ঘুরিয়ে অল্প ধাক্কা দিলে সেটি বিপরীত দিকে চলতে থাকে৷ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে বস্টন ডায়নামিক্সের এই রোবোট ডগ এমনভাবে প্রোগ্রাম করা হয়েছে, যে সেটি ঘরের তাপমাত্রা ও শব্দের মাত্রা পরিমাপের মাধ্যমে বাধাবিপত্তি শনাক্ত করতে পারে৷ হ্যার্মেস ফুলফিলমেন্ট কোম্পানির শিক্ষানবিস হিসেবে ইয়োনাস বেহরেন্ট বলেন, আমি আলাদা করে এখানেই আবেদন করেছিলাম৷ কারণ জানতাম যে আমি যন্ত্র নিয়ে অনেক কাজ করবো৷ বিশেষ করে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ৷ সেটাই কোনো মেকানিককে মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার করে তোলে৷ হ্যার্মেস গ্রুপ এখানে অত্যন্ত ডিজিটালাইজড উপায়ে কাজ করে৷ কিন্তু প্রথমে সেটা জানতাম না৷ সেই কারণেই সে সব আমার জন্য আরও উত্তেজনাপূর্ণ এবং আনন্দদায়ক করে তুলেছে৷ হ্যার্মেস লজিস্টিক্স সেন্টারে আরেকটি রোবট পার্সেল পাঠানোর কাজে সাহায্য করছে৷ অ্যামেরিকার কোভেরিয়েন্ট কোম্পানি সেই মডেল তৈরি করেছে৷ বিভিন্ন টেক্সটাইল কোম্পানির পার্সেল আলাদা করে প্রাপকদের কাছে পাঠায় সেই রোবট৷ সেটির মধ্যে বিশেষ সফটওয়্যার প্রোগ্রাম করা হয়েছে৷ কোভেরিয়েন্ট কোম্পানির কর্ণধার টেড স্টিনসন বলেন, কোভেরিয়েন্ট ব্রেন সেই প্রণালীকে চোখ ব্যবহার করতে দিচ্ছে৷ সেই চোখ দিয়ে টোট ব্যাগের মধ্যে উঁকি মারতে দেয়৷ কোভেরিয়েন্ট ছবি তোলে৷ সেই ছবির সাহায্যে টোটের মধ্যে কী আছে, তা বুঝতে পারে৷ যেমন এখানে টোটের মধ্যে এক টিশার্টের অবয়ব দেখা যাচ্ছে৷ কোভেরিয়েন্ট ব্রেন সেটিকে টোটের মধ্যে কোনো বস্তু হিসেবে শনাক্ত করতে পারে৷ হাল্ডেসলেবেনে হ্যার্মেস লজিস্টিক্স সেন্টার ইউরোপের আধুনিকতম এমন স্থাপনার মধ্যে পড়ে৷ প্রায় ২৬টি ফুটবল মাঠের সমান জায়গা জুড়ে সেটি বিস্তৃত৷ সারা বছরে অটোর অধীনস্থ বনপ্রিক্সের মতো ফ্যাশন কোম্পানি ও ঘর সামগ্রী সরবরাহকারীর প্রায় ২০ কোটি পার্সেল সেখান দিয়েই গ্রাহকের কাছে যায়৷ গোটা প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়৷ একমাত্র সমান আকারের পার্সেল হলে তবেই সেটা সম্ভব৷ ভিন্ন পণ্য ও ছোট আকারের কনসাইনমেন্টের ক্ষেত্রে সেটা অনেক বেশি কঠিন৷ আগে হাতে করেই সেগুলি আলাদা করা হতো৷ ভবিষ্যতে একাধিক রোবট অন্যান্য যন্ত্রের সঙ্গে মিলে সেই দায়িত্ব পালন করবে৷ অটো গ্রুপ নিজস্ব লজিস্টিক্স সেন্টারের জন্য ইতোমধ্যেই ১০০ রোবট অর্ডার করেছে৷ অটো গ্রুপের প্রতিনিধি জি বেটি হু বলেন, অটো গ্রুপে আমরা বাণিজ্যিক লজিস্টিক্সের বেড়ে চলা চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সচেতন৷ একদিকে দক্ষ কর্মীর অভাব রয়েছে৷ অন্যদিকে আমরা আমাদের কর্মীদের দক্ষতা বাড়ানোর সুযোগ দিতে চাই৷ এভাবে লজিস্টিক্সের কাজ আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে চাই৷ তাদের মধ্যে অনেককে এখন নতুন করে প্রশিক্ষণ নিতে হবে৷ হাতের কাজ থেকে শুরু করে যন্ত্র চালনা করা এবং ভুল সংশোধনও করতে হবে৷ নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে হ্যার্মেসের কর্মী বিয়র্কা ক্রাইবিশ বলেন, রোবট আমার কাজ অনেক সহজ করে দিচ্ছে৷ সেটি আমাকে সাহায্য করছে৷ কনসাইনমেন্ট পরীক্ষা করে প্যাক করছে৷ তারপর সেগুলি ডিসপ্যাচে চলে যাচ্ছে৷ চাকরি হারানোর ভয় আমার নেই৷ আমাদের কম্পিউটার ও রোবটও পরীক্ষা করতে হয়, সেগুলির উপর নজর রাখতে হয়৷ কখনো রিসেট করতে হয়৷ না আমার সেই ভয় নেই৷ আরো বেশি রোবট কাজে লাগানোর প্রেক্ষাপটে সব কর্মী নতুন দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত কিনা, সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে৷ ভবিষ্যতে সেখানে হয়তো হাতে গোনা কিছু মানুষের প্রয়োজন পড়বে৷ শুধু মনিটরিং এবং কাজের শেষে রোবট কুকুর চার্জ করার দায়িত্ব পালন করতে হবে৷ কারণ থেকে থেকে রোবটের ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে যায়৷
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫৪

মাগুরা মেডিকেল কলেজের জায়গা পরিদর্শনে গেলেন সাকিব
মাগুরা সরকারি মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং কলেজ হাসপাতালের জন্য প্রস্তাবিত জায়গা পরিদর্শন করেছেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান। শনিবার (২ মার্চ) দুপুরে মাগুরা-নড়াইল আঞ্চলিক সড়কের পারলা-গোয়ালখালী মৌজায় এ প্রকল্পের জন্য প্রস্তাবিত জায়গা পরিদর্শন করেন তিনি। পরিদর্শনকালে সাকিব আর হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শুরু করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।  এ ছাড়া ইতিমধ্যে প্রকল্প এলাকায় বিদ্যুতের পৃথক দুটি লাইন স্থাপন সম্পন্ন হওয়ায় তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-সচিব মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে উক্ত প্রকল্পের ২৫ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য ৫৪ কোটি ৭৫ হাজার তিনশত টাকার প্রশাসনিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দুই বছর পার হলেও একনেকে অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় মাগুরায় এ প্রকল্পের কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি।
০২ মার্চ ২০২৪, ২২:০৪

র‌্যাব সদস্যের বিরুদ্ধে জায়গা দখলের অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মো. সিরাজুল ইসলাম নামে এক র‌্যাব সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতিবেশীর জায়গা অবৈধভাবে জোরপূর্বক দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শহরের পৌর এলাকার দাতিয়ারা গ্রামের বিলকিছ বেগম নামে ওই ভুক্তভোগী সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার চাচাতো ভাই মো. শিমুল।  লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পৌর এলাকার দাতিয়ারা মৌজায় বি.এস ১৯ দাগে ১০ শতক জায়গার মধ্যে ৫ শতকে বিলকিছ বেগম ক্রয়সূত্রে স্বত্ববান ও ভোগদখলকারী এবং বাকি ৫ শতকে সিরাজুল ইসলামের অবস্থান। তবে সিরাজুল ইসলাম র‌্যাব-৯ জোনে কর্মরত থাকায় সেই প্রভাব খাটিয়ে বিলকিছ বেগমের জায়গা অবৈধভাবে দখলের পায়তারা করে আসছে। সম্প্রতি বিলকিছ বেগম তার জায়গায় একাধিকবার সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে সিরাজুল ইসলাম বাধা দেয় এবং পরে তা ভেঙ্গে ফেলে। এতে তার প্রায় দুই লাখ টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে। এমন কি তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠানোর হুমকি প্রদান করে। এছাড়াও সিরাজুল ক্ষমতাবলে জায়গা জবর দখল ও প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলেও অভিযোগে আনা হয়। এ অবস্থায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাব সদস্য সিরাজুল ইসলাম বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। মূলত তারা নিজেরাই সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে অন্যের ওপর দায় চাপাচ্ছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৫৮

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা দখলের অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ হাজারী আঙ্গুর ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সরকারী নাল ভূমি ও কবরস্থানের জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কাছে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি লিখিত অভিযোগ করেন এলাকার লোকজন।  অভিযোগে বলা হয়, আজাদ হাজারী আঙ্গুর ও তার সহযোগীরা ঘাটুরা মৌজার ১ নং খাস খতিয়ানের বিএস ২০৪৪ দাগের ৬ শতক নাল ভূমি ও ২০৬০ দাগের ২ শতক কবরস্থানের জায়গা দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করে বাণিজ্যিক ভাবে ভোগ দখল করছেন।  তবে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ হাজারী আঙ্গুর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে তার কিছু জানা নেই। জায়গা ঠিকই আছে। সরকারের জায়গা থাকলে সরকার উদ্ধার করুক।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম শেখ অভিযোগ পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, জায়গাটি পরিমাপ করে দেখার জন্যে সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। 
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৩৬

অবশেষে আস্থার জায়গা খুঁজে পেলেন মাহি
ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। দ্বিতীয় বিয়ের পর স্বামী রাকিব সরকার ও একমাত্র ছেলে ফারিশকে নিয়ে বেশ ভালোই যাচ্ছিল তার দিন। কিন্তু সেই সংসারেও বেজে ওঠে ভাঙনের সুর। হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে বসেন মাহি। শুধু তাই নয়, অনেক আগে থেকেই নাকি ছেলেক নিয়ে আলাদা থাকছেন মাহি। এমনকি এদিন ছেলেকে নিয়ে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য না করতেও নেটবাসীদের অনুরোধ জানান মাহি। এরপর থেকেই সব মিলিয়ে বিষণ্নতায় ভুগছেন মাহি। এবার যেন আস্থার জায়গা খুঁজে পেলেন এই নায়িকা। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছেন মাহি। ক্যাপশনে চিত্রনায়িকা লিখেছেন— ‘আস্থার আস্তানা।’   ওই ছবিতে দেখা যায়, একটি বাসার সিঁড়িতে কয়েকজনে সঙ্গে বসে ক্যামেরায় পোজ দিচ্ছেন মাহি। তার সঙ্গে রয়েছেন— জয় চৌধুরী, শিরিন শিলা, শিপন মিত্রসহ আরও অনেকে।  এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে মাহি জানান ভীষণ একা লাগছে তার।  বর্তমানে আগের মতো চলচ্চিত্রে নিয়মিত নন মাহি। রাজনীতিতেও নিজের শক্ত অবস্থান গড়তে পারলেন না। একদিকে দ্বিতীয় সংসারও ভাঙল, অন্যদিকে অভিনেত্রীর ছেলের গায়ের রং নিয়েও রয়েছে নানান সমালোচনা। সব মিলিয়ে মানসিক অবসাদেই যেন ভুগছেন মাহি।   প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৪ মে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহি। এর কয়েক বছর পরেই ২০২০ সালে মে মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে পারভেজ মাহমুদ অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা জানান তিনি। পরে ২০২১ সালে রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সরকার রকিবকে বিয়ে করেন মাহিয়া মাহি।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়