• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কত টনের এসিতে কত বিদ্যুৎ বিল
ওজন কমাবে ফাইবার সমৃদ্ধ এই ৫ খাবার
ওজন কমানোর জন্য যারা নিয়ম করে খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর দিয়েছেন, তারা অবশ্যই মেনুতে যুক্ত করুন ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। কারণ এ জাতীয় খাবার অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে; যা আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। জেনে নিন ফাইবার সমৃদ্ধ ৫ খাবারের নাম- আমন্ড:  আমন্ড খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে সবসময়েই ভালো। এটি একটি হেলদি স্ন্যাকস। অনেকেই সকালবেলা খালি পেটে ভেজানো আমন্ড খান। আগের দিন রাতে আমন্ড পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে খোসা ছাড়িয়ে সেই আমন্ড খেয়ে নিন। দিনে দুই থেকে চারটি আমন্ড খেতে পারেন আপনি। আমন্ডের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং প্রোটিন রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে হেলদি ফ্যাট। ওজন কমানোর পাশাপাশি আমন্ড আমাদের শরীরে এনার্জির জোগান দেয় এবং মস্তিষ্ক প্রখর ও সক্রিয় করে। ব্রকলি: সবুজ রঙের ফুলকপির মতো দেখতে এই সবজির রয়েছে অনেক গুণ। ভেজিটেবল স্যালাড হোক বা অন্যান্য অনেক সুস্বাদু পদ তৈরি করা যায় ব্রকলি দিয়ে। কাঁচা খেতে যাবেন না এই সবজি। অন্তত হাল্কা সেদ্ধ করে নেওয়া প্রয়োজন। কম ক্যালোরি যুক্ত ব্রকলির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এই সবজি খেলে অনেকক্ষণ আপনার পেট ভর্তি থাকবে। এর পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করে এই সবজি। আপেল:  আপেল একটি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস রয়েছে এই ফলের মধ্যে। মিষ্টি স্বাদের এই ফল খেলে অনেকক্ষণ আপনার পেট ভর্তি থাকবে। সহজে খিদে পাবে না। আপেল খেলে অনেক উপকার পাবেন আপনি। ডায়েট করার সময় যদি সুইট ক্রেভিংস হয় তাহলে খেতে পারেন মিষ্টি স্বাদের এই ফল। এছাড়াও একাধিক পুষ্টি উপকরণ রয়েছে আপেলের মধ্যে। তার ফলে আপনার শরীরে সঠিক মাত্রায় পুষ্টির জোগান দেবে এই ফল। কাবলি ছোলা: কাবলি ছোলা দিয়ে অনেক ধরনের সুস্বাদু পদ তৈরি করা যায়। এটি একটি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। ওজন কমাতে তাই পাতে রাখুন কাবলি ছোলা দিয়ে তৈরি রকমারি পদ। কাবলি ছোলা সেদ্ধ করে খেতে পারেন। কিংবা তৈরি করে নিতে পারেন কাবলি ছোলার ঘুগনি। এগুলি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। শুধুমাত্র ফাইবার নয়, কাবলি ছোলার মধ্যে রয়েছে ভরপুর প্রোটিন। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের নিউট্রিয়েন্টস বা পুষ্টি উপকরণ। তাই কাবলি ছোলা দিয়ে তৈরি খাবার খেলে যেমন আপনার পেট ভরবে, ওজন কমবে, তেমনই আপনি ভরপুর পুষ্টিও পাবেন। ওটস: ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে অন্যতম হলো ওটস। আজকাল অনেকেই সকালের খাবারে ওটস খেয়ে থাকেন। এর সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন বিভিন্ন ধরনের ফল কিংবা ড্রাই ফ্রুটস। ওটস দিয়ে তৈরি স্মুদিও একটি পুষ্টিকর খাবার যা দীর্ঘক্ষণ আপনার পেট ভরিয়ে রাখবে। অনেকে টকদই কিংবা ইয়োগার্ট মিশিয়েও ওটস খেয়ে থাকেন। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে তৈরি করে নেওয়া যায় মশলা ওটস। ফাইবার সমৃদ্ধ ওটসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। ওটস খেলে আপনার ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সঠিক মাত্রায় বজায় থাকবে কোলেস্টেরল। ফলে ভালো থাকবে আপনার হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য।
লাউয়ের খোসায় ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরানোর টিপস
এসি ছাড়াই যে কাজে ঘরের তাপমাত্রা কমবে ৫ ডিগ্রি
গরমে মেঝেতে ঘুমালে স্বাস্থ্যের ওপর যে প্রভাব পড়ে
গরমে হিট অফিসারের পরামর্শ
গরমে প্রশান্তি দেবে আম-পাবদার ঝোল
কয়েক দিনের তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন নাজেহাল হয়ে পড়েছে। গরমের অস্বস্তিতে কোনকিছুই ভালো লাগে না। খাওয়া, ঘুম কোনকিছুতেই নেই শান্তি। এ দুর্বিসহ গরমে চুলার কাছেও বেশিক্ষণ থাকা যাচ্ছে না। তাই ঝটপট রান্না করা যায় এরকম রেসিপির খোঁজ করছেন। তাহলে তৈরি করতে পারেন আম পাবদা। এখন বাজারে গেলেই দেখা মিলবে কাঁচা আমের। পাবদা আর আমের মেলবন্ধনে জমে যাবে দুপুরের ভোজ। খুব সামান্য উপকরণ দিয়েই তৈরি করে নিন জিভে জল আনা এই পদ। রইল রেসিপি। উপকরণ: পাবদা মাছ ৫টি পোস্ত বাটা ২ টেবিল চামচ কাঁচা মরিচ বাটা ১ টেবিল চামচ সরিষা বাটা ২ টেবিল চামচ রসুন বাটা আধ চা চামচ কাঁচা আম ১টি সরিষার তেল ১ কাপ লবণ স্বাদমতো কালোজিরা ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ প্রণালী: লবণ, হলুদ মাখিয়ে সরিষার তেলে পাবদা মাছগুলো হালকা করে ভেজে নিন। সেই তেলেই কালো জিরা দিন। ফোড়নের মধ্যে রসুন বাটা দিয়ে ভেজে নিন। এ বার সরিষা বাটা, পোস্ত ও কাঁচা মরিচ বাটা আর সামন্য হলুদ দিয়ে কষিয়ে নিন। মশলা থেকে তেল বেরোতে শুরু করলে কাঁচা আম বাটা ও লবণ দিতে হবে। গ্রেভি ফুটে উঠলে মাছ দেওয়ার পালা। মিনিট পাঁচেক কম আঁচে ঢাকনা দিয়ে রান্না করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে আম পাবদা। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন ভিন্ন স্বাদের মাছের এই পদটি।
প্রেমিকের কাছে মেয়েরা যে ৭ জিনিস প্রত্যাশা করেন
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েরা অভিমানী প্রকৃতির হয়। তারা চায় না বলতেই যেন প্রিয় মানুষটি তার মনের কথা বুঝে যায়। মনে মনে অনেকে কল্পনার রাজ্যও গড়ে তোলে। এরপর যখন প্রিয় মানুষটি তার মনের কথা বুঝতে পারে না তখনি অভিমান হয় প্রেমিকার। আর এ কারনেই মেয়েদের তার প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে একটা কমন অভিযোগ হলো- কেউ তাদের বুঝতে পারে না। অবশ্য এই দায় ছেলেরাও স্বীকার করে নিয়েছে যে, মেয়েদের মন বোঝার সাধ্য তাদের নেই। আসলেই কি নেই? মেয়েরা আসলে এমন কী চায় যে তাদের বুঝতে পারা সহজ হয় না? না-কি এই বুঝতে না পারার পেছনে ছেলেদের আগ্রহেরও অভাব রয়েছে? একটি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়ার পর পরস্পরের প্রতি অভিযোগের তীর ছুঁড়তে থাকা সহজ। কিন্তু একে অন্যকে বুঝে সামনে এগিয়ে যাওয়া সহজ নয়। সেজন্য দু’জনের আগ্রহ কিংবা টান থাকা চাই। প্রেমিকের কাছে মেয়েদের চাওয়া খুব বেশি থাকে না, যদি তা সত্যিই প্রেম হয়। ছোট ছোট বিষয়ে খেয়াল রাখলেই তাদের মন জয় করা সম্ভব। জেনে নিন মেয়েরা প্রেমিকের কাছে  প্রত্যাশা করে এমন ৭টি জিনিস-  ​১. সবকিছুতেই থাকবেন পাশে​ মেয়েরা সাধারণত তার প্রেমিকের কাছে সব বিষয়ে সাহায্য চান না। কিন্তু তারা আশা করেন যে, মনের মানুষ সবসময় তাদের মাথায় ছাতার মতো ছায়া দেবেন। তাই এবার থেকে প্রেমিকাকে সমস্যায় দেখলে কোনও দিকে না তাকিয়ে দ্রুত  তা সমাধানের কাজে লেগে পড়ুন। আশা করছি, এই কাজটা করলেই প্রেমিকার মনে হৃদয়ে চিরস্থান পেতে সুবিধা হবে।  ২. দেবেন সম্মান​ ২০২৪ সালে দাঁড়িয়েও অনেক ছেলে মেয়েদের কোনও রকম সম্মান দেন না। আর এই বিষয়টাই তাদের প্রেমের পথে অন্তরায়। তাই নিজের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে থাকলে প্রেমিকাকে যথাযোগ্য সাম্মান দিন। আর এই কাজটা গোপনে নয়, সবার সামনেই করুন। আশা করছি, এই কাজটা করলেই আপনাদের প্রেমের রাস্তায় কোনও বাধা বিপত্তি মুখ তুলতে পারবে না। বরং আপনারা হেসেখেলে আগামীদিনগুলো কাটাতে পারবেন। ​​৩. নিজের থেকেও আপন​ মেয়েরা প্রেমিকের অকৃত্রিম ভালোবাসা চান। এমনকী প্রেমিক যাতে নিজের থেকেও তাকে বেশি ভালোবাসেন, এই বিষয়টাও মনে মনে আশা করেন তারা। তাই আর সময় নষ্ট না করে আজ থেকেই প্রেমিকাকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিন। তাকে সবসময় প্রেমের কথা বলুন। ব্যস, তাহলেই খেলা ঘুরে যাবে। তারপর তিনি আপনার সঙ্গে সারাজীবন হাতে হাত রেখে চলার জন্য অঙ্গিকারবদ্ধ হয়ে পড়বেন। ​৪. সততার নেই বিকল্প​ প্রেমের গাড়ি এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে সবসময় সত্যি কথা বলতে হবে। এমনকী প্রেমিকার থেকে কোনো কিছু লুকানো চলবে না। কারণ প্রেমিকা যে গোপনে আপনার থেকে সততাই আশা করেন। তাই এতদিনের ভুল শুধরে নিতে চাইলে প্রেমিকাকে সবসময় সত্যি কথা বলুন। এমনকী কোথাও কোনও ভুল হলে, সেই কথাও সময় করে জানিয়ে দিন।  ​৫. সবসময় রাখবেন ভালো​ আমাদের সকলের জীবনের লক্ষ্যই হলো ভালো থাকা। আর মেয়েরাও ঠিক একই পথের পথিক। তাই তারা আশা করেন যে তার মনের রাজকুমার তাকে সবসময় হাসিখুশি রাখবে। সুতরাং প্রেমিকার মনে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করতে চাইলে তাকে সবসময় ভালো রাখার চেষ্টা করতে হবে। আর এই কাজটা করলেই কিন্তু তিনি আপনাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসবেন। ৬. মনোযোগ মেয়েরা প্রেমিকের কাছ থেকে মনোযোগ প্রত্যাশা করে। প্রেমিক যদি তার কথা মন দিয়ে শোনে, কোনো সমস্যায় সমাধান খুঁজে দেয়, মানসিকভাবে সমর্থন দেয় তাহলে মেয়েরা খুশি হয়। আর যদি প্রেমিক নিজের মতো ব্যস্ত থাকে, প্রেমিকার কথার দিকে মনোযোগ না দিয়ে ফোন কিংবা সোস্যাল মিডিয়ায় সময় কাটায় তখন বিরক্তি চলে আসে।  ৭. সারপ্রাইজ মুখে না বললেও একথা সত্যি যে মেয়েরা সারপ্রাইজ পেতে ভালোবাসে। অবশ্য সারপ্রাইজ পেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ কমই পাওয়া যাবে। তবে তুলনামূক ছেলেদের থেকে বেশি মেয়েরা সারপ্রাইজ পেতে পছন্দ করে। খুব দামি কিছু হতে হবে তা কিন্তু নয়। চাইলে একটি চকোলেট কিংবা ফুল দিয়েও তাকে চমকে দেওয়া যায়। প্রেমিকাকে খুশি রাখতে এটুকু তো সামান্যই, নয় কি!
হিট স্ট্রোক কেন হয়, প্রতিরোধে যা করবেন
দেশের সবচেয়ে তাপপ্রবাহের মাস এপ্রিল শুরু হয়েছে। প্রতিদিন পারদ স্তম্ভ বেড়েই চলছে। অধিক তাপমাত্রা জনস্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলে, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ওপর প্রভাব বেশি পড়ে। তীব্র গরমে জনদুর্ভোগের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালেও বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। শনিবার (২০ এপ্রিল) প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়।  এমন বৈরী পরিবেশে প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয় মানুষ। হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যান কেউ কেউ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আজ চুয়াডাঙ্গা ও চট্টগ্রামের আনোয়ারায় মোট ২ জন হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন। হিটস্ট্রোকের প্রধান লক্ষণগুলো নিয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেনিন চৌধুরী বলেন, প্রচণ্ড গরমে যখন শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, শরীর থেকে পানি, তরল পদার্থ ও লবণও বেরিয়ে যায়, তখন আমাদের শরীরের রক্তের চাপ কমে যায়। সেই সঙ্গে নাড়ির গতি বেড়ে যায়। শরীর অবসন্ন লাগে, মাথা ঝিমঝিম করে। এ কারণে বমি-বমি ভাব লাগে ও বমিও হতে পারে। অনেকে চোখে আবছা দেখে। মাথা ঘুরতে থাকে। কেউ কেউ অসংলগ্ন কথা-বার্তাও বলে। এগুলো হচ্ছে হিট স্ট্রোকের প্রধান লক্ষণ। তিনি বলেন, হিট স্ট্রোক হলে কেউ কেউ জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারেন। জ্ঞান হারালে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ,  এই গরমের মধ্যে যারা বাইরে বের হবেন, তারা যদি সঙ্গে একটু খাবার পানি রাখেন এবং যাদের রোদের মধ্যে বেশিক্ষণ থাকার বাধ্যবাধকতা আছে, তারা যদি ওরস্যালাইন নিয়ে বের হন তাহলে ভালো হয়। এক্ষেত্রে একটু পর পর তারা পানি ও ওরস্যালাইন খাবেন এবং প্রস্রাবের রঙ ও পরিমাণের দিকে লক্ষ্য রাখবেন। প্রস্রাবের রঙ বদলের পাশাপাশি পরিমাণ কমে গেলে পানিসহ তরলজাতীয় খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে। ডা. লেনিন জানান, তাপপ্রবাহের সময়টাতে টাইট জামাকাপড় না পরে ঢিলেঢালা সুতি জামাকাপড় পরতে হবে। এ সময় ছাতা নিয়ে বের হলে ভালো হয়। আর যারা শ্রমজীবী, টানা রোদের মধ্যে কাজ করেন তাদের কিছুক্ষণ পর পর বিশ্রামের সঙ্গে পানি ও তরল খাবার খেতে হবে। তবে রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় যে সরবত, পানি বিক্রি হয় তা খাওয়া যাবে না। কারণ এই সরবত যে পানি কিংবা বরফ দিয়ে বানানো হয় সেটা কোনোমতেই সুপেয় না। তিনি বলেন, এর বাইরে বয়স্ক মানুষ, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শিশু ও দীর্ঘমেয়াদী রোগে ভুগতে থাকা সংবেদনশীল মানুষদের নিতান্তই প্রয়োজন না পড়লে বাইরে বের না হওয়া ভালো। লেনিন চৌধুরী বলেন, গরমের ভেতর তৃষ্ণা নিবারণে ঠান্ডা পানি খাওয়া একেবারেই উচিত না। কারণ, আমাদের গলায় শ্বাসনালীর ওপরের অংশে কিছু সুবিধাবাদী জীবানু বাস করে। সুবিধাজনক অবস্থা পেলেই এরা আক্রমণ করে। যখন চারপাশে গরম তখন হঠাৎ করে ঠান্ডা পানি গলায় গেলে গলার তাপমাত্রা অনেক কমে যায়। এই জীবাণুগুলো তখন সক্রিয় হয়ে ওঠে।  
মাশরুমের উপকারিতা ও যেভাবে খাবেন
ব্যাঙের ছাতা বলেই পরিচিত মাশরুম। এ কারণে হয়তো অনেকেই খেতে চান না। তবে যারা এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানেন, তারা ঠিকই খেয়ে থাকেন। মাশরুম ক্লোরোফিলবিহীন ছত্রাক জাতীয় উদ্ভিদ এবং নতুন ধরনের সবজি যা সম্পূর্ণ হালাল, সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও উচ্চখাদ্যশক্তি এবং ভেষজগুণে ভরপুর। এর মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ প্রোটিন আছে, যা অত্যন্ত উন্নত ও নির্ভেজাল। এতে উপকারী শর্করা ও চর্বি আছে। তবে অনেকেই আছেন যারা এর উপকারিতা সম্পর্কে অল্প কিছু জানলেও এটি কীভাবে খেতে হয় তা জানেন না। মাশরুমের পুষ্টিগুণ এবং এটি খাওয়ার উপায় সম্পর্কে পুষ্টিবিদের মতামত জেনে নেওয়া যাক। মাশরুম : মাশরুম হচ্ছে ছত্রাক পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। এ পর্যন্ত প্রায় ১৪ হাজার প্রজাতির মাশরুম পাওয়া গেছে। তবে সব ধরনের মাশরুম কিন্তু খাওয়া যায় না। বনে-জঙ্গলে পাওয়া মাশরুম বিষাক্ত। এ ক্ষেত্রে অর্গানিক বা নিজেদের চাষ করা মাশরুম খাওয়া যেতে পারে। বাটান, ওয়েস্টার ও পোর্টেবেলো ধরনের মাশরুম রয়েছে, যা খুবই জনপ্রিয়। আর যেখানে সেখানে পাওয়া নয়, নিজে চাষ বা অর্গানিক মাশরুম খাওয়া নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত। পুষ্টিগুণ : মাশরুমে ওষধি গুণাগুণ রয়েছে। এতে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন ছাড়াও রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিবায়োটিক, মিনারেল, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ডি ও বি। উপকারিতা : অনেকেই আছেন যারা ওজন কমাতে চান। এ ক্ষেত্রে তারা খাদ্যতালিকায় মাশরুম রাখতে পারেন। কারণ, মাশরুমে লো ক্যালোরি। যারা পেশি বাড়াতে চান তাদের প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার প্রয়োজন হয়। তারা প্রোটিনের উৎস হিসেবে মাশরুম খেতে পারেন। এ ছাড়া মাশরুমে পেনিসিলন থাকায় এটি অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। যা শরীরের জন্য উপকারী। এ ছাড়া মাশরুম খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস কমানো, ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ, হৃদযন্ত্র ভালো রাখা, কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস, ক্যানসার ও টিউমার প্রতিরোধ এবং শিশুদের হাড় ও দাঁত ভালো রাখার ক্ষেত্রে কার্যকর উপকার পাওয়া যায়। খাওয়ার উপায় : সালাদ হিসেবে মাশরুম খেতে পারেন। আবার মাশরুমের স্যুপ, ক্রিম মাশরুম স্যুপ খুব জনপ্রিয়। কেউ কেউ সবজির সঙ্গে মাশরুম দিয়ে রকমারি রেসিপি তৈরি করেন। নুডুলসের সঙ্গে বা ফ্রাই করেও খেতে পারেন। এছাড়া চাইলে স্যুপে আস্ত ব্যবহার না করে মাশরুমের পাউডার করে মিশিয়ে খেতে পারেন। সতর্কতা: মাশরুম কখনোই কাঁচা বা অল্প সেদ্ধ অবস্থায় খাওয়া যাবে না। পরিপূর্ণ সেদ্ধ বা রান্না হলে তবেই খেতে হবে। তা না হলে হজম ও অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশনের সমস্যা হতে পারে। আবার খাওয়ার আগে মাশরুম বিষাক্ত কিনা, সেটি নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। অনেকের অ্যালার্জির সমস্যা থাকে, আবার যদি কারও মাশরুম খাওয়ার পর অ্যালার্জির সমস্যা হয় তাহলে না খাওয়া ভালো। কিডনি রোগ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের মাশরুম খাওয়া ঠিক নয়। কারণ, এটি ছত্রাকজনিত প্রোটিন। এ ছাড়া হজমে সমস্যা বা পেটের সমস্যা হলেও না খাওয়াই ভালো।
গরমে ঘন ঘন হিট ক্র্যাম্প, যাদের ঝুঁকি বেশি 
গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। এই অবস্থায় হিট ক্র্যাম্প বা গরমের কারণে পেশিতে টান পড়তে পারে। এর বেশকিছু কারণ রয়েছে। কিছু বিশেষ লক্ষণ দেখলে হিট ক্র্যাম্প টের পাওয়া যায়।  হিট ক্র্যাম্প বা গরমের কারণে পেশিতে টান লাগার কারণ- ডিহাইড্রেশন- গরমকালে শরীর থেকে অনেক পানি বেরিয়ে যায়। আর পানির সঙ্গে সঙ্গে ইলেক্ট্রোলাইটও বেরিয়ে যেতে থাকে। পানি কমে গেলে পুষ্টি উপাদান পরিবহনে বাধা আসে। ফলে পেশিতে টান লাগে। হিট ক্র্যাম্প হয়। আর্দ্রতা বেশি থাকলে- গরমের সঙ্গে আর্দ্রতাও বেশি থাকলে এই সমস্যা হতে পারে। কারণ এই সময় ঘাম হলেও তা শুকায় না। ফলে শরীরের তাপমাত্রা কমতে পারে না। যা হিট ক্র্যাম্পের কারণ। বয়স- শিশু ও বয়স্কদের এই সময় হিট ক্র্যাম্পের ঝুঁকি বেশি। কারণ তাদের শরীর সহজে বাইরের উষ্ণতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে না। যার ফলে অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। এই তাপের কারণে ক্র্যাম্প হতে পারে। হিট ক্র্যাম্পের লক্ষণ- হঠাৎ করেই প্রচণ্ড পেশিতে টান লাগে। নিজের অনিচ্ছাতেই শরীরের কোনও অঙ্গ কেঁপে উঠতে পারে। প্রচণ্ড ঘাম হতে থাকে। ত্বক দিয়ে পানির মতো ঘাম বের হয় কিন্তু শুকায় না। গায়ের তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়। যেসব অঙ্গে বেশি হয়-  হাত, পা, কোমর, পেট হিট ক্র্যাম্প থেকে রেহাই পেতে গেলে কিছু সহজ উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে। সেগুলো হলো- কিছুটা সময় ঠান্ডা জায়গায় টান টান হয়ে শুয়ে বা বসে বিশ্রাম নিন।  যে অংশে টান লেগেছে, সেখানে পেশি মালিশ করতে হবে। ভারী জামাকাপড় পরে থাকলে খুলে ঢিলে করে দিন।  একটি ভেজা রুমাল দিয়ে মুখ, হাত যতটা হয় মুছে নিতে পারেন। খুব পরিশ্রমের কাজ করলে তার থেকে বিরত থাকুন। ঘন ঘন পানি পান করতে হবে। শরীরে যেন পানির অভাব না হয়। কিছুটা ঠান্ডা পানি খেলে উপকার পাবেন।
গরমে আরাম দেবে আম পান্না
প্রচণ্ড গরমে সারাদিন রোদে ঘুরে ঠান্ডা কোনও পানীয় খেতে আমাদের সকলেরই ইচ্ছে করে। শুধু গরমকাল কেন, যেকোনও সময়েই বাইরে থেকে ঘুরে এসে আমরা প্রত্যেকেই কোনও না কোনও পানীয় খেয়ে থাকি। আর যারা বাহিরে ঘোরাঘুরি করেন, তাদের সব সময় সঙ্গে পানীয় রাখা প্রয়োজন। এ সময় শরীরে পানির অভাব হতে পারে। সেই কারণে সব সময় প্রস্তুত থাকা দরকার।   চিকিৎসকরা বলেন, দোকান থেকে কেনা ঠান্ডা কোমল পানীয় এই সময় একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। বরং কিছু প্রাকৃতিক পানীয় পান করা যেতে পারে। আর এখন যেহেতু গরমকাল, তাহলে কেন অন্য কোনও পাণীয় খাবেন? যখন আপনার হাতের কাছে রয়েছে কাঁচা আম। বাজারে পুরো দমে এখন আম পাওয়া যাচ্ছে। কাঁচা পাকা দুপ্রকারের আমই পাওয়া যাচ্ছে। এবার সেই কাঁচা আম দিয়ে বানিয়ে ফেলুন আম পান্না। গরমে শরীরকে সুস্থ রাখতে, সঙ্গে রসনারও তৃপ্তি মেটাতে এর জুড়ি মেলা ভার। এ ছাড়াও এ উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় শুধু স্বস্তিই পাওয়া যাবে তাই নয়, বরং স্বাস্থ্যেরও উন্নতিও হতে পারে। হিট স্ট্রোক প্রতিরোধেও এটি খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। জেনে নিন এই উপকারী পানীয় তৈরির রেসিপি। উপকরণ-  কাঁচা আম ২টি, গোলমরিচ গুঁড়া ১/২ চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো, বিট লবণ প্রয়োজন মতো, জিরা ভাজা গুঁড়া ১ চা চামচ, গুড় ২ টেবিল চামচ, পানি ৪ কাপ, বরফ প্রয়োজন মতো। প্রণালি- মৃদু আঁচে আম পুড়িয়ে নিন। আমের খোসা কালো হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা করুন। যখন আম পুরোপুরি ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন আম খোসা ছাড়িয়ে নিন। এবার আম টুকরা করে নিন। এরপর ব্লেন্ডারে নিয়ে জিরা গুঁড়া, বিট লবণ, গোলমরিচ গুঁড়া এবং লবণ দিন। গুড় যোগ করুন। ব্লেন্ড করুন। ব্লেন্ড করা মিশ্রণটিকে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন। ঠান্ডা হলে দুই টেবিল চামচ পাল্প নিয়ে বরফের কিউব দিন। ঠান্ডা পানি যোগ করুন। জিরা গুঁড়া ছিটিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
তরমুজের সঙ্গে বা পরে খাবেন না যেসব খাবার
তরমুজ খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কমই আছে। এই ফল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে তরমুজ খাওয়ার পর কিছু জিনিস খাওয়া উচিত নয়। এতে পেটের নানা সমস্যা হতে পারে। অ্যাসিডিটি ও গ্যাসের মতো সমস্যা বাড়তে পারে। তরমুজ খাওয়ার পর বা একসঙ্গে কোন খাবারগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন জেনে নিন। জেনে নিন- >> তরমুজ খাওয়ার পর বা এর সঙ্গে কখনোই লবণ খাওয়া উচিত নয়। এই পদ্ধতি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে। তরমুজের সঙ্গে লবণ খেলে এর পুষ্টিগুণ শরীরে ঠিকমতো শোষিত হয় না, যা রক্তচাপ বাড়া বা কমিয়ে হার্টের সমস্যা বাড়াতে পারে। >> তরমুজ খাওয়ার পর কখনোই দুধ পান করা উচিত নয়। এটা করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। >> তরমুজে ভিটামিন সি পাওয়া যায়, যা দুধের সঙ্গে বিক্রিয়া করতে পারে। এতে ফোলা সমস্যা হতে পারে। বদহজমও হতে পারে। তাই তরমুজ ও দুধের মিশ্রণকে ভালো বলে মনে করা হয় না। >> তরমুজ খাওয়ার পর কখনোই উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার খাবেন না। নাহলে খারাপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে শরীরে। >> চিকিৎসকরা বলছেন, ভিটামিন ও মিনারেলের পাশাপাশি তরমুজে স্টার্চও থাকে, যা পরিপাকতন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে। এটি আরও অনেক সমস্যার কারণ হতে পারে। >> তরমুজ ও ডিম কখনোই একসঙ্গে খাবেন না। আসলে, উভয়ের প্রকৃতিই আলাদা, যা ফোলাভাব এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। >> উভয়েই একে অপরকে পেটে হজম হতে দেয় না। এতে হজম সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে।