• ঢাকা সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪, ৩ আষাঢ় ১৪৩১
logo
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে ফখরুলের বিবৃতি
সংসদে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার মতে প্রশ্নোত্তর পর্বে তারেক রহমানসহ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ১৫ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামি পলাতক থাকার যে তথ্য প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন তাতে তারেক রহমানের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। ২১ আগস্ট বোমা হামলা মামলায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তারেক রহমানসহ বিএনপির কয়েকজন নেতাকে যুক্ত করা হয়েছে। ফখরুলের দাবি, জাতীয়তাবাদী নেতৃত্বকে দুর্বল এবং গণতন্ত্রকে বিপন্ন করতে নিজেদের মতাদর্শের অবসরপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তাকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে বর্তমান আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর তারেক রহমানের নাম চার্জশিটে ঢোকায়। এটি তারেক রহমানের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে তাদেরই আন্দোলনের ফসল ১/১১-এর সরকারের সময়সহ দুই দফা তদন্ত ও চার্জশিটে তারেক রহমানের নাম না থাকার পরেও তাকে জড়িত করা সম্পূর্ণরূপে আওয়ামী সরকারের চরম আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ।  তিনি আরও বলেন, চারিদিক থেকে ব্যর্থ আওয়ামী সরকার রাজনৈতিক বিরোধের ছায়াকে প্রলম্বিত রাখতে চান অশুভ উদ্দেশ্যে। সুশাসন ও ন্যায়বিচার থাকলে লুটেরা, টাকা পাচারকারী এবং ক্ষমতার ঘনিষ্ঠ ঋণখেলাপিদের আইনের আওতায় শাস্তি হতো। অথচ তারাই আজ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। দেশে আইনের শাসনের অনুপস্থিতিতে সত্যের জন্য, সম্মানের জন্য, আত্মমর্যাদার জন্য সুশীল ভদ্রলোকদের সমাজে টিকে থাকা অসম্ভব করে তোলা হয়েছে। স্বার্থান্ধ, ঔদ্ধত্য ও মহাদুর্নীতিকে পর্দার আড়ালে রেখে সরকার এখন তারেক রহমানের বিষোদগার করছেন বলে যোগ করেন ফখরুল। 
১৩ জুন ২০২৪, ১৫:২৩

সাংবাদিক ইমনের ওপর হামলায় বিজেসি’র নিন্দা 
একাত্তর টিভির সাংবাদিক ইসতিয়াক ইমন ও ক্যামেরাপারসন খোরশেদ আলমের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি)। বুধবার (১০ এপ্রিল) সংগঠনটির নির্বাহী (দপ্তর) পারভেজ রেজা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার রেল ক্রসিং এলাকায় বেসরকারি টেলিভিশন একাত্তর টিভির দুটি গাড়িতে হামলার পর ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন সাংবাদিক ইসতিয়াক ইমন ও ক্যামেরাপারসন খোরশেদ আলম। আরও আহত হন গাড়ির দুজন চালক। তাদেরকে লক্ষ্য করে ইট-পাথরও নিক্ষেপ করে সংঘবদ্ধভাবে ছিনতাইকারীরা। ছিনিয়ে নেয় টাকা, মানিব্যাগ ও পরিবারের জন্য কেনা ঈদের নতুন পোশাক। একপর্যায়ে ক্যামেরাম্যান খোরশেদ আলমকে জিম্মি করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাও করে। এ সময় উপর্যুপরি কিল-ঘুসি মেরে তাকে জখম করা হয়। দুঃখজনক  হলো ঘটনাস্থল উল্লেখ করে ঘটনার বিবরণ দিয়ে থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হলেও তিন থানার কেউই কোনো দায় নিতে চায়নি। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জাচ্ছে বিজেসির চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হক এবং সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ। একইসঙ্গে থানার সীমা নিয়ে গড়িমসি না করে দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার আহ্বান জানান তারা।  
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:২৮

নাজমুল সাঈদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, ক্র্যাবের নিন্দা ও প্রতিবাদ
বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সদস্য ও ইন্ডিপেডেন্ট টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার নাজমুল সাঈদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ক্র্যাব। একজন পেশাদার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এই ধরণের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বানোয়াট মামলা হওয়ায় ক্র্যাব এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। ক্র্যাবের এই সদস্যকে কোন ধরনের হয়রানি যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী না করেন তার অনুরোধ জানিয়ে ক্র্যাব। ক্র্যাব সভাপতি কামরুজ্জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, এই মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে নাজমুল সাঈদকে হয়রানি করা যাবে না। ক্র্যাব দ্রুত এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে। নাজমুল সাঈদ জানান, হাতবাড়ালে কীভাবে মাদকের দেখা মেলে তার একটি বাস্তব দৃশ্য ধারণে অনুসন্ধানে যায় টিম তালাশ। অনুসন্ধানের স্বার্থে নগদ টাকা দিয়ে হোটেল রুম বুক করা হয়। গোপন ক্যামেরায় সব ধারণও করে তালাশ। পরে পরিচয় দিয়ে রিসোর্ট মালিকের বক্তব্য নিতে গেলে ক্ষেপে যান মালিক নোমানুল হক সাজিম। এক পর্যায়ে তালাশ টিমের উপর হামলা ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। ঘিরে ফেলে সাজিম বাহিনীর সদস্যরা।  এরপর তালাশ টিমকে ভুয়া প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে সাজিম। তার মাসিক মাসোহারা ভুক্ত ভুয়া সাংবাদিকদের দিয়ে শুরু করেন অপপ্রচার। বাকবিতণ্ডার একটি খন্ডিত অংশ দিয়ে তারা অপকর্ম ঢাকার মিশনে নেমে পড়েন। ইয়াবা ব্যবসাী সাজিমের মদদপুষ্ট স্থানীয় একটি পত্রিকাসহ বেশকিছু ভুঁইফোড় অনলাইনে মিথ্যা খবর প্রকাশ করতে থাকে একেরপর এক। অথচ, পুরো ঘটনা উল্টো। তিনি বলেন, ঘটনার পর জানা যায়, সাজিম ও তার পরিবার মিলে শহর জুড়ে গড়ে তুলেছেন অপরাধের সম্রাজ্য। সাজিমসহ তার পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে, ইয়াবা, ছিনতাই, চুরি, দখলসহ নানা অপরাধে ১৮টিরও বেশি মামলা রয়েছে।  সাজিম এর আগেও বিভিন্ন অপরাধের কারণে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন। কক্সবাজারের চিহ্নিত অপরাধীর তালিকাতেও রয়েছে তার নাম। এসব মাদকের বিরুদ্ধে নিউজ প্রকাশ করায় চট্টগ্রাম আদালতে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে আর কক্সবাজার আদালতে মানহানির মামলা করা হয়েছে নাজমুল সাঈদের বিরুদ্ধে। ক্র্যাব এই মিথ্যা মামলা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে এবং নাজমুল সাঈদকে কোন ধরনের হয়রানি না করার অনুরোধ জানান ক্র্যাব সভাপতি কামরুজ্জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৫

মস্কোয় সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানালেন প্রধানমন্ত্রী 
রাশিয়ার মস্কোয় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  রোববার (২৪ মার্চ) দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে পাঠানো এক শোক বার্তায় তিনি এই নিন্দা জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার শোক বার্তায় মস্কোর সন্ত্রাসী হামলাকে সমগ্র মানব সভ্যতা ও মানবিক মূল্যবোধের ওপর হামলা হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি হামলায় নিহতদের আত্মার শান্তিকামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতে মস্কোর ক্রোকাস সিটি কমপ্লেক্সে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। এ সময় সেখানে কনসার্ট চলছিল। চার বন্দুকধারী কনসার্টে অংশ নেওয়া মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:২০

কক্সবাজারে তালাশ টিমের ওপর হামলায় ক্র্যাবের নিন্দা 
পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার শিকার হয়েছেন ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার নাজমুল সাঈদ ও সিনিয়র চিত্র সাংবাদিক কাজী মোহাম্মদ ইসমাইলসহ স্থানীয় টিভির সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন রাব্বানী। রোববার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় কক্সবাজারের রাজভীর রিসোর্টে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তাদের ওপর হামলা করেন রিসোর্টের মালিক নোমানুল হক সাজিমসহ তাদের বাহিনী। এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব)। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ক্র্যাবের দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন তালুকদারের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। সংগঠনটির সভাপতি কামরুজ্জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, কক্সবাজারের পর্যটক এলাকায় হাত বাড়ালেই মাদক পাওয়া যায় তার একটি বাস্তব দৃশ্য ধারণ করার জন্য নাজমুল সাঈদ ও তার টিম তালাশ কক্সবাজারের রাজভীর রিসোর্টে অনুসন্ধানে যায়। সংবাদ সংগ্রহের স্বার্থে নগদ টাকা দিয়ে রুম বুক করেন। ইয়াবা বিক্রি ও অসামাজিক কার্যাকলাপ গোপন ক্যামেরায় ধারণও করেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পরে তালাশ টিমের পরিচয় দিয়ে সংশ্লিষ্ট রিসোর্ট মালিকের বক্তব্য নিতে গেলে উত্তেজিত হয়ে পড়েন মালিক নোমানুল হক সাজিম। একপর্যায়ে হামলা ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালান। এ সময় সাজিম বাহিনীর সদস্যরা তালাশ টিমকে চারদিক থেকে ঘিরে রাখে। ঘটনার একপর্যায়ে টিম তালাশকে ভুয়া প্রমাণ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন সাজিম বাহিনী। তার মাসোহারাভুক্ত ভুয়া সাংবাদিকদের দিয়ে শুরু করেন অপপ্রচার। বাগবিতণ্ডার একটি খণ্ডিত অংশ দিয়ে তার অপকর্ম ঢাকার মিশনে নেমে পড়েন সাজিম বাহিনী। ইয়াবা ব্যবসায়ী সাজিমের মদদপুষ্ট স্থানীয় একটি পত্রিকাসহ বেশ কিছু ভুঁইফোড় অনলাইনে মিথ্যা খবর প্রকাশ করতে থাকে একেরপর এক। অথচ পুরো ঘটনা উল্টো। তালাশ টিমের ওপর হামলার ঘটনায় কক্সবাজার সদর থানায় তালাশ টিমের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইছার হামিদ জানান, কক্সবাজারে তালাশ টিমের ওপর হামলার বিষয়ে আপাতত কোনো তথ্য দিতে পারছি না। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তালাশ টিমের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত জানাতে পারব। উল্লেখ্য, রিসোর্ট মালিক সাজিম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসা ছিনতাই, চুরি, দখলসহ নানা অপরাধে ১৮টিরও বেশি মামলা রয়েছে। সাজিম এর আগেও বিভিন্ন অপরাধের কারণে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন। কক্সবাজারের চিহ্নিত অপরাধীর তালিকায় রয়েছে তার নাম।
১৪ মার্চ ২০২৪, ২১:১৭

পাকিস্তানের সহিংসতার নিন্দা জানাল জাতিসংঘ
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার (ওএইচসিএইচআর) পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছেন এবং কর্তৃপক্ষকে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচন নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। এতে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে মামলা এবং তার অযোগ্যতার পাশাপাশি নির্বাচনে নারী ও সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র লিজ থ্রোসেল প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও বলেন, পাকিস্তানে সংসদীয় নির্বাচনের আগে আমরা রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সব ধরনের সহিংসতার নিন্দা জানাই এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অর্থবহ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই। তিনি উল্লেখ করেন যে, অন্তত ২৪টিরও বেশি ঘটনা ঘটেছে যেখানে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ভোটের আগে রাজনৈতিক দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছে। গত ১৫ বছরে অনেক নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক অর্জন। মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রতি দেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার জন্য নারী ও সংখ্যালঘুসহ সকল মানুষের অংশগ্রহণের অধিকার নিশ্চিত করা নির্বাচনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। ওএইচসিএইচআর মুখপাত্র পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা, সমর্থক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে ‘হয়রানি, গ্রেপ্তার এবং দীর্ঘায়িত আটকের’ বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পাকিস্তান কর্তৃপক্ষকে একটি ‘সম্পূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচন নিশ্চিত করার এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি পুনরায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও এমন একটি পরিবেশের প্রতি পুনরায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবে যাতে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের পূর্ণ পরিসরকে প্রচার ও সুরক্ষা দিতে পারে।  
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:২৭

গাজায় ৯ দেশের ত্রাণ সহায়তা বন্ধ ঘোষণা, জাতিসংঘের নিন্দা
সাড়ে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। তাদের নির্বিচার হামলায় ইতোমধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে অবরুদ্ধ উপত্যকার বেশিরভাগ অংশ। নিরাপদ পানি, খাদ্য আর ওষুধের অভাবে মানবেতর জীবন পার করছে সেখানকার প্রতিটা বাসিন্দা। এমন পরিস্থিতিতেই মার্কিন নেতৃত্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাবাসীর জন্য সব ধরনের ত্রাণ সহায়তা বন্ধ ঘোষণা করল ৮টি দেশ।  ফিলিস্তিনিদের ত্রাণ সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার তহবিল বন্ধের ঘোষণার পর এ তালিকায় সর্বশেষ নাম লিখিয়েছে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড এবং ফিলন্যান্ড। শুক্র ও শনিবার (২৬-২৭ জানুয়ারি) আলাদা দুটি বিবৃতিতে দেশগুলো ইউএনডব্লিউএ'র ফিলিস্তিন শরণার্থী তহবিলে অর্থ দেবে না বলে ঘোষণা করেছে। এই সিদ্ধান্তের পেছনে দেশগুলোর যুক্তি, ইসরায়েলে ৭ অক্টোবরের হামাস যে হামলা চালিয়েছে তাতে ইউএনডব্লিউএ'র কয়েকজন কর্মী সহায়তা করেছে। কিন্তু এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সহায়তা বন্ধের ঘোষণার কোনো যৌক্তিকতা নেই মন্তব্য করে নিন্দা জানিয়েছে ইউএনডব্লিউএ।  ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থান সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ গাজায় পরিচালিত জাতিসংঘের বৃহত্তম সংস্থা। সংস্থাটি গাজা, পশ্চিম তীর, জর্ডান, লেবানন এবং সিরিয়ার ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং অন্য মানবিক সহায়তা প্রদান করে। গাজার অভ্যন্তরে সংস্থাটির প্রায় ১৩ হাজার কর্মী রয়েছে। ফিলিস্তিনিদের ত্রাণ সংস্থায় অর্থ বরাদ্দ স্থগিত করা দেশগুলোকে পুনরায় তাদের সিদ্ধান্ত বিবেচনার আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থান সংস্থা-( ইউএনআরডব্লিউএ)। গাজায় প্রায় ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি এই তহবিলের ওপর বেঁচে আছেন বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি।  শনিবার ( ২৭ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে ফিলিপ বলেন,  'মাত্র কয়েকজন মানুষের বিরুদ্ধে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ফিলিস্তিনিদের ত্রাণ সংস্থায় অর্থায়ন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত দু:খজনক। তাছাড়া যুদ্ধময় পরিস্থিতিতে একটি সংস্থার বিরুদ্ধে এ ধরণের নিষেধাজ্ঞা দেওয়াটা দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়। এই পরিস্থিতিতে কয়েকজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ আনাটাও বিবেচনাপ্রসূত নয়।' প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই জাতিসংঘের এই সংস্থার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে আসছে ইসরায়েল। সর্বশেষ জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থাটিতে অর্থায়ন না করার ঘোষণা দিয়ে বসলো যুক্তরাষ্ট্র ও ৮ টি দেশ। যদিও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বরখাস্ত ও একটি সুষ্ঠু তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে  জাতিসংঘের এই  সংস্থাটি।   
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়