• ঢাকা সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪, ৩ আষাঢ় ১৪৩১
logo
কোরবানির নিয়ম ও দোয়া
আনন্দ ও ত্যাগের মহিমা নিয়ে হাজির ১০ জিলহজ; পবিত্র ঈদুল আজহা। রাত পোহালেই বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হবে মুসলিম জাহানের সবচেয়ে বড় উৎসব। সকালে ঈদের নামাজ আদায়ের পর সামর্থ্য অনুযায়ী কোরবানি করবেন মুসল্লিরা। কোরবানি ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের সূরা কাউসারে আল্লাহ তাআলা কোরবানির নির্দেশ দিয়ে বলেন— ‘আপনি আপনার রবের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি আদায় করুন।’  ১০ জিলহজ ফজরের পর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সময়ে নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে তাকে কোরবানি দিতে হবে। (দুররুল মুখতার, পৃষ্ঠা-২১৯, খণ্ড : ৫) ‘১০, ১১ ও ১২ জিলহজ—এই তিন দিন কোরবানি করা যায়। তবে প্রথম দিন কোরবানি করা অধিক উত্তম। এরপর দ্বিতীয় দিন, তারপর তৃতীয় দিন।’ (রদ্দুল মুহতার: ৬/৩১৬) জিলহজ মাসের ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পর কোরবানি করা শুদ্ধ নয়। (ফতোয়ায়ে আলমগিরি: ৫/২৯৬)  একইভাবে ঈদুল আজহার নামাজের আগে কোরবানি করা বৈধ নয়। অবশ্য যে স্থানে ঈদের নামাজ বা জুমার নামাজ বৈধ নয়, সে স্থানে ১০ জিলহজ ফজরের নামাজের পরও কোরবানি করা জায়েজ। (কুদুরি, পৃষ্ঠা-১৯৮) নিজের কোরবানির পশু নিজ হাতে জবাই করা মোস্তাহাব। যদি নিজে জবাই করতে না পারে তবে অন্যের দ্বারা জবাই করাবে। এ অবস্থায় নিজে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা উত্তম। (ফতোয়ায়ে শামি: ৫/২৭২) নিজ হাতে কোরবানির পশু জবাই জবাই করার আগে ছুরি ভালোভাবে ধার দিয়ে নেওয়া মোস্তাহাব। কোরবানির পশুকে এমনভাবে জবাই করা উচিত, যাতে পশুর কোনো প্রকার অপ্রয়োজনীয় কষ্ট না হয়। এমনিভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন স্থানে জবাই করা উচিত। জবাইকারী ব্যক্তির সঙ্গে যদি কেউ ছুরি চালানোর জন্য সাহায্য করে, তার জন্যও ‘বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবর’ বলা ওয়াজিব। (হেদায়া: ৪/৪৩৮; ইমদাদুল ফতোয়া: ৩/৫৪৭, ফতোয়ায়ে শামি: ৯/৪৭৩)  জবাই করার সময় কোরবানির পশু কেবলামুখী করে শোয়াবে। অতঃপর ‘বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবর’ বলে জবাই করবে। ইচ্ছাকৃত বিসমিল্লাহ পরিত্যাগ করলে জবাইকৃত পশু হারাম বলে গণ্য হবে। আর যদি ভুলক্রমে বিসমিল্লাহ ছেড়ে দেয় তবে তা খাওয়া জায়েজ আছে। (হেদায়া: ৪/৪৩৫) পশু জবাই করার সময় মুখে নিয়ত করা জরুরি নয়। অবশ্য মনে মনে নিয়ত করবে যে আমি আল্লাহর উদ্দেশ্যে কোরবানি করছি। তবে মুখে দোয়া পড়া উত্তম। (ফতোয়ায়ে শামি: ৫/২৭২) জবাই করার সময় পশুর চারটি রগ কাটা জরুরি: কণ্ঠনালি, খাদ্যনালি ও দুই পাশের মোটা রগ, যাকে ওয়াজদান বলা হয়। এই চারটি রগের মধ্যে যেকোনো তিনটি কাটা হলে কোরবানি শুদ্ধ হবে। কিন্তু যদি দুটি কাটা হয় তবে কোরবানি শুদ্ধ হবে না। (হেদায়া: ৪/৪৩৭) কোরবানির পশু কেবলামুখী করে শোয়ানোর পর এই দোয়াটি পাঠ করতে হয়—  ইন্নি ওয়াজ জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাজি ফাতারাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকিন। ইন্না সালাতি ওয়া নুসুকি ওয়া মাহইয়ায়া ওয়া মামাতি লিল্লাহি রাবিবল আলামিন। লা শারিকা লাহু ওয়া বিজালিকা উমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুসলিমিন। আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়ালাকা। (আবু দাউদ: ২৭৯৫) এই দোয়া পাঠ করার পর ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবর’ বলে পশু জবাই করতে হবে। পশু জবাই করার পর পাঠ করতে হবে— ‘আল্লাহুম্মা তাকাব্বালহু মিন্নি কামা তাকাব্বালতা মিন হাবিবিকা মুহাম্মদ ও খালিলিকা ইবরাহিম।’ যদি একাধিক ব্যক্তি মিলে কোরবানি করে তবে ‘মিন্নি’র স্থলে ‘মিন্না’ পাঠ করবে এবং শরিকদের নাম পাঠ করবে। তবে তাদের নাম শুধু নিয়ত করলে হবে। কোরবানি করার সময় এই দোয়াও পাঠ করা যাবে—  ‘বিসমিল্লাহ, ওয়াল্লাহু আকবর, আল্লাহুম্মা হাজা মিনকা ওয়া লাকা, হাযা আন্নি। আল্লাহুম্মা তাকাব্বাল মিন... ওয়া আলি ... ডট দেয়া স্থানদ্বয়ে কোরবানীকারীর নাম উল্লেখ করবে।  তবে, এসব দোয়ার মধ্যে কোরবানির সময় শুধু ‘বিসমিল্লাহ’ বলা ওয়াজিব। বিসমিল্লাহি আল্লাহুআকবর বলা উত্তম। এর অতিরিক্ত যে কথাগুলো আছে সেগুলো বলা মোস্তাহাব; ওয়াজিব বা জরুরি কিছু নয়। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুন্নতের অনুসরণে সঠিক নিয়মে কোরবানি করার তাওফিক দান করুন। আমিন। 
১৯ ঘণ্টা আগে

হজের খুতবায় মুসলিম উম্মাহ ও ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া
আরাফার ময়দানে অবস্থিত মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দিয়েছেন মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়েখ মাহের আল মুয়াইকিলি। শনিবার (১৫ জুন) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আরাফার ময়দানে অবস্থান করবেন তারা। হাজিরা এক আজানে জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করবেন। সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের পর মুজদালিফায় গিয়ে একসঙ্গে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন তারা। রোববার আবার মিনায় ফিরে পশু কোরবানি করবেন। আরাফাতের ময়দান হারাম এলাকার সীমানার বাইরে অবস্থিত। মসজিদুল হারাম থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আরাফাতের ময়দান। এ ময়দানের প্রান্তে দাঁড়িয়েই রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হজের সব হলো আরাফাতে। (মুসনাদে আহমদ ৪/৩৩৫) হজের খুতবায় মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়েখ মাহের আল মুয়াইকিলি বলেন, হে মানুষ, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.)-এর আনুগত্য করো, কোরআনে বলা হয়েছে যে অন্যায় করবে আল্লাহ তাকে শাস্তি দেবেন। তিনি বলেন, ইবাদত শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য এবং বিধান শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য। আর যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করবে সে এমন জায়গা থেকে রিজিক পাবে যেখান থেকে সে কল্পনাও করতে পারবে না। তিনি বলেন, আল্লাহ তায়ালা সবকিছুর মালিক। তিনি আমাদের জন্য রহমত হিসেবে কোরআন অবতীর্ণ করেছেন। কোরআন এমন একটি গ্রন্থ যার প্রতিটি আয়াত প্রজ্ঞায় পরিপূর্ণ। এই কোরআন মানুষকে সরল পথ দেখায়। খুতবায় তিনি আরও বলেন, তাকওয়া মানুষকে সফলতা ও মুক্তি দেয়, তাকওয়া অবলম্বনকারীরা কিয়ামতের দিন দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্ত থাকবে। সে তাকওয়া অবলম্বন করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে এমন জায়গা থেকে রিজিক দেবেন যেখান থেকে সে কল্পনাও করতে পারবে না। যে তাকওয়া অবলম্বন করবে আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে তাকে প্রতিদান দেবেন। তিনি বলেন, আল্লাহ তায়ালা হজরত মুহাম্মদ সা.-কে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছেন। যারা নবীজি সা.-কে সম্মান করবে, ঈমান আনবে এবং আল্লাহ হেদায়েত স্বরূপ যে কোরআন নাজিল করেছেন তার বিধান মেনে চলবে তারাই সফল। হজের খুতবায় তিনি ফিলিস্তিনের মুসলমানদের জন্য রহমত কামনা করে দোয়া করেন। খুতবায় ফিলিস্তিন প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের মুসলমানেরা যুদ্ধের কবলে। তারা বিপর্যস্ত। তাদের খাওয়ার পানি নেই, বিদ্যুৎ নেই, খাবার নেই, পৃথিবীর সবধরনের আরাম ও সুখ থেকে তারা বঞ্চিত। তাদের জন্য দোয়া করুন। বিশ্ব মুসলিমের কাছে এটা তাদের পাওনা। তিনি বলেন, যারা ফিলিস্তিনিদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন, সহযোগিতার চেষ্টা, অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে সহযোগিতা করছেন, করছেন তারাও দোয়ার হকদার। এ ছাড়াও যারা হজযাত্রীদের সেবা করছেন তারাও দোয়ার হকদার।
১৫ জুন ২০২৪, ২০:৩৯

রাসুল (সা.) জিলহজের চাঁদ দেখে যে দোয়া পড়তেন
জিলহজ আত্মত্যাগের মাস। মুসলিম জাতির পিতা ইব্রাহিম (আ.) এ মাসেই নিজের প্রিয় সন্তান ইসমাইলকে (আ.)-কোরবানির মাধ্যমে প্রভুপ্রেমের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। যদিও আল্লাহর বিশেষ রহমতে ইসমাইল (আ.) এর পরিবর্তে একটি পশু কোরবানি হয়েছে। চলতি মাসের ৭ তারিখ মোতাবেক আরবি ২৯ জিলকদ সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা গেলে সন্ধ্যা থেকেই শুরু হবে সম্মানিত মাস জিলহজ। ৮ জুন জিলহজ মাসের প্রথম দিন গণনা শুরু হবে। সেক্ষেত্রে ঈদুল আজহা ও কোরবানি হবে ১৭ জুন। আর যদি ৭ জুন চাঁদ দেখা না যায়, তবে ৮ জুন জিলকদ মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে। ৯ জুন শুরু হবে জিলহজ মাস। সেক্ষেত্রে পবিত্র ঈদুল আজহা ও কোরবানি হবে ১৮ জুন। কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, তারা তোমাকে নতুন চাঁদ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বল, তা মানুষের ও হজের জন্য সময় নির্ধারক। (সুরা বাকারা: ১৮৯) রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নতুন চাঁদ দেখে দোয়া পড়তেন। জিলহজ, রমজান, শাওয়ালসহ আরবি যে কোনো মাসের নতুন চাঁদ দেখে এ দোয়াটি পড়া রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সুন্নত। তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ (রা.) বলেন, নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নতুন চাঁদ দেখে বলতেন, আল্লাহুম্মা আহিল্লাহূ আলায়না বিল আমনি ওয়াল ঈমানি ওয়াসসালামাতি ওয়াল ইসলামি রাব্বী ওয়া রাব্বুকাল্লাহু। অর্থ: হে আল্লাহ! এ নতুন চাঁদ নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদয় করো। (হে চাঁদ!) আমার রব ও তোমার রব এক আল্লাহ। (সুনানে তিরমিজি: ৩৪৫১) সুনানে দারেমিতে ইবনে ওমর (রা.) থেকে দোয়াটি এভাবেও বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহু আকবার। আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ঈমান; ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলাম; ওয়াত তাওফীকি লিমা ইউহিব্বু রাব্বুনা ওয়া ইয়ারযা। রাব্বানা ওয়া রব্বুকাল্লাহ। অর্থ: আল্লাহ মহান, হে আল্লাহ! এ নতুন চাঁদকে আমাদের নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদয় কর। আর তুমি যা ভালোবাস এবং যাতে তুমি সন্তুষ্ট হও, সেটাই আমাদের করার তাওফিক দাও। (হে চাঁদ) আমাদের ও তোমার রব এক আল্লাহ। (সুনানে দারেমি: ১৭২৪)
০৭ জুন ২০২৪, ১৬:০২

‘মায়ের দোয়া ক্রিকেট টিম হয়ে গেছি’
আনুষ্ঠানিকভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হলেও এখনও মাঠে নামেনি বাংলাদেশ দল। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আগামী শনিবার (৮ জুন) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলবে টাইগাররা। তবে এর আগে ম্যাচ ভেন্যুতে অনুশীলন সেরেছে টাইগাররা। এ সময়ে ইনজুরড পেসার শরিফুল ইসলাম ছাড়া দলের বাকি সবাই অনুশীলনে উপস্থিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে দলীয় অনুশীলন শেষে ড্রেসিংরুমে ফিরে যাচ্ছিলেন সাকিব আল হাসান। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে বেশ খানিকটা রসিকতাও করলেন সাকিব। মজার ছলে সাকিবের ভাষ্য, ‘আমরা তো মায়ের দোয়া টিম হয়ে গেছি! দোয়া চাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি!’ দেশসেরা অলরাউন্ডারের এমন রসিকতায় হাসির রোলও উঠল। মূলত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশ দলের দোয়া চাওয়ার একটি ভিডিও বেশ পরিচিত।  ওয়ানডে বিশ্বকাপে ধারাবাহিক ব্যর্থতার ব্যাখ্যায় এক তরুণ স্পিনার বলেছিলেন, ‘দোয়া করবেন, দোয়া চাওয়া ছাড়া অপশন নেই!’ এরপর থেকেই বাংলাদেশ দলকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘মায়ের দোয়া টিম’ হিসেবে ট্রল করা হচ্ছে। এদিকে বিশ্বকাপের আগে খুব একটা সুখকর না টাইগারদের পরিস্থিতি। টপ-অর্ডারে লিটন দাস, সৌম্য সরকার এবং অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত; কেউই রান পাচ্ছেন না। আবার প্রথম ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন পেসার শরিফুল ইসলাম। নিজের ব্যাটিং নিয়েও ভুগছেন সাকিব। এমন অবস্থা নিয়েই বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে টাইগাররা। উল্লেখ্য, বিশ্বকাপে গ্রুপ ‘ডি’-তে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, নেপাল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডস। গ্রুপ পর্বে চারটি ম্যাচ মোট তিনটি ভেন্যুতে খেলবে বাংলাদেশ। টাইগারদের শিরোপা মিশন শুরু হবে ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে। শান্ত বাহিনীর পরের ম্যাচটি হবে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে। তবে ১০ জুন বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াইয়ের আগে, এই মাঠে ভারত-পাকিস্তানসহ পাঁচটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ফলে সাকিব-রিয়াদরা অন্তত কিছুটা ধারণা নিয়ে, মাঠে নামার সুযোগ পাবেন। বাংলাদেশের পরের দুটি ম্যাচ হবে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংস্টাউনের সেন্ট ভিনসেন্টে। কিংস্টাউনে ১৩ জুন নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে টাইগাররা। আর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে, ১৭ জুন নেপালের বিপক্ষে একই ভেন্যুতে নামবে।  
০৬ জুন ২০২৪, ১৩:৩৪

রাইসির স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট আয়াতুল্লাহ্ সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসি ও তার সফরসঙ্গীদের মৃত্যুতে রাজশাহীতে এক স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ জুন) বিকেলে রাজশাহীর নগর ভবনের পশ্চিমে গ্রেটার রোডে অবস্থিত শাহ ডাইন কমিউনিটি সেন্টারে এ স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইরানের আল মুস্তফা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ প্রতিনিধি হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন শাহাবুদ্দিন মাশায়েখি রাদ। এতে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. এফ এম এ এইচ তাকী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. মো. ফজলুল হক। রাজশাহীর মুহাম্মাদ আমিন ফারসি শিক্ষাকেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. শফিউল্লাহ, প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন, প্রফেসর ড. এম শামীম খান (অব.), রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আ জ ম মনিরুল ইসলাম, রাজশাহী সূফি ফাউন্ডেশনের সম্পাদক রুহুল আমীন প্রমানিক, রাজশাহী মহানগরের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. আব্দুল মান্নান, রাজশাহীর মুহাম্মাদ আমিন ফারসি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালক শেখ আলী আকবর, আল মোস্তফা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণ, সংস্কৃতি ও যোগাযোগ বিষয়ক প্রধান মো. আলী নওয়াজ খান এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক বিভাগের পরিচালক ড. মো. মাঈন উদ্দিন। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও তার সফরসঙ্গীদের মৃত্যুর ফলে ইরানি জাতি ও মুসলিম উম্মাহর অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। যে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার মতো নয়। কারণ ইব্রাহিম রাইসি কেবল ইরানি জাতির জন্যই কাজ করেননি, তিনি গোটা মুসলিম উম্মাহর জন্য কাজ করেছেন। ফিলিস্তিনসহ সারা বিশ্বের মজলুম মানুষের পক্ষে কাজ করেছেন। আর এর কারণেই তার মৃত্যুতে সারা বিশ্বের মানুষ কেঁদেছে।   বক্তারা বলেন, কোন দেশের প্রেসিডেন্ট মারা গেলে সাধারণত ঐ দেশটিতে সরকারিভাবে শোক পালন করা হয়। কিন্তু ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও জাতি শোক পালন করেছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম ছিল না। ইরানের প্রেসিডেন্ট আয়াতুল্লাহ্ সাইয়্যেদ ইবরাহীম রাইসি ও তার সফরসঙ্গীদের মৃত্যুর ঘটনায় বাংলাদেশে গত ২৩ মে রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হয়। শোক পালনের অংশ হিসেবে সেদিন দেশের সব সরকারি, আধাসরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকে। তাদের জন্য সব মসজিদে বিশেষ দোয়া করা হয় এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। সম্প্রতি আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি বাঁধ প্রকল্প উদ্বোধনের পর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শহর তাবরিজে ফেরার পথে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হন ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি এবং তার সফরসঙ্গীরা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহিয়ানও ছিলেন তাদের মধ্যে। আলোচনা শেষে শহীদদের জন্য দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
০৪ জুন ২০২৪, ২৩:১০

লাইফ সাপোর্টে সীমানা, দোয়া চাইলেন ফারহান
মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মডেল-অভিনেত্রী রিশতা লাবণী সীমানা। বর্তমানে রয়েছেন লাইফ সাপোর্টে। এ অবস্থায় তাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিবার, সহকর্মী ও ভক্তরা। দোয়া চেয়ে অনেকেই পোস্ট দিচ্ছেন ফেসবুকে। বাদ যাননি ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা মুশফিক আর ফারহানও। সোমবার (৩ জুন) রাতে ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের প্রিয় অভিনয়শিল্পী রিশতা লাবনী সীমানা আপু। দীর্ঘ ১৪ দিন ধরে গুরুতর অসুস্থ। বর্তমানে লাইফ সাপোর্টে আছেন তিনি। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন যেন, মহান সৃষ্টিকর্তা তার ছোট দুইটা বাচ্চার বুকে তার মাকে ফিরিয়ে দেন আমিন।’ প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় সেরা দশে জায়গা করে নিয়েছিলেন সীমানা। এরপর অসংখ্য নাটক ও বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন তিনি। অভিনয় করেছেন চলচ্চিত্রেও। নির্মাতা তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ‘দারুচিনি দ্বীপ’-তার অভিনীত প্রথম সিনেমা। গত বছর ‘রোশনী’ নামের একটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন সীমানা। এটি পরিচালনা করেছেন বিপ্লব হায়দার।
০৩ জুন ২০২৪, ২৩:৪৫

আমিন মোহাম্মদ ফাউন্ডেশনের ‘ডি এইচ টাওয়ারে’ দোয়া মাহফিল
সবার জন্য আবাসনের চাহিদার কথা মাথায় রেখে দৃষ্টিনন্দন আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় আবাসন নির্মাণ প্রতিষ্ঠান আমিন মোহাম্মদ ফাউন্ডেশন লিমিটেড।  সম্প্রতি মোহাম্মদপুরে ‘ডি এইচ টাওয়ার’ নামীয় প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু করেন প্রতিষ্ঠানটি। নির্মাণ কাজ শুরু উপলক্ষে ‘ডি এইচ টাওয়ার’ প্রকল্পে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দোয়া মাহফিল শেষে মাটি কেটে নির্মাণ কাজের শুভ উদ্ধোধন করা হয়। প্রায় তিন যুগের অধিক সময় ধরে অভিজাত আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্রকল্প নির্মাণ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। তারই আলোকে মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটিতে ১০ কাঠার জমির উপর ‘ডি এইচ টাওয়ার’ নামে ১৩তলা বিশিষ্ট একটি অত্যাধুনিক মাল্টিকমপ্লেক্স প্রকল্প নির্মাণ করছে। দক্ষিণমুখি কর্ণার প্লটে ১৩২৩ হতে ১৬৭৫ বর্গফুটের ফ্ল্যাট ও ২১০০ হতে ৪০০০ বর্গফুটের বানিজ্যিক স্পেস থাকছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আমিন মোহাম্মদ ফাউন্ডেশন লিমিটেডের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ারিং ও কন্সট্রাকশন আসাদ আর খান এবং প্রকল্পের ল্যান্ড ওনারগণসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধতন কর্মকর্তারা।  
০২ জুন ২০২৪, ২২:৩২

ঘূর্ণিঝড়ের সময় রাসুল (সা.) যে দোয়া পড়তেন
ঘূর্ণিঝড়সহ সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ মহান আল্লাহ তা’আলার শক্তি ও ক্ষমতার কথা, আমাদের ‍দুর্বলতা, হীনতা ও মুখাপেক্ষিতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। আল্লাহ বলেন, ‘জলে-স্থলে বিপর্যয় মানুষের কৃতকর্মের ফল’ (সুরা রুমের : ৪১)। অর্থাৎ, আল্লাহর ঘোষণা অনুযায়ী এরূপ পরীক্ষা ও বিপদ-আপদ আসে মানুষের গুনাহের কারণে। তাই যেকোনো কঠিন পরিস্থিতিতে হতাশ না হয়ে বরং নিজের গুনাহের জন্য আল্লাহর কাছে তাওবা করা ও বেশি বেশি তাকে স্মরণ করা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিপর্যয় ও প্রতিকূল অবস্থায় রাসুল (সা.) খুব বিচলিত হয়ে পড়তেন এবং আল্লাহর শাস্তির ভয় করতেন। এ সময় তিনি তওবা-ইস্তেগফার-নামাজে মশগুল হতেন ও তার সাহাবাদেরও বেশি বেশি তা করার নির্দেশ দিতেন। এসময় আমাদের এ আমলগুলোর প্রতি যত্নবান হতে হবে। বিশেষত অতীতের সব গোনাহ ও ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে তওবা করে নিতে হবে। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে রাসুল (সা.) কয়েকটি দোয়া শিখিয়েছেন। হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তীব্র বাতাস ও ঝড়ের সময় পড়তেন, আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা ও খাইরা মা ফীহা ওয়া খাইরা মা উরসিলাত বিহি ওয়া আউজুবিকা শাররাহা ওয়া শাররা মা ফীহা ওয়া শাররা মা উরসিলাত বিহি। অর্থ: হে আল্লাহ্‌! আমি আপনার কাছে এর কল্যাণ চাই, এর মধ্যে যে কল্যাণ আছে সেটা চাই এবং যে কল্যাণ দিয়ে এটাকে পাঠানো হয়ে তা চাই এবং আমি আপনার কাছে এর অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাই, এর মধ্যে যে অনিষ্ট অন্তর্ভুক্ত আছে তা থেকে আশ্রয় চাই এবং যে অনিষ্টসহ এটাকে পাঠানো হয়েছে তা থেকে আশ্রয় চাই। (সহিহ মুসলিম) আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বজ্রধ্বনি ও মেঘের গর্জন শুনলে বলতেন, আল্লাহুম্মা লা তাকতুলনা বিগাদাবিকা ওয়ালা তুহলিকনা বিআযাবিকা, ওয়া আফিনা কাবলা যা-লিকা। অর্থ: ‘হে আল্লাহ আপনার গজব দিয়ে আমাদের মেরে ফেলবেন না, আপনার শাস্তি দিয়ে আমাদের নিশ্চিহ্ন করবেন না, তার আগেই আমাদের ক্ষমা করে দিন। (সুনানে তিরমিজি)
২৫ মে ২০২৪, ১৭:১৪

ইরানের রাস্তায় রাস্তায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, রাইসির জন্য দোয়া
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এ ঘটনায় ইরানজুড়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়েই চলেছে। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় থাকা ইরানিরা রাতভর তেহরানের রাস্তায় নেমে নিখোঁজদের জন্য দোয়া করেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেহরানের কেন্দ্রস্থল ভ্যালি-আসর স্কয়ারে মানুষকে রাস্তায় হাঁটু গেড়ে বসে প্রার্থনা করতে দেখা গেছে। রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের খবর শোনার পর তার নিরাপদে ফিরে আসার জন্য দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মাশহাদে ইমাম রেজা (আ.)-এর মাজারে প্রার্থনা করেন হাজারও মানুষ। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনা জানিয়েছে, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রোববার সন্ধ্যায় হাজারো মানুষ ইব্রাহিম রাইসির সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রার্থনা করতে ইমাম রেজা (আ.)- এর মাজারে জড়ো হন। এদিন ছিল শিয়াদের অষ্টম ইমাম রেজা (আ.)-এর জন্মবার্ষিকী। রোববার (১৯ মে) একটি বাঁধ উদ্বোধন করে ইরানি প্রদেশ পূর্ব আজারবাইজানের তারবিজে যাচ্ছিলেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। এই সময় তার সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ছিলেন। তারবিজে ফেরার পথেই হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসি আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে কিজ কালাসি এবং খোদাফারিন বাঁধ দুটি উদ্বোধন করেন। সেখান থেকে ফিরে তিনি ইরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হয়েছে, রোববার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সে হিসেবে এখন পর্যন্ত ১৮ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবরে সহমর্মিতা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা। এ ছাড়া ঘটনার অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য সৌদি আরব, তুরস্ক, আর্মেনিয়া, রাশিয়া, ইউরোপীয় কমিশনসহ উপসাগরীয় বিভিন্ন দেশ প্রস্তাব পাঠিয়েছে।
২০ মে ২০২৪, ১০:২৮

অস্ত্রোপচারের আগে দোয়া চাইলেন রাখি
গত কয়েক দিন ধরেই অসুস্থ বলিউডের ড্রামা কুইন খ্যাত অভিনেত্রী রাখি সাওয়ান্ত। ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। যদিও প্রথমে সবাই ভেবেছিল, হয়তো বরাবরের মতো এটাও কোনো নাটকীয়তার অংশ। প্রচারে আসার কৌশল হাতে নিয়েছেন রাখি। তবে জানা যায়, সত্যিই অসুস্থ রাখি। কদিন আগেই বুকে এবং পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। একাধিক পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান, অভিনেত্রীর জরায়ুতে টিউমার। শিগগিরই অস্ত্রোপচার করাতে হবে রাখির। আর তাই অস্ত্রোপচারের আগে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি। তবে রাখির জরায়ুতে সত্যিই টিউমার আছে কি না, হাসপাতাল সূত্রে তেমন কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। শুধু বলা হয়েছে, ‘রাখির স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কোনো তথ্য পেতে হলে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’  এদিকে শনিবার (১৮ মে) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আনেন রাখি। হুইলচেয়ারে বসে থাকা অবস্থায় অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার জন্য দোয়া করুন। আমার কান্না পাচ্ছে, ভয় লাগছে। তবে ঈশ্বরে বিশ্বাস রয়েছে। আমি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠব। আমার শরীরটা এখন একটু খারাপ।’ ওই ভিডিওতে তিনি আরও বলেন, ‘১০ সেন্টিমিটারের একটা টিউমার ধরা পড়েছে। সবাই আমার জন্য দোয়া করুন। হাসতে হাসতে অপারেশন থিয়েটারে যাচ্ছি, হাসতে হাসতেই বের হবো। জীবনে অনেক কঠিন লড়াই লড়েছি। এটাও পার হবো। আমি এর থেকে বেশি কথা বলতে পারছি না। রিতেশ আমার ব্যাপারে আপনাদের সব জানাবে।’  প্রথমে শোনা যাচ্ছিল, হৃদ্‌যন্ত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে রাখির। কিন্তু পরে জানা যায়, জরায়ুতে টিউমার ধরা পড়েছে তার। অভিনেত্রীর প্রাক্তন স্বামী রিতেশ সিং নিশ্চিত করেন বিষয়টি। প্রায় ১০ সেন্টিমিটার সাইজের একটি বিরাট টিউমার রাখির জরায়ুতে বাসা বেঁধেছে বলে জানা গেছে। সূত্র: আনন্দবাজার
১৯ মে ২০২৪, ১০:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়