• ঢাকা সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪, ৩ আষাঢ় ১৪৩১
logo
প্রধানমন্ত্রী ভারত থেকে শক্তি সঞ্চয় করে এসেছেন: রিজভী
প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর থেকে শক্তি সঞ্চয় করে এসেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।  রিজভী বলেন, বর্তমান ডামি সরকারের ডামি বাজেটে সাধারণ করদাতা ও উদ্যোক্তাদের সুবিধা দেওয়া হয়নি। গরিবদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা হচ্ছে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে বরাদ্দ টাকা বৃদ্ধি করা হয়নি। এই সরকার লুটেরা ও টাকা পাচারকারীদের প্রতিনিধি। সরকার নিজের মুখ ঢাকতে আবারও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে নিয়ে বিষোদ্গার শুরু করেছে। তিনি বলেন, বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে শেখ হাসিনা ২১শে আগস্টের বোমা হামলার মামলায় তারেক রহমানসহ ১৫ জন পলাতক রয়েছে বলে উল্লেখ করে এখন নাকি তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাবেন বলে জানিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে বোমা হামলায় তারেক রহমানসহ বিএনপির অন্যান্য নেতাদেরকে ফরমায়েশি রায়ে যে সাজা দেওয়া হয়েছে সেটি যে সাজানো মামলায় ফরমায়েশি সাজা তা আজ সর্বজনবিদিত। সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল প্রমুখ।
১৩ জুন ২০২৪, ২২:১৮

শেখ হাসিনার ভোটও লাগে না, নির্বাচনও লাগে না: রিজভী
সরকার গঠনে শেখ হাসিনার ভোট কিংবা নির্বাচন লাগে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। সোমবার (৩ জুন) বিকেলে যশোরে বিডি হল মিলনায়তনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনাসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী বলেন, বর্তমান সরকার প্রধানের ভোটও লাগে না, নির্বাচনও লাগে না। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত বঙ্গভবন থেকে শেখ হাসিনা যে তালিকা দেন, সেটাই নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের দিন প্রকাশ করবেন। আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। এটাই হচ্ছে বিধান, এটাই শেখ হাসিনা তৈরি করেছেন। এর বাইরে অন্য কিছু হয় না। তাই প্রধানমন্ত্রীর জনগণের দরকার পড়ে না, বেনজির আজিজদের মতো কিছু লোকদের দরকার পড়ে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারকে  নিয়ে শয়নে-স্বপনে প্রতিনিয়ত অপপ্রচার চালান, বিষোদ্গার করেন। তাতে জনগণের কিছু আসে যায় না। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে কোনো রাজনৈতিক দল বন্ধ করেননি। প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছেন। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তা দিচ্ছেন না। হেরে যাওয়ার ভয়ে তিনি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিচ্ছেন না।  বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, আজকে পুলিশের অনুমতি নিয়ে রাজনীতিক দলকে কথা বলতে হয়। আবার সংবাদপত্রগুলো সব কথা ছাপাতে পারে না, ছাপাতে ভয় পায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ওপর যে ইনডেক্স তৈরি করে সেখানে তারা তুলে ধরছে বাংলাদেশে গণমাধ্যমে স্বাধীনতা কতটা নিচে অবস্থান করছে। অনেক মুক্তমনা সাংবাদিক আজ সরকারের তৈরি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেড়াজালে কারাবন্দি আছেন; কেবলমাত্র সত্য কিংবা মুক্ত মনে লেখার কারণে। তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান অতি অল্প সময়ে দেশের জন্য যে অবদান রেখে গেছেন তার বর্ণনা করা বেশ কঠিন। যারা জনগণ, সততা, ন্যায়ের পক্ষে কাজ করেন তারা অল্প সময়ে অনেক কিছু করতে পারেন। জোর করে তাদের ক্ষমতা নিতে হয় না। যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, সহস্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক জাহানারা সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, আবুল হোসেন আজাদ, সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি প্রমুখ।
০৪ জুন ২০২৪, ১৭:০৮

বেনজীর-আজিজের মতো আরও অনেকে ঘাপটি মেরে আছে: রিজভী
বেনজীর-আজিজের মতো আরও অনেকে ঘাপটি মেরে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার (৩১ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পানি-বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য অযৌক্তিকভাবে বারবার বৃদ্ধি ও বগুড়ায় তারেক রহমানের উদ্বোধন করা ‘ম্যুরাল’ ভাঙার প্রতিবাদে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে নিতেই বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হচ্ছে। জনগণ এই নিয়ে হইচই করুক। আর বেনজীর-আজিজের দিকে নজর যেন না যায়, মনোযোগ যেন না থাকে। যেগুলো এখন সবার চোখের সামনে ভাসছে। এ কারণে তারা এই দাম বাড়িয়েছে। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর প্রধান ও পুলিশের প্রধানও যে মাফিয়াতন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত, সেটা জনগণ কিছুটা জানলেও, বিস্তারিত জানতো না। তারা আন্দোলন দমন করেছে। তৎকালীন আইজিপি প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছে। কিন্তু তারা নিজেরাও যে এত বিত্তবৈভবের মালিক, এটা জনগণ এখন জানছে। কেন তাদের এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে? কারণ এরাই তো বিএনপির মিছিল, কর্মসূচি, যেকোনও ধরনের সমাবেশ অত্যন্ত নির্দয়-নির্মমভাবে দমন করেছে। এর পুরস্কার হিসেবে শেখ হাসিনা তাদের একের পর এক পদোন্নতি দিয়েছেন। বেনজীরকে এসপি থেকে পুলিশ কমিশনার, তারপর আইজিপি করেছেন উল্লেখ করে রিজভী বলেন, বেনজীর যে অপকর্ম করেছেন, শেখ হাসিনা সেগুলো দেখেও না দেখার ভান করেছেন। কারণ তিনিই তো অবৈধ। তিনি অবৈধ প্রধানমন্ত্রী থাকার জন্যই এরা নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করেছে। এ জন্য তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে কোনও ধরনের ব্যবস্থা তারা নিতে পারে না। বেনজীর-আজিজের মতো আরও অনেকে ঘাপটি মেরে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, যারা জনগণকে দমন করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে, তারা মাফিয়াবান্ধব সরকার, তারা সিন্ডিকেট বান্ধব সরকার। এই সরকারই হচ্ছে অপরাধী সরকার। বেনজীর ও আজিজের সব দায়দায়িত্ব আওয়ামী সরকারের। একদিন জনগণের আদালতে জনগণ বিচারক হয়ে এই সরকারের সব অপকীর্তির বিচার করবে। রিজভী বলেন, জীবনের ওপর নাম পানি, যারা এই পানি কেড়ে নেয়, তারা তো ইয়াজিদের মতো। ইয়াজিদ যেমন ইমাম বাহিনীর পানি কেড়ে নিয়েছিল ফোরাত নদী অবরোধ করে। ইমাম বাহিনীর অনেক শিশু পানির তৃষ্ণায় কাতরাতে কাতরাতে মারা গিয়েছিল। সরকার তো সেটাই করছে জনগণের সঙ্গে। মানুষের বেঁচে থাকার কোনও অবলম্বনই শেখ হাসিনা রাখতে চান না মন্তব্য করে তিনি বলেন, গতকাল ডিজেল, পেট্রোল, অকটেনের দাম বাড়ানো হয়েছে। ডিজেলের দামের সঙ্গে অনেক কিছুর সম্পর্ক। সেচ, কৃষি, বিদ্যুৎ উৎপাদন, গণপরিবহনের সম্পর্ক। অর্থাৎ এখানেও সাধারণ মানুষ যাতে কষ্ট পায়, তাকে যদি বেশি ভাড়া দিতে হয়, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে গতকাল জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে। অর্থাৎ জনগণ হচ্ছে ওদের (সরকার) কাছে একটা পাইলট প্রজেক্ট। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আপনার তো কষ্ট হয় না। কারণ আপনি বাড়ি গেলে সামনে পুলিশের হুইসেল বাজে। আর সাধারণ যারা যাত্রী বছরের আনন্দ করতে ঈদ পালন করতে যায় কষ্ট করে, সে খবর কি রাখেন আপনি? আপনার কথায় জনগণের সঙ্গে ব্যঙ্গ করা হয়েছে। এ সময় ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, তিনি তো খুব শক্তিশালী, বিদেশ থেকে অফিস পরিচালনা করেন। অনেক দুর্নীতি অভিযোগ থাকার পর তার চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি হয়, এতেই বোঝা যায় সরকারপ্রধান কেনো এই ধরনের লোকদের নিয়োগ করেন। এরা সরকারের পারপাস সার্ভ করেন। সরকারের যে অশুভ উদ্দেশ্য সেগুলো তারা পালন করে। এ কারণে তারা পানির দাম বৃদ্ধি করেছেন। বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়ের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিতি ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, নির্বাহী কমিটির সদস্য মাওলানা শাহ নেসারুর হক, তাঁতী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।
৩১ মে ২০২৪, ১৮:০৯

দম বন্ধ হওয়ার মতো পরিস্থিতিতে আমরা বসবাস করছি: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা এখন দম বন্ধ করার মতো পরিস্থিতিতে বসবাস করছি। এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও সততা ধারণ করে কাজ করতে পারলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আমরা ফিরে পাব। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে কাফরুল থানা বিএনপির উদ্যোগে খাবার বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী বলেন, আজকে যারা ক্ষমতায় আছেন তারা নির্বাচনকে নির্বাসনে দিয়েছে। আজকে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন না, সবকিছু বন্দি করেছে তারা। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে জাদুঘরে পাঠিয়েছেন। তিন বলেন, দেশের সব দুর্যোগে মেজর জিয়াউর রহমান জাতির ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। ৭১ সালে দেশের নেতৃত্ব যখন দোদুল্যমান, তারা যখন কোনো দিক নির্দেশনা দিতে পারছিলেন না, ঠিক ওই সময় সেনাবাহিনীর একজন মেজর চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ করলেন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমান বাকশাল বন্ধ না করলে বাকশাল যেভাবে কায়েম করা হয়েছিল তা অব্যাহত রাখা হতো। জিয়াউর রহমান রাজনীতি করেছেন, তেমনি সবাই রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছেন। এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল আলম তেনজিংসহ দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 
০১ জুন ২০২৪, ১২:৩৩

তারেকের আগে আপনার বিচার হয়ে যায় কি না: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, তারেক রহমানকে দেশে নিয়ে এসে বিচার বাস্তবায়ন করবেন? তার আগে আপনার (প্রধানমন্ত্রী) বিচার হয়ে যায় কি না? সোমবার (২৭ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।  ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধন হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে এসে বিচার কার্যকর করা হবে— প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, তারেক রহমানকে দেশে নিয়ে এসে বিচার বাস্তবায়ন করবেন? তার আগে আপনার বিচার হয়ে যায় কি না... পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে... আপনি এমন ডুবতে শুরু করেছেন, তল খুঁজে পাচ্ছেন না। পুকুরের তলায় যে ভূমি, সেই ভূমিতে আপনার পা পড়ছে না। এখন আপনি ডুবছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিএনপি নেতাদের কারাগারে রাখতে ভালোবাসেন। বিএনপি নেতাদের কারাগারে নিলে তিনি ঈদের চেয়ে বেশি আনন্দ পান।  রিজভী বলেন, খালেদা জিয়াকে তিনি অনেকদিন ধরে বন্দি করে রেখেছেন। তাকে চিকিৎসাও নিতে দিচ্ছেন না। তার না মিলছে মুক্তি, না মিলছে উন্নত চিকিৎসা। বর্তমান সরকার দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে দাবি করে রিজভী বলেন, যত ঋণ নিয়েছেন তার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ সুদ হয়েছে। ওই সুদ পরিশোধ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আপনার সরকারের পাপের সুদসহ আপনার যে বিচার হবে ওই বিচারের জন্য আপনি প্রস্তুত থাকেন। আপনার ছাত্রলীগ ডাকাতি করে, নারীর শ্লীলতাহানি করে, যুবলীগ টেন্ডারবাজি করতে গিয়ে গত ১৬-১৭ বছরে প্রায় ৫০ জন লোককে হত্যা করেছে। এই পাপগুলোর জন্য কি এদেশের আইনে বিচার হবে না?  বিএনপির সিনিয়র এই যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, যাদের আপনি এমপি বানিয়েছেন তারাই তো টাকাগুলো পাচার করেছে। তাদের প্রতিপক্ষ এমপিকে কলকাতায় কয়েক টুকরা করে কোন খালে-বিলে ফেলেছে এখন খুঁজে পাচ্ছেন না। এরা এমপি হয় কী করে?  মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার শাহ মাইনুল হোসেন। এতে বক্তব্য রাখেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরী, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো প্রমুখ। 
২৮ মে ২০২৪, ১২:১০

প্রতিবাদের জন্য নজরুল আমাদের উদ্বুদ্ধ করছেন: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আজও আমরা গণতন্ত্র ও অধিকারহারা এক ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে আছি। এই পরিস্থিতির প্রতিটি ক্ষণ প্রতিবাদের জন্য নজরুল আমাদের উদ্বুদ্ধ করছেন। শনিবার (২৫ মে) সকাল সাতটার দিকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন রিজভী। রুহুল কবির রিজভী বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মানবতা, স্বাধীনতা ও বিপ্লবের গান আমাদের প্রাণিত করেছে। আজও তা আমাদের উদ্বুদ্ধ করে। যে প্রতিবাদের ভাষা তিনি অত্যন্ত শৈল্পিক নৈপুণ্যে দিয়ে গেছেন, সেটি রপ্ত করে আমরা আজও গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ফেরানো ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লড়াই অব্যাহত রেখেছি। জাতীয়তাবাদী দলের এই সিনিয়র নেতা বলেন, আমরা যখন কারাগারে যাই, যখন আমাদের বিচার হয়। তখন আমরা নজরুলকে স্মরণ করি। কারণ আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি বলেই আমাদের সাজা দিচ্ছে, কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যেমন নজরুল এই উপমহাদেশে প্রথম স্বাধীনতার মন্ত্র তার কণ্ঠ থেকে উচ্চারিত হয়েছিলো বলেই তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাই প্রতিটি মুহূর্তে, প্রতিটি ক্ষণে তার কবিতা, গান এবং তার সমস্ত সাহিত্য সৃষ্টি আমাদের উদ্বুদ্ধ করছে, শত নিপীড়ন নির্যাতন ভোগ করে আজকের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রতিবাদ করতে, এগিয়ে যেতে। যতদিন নজরুল নির্বাক হননি, ততদিন তিনি নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করে নিপীড়িত মানুষের পক্ষে লিখে গেছেন। তিনি বলেন, নজরুল সব সময়ই প্রাসঙ্গিক। তার পথ দিয়েই আবারও ইনশা আল্লাহ এ দেশে গণতন্ত্র, রাষ্ট্রের বহুমাত্রিক বৈশিষ্ট্য, কথা বলার স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারব।  
২৫ মে ২০২৪, ১৭:৪৫

প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেশ ও জনগণ অপাঙক্তেয়: রিজভী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে শুধু ক্ষমতাই আরাধ্য, দেশ ও জনগণ অপাঙক্তেয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।  বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ৩৮১ কোটি ৬ লাখ টাকায় স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেইকেল কেনার প্রসঙ্গ টেনে রিজভী এ সময় বলেন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ২৬১টি স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেইকেল, অর্থাৎ এক ধরনের স্টেশন ওয়াগন ক্রয়ের জন্য মত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিটির মূল্য এক কোটি ৪৬ লাখ টাকা।  তিনি বলেন, গত ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের আগেই ওয়াগনগুলো কেনার কথা ছিল, যা উৎকোচ হিসেবেই মানুষ বিবেচনা করেছে। যাই হোক, সেই সময় এই ক্রয়ের বিষয়টি স্থগিত রেখে ডামি নির্বাচনে কর্মকর্তাদের অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতাস্বরূপ এখন তাদের তা দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেশ ও জনগণ অপাঙক্তেয়, শুধু ক্ষমতাই আরাধ্য। সরকারের এই নীতি কর্তৃত্ববাদী শাসনের এক চরম দৃষ্টান্ত। বিএনপির এ নেতা এরপর বলেন, ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান’ খ্যাত বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর মার্কিন সরকারের নিষেধাজ্ঞায় সরকারের লোকেরা স্তম্ভিত হয়ে গেছে। জেনারেল আজিজ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণরত নেতাকর্মীদের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছিলেন, ‘বিজিবির সবই প্রাণঘাতী অস্ত্র। কেউ আক্রমণ করলে জীবন বাঁচাতে গুলি করতে পারে।’ পক্ষান্তরে তিনি আন্দোলনরত নেতাকর্মীদের ওপর গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। রিজভী আরও বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ ও সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীররা আওয়ামী ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় গেস্টাপো বাহিনীর ন্যায় ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণেও ভূমিকা রেখেছে তারা।
২৩ মে ২০২৪, ১৪:৪৩

অচিরেই আমাদের আন্দোলন থেকে প্লাবন তৈরি হবে: রিজভী 
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ছোট ছোট বালুকনা দিয়ে যেমন মহাদেশ তৈরি হয়, তেমনি অচিরেই আমাদের আন্দোলন থেকে প্লাবন তৈরি হবে। এ সরকারকে বিদায় করে নেতাকর্মীদের মুক্ত করতে পারব ইনশাল্লাহ। মঙ্গলবার (২১ মে) নয়াপল্টনে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে তিনি এসব কথা বলেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজকে শেখ হাসিনা ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত। মিছিলের আওয়াজ শুনলেই নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করায়। আজকে আতঙ্ক থেকেই নীরব, টুকু, আবু আসফাকসহ নেতাকর্মীদের কারাগারে বন্দি করে রেখেছে।  তিনি বলেন, গোটা বাংলাদেশ এখন কাঁটাতারের বেড়ায় আটকে আছে। উন্মুক্ত কারাগারে পরিণত হয়েছে। যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে, দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে চায়, বাকস্বাধীনতা ফেরাতে চায় তাদের জায়গা হচ্ছে কারাগারে। তিনি আরও বলেন, যারা চুরি করে, সন্ত্রাসী করে এবং যারা মানুষ খুন করে তারা সবাই সরকারের লোক, মন্ত্রী এমপি বা দলের নেতাদের আত্মীয় স্বজন। দেশে সামাজিক অনাচার যারা করছে তারা ক্ষমতাসীন দলেরই লোক। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যারা কোটি কোটি ডলার চুরি করছে তাদের পুলিশ ধরতে পারছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা চুরির তদন্তের ঘটনা ৭৮বার পিছিয়েছে। সাগর রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন ১০৯ বার পিছিয়েছে। অথচ ইশরাকের মতো তরুণ, যে বিদেশ থেকে লেখাপড়া করে তার বাবার মতো মানুষের সেবা করতে রাজনীতি করছে তাকে বিনা অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মিছিলে আরও অংশ নেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মহানগরের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, মহানগরের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদল নেতা মেহেবুব মাসুম শান্ত, ওমর ফারুক কায়সার, আউয়াল।
২১ মে ২০২৪, ১৫:১৫

দুর্নীতি ঢাকতে সরকার জুলুমের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে: রিজভী 
অনিয়ম, দুর্নীতি ও মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনজীবনে যে হতাশা নেমে এসেছে সেটিকে ঢেকে রাখতে সরকার জুলুমের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এমনই ‘ওয়াশিং মেশিন’, এর ভেতর দিয়ে ঢুকলে লুটেরা, হরিলুটকারী, টাকা পাচারকারী মহাদুর্নীতিবাজরা সাফ হয়ে যায়। সোমবার (২০ মে) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, শীর্ষ ব্যবসায়ী কোনো অনুমতি না নিয়ে বিদেশে অর্থ সরিয়ে বিনিয়োগ করতে পারে। নিয়ম—নীতি না মেনে ক্ষমতাঘনিষ্ঠের কাছে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে। ফলে ব্যাংকিং খাতে চরম অব্যবস্থাপনা। ঋণখেলাপীর পরিমাণ এতটাই বেড়েছে যে, দেশের আর্থিক খাত এখন শূন্যের মধ্যে ঝুলছে। যেকোনো সময় এর ভয়ংকর ক্র্যাশল্যান্ডিং হতে পারে। আর তাই মিথ্যা আর বিভ্রান্তি আওয়ামী নেতাদের সারাক্ষণের নিত্যসঙ্গী।  সরকার মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, মানুষের মনোযোগকে ধূসর ও বিভ্রান্ত করার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সরকার অবিরাম বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছে। অথচ বিরোধী নেতাদের প্রতি রীতি ও শালীনতা উপেক্ষা করে ক্রমাগত বিষোদগার করা হয়। বিরোধী দলের কথাবলা, স্বাধীন মত প্রকাশ করা আওয়ামী নীতিবিরুদ্ধ। সারাদেশকে অনতিক্রম্য কাঁটাতারের বেড়ায় ঘিরে রাখার পরও জুলুমের পরিধি বিস্তৃত করা হচ্ছে প্রতিদিন। ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী ছিলেন। অপেক্ষাকৃত এই তরুণ নেতার জনপ্রিয়তায় ডামি সরকার মনে করছে ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতায় থাকার নিদারুণ ব্যাঘাত ঘটাবে। ইশরাকের সাহসী নেতৃত্বে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী অস্বস্তিবোধ করছে। তাই প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনকে গতকাল পল্টন থানার একটি মিথ্যা মামলায় জামিন না দিয়ে সরকারের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  রিজভী বলেন, আদালতের স্বাধীনতা থাকলে দুর্বল গদবাঁধা সাজানো মামলায় প্রকৌশলী ইশরাকসহ বিপুল সংখ্যক বিএনপি নেতাকর্মীকে অকারণে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশী সাজা প্রদান ও আটক রাখতে পারতো না। দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষরা এখন কারাগারে, আর টেন্ডারবাজ, তদবিবাজ, ধোঁকাবাজ, সিন্ডিকেটবাজ, চাঁদাবাজ ও ঋণখেলাপীদের দৌরাত্ম্য এখন চরমে। আমি অবিলম্বে জনতার মেয়র ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ফরমায়েশি সাজা বাতিল এবং অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহবান জানাচ্ছি।
২০ মে ২০২৪, ১৯:৪৮

ব্যাংকে কী তাহলে মাস্তান-মাফিয়া ঢুকবে, প্রশ্ন রিজভীর
ব্যাংকে সাংবাদিকরা ঢুকবে কেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে? রোববার (১৯ মে) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মধুখালীতে গণপিটুনিতে নিহত দুই শ্রমিকের পরিবারকে সহায়তা প্রদান পূর্বে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।  রুহুল কবির রিজভী বলেন, ভারতীয় একটি পত্রিকা লিখলো বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার হ্যাক হয়ে গেছে। ব্যাংক তো একটা স্টেটমেন্ট দিল, কারণ তারা সরকারের চাকরি করেন। সরকার যা বলবে তাদেরকে তাই শুনতে হবে। কিন্তু মূল ঘটনা কি আড়াল করা যাবে সাংবাদিকদের ঢুকতে না দিয়ে? রিজার্ভ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার উধাও করে দেওয়া হয়েছে অভিযোগে করে রিজভী বলেন, এখন তলানিতে রিজার্ভ। সরকার বলছে, ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। অথচ যারা সচেতন মানুষ তারা বলছেন ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার আছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের ঋণ পরিশোধ করতে ৪ বিলিয়ন ডলার যাবে। রিজার্ভ তো তলানিতেই। এ সময় তিনি বলেন, এক মর্মান্তিক পরিস্থিতির মধ্যে দেশের মানুষ দিন অতিক্রম করছে। এখানে জীবন ও সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। জনগণের মনোভাব ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার একের পর এক পন্থা অবলম্বন করছে। মধুখালীতে শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যা এটি একটি পন্থা। এরা মানুষকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে না। এরা মানুষের লাশ ও রক্তপাতের ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে ভালোবাসেন। বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, আমরা একটা শূন্য গহ্বরের ভেতর বাস করছি। আমাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। কীসের ওপর দাঁড়িয়ে আছি তা নিজেরাই বলতে পারব না। শুধু ব্যাংক থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এটা আমার বক্তব্য না এটা সিডিপির বক্তব্য। আমাদের জিডিপি ১২ শতাংশ নাই হয়ে গেছে। ৯২ হাজার কোটি টাকা শুধু ব্যাংক থেকে লোপাট হয়ে গেছে। লোপাটকারী কারা? এরা সবাই ক্ষমতাসীনদের আত্মীয়-স্বজন কাছের লোক।   আওয়ামী লীগ গোটা জাতিকে একটি গোরস্তান বানানোর প্রক্রিয়ায় লিপ্ত উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ লাশ হচ্ছে জীবন্ত মানুষ। তার একটি ঘটনা মধুখালীতে। সরকার তার বহুমুখী ব্যর্থতা ঢাকতেই একের পর নাটক করে যাচ্ছে। রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
১৯ মে ২০২৪, ১৬:০২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়