• ঢাকা সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩১
logo
ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে ডাকলেন বাইডেন
ট্রাম্পের জয়ে রাতারাতি বাড়ল ইলন মাস্কের সম্পদ
ইতিহাস গড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনের সময় তার সবচেয়ে কাছের মানুষ ছিলেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় প্রায় ১১৯ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের জয়ে মাস্কের সম্পদ রাতারাতি ১৫ বিলিয়ন ডলার বেড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সিএনএন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হওয়ায় এক লাফে ১৫ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে ইলন মাস্কের সম্পদ। এর মধ্যে কেবল মাস্কের বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির কোম্পানি টেসলার শেয়ারের দামই বেড়েছে ৪১১ মিলিয়ন ডলার। বুধবার টেসলার শেয়ারের মূল্য ১৪ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়ে দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। মাস্কের বেড়ে যাওয়া দিয়ে কী করতে পারেন, তারও একটি হিসেবে দিয়েছে সিএনএন। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, মাস্ক এই ১৫ বিলিয়ন ডলার থেকে বিশ্বের সব মানুষকে এক ডলার করে দিলেও যে অর্থ থাকবে তা দিয়ে বাস্কেটবল কিংবদন্তি মাইকেল জর্ডানের তিন বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তিও কিনে নিতে পারেন। এছাড়া টেসলার তৈরি ব্যয়বহুল সাইবারট্রাকও যদি কেনেন তবে প্রায় এক লাখ ৮২ হাজার সাইবারট্রাক কিনতে পারবেন। স্পোর্টসে বিনিয়োগ করতে চাইলে ডালাস কাউবয়েসের মতো দলকেও কিনে নিতে পারেন। তবে এজন্য বাড়তি ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি পরিমাণ অর্থ দিতে হবে। ধারণা করা হয়, ২৫০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের মালিক ইলন মাস্ক। অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ব্যয়ে যে অপচয় হয়েছে, তার নিরীক্ষার দায়িত্ব দিতে চান ইলন মাস্ককে। এর আগে গত ১৩ জুলাই পেনসিলভানিয়ায় এক নির্বাচনী সমাবেশে হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে যান ট্রাম্প। ওই সময় গুলি তার কানে লাগে। ওই দিনই ট্রাম্পকে সমর্থন করার ঘোষণা দেন টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। বড় অঙ্কের আর্থিক সহায়তা দেন ট্রাম্পের প্রচারশিবিরকে। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে নির্বাচনের রাতে মাস্ক ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো ক্লাবে কাটিয়েছেন। ট্রাম্পও বলেছেন, তিনি মাস্ককে তার প্রশাসনের ‘দক্ষতার সম্রাট’ বলে ডাকবেন। ট্রাম্পের প্রচারশিবির মাস্ককে ‘এক প্রজন্মের শিল্পনেতা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে রয়টার্সকে বলেছে, দেশের ভঙ্গুর ফেডারেল আমলাতন্ত্র অবশ্যই মাস্কের ধারণা ও দক্ষতা থেকে উপকৃত হবে। এদিকে মার্কিন পুঁজিপতি ও মাস্কের সমর্থক শেরভিন পিশেভার বলেন, সরকারি নিয়মনীতির কাটছাঁট মঙ্গলে স্পেসএক্সের পাড়ি জমানোর প্রচেষ্টা বেগবান করবে। মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রকে একটি স্টার্টআপের মতো কাজ করাতে চলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ইলন মাস্কের মতো সেরা উদ্যোক্তা আর নেই। আরটিভি/এসএপি
প্রেসিডেন্ট হিসেবে যেদিন শপথ নেবেন ট্রাম্প
নির্বাচনে হেরে যা বললেন কমলা হ্যারিস
ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে যা লিখলেন ট্রুডো
ট্রাম্পকে বাইডেনের অভিনন্দন 
ট্রাম্পের জয় ও অভিবাসীদের ভবিষ্যৎ
সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১৩২ বছরের রেকর্ড ভেঙে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এ জয়ে রিপাবলিক সমর্থকরা খুশি হলেও চিন্তার ভাঁজ দেশটিতে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বাস করা ১ কোটি ১০ লাখ অভিবাসীর কপালে। কারণ, নির্বাচনি প্রচারের শুরু থেকেই ট্রাম্প এই অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কড়া বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন। বলছিলেন, জয় পেলে গণহারে তাদের ফেরত পাঠানো হবে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, কী হতে হচ্ছে তাদের ভবিষ্যৎ? ট্রাম্পের সাবেক ছয় কর্মকর্তা ও মিত্ররা জানিয়েছেন, ক্ষমতা নেওয়ার পর রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দিতে তিনি সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে কাজে লাগাবেন। পাশাপাশি এ কাজে সহযোগিতার জন্য তিনি বিচার বিভাগকেও চাপ দিতে পারেন। একই সঙ্গে ট্রাম্পকে সমর্থন দেওয়া ব্যক্তি, যারা তার প্রশাসনে যুক্ত হতে পারেন তাদের ধারণা হচ্ছে, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে রিপাবলিকান পার্টির নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামরিক বাহিনী থেকে শুরু করে বিদেশি কূটনীতিক পর্যন্ত সবাইকে ডেকে অবৈধ অভিবাসীদের বের করে দেওয়ার বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে বলতে পারেন।  তারা আরও মনে করেন, এ কাজে রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন অঙ্গরাজ্যগুলোর নেতাদের থেকে ট্রাম্প সহযোগিতা নিতে পারেন। এমনকি যেসব রাজ্যে আইনি বিধিনিষেধ আছে, সেখানকার তহবিল বন্ধ করে দেওয়ার মতো পদক্ষেপও তিনি নিতে পারেন। ট্রাম্পের রানিং মেট জে ডি ভ্যান্সের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর ১০ লাখ অভিবাসীকে বের করে দেওয়া হতে পারে। এ বিষয়ে অভিবাসী নিয়ে কাজ করা আইনজীবীরা বলছেন, ট্রাম্পের অভিবাসী বিতাড়নের চেষ্টা ব্যয়বহুল, বিভাজন সৃষ্টিকারী ও অমানবিক হয়ে উঠতে পারে। এতে অনেক পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। আরটিভি/আইএম
ট্রাম্পকে কমলার অভিনন্দন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী ও পরাজিত প্রার্থী কমলা হ্যারিস। বুধবার (৬ নভেম্বর) সিবিএস নিউজের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়। এদিকে কমলার সহযোগীদের বরাত দিয়ে সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, দুই নেতা ফোনে কয়েক মিনিট কথা বলেন। এ সময় কমলা ট্রাম্পকে সব আমেরিকানদের প্রেসিডেন্ট হওয়ার আহ্বান জানান।  অপরদিকে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার ওয়াশিংটনের হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটিতে দলের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে কমলা হ্যারিসের বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে। একই তথ্য জানায় ডেমোক্র্যাটিক প্রচার শিবিরও। তাদের ভাষ্য, রাত ৯টায় ওয়াশিংটনের হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটিতে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেবেন কমলা। এ সময় কমলার স্বামী ডগলাস এমহফ তার সঙ্গে থাকবেন। এর আগে, সদ্য অনুুষ্ঠিত নির্বাচনে ১৩২ বছরের রেকর্ড ভেঙে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ট্রাম্প। আর তার কাছে পরাজিত হন ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। আরটিভি/আইএম
কবে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা গ্রহণ করবেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে শেষ পর্যন্ত রাজকীয় প্রত্যাবর্তনই হলো ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন তিনি। চার বছর পর ফের দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন রিপাবলিকান এই নেতা। এমন ঘটনা মার্কিন ইতিহাসে বিরল। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন তিনি। বার্তা সংস্থা এপির তথ্য অনুযায়ী, রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প পেয়েছেন ২৭৯টি ইলেকটোরাল ভোট, আর ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৩টি। এর ফলে দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইট হাউজের দখল পাচ্ছেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। তবে আনুষ্ঠানিক ফলাফল এখনও ঘোষণা হয়নি। চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের জন্য কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে। তবে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগেই ট্রাম্প ও তার সমর্থকরা দেশজুড়ে বিজয় উদযাপন শুরু করেছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট নিজেকে ইতোমধ্যেই ‘বিজয়ী’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এক ভাষণে ট্রাম্প বলেন, তিনি একটি ‘অসাধারণ বিজয়’ পেয়েছেন। তার দ্বিতীয় শাসনামল হবে ‘আমেরিকার স্বর্ণযুগ’। রিপাবলিকান এই নেতা আরও বলেন, এটি আমেরিকার জনগণের জন্য একটি বিশাল বিজয়, যা আবারও আমেরিকাকে মহান করে তুলতে সাহায্য করবে। এদিকে ট্রাম্পের জয়ী হবার খবর সামনে আসতেই জল্পনা শুরু হয়েছে তার শপথ ও প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়ে। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পেতে তাকে অপেক্ষা করতে হবে ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ওইদিন আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন তিনি। এ ছাড়া ওইদিনই প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউজে ওঠবেন। অপরদিকে হোয়াইজ হাউজ ছেড়ে চলে যাবেন জো বাইডেন। ১৮৪৫ সাল থেকেই এই ধারাবাহিকতা চলে আসছে। সে সময় থেকেই নভেম্বরের প্রথম মঙ্গলবার দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং জানুয়ারির ২০ তারিখে প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরিকল্পনা, নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং আইনি ও পদ্ধতিগত সুরক্ষাসহ বেশ কয়েকটি কারণে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং শপথ গ্রহণের মধ্যে কিছুটা সময়ের ব্যবধান রাখা হয়। নতুন সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের জন্য এই সময়টা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আরটিভি/একে
ইলন মাস্ক রিপাবলিকান পার্টির ‘নতুন তারকা’: ট্রাম্প
প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ককে রিপাবলিকান পার্টির ‘নতুন তারকা’ হিসেবে পরিচয় করিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (৬ নভেম্বর) ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে বক্তব্য রাখার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, মাস্ক শুধু একজন উদ্ভাবক নন বরং তিনি একজন ‘বিস্ময়কর’ ব্যক্তি, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারেন। বক্তব্যে তিনি মাস্ককে নিয়ে স্মৃতিচারণও করেন—একবার স্পেসএক্স রকেটের ভিডিও দেখার সময় তিনি মাস্ককে ৪০ মিনিট ধরে আটকে রেখেছিলেন, যা ছিল উভয়ের জন্যই একটি স্মরণীয় মুহূর্ত। বক্তব্যে নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, দেশের রোগ মুক্তিতে সাহায্য করতে যাচ্ছি। এটি হবে আমেরিকার স্বর্ণযুগ। এটি আমেরিকান জনগণের জন্য একটি দুর্দান্ত বিজয়, যা আমাদের আমেরিকাকে আবারও মহান রাষ্ট্রে পরিণত করার সুযোগ দেবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রাথমিক ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসকে ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটে বড় ব্যবধানে পরাজিত করেছেন তিনি। ফলে দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইট হাউজের দখল পাচ্ছেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ফলে তিনি হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হতে প্রয়োজন হয় ২৭০টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের। সেই ম্যাজিক ফিগার এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছেন ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প। তিনি ম্যাজিক ফিগারের চেয়েও বেশি ভোট পেয়েছেন। বার্তা সংস্থা এপির তথ্য অনুযায়ী, রিপাবলিকান এই প্রার্থী ২৭৭টি এবং ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৪টি ইলেক্টোরাল ভোট। তবে এখনো আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা হয়নি। আরটিভি/একে/এসএ
মার্কিন নির্বাচনে জয়ী হয়ে রেকর্ড গড়লেন দুই মুসলিম নারী
মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্র্যাট শিবির থেকে পুনরায় নির্বাচিত হলেন দুই মুসলিম নারী। এর মধ্যে রাশিদা তালিব চতুর্থ মেয়াদে এবং ইলহান ওমর তৃতীয় মেয়াদে জয়ী হয়েছেন। বুধবার (৬ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত মার্কিন কংগ্রেসের নারী সদস্য রাশিদা তালেব। তিনি ডিয়ারবর্নের বৃহৎ আরব-আমেরিকান সম্প্রদায়ের সমর্থনে মিশিগানের প্রতিনিধি হিসাবে চতুর্থ মেয়াদে জয়ী হয়েছেন। তিনি রিপাবলিকান জেমস হুপারকে পরাজিত করে জয়ী হয়েছেন। আর ইলহান ওমর সোমালি আমেরিকান। তিনি মিনেসোটাতে তৃতীয় মেয়াদের জন্য পুনরায় জয়ী হন। তার অধীনস্ত শহরের মধ্যে মিনিয়াপোলিস এবং বেশ কয়েকটি শহরতলিও রয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার কঠোর সমালোচক রাশিদা। সম্প্রতি ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুতে তার অবস্থানের জন্য সমর্থন দিতেও অস্বীকৃতি জানান তিনি। ইলহানও গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধের একজন কড়া সমালোচক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা একটি পোস্টে জয়ের জন্য সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইলহান। তিনি লিখেছেন, আমাদের কঠোর পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। আমরা ১ লাখ ১৭ হাজার ৭১৬টি দরজায় কড়া নেড়েছি। আমরা ১ লাখ ৮ হাজার ২২৬টি ফোনকল করেছি এবং ১ লাখ ৪৭ হাজর ৩২৩টি বার্তা পাঠিয়েছি। এই বিজয় যারা সুন্দর ভবিষ্যতের সম্ভাবনায় আস্থা রেখেছে তাদের সবার। রাশিদা-ইলহান দুজনই আইনপ্রণেতাদের একটি গোষ্ঠী ‘দ্য স্কোয়াড’ এর সদস্য। এই সংগঠনে আলেকজান্দ্রা ওকাসিও-কর্তেজসহ অন্যান্য প্রগতিশীল কংগ্রেস সদস্যরাও রয়েছেন। আরটিভি/একে/এসএ
স্ত্রীর প্রতি ট্রাম্পের আবেগঘন বক্তব্য
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজেকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) গভীর রাতে ফ্লোরিডায় উচ্ছ্বসিত সমর্থকদের সামনে ভাষণ দেওয়ার সময় এই ঘোষণা দেন তিনি। এ সময় মঞ্চের পাশে দাঁড়ানো স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পকে জড়িয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প।  ডায়েসে ফিরে মেলানিয়াকে ফার্স্ট লেডি বলে সম্বোধন করে ধন্যবাদ জানান তিনি। একই সঙ্গে মেলানিয়া ট্রাম্পের লেখা বইয়ের প্রশংসা করে ট্রাম্প বলেন, দেশের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বই রয়েছে তার। সম্প্রতি মেলানিয়ার লেখা স্মৃতিকথামূলক একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। বইটির নাম ‘মেলানিয়া’। বইটিতে তার ব্যক্তিগত জীবনের নানা অজানা কথা উঠে এসেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তিনি (মেলানিয়া) দুর্দান্ত কাজ করেছেন। মানুষকে সাহায্য করার জন্য অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করেন তিনি। এ সময় নিজের সন্তানদেরও ধন্যবাদ জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রত্যেক সন্তানের নাম উল্লেখ করে তারা আমার চমৎকার সন্তান। ট্রাম্পের ভাষণের সময় পাম বিচের জড়ো হওয়া জনতা ‘আমেরিকা’, ‘আমেরিকা’ স্লোগান দেন। সমর্থকদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, প্রত্যেক দিন আমি আপনারদের জন্য লড়াই করে যাব। গত জুলাইয়ে নির্বাচনী প্রচারণার সময় গুপ্তহত্যার চেষ্টা থেকে বেঁচে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি একটি মাত্র কারণে গুপ্তহত্যার চেষ্টা থেকে বেঁচে গেছি। জনতাকে তিনি বলেন, তার জীবন একটি কারণে রক্ষা পেয়েছে, সেটি হলো দেশকে রক্ষা করা। ট্রাম্প বলেন, তিনি হোয়াইট হাউসে প্রত্যেকের জন্য লড়াই করবেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়া বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। প্রতিশ্রুতি দেওয়া এবং রক্ষা করাই হবে তার সরকার পরিচালনার মূলনীতি বলেও ঘোষণা দেন তিনি। আরটিভি/একে/এসএ
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, ভাঙলেন ১৩২ বছরের রেকর্ড
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে শেষ পর্যন্ত রাজকীয় প্রত্যাবর্তনই হলো ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে ১৩২ বছরের এক রেকর্ড ভাঙলেন ট্রাম্প। ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় ২৭০ ইলেকটোরাল ভোটের ল্যান্ডমার্ক পার করে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলাকে পরিষ্কার ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে সিনেটেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত হয়ে গেছে তার দল রিপাবলিকান পার্টির। দারুণ এ জয়ে বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতে উঠেছে রিপাবলিকান শিবির।  অবশ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে ট্রাম্পকে ভালোই টক্কর দিচ্ছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা। বড় স্টেটগুলোতে জিতে হোয়াইট হাউস পুনরুদ্ধারের দৌড়ে থাকা সাবেক প্রেসিডেন্টের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছিলেন ডেমোক্র্যাটদের নারী কাণ্ডারি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুইং স্টেটের ফলাফলই কমলাকে ছিটকে দিলো দৌড় থেকে। নর্থ ক্যারোলিনা, জর্জিয়া ও পেনসিলভানিয়া জয়ের পর মিশিগান এবং উইসকনসিনেরও ইলেকটোরাল ভোট ঝুলিতে পুরে জয় নিশ্চিত করলেন ট্রাম্প। সবশেষ আপডেট অনুযায়ী, হোয়াইট হাউসে প্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭০ ইলেকটোরাল ভোটের বিপরীতে ইতোমধ্যে ২৭৭ ভোট পেয়ে গেছেন সাবেক এ প্রেসিডেন্ট। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস এখন পর্যন্ত পেয়েছেন ২২৬টি ভোট। খবর ফক্স নিউজের।  ক্যালিফোর্নিয়া, ওয়াশিংটন ও নিউইয়র্কের মতো বড় রাজ্যগুলোতে জিতে রিপাবলিকান শিবিরে কিছুটা ভয়ের সঞ্চার করতে সক্ষম হলেও ব্যবধান গড়ে দিলো সাত সুইং স্টেটের ভোট, যেখানে নর্থ ক্যারোলিনা, জর্জিয়া ও পেনসিলভানিয়ার পর মিশিগান এবং উইসকনসিনেও জয় পেয়েছেন ট্রাম্প। অন্য দুই সুইং স্টেট অ্যারিজোনা ও নেভাদায় ভোটগ্রহণ এখনও চলছে, যেখানে ট্রাম্পই জয় পেতে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।  এদিকে মিশিগান ও উইসকনসিনের ফলাফল নিশ্চিত হওয়ার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজেকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।  স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) গভীর রাতে ফ্লোরিডায় উচ্ছ্বসিত সমর্থকদের সামনে ভাষণ দেওয়ার সময় এই ঘোষণা দেন তিনি। খবর বিবিসির।  ফ্লোরিডায় নিজের প্রচার শিবিরের সদর দপ্তরে সমর্থকদের সামনে ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা আমাদের একটি অভূতপূর্ব এবং শক্তিশালী ম্যান্ডেট দিয়েছে। জনতাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, একদিন তারা (দেশের মানুষ) এই দিনের দিকে ফিরে তাকাবে এবং এই দিনটিকে “নিজেদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোর মধ্যে একটি দিন” হিসেবে বিবেচনা করবে। জরিপ বলছে, এবারের নির্বাচনে তিনশোরও বেশি ভোট পেতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগে মার্কিন রাজনীতির ইতিহাসে হোয়াইট হাউস পুনরুদ্ধার করতে পেরেছেন একজনই; গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড। ১৮৮৪ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ১৮৮৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে নির্বাচনে অংশ নেন তিনি। কিন্তু সেই নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী বেঞ্জামিন হ্যারিসনের কাছে হেরে যান ক্লিভল্যান্ড। পরবর্তীতে ১৮৯২ সালে আবার নির্বাচনে অংশ নেন। হ্যারিসনকে হারিয়ে আবারও হোয়াইট হাউজের ক্ষমতায় বসেন ক্লিভল্যান্ড। আমেরিকার ২২তম ও ২৪তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি।  মূলত, বাইডেনের চার বছরের শাসনামলে অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কর্মসংস্থানের সংকট সৃষ্টির পাশাপাশি অব্যাহত মূল্যস্ফীতির কারণে পড়ে গেছে জীবনযাত্রার মান। অন্যদিকে, বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্য নীতি ও অভ্যন্তরীণ কিছু নীতির কারণেও সেখানকার মুসলমান নাগরিকরা আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন ডেমোক্র্যাটদের প্রতি। বাইডেন প্রশাসনের বিগত দিনের ভুলগুলোর খেসারতই কমলাকে দিতে হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আরটিভি/এসএইচএম