• ঢাকা সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
চন্দ্রগঞ্জ থানা আ.লীগ সভাপতি-সম্পাদককে শোকজ 
কেন্দ্রীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করায় লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। রোববার (৫ মে) রাতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন স্বাক্ষরিত একটি শোকজের কপি প্রতিবেদকের হাতে এসে এসেছে। জানা গেছে, গত ৬ মার্চ চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন হাজিরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি দেওয়া হয়। চন্দ্রগঞ্জ থানা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত ওই কমিটি ফেসবুকে প্রকাশ করা হয়েছিল। যদিও কেন্দ্রীয় অনুমতি ছাড়া কোনো কমিটি বিলুপ্ত ও নতুন করে কমিটি না দিতে নির্দেশনা রয়েছে। এরপরও কাশেম চৌধুরী ও ওহাব হাজিরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটি দিয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করেছেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ৬ মার্চ মেয়াদোত্তীর্ণ দেখিয়ে পুরোনো কমিটি বিলুপ্ত ও ৫১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন আহ্বায়ক কমিটি দেওয়া হয়। এতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক পিংকুর চাচাতো ভাই নুরুল মোরছালিন মাছরুরকে আহ্বায়ক করা হয়। এ ঘটনায় ২৪ এপ্রিল বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানি ভূঁইয়া কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। একই অভিযোগের অনুলিপি যুগ্ম সাধারণ মাহবুবুল আলম হানিফ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনকেও দেওয়া হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ নেতা কাশেম চৌধুরী ও আব্দুল ওহাবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।  শোকজ চিঠিতে লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়া কোনো কমিটি ভাঙার এখতিয়ার কারো নেই। কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতিরেকে কোনো পর্যায়ের কমিটিই ভাঙা যাবে না। এরপরও কেন দলের আদেশ অমান্য করে কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে? বিষয়টি আদেশ দাতাকে কারণ দর্শানোর জন্য অনুরোধ করা হল। একই সঙ্গে সম্মেলন ছাড়া কোনো ধরনের কমিটি না ভাঙার জন্য জানানো হলো। এটি চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন দত্তপাড়া ও হাজিরপাড়া ইউনিয়নের জন্য প্রযোজ্য।  রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন থানা কমটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় চিঠির বিষয়টি অবগত হয়েছি। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী সম্মেলন ছাড়া কোনো কমিটি ঘোষণা করা সুযোগ নেই। সে হিসেবে হাজিরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পূর্বের কমিটি বহাল রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল ওহাব বলেন, আমরা হাজিরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নতুন আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দিয়েছি। শোকজের বিষয়টি আমাদের জানা নেই। কেন্দ্র থেকে কোনো চিঠি দিয়েছে কি না তাও পাইনি। বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানি ভূঁইয়া বলেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চন্দ্রগঞ্জ থানা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আমাদের কমিটি ভাঙতে পারেন না। এজন্য আমি কেন্দ্রে অভিযোগ দিয়েছি। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ৫ মার্চ একই থানাধীন দত্তপাড়া ইউনিয়ন পুরোনো কমিটি বিলুপ্ত করে ৪৫ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটির অনুমোদন দেয় আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম চৌধুরী ও আব্দুল ওহাব।
৪৫ মিনিট আগে

থানায় ঢুকে প্রতিদ্বন্দ্বীকে আক্রমণের অভিযোগে আ.লীগ নেতাকে শোকজ
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে বদিউজ্জামান ফকির নামে এক উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীকে থানায় ঢুকে আক্রমণ করার অভিযোগ উঠেছে আমিনুল ইসলাম সরকার নামে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। পাশাপাশি তার পক্ষে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের সংসদ সদস্য প্রভাব খাটাচ্ছেন বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে গণমাধ্যমে। এসব ঘটনায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।  শুক্রবার (৩ মে) রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম এই নোটিশ দেন। নোটিশে আগামী দুইদিনের মধ্যে লিখিত জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে আমিনুল ইসলাম সরকারকে।  নোটিশে উল্লেখ করা হয়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী, ‘নির্বাচনি প্রচারণার ক্ষেত্রে যেকোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্য যেকোনো ব্যক্তির সমান অধিকার থাকিবে। সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্বাচন-পূর্ব সময়ে নির্বাচনি এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন না এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাহার পক্ষে অর্থ, অস্ত্র ও পেশিশক্তি কিংবা স্থানীয় ক্ষমতা দ্বারা নির্বাচন প্রভাবিত করা যাইবে না।’ কিন্তু আমিনুল ইসলাম সরকারের পক্ষে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের সংসদ সদস্য প্রভাব বিস্তার করছেন মর্মে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়াও গত ১ মে আমিনুল ইসলাম বেলকুচি থানার ভেতরে ঢুকে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী জনাব মো. বদিউজ্জামান ফকিরের ওপর আক্রমন করেছেন। এ বিষয়ে বদিউজ্জামান ফকির লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এসব কর্মকান্ড উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ৩, বিধি ২২ এর (১) এবং বিধি ৩১ এর পরিপন্থী। এমতাবস্থায়, আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে কেন বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা দুই দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দাখিল করার জন্য বলা হলো। আমিনুল ইসলাম সরকারকে কারণ দর্শানোর এ নোটিশ প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম।
০৪ মে ২০২৪, ০৮:১৮

জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই আ.লীগ রাষ্ট্র পরিচালনা করছে: কাদের
জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করে নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে এবং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনা করছে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার (২ মে) আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের সই করা এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। কাদের বলেন, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৭৫ সালের পর দেশে অনুষ্ঠিত সব নির্বাচনের তুলনায় সুষ্ঠু হয়েছে। আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগ কোনো মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল না বা ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলও না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিকভাবে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারসহ সব অধিকার প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছে এবং জনগণের মধ্য থেকে উঠে আসা রাজনৈতিক শক্তি। তারই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের ভোটাধিকারসহ অন্যান্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপি সবসময় ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। যে কারণে তাদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ভীতি রয়েছে এবং তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় না। একবার তারা তাদের ক্ষমতায় আসার পথ নির্বিঘ্ন করতে অর্ধকোটি ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল। আবার ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করেছিল। যারা জনগণের ভোটাধিকার হরণের জন্য বিভিন্ন অপকৌশল গ্রহণ করেছিল তাদের মুখে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের কথা মানায় না। কাদের বলেন, বিএনপির রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য হলো যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল করা। তারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল এবং তা অবৈধভাবে ব্যবহার করে দুর্নীতি ও লুটপাটতন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। বাংলাদেশের ললাটে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কলঙ্ক লেপন করেছিল। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তাদের অপশাসন-দুঃশাসনের ফলে দেশের জনগণকে দুঃসহ জীবনযাপন করতে হতো। আজ তারা শ্রমজীবী মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলেছে। অথচ তারা ক্ষমতায় থাকতে কোনোদিন শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়ায়নি। বরং বেতন-বোনাসের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকের বুকে গুলি চালিয়ে হত্যা, সারের দাবিতে আন্দোলন করায় কৃষক হত্যা এবং বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করায় সাধারণ মানুষকে হত্যার মাধ্যমে বন্দুকের জোরে মানুষকে জিম্মি করে বাংলাদেশকে দুঃশাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট করেছিল বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আদমজী জুটমিলসহ বিভিন্ন কলকারখানা বন্ধ করে শ্রমজীবী মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে কয়েক ধাপে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে, চা-শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়িয়েছে।  কাদের বলেন, শ্রমজীবী মানুষসহ সব মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে। আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য।  
০২ মে ২০২৪, ২০:২০

শ্রাবণের বৃষ্টিধারার মতো অনর্গল মিথ্যা বলছেন আ.লীগ নেতারা: রিজভী
ওবায়দুল কাদের ও অন্য আওয়ামী লীগ নেতারা শ্রাবণের বৃষ্টির ধারার মতো অনর্গল মিথ্যা কথা বলছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।  বৃহস্পতিবার (২ মে) পথচারীদের মাঝে ঢাকা মহানগর উত্তরের বাড্ডা বিএনপির পক্ষ থেকে খাবার পানি, স্যালাইন বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।   বিএনপি নেতাদের নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে রিজভী বলেন, গতকাল বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির কর্মীরা ক্লান্ত, নেতারা হতাশ, কেউ কেউ বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। বিএনপির মুখে আন্দোলনের কথা শুনলে ঘোড়ারও হাসি পায়। আসলে বিএনপি নেতারা হতাশ বা ক্লান্ত নয়, বিএনপি নেতারা কেউ দেশ ছেড়ে যাচ্ছে না। দেশ ছেড়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতারা ও তাদের স্বজনরা। তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেবরা হতাশা থেকে শ্রাবণের বৃষ্টির ধারার মতো অনর্গল মিথ্যা কথা বলছেন। শত নিপীড়নেও বিএনপি নেতারা রাজপথে আছে এবং সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে। মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে। বিএনপির সিনিয়র এ নেতা আরও বলেন, বেসিক ব্যাংকসহ ব্যাংক লুট করে, হলমার্ক কেলঙ্কোরি করে, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার নির্মাণের নামে টাকা লুটপাট করে সে টাকা তারা বিদেশে পাচার করেছে। তারা মালয়েশিয়া, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ায় সেকেন্ড হোম তৈরি করে তাদের স্ত্রী-সন্তানদের, আত্মীয় স্বজনদের সেখানে পাঠিয়ে দিচ্ছে। আমরা তো আছি জেলে আসা যাওয়ার মধ্যে। শত নিপীড়নেও রাজপথে কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি। আমরা কোনো জুলুম নির্যাতনের কাছে মাথানত করবো না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শ্রমিকদের কল্যাণে কিছুই করেনি। বরং শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য দাবিতে, বেতনের দাবিতে, বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করতে গেলে চারজন শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শ্রমিক নেতা আমিনুল হককে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে। রানা প্লাজায় হাজারো শ্রমিক হতাহত হলো, তাজরিন গার্মেন্টসে ১০০ শ্রমিক প্রাণ হারালো সেগুলো মানুষ ভুলে যায়নি। দেশে যে তাপদাহ চলছে তার জন্যও আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ী করেন রিজভী। তিনি বলেন, আজ এক একমাসের মতো দেশে খরা চলছে, অগ্নিপ্রবাহ চলছে, নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। কিন্তু শ্রমজীবী মানুষকে বাঁচানোর জন্য সরকার কিছুই করেনি। এগুলো হলো চেইন রিঅ্যাকশন। জিয়াউর রহমান খাল খনন, নদী খনন, বৃক্ষরোপন, সেচ ব্যবস্থাসহ যেসব কল্যাণমূলক কাজ করেছিল সেগুলো সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁওয়ে মানুষ সেচের জন্য পানি পাচ্ছে না। সবকিছুর জন্য ডামি সরকারই দায়ী।  
০২ মে ২০২৪, ১৪:৫৬

প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে আ.লীগ নেতার ফেসবুকে স্ট্যাটাস
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদ। এ ঘটনায় জেলাজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দিবাগত মধ্যরাতের পর কোনো এক সময় তিনি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে স্ট্যাটাসটি দেন। পরে বুধবার (১ মে) সকালে তার লেখাটি ভাইরাল হয়ে যায়। অভিযুক্ত আবুল কালাম আজাদ ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. বাকি বিল্লাহর ছোট ভাই ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লোকমান হোসেনের ভাগিনা। এর আগেও তার বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিতর্কিত লেখালেখির অভিযোগ রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে। ওই আওয়ামী লীগ নেতার শাস্তি দাবি করেছেন তারা। এদিকে সমালোচনার মুখে পড়ে বাধ্য হয়ে এক পর্যায়ে বুধবার বিকেল তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার মধ্যে কোনো এক সময় পোস্টটি ফেসবুক থেকে ডিলিট করে দেন ওই নেতা। উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রিপন আহমেদ বলেন, সরদার আজাদ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই তিনি আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন। এখন তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্ব মানেন না। এই নেতার কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। স্ট্যাটাসের বিষয়ে কথা বলতে সরদার আবুল কালাম আজাদের মোবাইল ফোনে বুধবার বিকেল ৫টা ৮ মিনিটে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সরদার আজাদের মামা লোকমান হোসেন বলেন, আজাদ ফেসবুকে যেটা লিখেছে, সেটা সে কোনভাবেই লিখতে পারে না। এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। দলীয় আলোচনার মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনভাবেই তাকে ছাড় দেয়া হবে না। পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি বলেন, শেখ হাসিনাকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার এমন স্ট্যাটাস খুবই ন্যক্কারজনক। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের জানানো হয়েছে। ওই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০১ মে ২০২৪, ২৩:১০

৭ জানুয়ারি রুহেলকে জেতাতে অনেক অপকর্ম করেছি: আ.লীগ নেতা
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া বলেছেন, ‘গত ৭ জানুয়ারি জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সুযোগ্য সন্তান মাহবুবউর রহমান রুহেলকে জেতানোর জন্য আমরা অনেক অপকর্ম করেছি। আগামী ৮ তারিখ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো অপকর্ম ছাড়া ভোটকেন্দ্র খোলা রাখব।’ সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে মিরসরাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শেখ মোহাম্মদ আতাউর রহমানের ঘোড়া প্রতীকের সমর্থনে উপজেলার বড়তাকিয়া ইভা কমিউনিটি সেন্টার প্রাঙ্গণে কর্মী সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শেখ আতাউর রহমান (ঘোড়া), প্রচার সম্পাদক প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া, বারইয়ারহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র নিজাম উদ্দিন ভিপি, দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আবু সুফিয়ান বিপ্লব, খইয়াছড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাহেদ ইকবাল চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা কালু কুমার দে, এস এম আবুল হোসেন, ইফতেখার উদ্দিন পিন্টু ও আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আলম উপস্থিত ছিলেন। ভোটকেন্দ্র দখল নিয়ে এ কে এম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া বলেন, আমাদের প্রার্থী বলেছেন আপনি ভোটকেন্দ্রে আসবেন, যাকে খুশি তাকে ভোট দেবেন। আমাদের কোনো আপত্তি নাই। যদি কেউ ভোটকেন্দ্র বন্ধ করার পাঁয়তারা করে, একজনে একাধিক ভোট দেওয়ার চেষ্টা করে, আমরা ভোটকেন্দ্র বন্ধ করে সেখানে বিক্ষোভ করব। তিনি বলেন, আমরা কোনো অবস্থাতে আর কোনো অপকর্ম চাই না। ভোট নিয়ে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, আজ বিএনপি ভোটকেন্দ্রে যায় না, আওয়ামী লীগের লোকেরাও ভোটকেন্দ্রে যেতে চায় না। শেখ হাসিনা সেজন্য চেষ্টা করেন মানুষকে ভোটকেন্দ্রে নেওয়ার জন্য।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৩৬

টিপু-প্রীতি হত্যা : আ.লীগ নেতাসহ ৩৩ জনের বিচার শুরু
রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতি হত্যা ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ তালুকদারসহ ৩৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২১ মে দিন ধার্য করেন। এর মাধ্যমে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক আলী হোসাইন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।  মামলার এজাহারে টিপুর স্ত্রী অভিযোগ করেন, ২০২২ সালের ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে ২০২ উত্তর শাহজাহানপুর মানামা ভবনের বাটার দোকানের সামনে পৌঁছামাত্রই অজ্ঞাতপরিচয়ের দুর্বৃত্তরা হামলা করেন। তারা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি গুলি করেন। ২০২৩ সালের ৫ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার ৩৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তদন্তে ৩৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মেলে। তবে এক্সেল সোহেল নামে এক আসামির পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় অব্যাহতির আবেদন করা হয়। এ ক্ষেত্রে বিচারের জন্য ৩৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। চার্জশিটে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও জাতীয় পার্টির একাধিক পদধারী নেতা আসামির তালিকায় রয়েছেন। চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা মারুফ আহমেদ মনসুর, বিদেশে পলাতক আন্ডারওয়ার্ল্ডের দুই সন্ত্রাসী জিসান ও ফ্রিডম মানিক, মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম, মতিঝিল থানা জাতীয় পার্টির নেতা জুবের আলম খান রবিন, হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক সোহেল শাহরিয়ার, ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি মারুফ রেজা সাগর, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান বাবুল, ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সদস্য কাইল্যা পলাশ, একই ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক নেতা আমিনুল, ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ‘ঘাতক’ সোহেল, সুমন শিকদার মুসা, মুসার ভাগনে সৈকত, মুসার ভাতিজা শিকদার আকাশ, ইমরান হোসেন জিতু, মোল্লা শামীম, রাকিব, বিডি বাবু, ওমর ফারুক, ‘কিলার’ নাসির, রিফাত, ইশতিয়াক হোসেন জিতু, মাহবুবুর রহমান টিটু, হাফিজ, মাসুম ও রানা মোল্লা। তাদের মধ্যে ২৪ জনই গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ হত্যা মামলায় মুসা, শুটার আকাশ ও নাসির উদ্দিন মানিক সেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।  উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুরে ইসলামী ব্যাংকের পাশে বাটার শো-রুমের সামনে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা সামিয়া আফরান প্রীতি (১৯) নামে এক কলেজছাত্রীও নিহত হন। এছাড়া টিপুর গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন। ওইদিন রাতেই শাহজাহানপুর থানায় নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০৭

পুলিশের ওপর হামলা, মদ-অস্ত্রসহ আ.লীগ নেতার স্ত্রী গ্রেপ্তার
জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রেলওয়ে কলোনিতে বাল্য বিবাহ বন্ধ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার হামলার শিকার হয়েছেন দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ এক নারী কনস্টেবল। পরে ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র ও ২০ লিটার দেশীয় মদ উদ্ধার ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী লাখি খাতুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে সিরাজগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক ব্রজেশ্বর বর্মণ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে সদর উপজেলার রেলওয়ে কলোনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত করে একটি মামলা দায়ের করেছে। গ্রেপ্তারকৃত মোছা. লাখি খাতুন পৌর এলাকার রেলওয়ে কলোনি মহল্লার আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম রানার স্ত্রী। মামলা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে জরিনা বেগম নামে একজন নারী। তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার নাবালিকা মেয়ে নদী খাতুনকে (১৪) তার স্বামী সাইদুল ইসলাম বসতবাড়িতে আটকে রেখে বাল্যবিবাহ দিচ্ছেন। এজন্য তার আইনি সহায়তা প্রয়োজন। পরে জরিনা বেগম থানায় গেলে সঙ্গে করে অফিসার ইনচার্জের নির্দেশক্রমে সিরাজগঞ্জ সদর থানার এস আই ব্রজেশ্বর বর্মনসহ সঙ্গীয় অফিসার ও নারী ফোর্স রেলওয়ে কলোনির সংবাদদাতার স্বামীর বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিবাহের সত্যতা পায়। পুলিশ বাল্যবিবাহ না দিতে নিষেধ করলে সংশ্লিট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বললে একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পৌর এলাকার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রানার নেতৃত্বে আসামি সাইদুল ইসলাম (৪০), টুনি বেগম (৪১), আমেনা বেগম (৩৫), ইব্রাহিম (২৭), রেজা (৩০), বাবু ওরফে বড়বাবু (৩০), আশিক (২৫), নুর ইসলাম (৪৬), আসলাম (৩৫), হাসানসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জন পুলিশের ওপর চড়াও হয় এবং একপর্যায়ে এস আই ব্রজেশ্বর বর্মনসহ তার সঙ্গে থাকা অফিসার ও নারী পুলিশের ওপর হামলা করেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেলটি ভাঙচুর করে। সংবাদদাতা জরিনাসহ তার সঙ্গে থাকা ছেলে জীবন (১৬) ও নাবালিকা মেয়ে নদী খাতুনকেও (১৪) মারপিট করা হয়। একপর্যায়ে পলাতক আসামিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটের ঢিল ছুড়লে ইটের আঘাতে এস আই ব্রজেশ্বর বর্মনসহ তার সঙ্গে থাকা অফিসার ও নারী পুলিশ আহত হয়। পরে সঙ্গে থাকা বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে থানায় সংবাদ দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আসামি রানার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তার স্ত্রীকে বেশকিছু দেশীয় অস্ত্র ও ২০ লিটার চোলাই মদসহ গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হওয়া আলামতগুলোর মধ্যে ৩টি তলোয়ার, ২টি বড় ছোড়া ও একটি বল্লম রয়েছে। সিরাজগঞ্জ সদর থানার উপপরির্দশক (এসআই) ব্রজেশ্বর বর্মণ বলেন, জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এ সময় সরকারী কাজে বাঁধা ও পুলিশের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এতে এএসআই মঈদুল ইসলাম, নারী কনস্টেবল ফেরদৌসী রহমান আহত হয়েছে। এ ঘটনায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে ১৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রানার মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। একারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব্য হয়নি। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাল্য বিবাহ বন্ধের সময় পুলিশের ওপরে হামলার নেতৃত্বকারী আমিনুল ইসলাম রানার স্ত্রী লাখি খাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। গ্রেপ্তারকৃত লাখি খাতুনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪৬

আহত আ.লীগ নেতাকে চিকিৎসা দিতে দেরি করায় ডাক্তারকে মারধর
চট্টগ্রামের পটিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকে চিকিৎসা দিতে দেরি হওয়ায় এক ডাক্তারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে পটিয়া পৌর সদর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যক্তির নাম রফিক হাসান (৪৬)।  এর আগে গত বুধবার (১১ এপ্রিল) রাত ১১টা ২০মিনিটের দিকে পটিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার রক্তিম দাশ (২৯) ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই ডাক্তারকে মেরে আহত করা হয়। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) ঈদের দিন রাতে পটিয়া জেনারেল হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক এস এইচ খাদেমী প্রকাশ বাহাদুর বাদী হয়ে পটিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় মোহাম্মদ মুকুল, মোহাম্মদ টিপু ও পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সৈয়দসহ অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে সাইফুল্লাহ পলাশ (৪২) নামের এক ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় পটিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এ সময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রক্তিম দাশ আহত সাইফুল্লাহ পলাশকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে পরবর্তী চিকিৎসার জন্য অপারেশন রুমে নিয়ে যান। অপারেশন রুমে যেতে দেরি হওয়ায় ডা. রক্তিম দাশকে হাসপাতালেই মারধর করা হয় এবং সরঞ্জাম ভাঙচুর করা হয়।  পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার রাতে পটিয়া জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনাটির সিসিটিভি ফুটেজে শনাক্ত করে রফিক হাসান নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। আজ তাকে আদালতে পাঠানো হবে। মামলায় অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ কাজ করছে। 
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩৩

ধর্ষণ মামলা : আ.লীগ থেকে বড় মনিরকে অব্যাহতি
টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে দলটি। তাকে চূড়ান্ত অব্যাহতির জন্য দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে সুপারিশ করেছেন শহর আওয়ামী লীগের নেতারা, এমন তথ্যও জানা গেছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ। তিনি বলেন, ঈদের আগে দলের সাধারণ সম্পাদকের কাছে গোলাম কিবরিয়াকে চূড়ান্ত অব্যাহতি প্রদানের জন্য সুপারিশ করে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদকের কোনো সিদ্ধান্ত এখনো পাওয়া যায়নি। জানা যায়, টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক এমএ রৌফ স্বাক্ষরিত এই পত্র পাঠানো হয়েছে। দলের ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদকের কাছে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ প্রসঙ্গে গোলাম কিবরিয়া জানান, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তার ও তাদের পরিবারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ এবং রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য তার বিরুদ্ধে এ ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গোলাম কিবরিয়া বড় মনির টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের দলীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনিরের ভাই। গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে গত বছর এপ্রিলে এক নারী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। ওই মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ধর্ষণের ফলে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হন। পরে ওই নারী একটি ছেলেসন্তান জন্ম দেন। আদালতের নির্দেশে ওই সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। এতে বলা হয় ওই সন্তানের জৈবিক পিতা গোলাম কিবরিয়া নন। এর কয়েক মাস পর ওই নারী আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে ওই নারীর বড় বোন তার ভাই জনি মির্জা ও সৌরভ পালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়