• ঢাকা সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪, ৩ আষাঢ় ১৪৩১
logo
দেশে ১৯৭৪ সালের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে: প্রধানমন্ত্রী
দেশে আবারও ১৯৭৪ সালের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। শনিবার (১৫ জুন) সকালে গণভবনে কৃষক লীগের উদ্যোগে তিন মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে  এমন দাবি করেন তিনি।  নিজ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে আবারও ১৯৭৪ সালের মতো পরিস্থিতি আবারও সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে আপনাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।  গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের প্রশ্নে বিএনপির আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, বিএনপির মুখে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের কথা শুনলে হাসি পায়। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানই প্রথম মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেন। শেখ হাসিনা বলেন, ভোট চুরি করে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারে না। ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়ার পদত্যাগ সেটাই প্রমাণ করে।  তিনি বলেন, বিএনপি শুধু ক্ষমতায় থাকাকালে নয়, বিরোধী দলে থাকাকালেও আন্দোলনের নামে গাছ কেটেছে। আওয়ামী লীগই দেশে প্রথম বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তিন ফসলি জমি নষ্ট করে কোনো শিল্পায়ন করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়ে সবাইকে বৃক্ষরোপণ অভিযানে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।     
১৫ জুন ২০২৪, ১৫:০৩

ভারতের মতো নির্বাচন চায় বিএনপি: ফখরুল
ভারতে যেভাবে নির্বাচন হয়েছে, বাংলাদেশেও বিএনপি সেরকম নির্বাচন চায় বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ভারতের নতুন সরকার এই প্রত্যাশাকে মর্যাদা দেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। সোমবার (১০ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে কৃষক দলের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।  তিনি বলেন, বর্তমান সরকার নতজানু, তাই ভারতের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলে না। দেশকে নতজানু ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় বলেই উন্নয়নের নামে দুর্নীতি ও লুটপাট চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ। যে আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার সংগ্রাম করেছিল, তারা এখন আর নেই। এখন আওয়ামী লীগ আজিজ আর বেনজীরের।  রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ছাড়াও বাংলাদেশ ভৌগোলিকভাবেও চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর সক্ষমতা নেই বলেই সীমান্তে হত্যা ও পানি সমস্যার সমাধান করতে পারছে না সরকার। পানি আমাদের স্বীকৃত অধিকার। কিন্তু বন্ধু দেশ ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করছে আমাদের। তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির কথা বললেও হয়নি নতুন কথা। 
১০ জুন ২০২৪, ১৭:০৭

ম্যাজিকের মতো ক্লান্তি দূর করবে এই পাওয়ারবুস্টার 
শারীরিক ও মানসিক চাপের কারণে শরীরে ক্লান্তি আসে। কম ঘুম ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কারণেও ক্লান্তির সমস্যা সৃষ্টি করে। ক্লান্তি কাজে মনোযোগের ঘাটতি ঘটায় এবং কাজের গতি কমিয়ে দেয়। এই ক্লান্তি ভাব নিয়মিত হতে থাকলে তা শরীরের জন্য খুবই নেতিবাচক একটা দিক। এতে আপনার দেহ-মন অবসাদে চলে যেতে পারে। কিন্তু রান্নাঘরের সামান্য কয়েকটা মসলা গুঁড়ো করে যদি প্রতিদিন খান তাহলে কিন্তু আপনার দুর্বলতা কাটবে। কাজে এনার্জিও পাবেন। এবার জেনে নেই কোন মসলাগুলো শরীর সুস্থ রেখে দ্রুত ক্লান্তি দূর করে— ছোট এলাচ, পোস্তর দানা, দেশি ঘি এগুলো একসঙ্গে গুঁড়ো করে যদি নিয়মিত কয়েকদিন খেতে পারেন তাহলে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়বে। এমনকী আপনার শরীর ক্লান্ত লাগবে না, দুর্বল হবেন না। শরীর থেকে দুর্বল ভাব কমাতে ও এনার্জি বাড়াতে ছোট এলাচ প্রতিদিন খেতে পারেন। যেসব উপকার পাবেন— বিভিন্ন জায়গায় গবেষণায় প্রকাশিত রিপোর্টের ভিত্তিতে জানা গেছে, এই মসলাগুলো ক্লান্তিভাব দূর করতে জ্বালানির মতো ভূমিকা রাখে। যা দুর্বল ভাব কমাতে ও এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও আরও যেসব উপকার পাবেন জেনে নিন। রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে, আপনার মস্তিষ্ক ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। শরীরে শক্তিই পাবেন আপনি, হাড় মজবুত করতে নিয়মিত দুধের সঙ্গে পান করতে হবে এগুলো।  পোস্তর দানা ও গোল মরিচ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। এতে আপনি সহজে উত্তেজিত হবেন না। মাথা ঠান্ডা থাকবে। শরীর দুর্বলতা কমাতে ও শরীরে শক্তি বাড়াতে অবশ্যই দেশি ঘি খান। এটি খেলে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা অনেকটাই বাড়বে। পেস্তা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, কপার থাকে। যা আপনার হাড় আরও মজবুত করতে সাহায্য করবে। শুধু তাই নয়, আপনার শরীরে ক্লান্তি কমাবে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাবেন। একটি খেলে আপনার শরীরের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। যেভাবে তৈরি করবেন এই মসলা— ছোট এলাচ নিয়ে এলাচের দানা বের করে নিন। তারপরে এটিকে ভালো করে গুঁড়ো করুন। এবার পেস্তা নিয়ে এক চামচ ঘি নিন সেটিকে পাত্রে নিয়ে গরম করুন, কিছু পেস্তর দানা নিয়ে হালকাভাবে ভেজে নিন। তারপরে সেগুলো ভালোভাবে গুঁড়ো করুন। মসলার গুঁড়ো একটি পাত্রে রাখুন। তারপর এক গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে আপনি যদি এই মসলার গুঁড়ো খান তাহলে আপনার রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে। শরীরে ইমিউনিটি পাওয়ার অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়বে। হাড় দুর্বল হবে না, হার্ট অ্যাটাকেরও ঝুঁকি কমবে। অল্প পরিশ্রমেই যদি শরীর দুর্বল হয়ে যায় তবে বুঝতে হবে আপনার এনার্জির ঘাটতি রয়েছে। এনার্জির অভাবে শরীর ঘনঘন ক্লান্ত হয়। এই ক্লান্তি কমিয়ে দিনভর কর্মক্ষম থাকতে চাইলে দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন এই পাওয়ারবুস্টার।
১০ জুন ২০২৪, ১৬:০০

‘আমার সঙ্গে কুকুরের মতো আচরণ করা হয় বিগবসে’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উদ্ভট পোশাকের কারণে বরাবরই আলোচনার শীর্ষে থাকেন উরফি জাভেদ। প্রতি মুহূর্তেই যেন আজব ফ্যাশনে চমক দেখান নেটদুনিয়ায়। তার পোশাকে কাপড় থাকে না বললেই চলে! কখনও ছবি দিয়ে, কখনও ফুল-ফল, তারকাঁটা কিংবা দড়ি দিয়েও পোশাক বানিয়েছেন তিনি।  সাহসী ফ্যাশনের কারণে বারবার শিরোনামে এসেছেন উরফি। এমনকি অদ্ভুত সব পোশাকের কারণে বেশ কয়েকবার দ্বন্দ্বেও জড়িয়েছেন তিনি। টেলিভিশনের হাত ধরে রুপালি পর্দায় সফর শুরু তার। এবার উরফি জানালেন, বিগবসে নাকি তার সঙ্গে কুকুরের মতো আচরণ করা হয়। তাই টেলিদুনিয়ায় না ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। সম্প্রতি ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন তিনি। উরফি বলেন, বিগবসে আমাদের সঙ্গে কুকুরের মতো আচরণ করা হয়। মুখ্য চরিত্রে যারা অভিনয় করেন, তাদের সঙ্গে যথাযথ ব্যবহার করা হলেও পার্শ্বচরিত্রে যারা অভিনয় করেন, তাদের অভিনয়শিল্পী তো দূর, মানুষ হিসাবেই গণ্য করা হয় না। তিনি আরও বলেন, আমি পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করতাম। খুব খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম। ওদের জন্য অনেক চোখের জল ফেলতে হয়েছে আমাকে। কিছু কিছু প্রযোজনা সংস্থা ভয়ঙ্কর খারাপ ব্যবহার করে। পাশাপাশি ন্যায্য পারিশ্রমিক পেতেন না বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন উরফি। মূলত এ কারণেই ভবিষ্যতে আর কখনও রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস’-এ যাবেন না তিনি।  এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, নির্মাতাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ‘বিগ বস’ আমার কাছে বড় সুযোগ ছিল। তবে বর্তমানে একটা কথাই বলতে পারি, ‘বিগ বস’-এ ফিরতে চাই না আমি। সূত্র: আনন্দবাজার 
০৬ জুন ২০২৪, ১১:৩৩

‘মনে হচ্ছিল, আমিও আবরার ফাহাদের মতো মরে যাব’
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে নিজ রুমে নিয়ে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম শাহরীন রহমান প্রলয় (২৪)। তিনি যবিপ্রবির শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার (৪ জুন) গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মসিয়ূর রহমান ছাত্রাবাসে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ সভাপতির ৩০৬ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শাহরীন যবিপ্রবি প্রশাসনের কাছে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ জুন ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান ২০২৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানার অনুসারী শাহীনুর রহমান শাহরীনকে মারধর করেন। এ ঘটনায় শাহীনুরের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দেন শাহরীন। এরই জেরে মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে ছাত্রাবাসের শাহরীনের কক্ষ থেকে তাকে তুলে নিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতির কক্ষে নেওয়া হয়। সেখানে ছাত্রলীগের সভাপতির নির্দেশে তার কয়েকজন অনুসারী শাহরীনকে এলোপাতাড়িভাবে রড দিয়ে পেটায়। রাত ২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত দফায় দফায় তাকে নির্যাতন করা হয়। ঘটনাটি যাতে ভুক্তভোগীরা কাউকে জানাতে না পারে, সে জন্য শাহরীন ও তার রুমমেট আমিনুল ইসলামের ফোন কেড়ে নেন অভিযুক্তরা। এরপর তাদের ভয়ে বুধবার সকালে মোটরসাইকেলে কালীগঞ্জ বারোবাজার গ্রামের বাড়ি চলে যান শাহরীন। দুপুরে শাহরীনের মায়ের মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত নম্বর থেকে কল দিয়ে বিষয়টি গোপন রাখতে বলা হয় অন্যথায় বোমা মেরে বাড়ি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শাহরীন জানান, ‘সোমবার আমার মাথা ফাটিয়ে দেওয়ায় ঘটনায় প্রক্টর অফিসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম। এরপর ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা ভাইয়ের নির্দেশে রাত ২টায় ঘুম থেকে তুলে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে যায় ছাত্রলীগ কর্মী আমিনুল ইসলাম ও সিয়াম। সভাপতির কক্ষে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই ছাত্রলীগ নেতা আশিকুজ্জামান লিমন, ইসাদ, রায়হান রহমান রাব্বি, বেলাল হোসেন, শেখ বিপুল, রাইসুল হক রানাসহ প্রায় ১০-১৫ জন আমার ওপর অতর্কিত মারধর শুরু করে। এ সময় রুমের মেঝেতে লুটিয়ে পড়ি। তখন তাঁরা আমাকে পা দিয়ে লাথি মারতে থাকে।’ তিনি বলেন, ‘এ সময় তারা আমাকে বলতে থাকে, কেন প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিস? এ সময় তারা আমার মোবাইল কেড়ে নেয়। একপর্যায়ে আমাকে মোটা রড দিয়ে পেটাতে শুরু করে। ভোর ৫টা পর্যন্ত চলে দফায় দফায় এমন নির্যাতন। এমন সময়ে আমার মনে হচ্ছিল, আমিও মনে হয় বুয়েটের আবরার ফাহাদের মতো মরে যাব। তিনি আরও বলেন, প্রাণে বাঁচতে আমি ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা ভাইয়ের পা জড়িয়ে ধরে বাঁচার আকুতি জানাই। এ সময় সোহেল রানা বলেন, কালকের মধ্যে অভিযোগ তুলে নিবি, না হলে তোকে গুলি করে মারব। এ সময় সোহেল আমাকে বুকে লাথি মেরে আমাকে মেঝেতে ফেল দেয়। ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাগ গুছিয়ে বাড়ি চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। হাসপাতালে কান্নাজড়িত কণ্ঠে শাহরিন বলেন, আমি ও আমার পরিবার নিয়ে হুমকির মুখে আছি। অভিযুক্তরা আমার পরিবারের ওপর বোমা মারার হুমকিও দিচ্ছে। এই ঘটনায় বিচারের দাবি জানাচ্ছি। যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপিং-দ্বন্দ্ব থাকে। এসব গ্রুপিংয়ে বারবার আমার নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ক্যাম্পাসে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে যা হয়েছে, সেটা মাঠের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। ঘটনার দিন আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না। যশোরের বাইরে ছিলাম। মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে আমি ছাত্রাবাসে প্রবেশ করেছি। আমরা বিরুদ্ধে যা অভিযোগ করা হচ্ছে, সেটা রাজনীতিকভাবে আমি প্রতিহিংসার শিকার। এ বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আমার কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানিয়েছে। তাকে এতই ভীত-সন্ত্রস্ত মনে হচ্ছিল যে কথা বলতে পারছিল না। তাকে বলেছি লিখিত অভিযোগ দিতে। অভিযোগ পেলে তদন্ত কমিটি করা হবে। তদন্ত রিপোর্ট শেষে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৬ জুন ২০২৪, ১২:০০

লোকসভা নির্বাচন / তৃতীয়বারের মতো জয়ী দেব
ওপার বাংলার দর্শকপ্রিয় অভিনেতা দেব। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিতেও বেশ সরব তিনি। ঘাটাল-ই থাকছে দীপক অধিকারী দেবের ভূমি। এবারের  লোকসভা নির্বাচনে টানা তিনবারের মতো জয়ী হলেন এই অভিনেতা। বিকাল ৪টা পর্যন্ত ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে ১ লক্ষ ২০ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে ছিলেন তৃণমূলের এই তারকা প্রার্থী। এর আগে ২০১৪ এবং ২০১৯, পর পর দু’বার ঘাটাল থেকে জিতেছেন দেব। গত বারের ভোটে বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ হেরেছিলেন তার কাছে। এবার ঘাটালে ‘কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা’র কৌশল নিয়েছিল বিজেপি। দেবের বিরুদ্ধে তারা দলের অভিনেতা-বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছিল। অভিনয় থেকে রাজনীতি, দুই ক্ষেত্রেই দেব-হিরণের ‘মসৃণ সম্পর্ক’ কারও অজানা নয়। সেটাই কাজে লাগানোর চেষ্টা করে পদ্ম শিবির। কিন্তু সেই চেষ্টা যে বিফলে গেল, তা মোটামুটি পরিষ্কার। আপাতত পার্শ্বচরিত্র হয়েই থেকে গেলেন হিরণ।
০৪ জুন ২০২৪, ১৮:০৩

বেনজীর-আজিজের মতো আরও অনেকে ঘাপটি মেরে আছে: রিজভী
বেনজীর-আজিজের মতো আরও অনেকে ঘাপটি মেরে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার (৩১ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পানি-বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য অযৌক্তিকভাবে বারবার বৃদ্ধি ও বগুড়ায় তারেক রহমানের উদ্বোধন করা ‘ম্যুরাল’ ভাঙার প্রতিবাদে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে নিতেই বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হচ্ছে। জনগণ এই নিয়ে হইচই করুক। আর বেনজীর-আজিজের দিকে নজর যেন না যায়, মনোযোগ যেন না থাকে। যেগুলো এখন সবার চোখের সামনে ভাসছে। এ কারণে তারা এই দাম বাড়িয়েছে। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর প্রধান ও পুলিশের প্রধানও যে মাফিয়াতন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত, সেটা জনগণ কিছুটা জানলেও, বিস্তারিত জানতো না। তারা আন্দোলন দমন করেছে। তৎকালীন আইজিপি প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছে। কিন্তু তারা নিজেরাও যে এত বিত্তবৈভবের মালিক, এটা জনগণ এখন জানছে। কেন তাদের এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে? কারণ এরাই তো বিএনপির মিছিল, কর্মসূচি, যেকোনও ধরনের সমাবেশ অত্যন্ত নির্দয়-নির্মমভাবে দমন করেছে। এর পুরস্কার হিসেবে শেখ হাসিনা তাদের একের পর এক পদোন্নতি দিয়েছেন। বেনজীরকে এসপি থেকে পুলিশ কমিশনার, তারপর আইজিপি করেছেন উল্লেখ করে রিজভী বলেন, বেনজীর যে অপকর্ম করেছেন, শেখ হাসিনা সেগুলো দেখেও না দেখার ভান করেছেন। কারণ তিনিই তো অবৈধ। তিনি অবৈধ প্রধানমন্ত্রী থাকার জন্যই এরা নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করেছে। এ জন্য তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে কোনও ধরনের ব্যবস্থা তারা নিতে পারে না। বেনজীর-আজিজের মতো আরও অনেকে ঘাপটি মেরে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, যারা জনগণকে দমন করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে, তারা মাফিয়াবান্ধব সরকার, তারা সিন্ডিকেট বান্ধব সরকার। এই সরকারই হচ্ছে অপরাধী সরকার। বেনজীর ও আজিজের সব দায়দায়িত্ব আওয়ামী সরকারের। একদিন জনগণের আদালতে জনগণ বিচারক হয়ে এই সরকারের সব অপকীর্তির বিচার করবে। রিজভী বলেন, জীবনের ওপর নাম পানি, যারা এই পানি কেড়ে নেয়, তারা তো ইয়াজিদের মতো। ইয়াজিদ যেমন ইমাম বাহিনীর পানি কেড়ে নিয়েছিল ফোরাত নদী অবরোধ করে। ইমাম বাহিনীর অনেক শিশু পানির তৃষ্ণায় কাতরাতে কাতরাতে মারা গিয়েছিল। সরকার তো সেটাই করছে জনগণের সঙ্গে। মানুষের বেঁচে থাকার কোনও অবলম্বনই শেখ হাসিনা রাখতে চান না মন্তব্য করে তিনি বলেন, গতকাল ডিজেল, পেট্রোল, অকটেনের দাম বাড়ানো হয়েছে। ডিজেলের দামের সঙ্গে অনেক কিছুর সম্পর্ক। সেচ, কৃষি, বিদ্যুৎ উৎপাদন, গণপরিবহনের সম্পর্ক। অর্থাৎ এখানেও সাধারণ মানুষ যাতে কষ্ট পায়, তাকে যদি বেশি ভাড়া দিতে হয়, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে গতকাল জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে। অর্থাৎ জনগণ হচ্ছে ওদের (সরকার) কাছে একটা পাইলট প্রজেক্ট। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আপনার তো কষ্ট হয় না। কারণ আপনি বাড়ি গেলে সামনে পুলিশের হুইসেল বাজে। আর সাধারণ যারা যাত্রী বছরের আনন্দ করতে ঈদ পালন করতে যায় কষ্ট করে, সে খবর কি রাখেন আপনি? আপনার কথায় জনগণের সঙ্গে ব্যঙ্গ করা হয়েছে। এ সময় ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, তিনি তো খুব শক্তিশালী, বিদেশ থেকে অফিস পরিচালনা করেন। অনেক দুর্নীতি অভিযোগ থাকার পর তার চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি হয়, এতেই বোঝা যায় সরকারপ্রধান কেনো এই ধরনের লোকদের নিয়োগ করেন। এরা সরকারের পারপাস সার্ভ করেন। সরকারের যে অশুভ উদ্দেশ্য সেগুলো তারা পালন করে। এ কারণে তারা পানির দাম বৃদ্ধি করেছেন। বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়ের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিতি ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, নির্বাহী কমিটির সদস্য মাওলানা শাহ নেসারুর হক, তাঁতী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।
৩১ মে ২০২৪, ১৮:০৯

দম বন্ধ হওয়ার মতো পরিস্থিতিতে আমরা বসবাস করছি: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা এখন দম বন্ধ করার মতো পরিস্থিতিতে বসবাস করছি। এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও সততা ধারণ করে কাজ করতে পারলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আমরা ফিরে পাব। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে কাফরুল থানা বিএনপির উদ্যোগে খাবার বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী বলেন, আজকে যারা ক্ষমতায় আছেন তারা নির্বাচনকে নির্বাসনে দিয়েছে। আজকে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন না, সবকিছু বন্দি করেছে তারা। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে জাদুঘরে পাঠিয়েছেন। তিন বলেন, দেশের সব দুর্যোগে মেজর জিয়াউর রহমান জাতির ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। ৭১ সালে দেশের নেতৃত্ব যখন দোদুল্যমান, তারা যখন কোনো দিক নির্দেশনা দিতে পারছিলেন না, ঠিক ওই সময় সেনাবাহিনীর একজন মেজর চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ করলেন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমান বাকশাল বন্ধ না করলে বাকশাল যেভাবে কায়েম করা হয়েছিল তা অব্যাহত রাখা হতো। জিয়াউর রহমান রাজনীতি করেছেন, তেমনি সবাই রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছেন। এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল আলম তেনজিংসহ দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 
০১ জুন ২০২৪, ১২:৩৩

মুরগির ধান খাওয়ার মতো তুচ্ছ ঘটনায় মামলা হচ্ছে : প্রধান বিচারপতি
মানুষ এখন মুরগি ধান খাওয়ার মতো তুচ্ছ ঘটনায় মামলা করে। ছোট ঘটনাগুলো মীমাংসার মধ্যদিয়ে মামলার জট ও সময়ক্ষেপণ কমানো সম্ভব বলে মনে করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। বুধবার (২২ মে) দুপুরে লালমনিরহাটে ‘ন্যায় কুঞ্জ’ উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।  জেলায় জেলায় আদালতে আইনি সহায়তা পেতে আসা মানুষদের জন্য ‘ন্যায় কুঞ্জ’ তৈরি করা হচ্ছে। মামলার জটের সমস্যা সমাধান করতে সরকার কাজ করছে বলে সকলকে আশ্বস্ত করেন প্রধান বিচারপতি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ইকবাল কবীর, আপিল বিভাগের বিচারপতি সাইফুল ইসলাম, জেলা ও দায়রা জজ মিজানুর রহমান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ, পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানের, জেলা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিমসহ অনেকে।
২২ মে ২০২৪, ১৮:২৯

দোকানের মতো মুচমুচে চিকেন ফ্রাই তৈরির রেসিপি
বড় থেকে ছোট, সবারই পছন্দের তালিকায় থাকে চিকেন ফ্রাই। তবে সব সময় দোকানের চিকেন ফ্রাই খাওয়া উচিত নয়, তাই অনেকে আছেন যারা বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে চান চিকেন ফ্রাই। চিকেন ফ্রাই বানানোর সমস্ত উপকরণ থাকা সত্ত্বেও দোকানের মত মুচমুচে ভাজা চিকেন কিছুতেই তৈরি করা যায় না। কিন্তু কেন? আসলে দোকানে চিকেন ফ্রাই তৈরি করার জন্য এমন কিছু সিক্রেট মসলা দেওয়া হয়, যা আপনি জানেন না। তাই দোকানের মত চিকেন ফ্রাই তৈরি করতে পারেন না আপনি। আজ সেই রেসিপি জেনে নিয়ে আপনিও তৈরি করতে পারেন দোকানের মত চিকেন ফ্রাই। দোকানে ব্যবহার করা ১১টি মসলা এবং তার পরিমাণ— ২/৩ টেবিল চামচ লবণ, তিন টেবিল চামচ সাদা গোলমরিচ, এক টেবিল চামচ গোল মরিচ, ১/২ টেবিল চামচ পুদিনার রস, এক টেবিল চামচ বিট লবণ, এক টেবিল চামচ সরিষা, ২ টেবিল চামচ গার্লিক সল্ট। এটি আপনি তৈরি করতে পারবেন গুঁড়ো রসুন এবং লবনের সংমিশ্রণ। ১ টেবিল চামচ আদা বাটা, ১/৩ টেবিল চামচ অরিগানো, ৪ টেবিল চামচ পাপরিকা, ১/২ টেবিল চামচ থাইম। এবার জানুন দোকানে কোন গোপন রেসিপি ব্যবহার করে— সঙ্গে সঙ্গে ভেজে ফেলা: মসলাগুলো চিকেনের সঙ্গে ব্রেডিং করার পরেই চিকেনগুলো ভাজতে দিয়ে দেওয়া হয়। ব্রেডিং করার পর যদি আপনি দেরি করেন সে ক্ষেত্রে চিকেনের ওপরের আস্তরণ আলগা হয়ে যায় এবং চিকেন খুলে যায়, ফলে চিকেন ভাজা মুচমুচে হয় না। তাপমাত্রা নির্ধারণ: দোকানে চিকেন ভাজার জন্য একটি শক্তিশালী ফ্রায়ার ব্যবহার করা হয়, যাতে চিকেন ফ্রাই বেশ মুচুমুচে হয়ে যায়। আপনার বাড়িতে প্রেসার কুকারে ৩৫০ থেকে ৩৬০° তাপমাত্রায় ১২ মিনিট চিকেনগুলো যদি ভেজে নিতে পারেন তাহলে খুব সহজে দোকানের মত চিকেন ফ্রাই তৈরি করে নিতে পারবেন। ভাজার পর পরিবেশের নয়: দোকানে কিন্তু চিকেন ভাজার পরেই পরিবেশন করে দেয় না। চিকেন ভাজার পর প্রায় ২০ মিনিট ১৭৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট তাপমাত্রায় চিকেন গুলি রাখা থাকে ওভেনে। এতে চিকেনের ভেতরটা আরও ভালো করে সেদ্ধ হয়ে যায় এবং বাইরেটা হয়ে থাকে মুচমুচে।
২১ মে ২০২৪, ১৪:২৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়