• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ইউক্রেনে নতুন অস্ত্র-সরঞ্জাম পাঠানোর ঘোষণা বাইডেনের
টিকটক নিষিদ্ধে বিল পাস যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে আনা একটি বিল অনুমোদন করেছে দেশটির সিনেট। বিলটি এখন স্বাক্ষরের জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে যাবে এবং তার স্বাক্ষরের পর এটি আইনে পরিণত হবে। বিলের শর্ত অনুযায়ী, টিকটকের চীনা মালিক প্রতিষ্ঠান, বাইটড্যান্সকে যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের শেয়ার আগামী ছয় মাসের মধ্যে বিক্রি করে দিতে হবে। অন্যথায় যুক্তরাষ্ট্রে এই অ্যাপটি ব্লক করে দেওয়া হবে। আর এমনটি হলে বাধ্যতামূলকভাবে টিকটক বিক্রির বিষয়ে চীনা কর্তৃপক্ষের অনুমোদন চাইতে হবে বাইটড্যান্সের। তবে বেইজিং ইতোমধ্যেই শক্তভাবে এর বিরোধিতা করেছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে চারটি বিলের একটি প্যাকেজের সঙ্গে এ বিলটি পাস হয়েছিলো। ওই প্যাকেজে ইউক্রেন, ইসরায়েল, তাইওয়ান এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারদের জন্য সামরিক সহায়তা সংক্রান্ত বিষয়ও ছিল। জানা গেছে, চালুর অল্প সময়ের মধ্যেই তরুণদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠা ভিডিও শেয়ারের অ্যাপটি নিষিদ্ধের জন্য গত শনিবার প্রস্তাব উঠলে তা বড় ধরনের সমর্থন লাভ করে সিনেটে। সেখানে ৭৯ জন সিনেটর প্রস্তাবের পক্ষে আর ১৮ জন তার বিরুদ্ধে ভোট দেন। উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ব্যবহারকারী আছে টিকটকের। তবে এখন এর সঙ্গে চীনা সরকারের যোগসূত্র এবং এর ব্যবহারকারীদের তথ্য উপাত্তের নিরাপত্তা নিয়ে ক্রমশ প্রশ্ন উঠছে। সূত্র: বিবিসি  
ইসরায়েলি সেনা ইউনিটের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা!
ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, গণগ্রেপ্তার
যুক্তরাষ্ট্রের মেমফিসে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ২
ইসরায়েল–ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টে বিল পাস
মার্কিন কংগ্রেসে ইউক্রেনের জন্য সহায়তা বিলে ভোট আজ
মার্কিন কংগ্রেসে ইউক্রেনের জন্য সহায়তা বিল নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের ভোট হতে যাচ্ছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে এই ভোট হবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই খবর জানিয়েছে।  এদিন ইউক্রেন এবং ইসরায়েলের জন্য কয়েক কোটি ডলারের মার্কিন সামরিক সহায়তা চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কয়েক বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা দিয়েছে। দেশটি কিয়েভের সবচেয়ে বড় দাতা। তবে বর্তমানে সহায়তা কমে গেছে। হাউসে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মিত্ররা নতুন সহায়তা থামিয়ে দিচ্ছে। কংগ্রেসে বিলটি পাস হওয়া নিয়ে এখনও আশঙ্কা রয়ে গেছে। এ বিষয়ে হাউসের স্পিকার মাইক জনসন বলেছেন, বিষয়টিকে ভোটে আনতে বদ্ধপরিকর তিনি। এমনকি এতে যদি তার ক্ষমতা হুমকির মুখে পড়ে তবুও। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সহায়তা প্যাকেজটিতে ভোট দিতে প্রস্তুত কংগ্রেস। একইসঙ্গে প্যাকেজটি অনুমোদনের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে সিনেটও। বিলটি সিনেটে পাস হলে এটিকে আইনে স্বাক্ষর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইউক্রেনের এই সহায়তা প্রস্তাবের ভোট কিয়েভে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। কেননা, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রে লড়তে মিত্রদের কাছ থেকে নতুন এই সহায়তা ইউক্রেনের জন্য জরুরি হয়ে পড়েছে। এর আগে, গত অক্টোবরে প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকান সদস্যরা ইউক্রেনকে বাড়তি সামরিক সহযোগিতা দেয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল। ওই প্রস্তাবে ৬,১০০ কোটি ডলারের সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।  
ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও কয়েকটি সংস্থার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ ঘোষণা দেন। হোয়াইট হাউজের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এক সপ্তাহেরও কম সময় আগে ইরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালায়। আমাদের মিত্র এবং অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে রক্ষা করেছে। আমরা এই আক্রমণকে পরাজিত করতে সাহায্য করেছি। আজ (বৃহস্পতিবার) আমরা ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা এবং রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করছি। বিজ্ঞপ্তিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা ইসরায়েলে হামলা করতে সহায়তা করা ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কর্পস, ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইরান সরকারের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন উদপাদন কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত নেতা এবং সংস্থাগুলোকে লক্ষ্য করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, হামলার পর আমি আমার সহকর্মী জি-৭ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা ইরানের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়াতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের মিত্র এবং অংশীদাররা ইরানের অস্থিতিশীল সামরিক কর্মসূচি সীমিত করার জন্য অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা জারি এবং ব্যবস্থা নিচ্ছে বা নেবে। জো বাইডেন বলেন, যারা ইরানের হামলাকে সক্ষম বা সমর্থন করে তাদের সবার কাছে এটি পরিষ্কার হোক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা এই অঞ্চলে আমাদের কর্মীদের এবং অংশীদারদের নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
পর্নো তারকাকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় ট্রাম্পের বিচার শুরু
পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় নিউইয়র্কের ম্যানহাটন আদালতে হাজির হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্য দিয়ে আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) ফৌজদারি মামলায় তার বিচার শুরু হলো।  প্রসঙ্গত, ট্রাম্পই হচ্ছেন প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি ফৌজদারি মামলায় বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন। এ মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মোট ৩৪টি অভিযোগ আনা হয়েছে। অবশ্য সবগুলো অভিযোগই অস্বীকার করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আইনের দিক থেকে ভুল কিছু করেননি বলে দাবি তার। এমনকি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে সম্পর্কের কথাও অস্বীকার করেছেন তিনি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, তার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে মুখ না খুলতে ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় সাবেক পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। ওই অর্থ লেনদেনের বিষয়টি গোপন রাখতে নিজের ব্যবসায়িক রেকর্ডেও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন বলে অভিযোগ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। এদিকে মুখ বন্ধ রাখতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের তৎকালীন আইনজীবী মাইকেল কোহেন প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলস। উল্লেখ্য, সোমবার জুরি নির্বাচনের মাধ্যমে শুরু হওয়া বিচার প্রক্রিয়ায় ছয় সপ্তাহ লেগে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের সর্বোচ্চ চার বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে জরিমানা দিয়ে তিনি কারাবাস থেকে রেহাই পেতে পারবেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চারটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তবে নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষের এই মামলাতেই আদালতকক্ষে হাজির হতে হল রিপাবলিকান পার্টির সম্ভাব্য এই প্রার্থীকে।
যুক্তরাষ্ট্রে কার্যকর হচ্ছে গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞা
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় কার্যকর হতে যাচ্ছে ১৯ শতকের গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞা৷ ১৮৬৪ সালের এক আইনে গর্ভপাতে সহায়তা করা চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে৷ মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) অ্যারিজোনা রাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে জানিয়েছে, রাজ্যটি গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার জন্য ১৮৬৪ সালের এই আইন পুনরায় কার্যকর করতে পারে৷ আইনটি কার্যকর হলে গর্ভপাতে সহায়তাকারী চিকিৎসকদের বিচারের মুখোমুখি করার আশঙ্কা বেড়ে যাবে৷ অ্যারিজোনার ১৮৬৪ সালের গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞা অ্যারিজোনা রাজ্যের বিদ্যমান আইন অনুসারে ধর্ষণ অথবা অনিচ্ছাকৃত ঘটনায়ও গর্ভপাত করা নিষেধ৷ শুধুমাত্র মায়ের জীবনের আশঙ্কা থাকলে গর্ভপাতের অনুমতি দেয়া হবে৷ আইনটিতে গর্ভপাতের ক্ষেত্রে সহায়তা করার জন্য দুই থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে৷ গর্ভাবস্থার প্রথম ১৫ সপ্তাহে গর্ভপাত করার জন্য চিকিৎসকদের অভিযুক্ত করা যাবে না বলে ২০২২ সালের একটি আবেদন পর্যালোচনা করেছে রাজ্যটির সুপ্রিম কোর্ট৷ ২০২২ সালের জুনে কেন্দ্রীয় সুপ্রিম কোর্টের ১৯৭৩ সালে দেয়া রো ভি ওয়েডের গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকারের নিশ্চয়তার সিদ্ধান্তকে বাতিল করে দেয়ার পর থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রাজ্য পুরানো গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞা আইন কার্যকর করতে শুরু করেছে৷ বর্তমানে ১৪টি রাজ্য কিছু ব্যতিক্রম পরিস্থিতি ছাড়া, গর্ভাবস্থার সকল পর্যায়ে গর্ভপাতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করছে৷ নিষেধাজ্ঞার প্রতি বাইডেন ও ডেমোক্রেটদের নিন্দা প্রকাশ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞার নিন্দা করেছেন৷ তিনি বলেন, লাখ লাখ অ্যারিজোনাবাসী শীঘ্রই আরও কট্টর ও বিপজ্জনক গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হবে৷ যে আইন নারীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি অথবা ধর্ষণ এর মতো মর্মান্তিক পরিস্থিতিতেও তাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হবে৷ তিনি আরও বলেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিস ও আমি সেই সংখ্যাগরিষ্ঠ আমেরিকানদের পাশে আছি৷ যারা একজন নারীর পছন্দের অধিকারকে সমর্থন করে৷ আমরা প্রজনন অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই চালিয়ে যাবো ও রো ভি ওয়েডের সিদ্ধান্ত পুনরুদ্ধার করার জন্য কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানাবো৷ নভেম্বরে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার আগে বাইডেন তার নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে গর্ভপাত ইস্যুকে গুরুত্ব দিচ্ছেন৷  অ্যারিজোনার অ্যাটর্নি জেনারেল সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সমালোচনা করে বলেন, অ্যারিজোনা যখন একটি রাজ্য ছিল না, যখন এখানে গৃহযুদ্ধ চলছিল ও নারীরা ভোটও দিতে পারতো না, সে সময়কার একটি আইনকে নতুন করে আরোপ করার আজকের এই সিদ্ধান্ত আমাদের রাজ্যের ইতিহাসে একটি কলঙ্ক হিসেবে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে৷
ইরানের হামলার শঙ্কা / ইসরায়েলে কর্মরত মার্কিনীদের সতর্কতা যুক্তরাষ্ট্রের
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলা চালিয়ে সম্প্রতি ইরানের জেনারেলসহ বেশ কয়েকজনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এর জবাবে ইরান আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মার্কিন এক কর্মকর্তা। এ অবস্থায় ইসরায়েলে কর্মরত নিজ দেশের নাগরিকদের ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন দূতাবাসের বরাত দিয়ে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, নিজ কর্মীদের বৃহত্তর জেরুজালেমের বাইরে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে, তেল আবিব ও বির শেভা এলাকা এ সতর্কতার আওতামুক্ত থাকবে। এর আগে, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে সরাসরি দায়ী করেছে ইরান।  তবে, ইসরায়েল এই হামলায় দায় স্বীকার না করলেও এর জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় ইরান। দেশটির ইরানের এক কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েলের দূতাবাসগুলো এখন আর নিরাপদ নয়। কোনো একটি কনস্যুলেট ভবনকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হবে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর গাজার ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যা করে হামাস। পাশপাশি জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে। এরপর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। দখলদারদের এমন হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই ২৪ হাজারের বেশি। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২০ লাখ মানুষ। ২২৯টি মসজিদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ঈদের অনুষ্ঠানে ব্যাপক গোলাগুলি, আহত ৩
যুক্তরাষ্ট্রের একটি পার্কে ঈদ উদযাপনের সময় দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন।  বুধবার (১০ এপ্রিল) দেশটির পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়া শহরে এ ঘটনা ঘটে। ভয়েস অব আমেরিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলাডেলফিয়া শহরের ওয়াইলোসিং এভিনিউয়ের ৪৭০০ ব্লকের কাছে পার্কে প্রায় এক হাজার মানুষ ঈদ উদযাপন করছিলেন। এ সময় দুটি গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে, এখন পর্যন্ত নিহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে, পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। ফিলাডেলফিয়ার পুলিশ কমিশনার কেভিন বেথেল জানান, দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় ৩০টি গুলি বিনিময় হয়েছে। দ্বন্দের জেরে এই ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা ঘটনার বিস্তারিত জানতে তদন্ত শুরু করেছি। ঘটনাস্থল থেকে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।  
সামরিক সহযোগিতা বাড়াতে জাপান-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক
হোয়াইট হাউসে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে স্বাগত জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনা হুমকি মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেয়া হতে পারে এ সাক্ষাতে৷ মঙ্গলবার রাতে হোয়াইট হাউসে জাপানের সরকারপ্রধানকে স্বাগত জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট৷ এর মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের যুক্তরাষ্ট্র সফর শুরু করলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা৷ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীন এবং উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে পাওয়া হুমকি মোকাবিলায় জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা করবেন দেশ দুটির দুই শীর্ষ নেতা৷ ধারণা করা হচ্ছে, ১৯৬০ সালের পর সামরিক খাতে এবারই ওয়াশিংটন ও টোকিওর মধ্যে বড় ধরনের অগ্রগতি দেখা যাবে৷ হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান জানিয়েছেন, এই দুই নেতা আমাদের সামরিক বাহিনীর সমন্বয় ও একীকরণের বিষয়ে নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়ানোর ঘোষণা দেবেন বলে আশা করছি৷ কিশিদার সফরে যা থাকছে স্ত্রী ইউকোকে নিয়েই যুক্তরাষ্ট্র সফরে এসেছেন কিশিদা৷ তাই হোয়াইট হাউসে তাদের স্বাগত জানানোর সময় প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে দেখা গেছে ফার্স্ট লেডি জিলকেও৷ বুধবার রাষ্ট্রীয় নৈশভোজের আগে জিল বাইডেন গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের দেশগুলো এমন একটি বিশ্বের অংশীদার যেখানে আমরা ধ্বংসের বদলে সৃষ্টি, রক্তপাতের পরিবর্তে শান্তি এবং স্বৈরাচারের বদলে গণতন্ত্রকে বেছে নিই৷ বুধবার দেশ দুটির মধ্যে শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে৷ এরপর বৈঠকে বসবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী৷ বৈঠক শেষে রোজ গার্ডেনে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আসবেন দুই নেতা৷ বৃহস্পতিবার জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং ফিলিপাইনসের মধ্যে একটি শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করবেন জো বাইডেন৷ সেখানে উপস্থিত থাকবেন ফিলিপাইনসের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস৷ প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের পর দ্বিতীয় জাপানি নেতা হিসাবে মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দেবেন কিশিদা৷ এরপর তিনি যোগ দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে বিশেষ নৈশভোজে৷ গত বছরের আগস্টে সবশেষ যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন কিশিদা৷ সেবার সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল৷ গত মাসে জাপানের নিপ্পন স্টিলের কাছে ইউএস স্টিল বিক্রির বিরোধিতা করেছিলেন বাইডেন৷ এ ঘটনায় কিশিদার সঙ্গে তার সম্পর্কের কিছুটা অবনতি হতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিল৷ যা এখন সম্পূর্ণ বদলে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।