• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভারতে ভোট দিতে গিয়ে হিটস্ট্রোকে ৫ জনের মৃত্যু
গাজা ইস্যুতে পদত্যাগ করলেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা
যুক্তরাষ্ট্রের গাজা নীতির বিরোধিতা করে পদত্যাগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরবি ভাষার মুখপাত্র হালা রাহারিত।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিঙ্কডইনে এক পোস্টে এ তথ্য নিজেই নিশ্চিত করেছেন তিনি। লিঙ্কডইনের ওই পোস্টে তিনি বলেছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মানজনক পদে ১৮ বছর চাকরি করার পর ২০২৪ সালের এপ্রিলে আমি পদত্যাগ করেছি। গাজা ইস্যুতে মার্কিন সরকারের নীতিই এর কারণ। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, একসময় মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত সংস্থা দুবাই রিজিওনাল মিডিয়া হাবের উপপরিচালক ছিলেন হালা রাহারিত। আরব বিশ্বের সংবাদমাধ্যমগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে সংস্থাটি। ২০০৬ সালে রাজনৈতিক ও মানবাধিকার কর্মকর্তা এবং আরবি ভাষার মুখপাত্র হিসেবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন তিনি। অবশ্য হালা রাহারিতই প্রথম কোনো কর্মকর্তা নন, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের গাজা নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন। গত মার্চে একই কারণে পদত্যাগ করেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয়ের মানবাধিকার ব্যুরোর কর্মকর্তা অ্যানেলি শেলিন। তার আগে গত জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা তারিক হাবাশ। গাজা ইস্যুতে পদত্যাগ করা প্রথম মার্কিন কর্মকর্তার নাম জশ পল। তিনিও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ছিলেন। গত বছরের অক্টোবরে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন তিনি।  প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর হামাসের ওপর প্রতিশোধস্বরূপ গাজা উপত্যকায় অবিরাম হামলা ও সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ কোনো ধরনের আশ্রয় ছাড়াই বসবাস করছে এবং প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ত্রাণবাহী ট্রাক এই অঞ্চলে প্রবেশ করছে। ইসরায়েল গাজার ওপর ব্যাপকভাবে অবরোধ আরোপ করে রেখেছে। এর ফলে এই ভূখণ্ডের জনগোষ্ঠী বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দারা অনাহারের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন। ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এদিকে ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইসরায়েলের সবচেয়ে বিশ্বস্ত মিত্রের ভূমিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের একমাত্র এই ইহুদি রাষ্ট্রকে সামরিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও গোয়েন্দা সহায়তা দিয়ে আসছে ওয়াশিংটন। ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় আগ্রসন শুরুর পর থেকেও একনিষ্ঠভাবে ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র; এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যাপক আপত্তির মুখেও ইসরায়েলকে অস্ত্র, অর্থ, রাজনৈতিক ও গোয়েন্দা সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে মার্কিন সরকার। 
গাজার ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে সময় লাগবে ১৪ বছর: জাতিসংঘ
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের উচিত অংশীদার হওয়া, শত্রু নয়: শি জিনপিং
ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ / যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারতীয় তিন কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
গাধার দুধ বিক্রি করে কোটিপতি, গড়ে তুলেছেন খামার (ভিডিও)
কথায় আছে টাকা থাকলে মেলে বাঘের দুধও। প্রাণীর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত গরু, ছাগল, মহিষের দুধ। অন্যান্য প্রাণীর মতো মানুষের খাবার উপযোগী গাধাও যে দুধ দেয় সে সম্পর্কে কজনেরই বা জানা। যদিও গাধা নাম শুনলেই মনে হয়, এটি শুধুই বোঝা বহনকারী একটি প্রাণী।  কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞান যতই উন্নত হচ্ছে ততই এই প্রাণীর কদর বাড়ছে। বিজ্ঞান জানান দিচ্ছে, গাধার দুধের নানা গুণের কথা। তাই হয়তো নতুন করে এর কদর দেখা যাচ্ছে। যার প্রতি লিটার ৫-৭ হাজার রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। টাকায় যা প্রায় ৯ হাজারের বেশি।  এই গাধা দিয়েই ভাগ্য ফিরিয়েছেন ভারতের গুজরাটের এক যুবক। ভারতের সংবাদমাধ্যম বলছে, গুজরাটে ধীরেন নামে যুবকের ভাগ্য খুলেছে এই দুধ বিক্রির মাধ্যমে। মাসে ২-৩ লাখ রুপি ইনকাম করছেন তিনি। গরুর দুধের প্রায় ৭০-৮০ গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে গাধার দুধ। সব রেখে এই ব্যবসায় কেন ধীরেন? উত্তরে তিনি বলেন, সরকারি চাকরির আশায় পড়াশোনা শেষে সেই দিকে মনোযোগ দেয়। না পেয়ে বেসরকারি চাকরির প্রতি ঝোঁক বাড়ায়। যখন সেখান থেকেও তেমন ইনকাম আসছিল না, তখন মাথায় আঁকেন ব্যবসার ছক। তখন তিনি ভাবলেন গাধার দুধ বিক্রি করবেন। ব্যাস, যেমনই পরিকল্পনা তেমনি কাজ শুরু। ধীরেন নিজের গ্রামেই গাধার গোয়াল করেন। ২২ লাখ টাকায় ২০টা গাধা কেনেন। শুরুটা ভালো না গেলেও ৮ মাসের ব্যবধানে, আজ তার মাসিক ইনকাম লক্ষাধিক। এখন ৪২টি গাধার মালিক ধীরেন। বর্তমানে ৩৮ লাখ বিনিয়োগ আছে এই খাতে। নিজের গ্রাম ছাড়িয়েও আরও কয়েকটি গ্রামে তার ব্যবসা সফলতার সঙ্গে চলছে। যা ছিল একসময় অতীত, তা এখন এই যুবকের জন্য ফের শিরোনামে। একসময় গাধার দুধ ছিল বেশ জনপ্রিয়। গল্প আছে, রানি ক্লিওপেট্রা গাধার দুধে গোসল করে সৌন্দর্যের অপসরা হয়েছিলেন। গ্রীকের একদল চিকিৎসকরা মনে করতেন যকৃতের অসুখ থেকে বিষপ্রয়োগ সবই সারিয়ে দিতে পারে এই গাধার দুধ। মার্কিন সংস্থার বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, এই দুধ শিশুর জন্য অনেক উপকারী কোনো শিশুর গরুর দুধে অ্যালার্জি থাকলে গাধার দুধ ভরসার জায়গা হতে পারে।  
গাজা উপকূলে অস্থায়ী বন্দর তৈরি করছে আমেরিকা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ঘোষণা অনুযায়ী মার্কিন সেনাবাহিনী গাজা উপকূলে অস্থায়ী বন্দর তৈরির কাজ শুরু করেছে৷ মে মাসেই সেখান থেকে মানবিক সহায়তা পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে৷ ইসরায়েলের চলমান সামরিক অভিযানের কারণে স্থলপথে গাজার মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় ত্রাণ পাঠানোর কাজ অত্যন্ত কঠিন৷ তাই মানবিক সাহায্য পাঠাতে মার্কিন সেনাবাহিনী গাজা উপকূলের কাছে সমুদ্রের উপর অস্থায়ী বন্দর তৈরির কাজ শুরু করেছে৷ আগামী মে মাসেই সেটি প্রস্তুত হয়ে যাওয়ার কথা৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত মার্চ মাসে এই ঘোষণা করেছিলেন৷ তবে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এই উদ্যোগের আওতায় গাজার মাটিতে কোনো মার্কিন সেনা পা রাখবে না৷ মার্কিন সেনাবাহিনীর তৈরি অস্থায়ী বন্দর গাজার প্রায় ২৩ লাখ মানুষের জন্য বাস্তবে কত পরিমাণ ত্রাণ পাঠাতে সাহায্য করবে এবং সেই সহায়তা স্থলপথে কীভাবে মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে, সে বিষয়ে এখনো কোনো স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না৷ বিশেষ করে গাজার উত্তরে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা বেড়ে চলায় জরুরি সহায়তার প্রয়োজনের কথা বলছে একাধিক আন্তর্জাতিক সংগঠন৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, অস্থায়ী বন্দরে পাঠানো মানবিক সাহায্য ইসরায়েলি চেকপোস্টের অনুমোদনের পর গাজার অভ্যন্তরে পাঠানো যাবে৷ হামাসের যোদ্ধাদের কাছে কোনো ধরনের ত্রাণ যাতে না পৌঁছয়, ইসরায়েল তা নিশ্চিত করতে চায়৷ জাতিসংঘের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ করা হলেও ইসরায়েল গোটা প্রক্রিয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে চায়৷ জাতিসংঘের সূত্র অনুযায়ী, ইসরায়েলি চেকপয়েন্টে দীর্ঘ বিলম্বের কারণে গাজায় ত্রাণ পাঠানোর কাজ বর্তমান সংকটের শুরু থেকেই বেশ কঠিন ছিল৷ এমনকি সাইপ্রাসের ভূখণ্ডে ইসরায়েলের কর্তৃপক্ষ সেই ত্রাণ সহায়তা পরীক্ষা করার পরেও সেই বিলম্ব এড়ানো যাচ্ছে না৷ অস্থায়ী বন্দর তৈরির কাজ শেষ হলে প্রথম পর্যায়ে দিতে ৯০টি ট্রাক সেখান থেকে ত্রাণ সংগ্রহ করতে পারবে৷ কাজ পুরোপুরি শেষ হলে ১৫০ ট্রাক সেই বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে৷ ইসরায়েলি চেকপোস্টের উপর ট্রাক চলাচলের গতি অনেকটাই নির্ভর করবে৷ ইসরায়েসি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা সেখানে নিরাপত্তা ও লজিস্টিক্স ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করবে৷ মার্কিন সৈন্যদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কয়েক হাজার সৈন্যের এক বিশেষ ব্রিগেড সক্রিয় রয়েছে৷ উল্লেখ্য, নির্মীয়মাণ অস্থায়ী বন্দরের কাছাকাছি বুধবার মর্টার হামলা ঘটেছে৷ অস্থায়ী বন্দরের মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত নির্বিঘ্নে মানবিক সাহায্য পাঠানো সম্ভব হলেও রাফায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ঘোষিত অভিযানের কারণে গাজার সার্বিক পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে৷ সে ক্ষেত্রে ত্রাণ বণ্টনের কাজ আরো বিপজ্জনক ও কঠিন হয়ে উঠতে পারে৷ প্রবল আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও ইসরায়েলের সেনাবাহিনী সেই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে বদ্ধপরিকর৷ সেই অভিযান শুরু হলে গাজার উত্তরের পর দক্ষিণ অংশেও মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে বলে আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলি আশঙ্কা করছে৷
ফিলিস্তিন ইস্যুর স্থায়ী সমাধান চায় চীন
বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি চীন ফিলিস্তিন ইস্যুতে কথা বলেছে। তারা চায় দেশটির বর্তমান পরিস্থিতির দ্রুত ও স্থায়ী সমাধান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যুর দ্রুত, পূর্ণাঙ্গ, ন্যায্য ও স্থায়ী সমাধানে কুয়ালালামপুরের সঙ্গে কাজ করতে চায় চীন। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বেইজিংয়ে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসানের সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি এই কথা জানান। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু। এর আগেও এমন উক্তি করেছেন ওয়াং ই। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে দেশটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ইসরাইল-ফিলিস্তিন উত্তেজনা থামানোর দায়িত্ব কাঁধে নেওয়া উচিত যুক্তরাষ্ট্রের। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস খবরে জানায়, ফিলিস্তিনে চলমান সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে আয়োজিত বৈঠকে চীনের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ি চার দফার একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীন আবারও নিরাপত্তা পরিষদে বিষয়টি তুলে ধরবে এবং একটি বিবৃতি দিতে যেনও সবাই সম্মত হয় সেই চেষ্টা করবে।  চীনা মন্ত্রী নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বলেন, উভয় পক্ষের শান্তি আলোচনার শুরুর পক্ষে চীন, যেটির ভিত্তি হবে দুই রাষ্ট্র সমাধান। যত দ্রুত সম্ভব স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে, পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে যে রাষ্ট্রের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন থাকবে। ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুসারে নির্ধারিত হবে সীমান্ত। ওয়াং জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতার কারণে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ফিলিস্তিন ইস্যুতে একই সুরে কথা বলতে পারছে না। মূলত ফিলিস্তিনে ইসরাইলি সহিংসতার ঘটনায় নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে যৌথ বিবৃতি প্রদানে যুক্তরাষ্ট্রের বাধা দেওয়াকে ইঙ্গিত করে চীনা কূটনীতিক এ মন্তব্য করেছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে দায়িত্ব কাঁধে নেওয়ার এবং অবস্থান সমন্বয় করার আহবান জানাই। গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাতদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন। ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১ লাখ মানুষ। নিহতদের অধিকাংশ শিশু ও নারী।
যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধের শর্তেই জিম্মিদের ফিরিয়ে দিবে হামাস
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েল যদি তাদের কোনো জিম্মিকে ফিরিয়ে নিতে চায় তাহলে যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ হবে। এক্ষেত্রে অন্য কোনো শর্ত মানা হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের চাপেও কোনো কাজ হবে না। খবর রয়টার্সের। হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, আমাদের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কোনো মূল্য নেই। বুধবার (২৪ এপ্রিল) হামাস হার্স গোল্ডবার্গ-পোলিন নামের এক ইসরায়েলি-আমেরিকান জিম্মির ভিডিও প্রকাশ করে। এরপর জিম্মিদের ছেড়ে দিতে হামাসের ওপর চাপ দেওয়া শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ১৮টি দেশের সঙ্গে একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেনের বিবৃতির পরই যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কোনো মূল্য তাদের কাছে নেই বলে জানিয়েছে হামাস। প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে দখলদার ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হয়। ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১ লাখ মানুষ। নিহতদের অধিকাংশ শিশু ও নারী। ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর দিন ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতিতে হামলা চালিয়ে ২৫০ জনকে গাজায় ধরে নিয়ে আসে হামাস। এরমধ্যে ১০৫ জনকে গত বছরের নভেম্বরের শেষ সপ্তাহের দিকে হওয়া এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির সময় ছেড়ে দেয় তারা। বুধবার আমেরিকান-ইসরায়েলি জিম্মির ভিডিও প্রকাশ করা হয় তখন থেকেই ফের জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টি আলোচনায় আসে।
মোদি ও রাহুলের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ, ইসির নোটিশ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে নির্বাচনি আরচণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন-ইসি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ বিষয়ে নোটিশ দিয়ে দুই নেতার জবাব চেয়েছে ইসি। আগামী ২৯ এপ্রিল সকাল ১১টার মধ্যে সেই জবাব দিতে হবে। খবর ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।  সম্প্রতি মোদি ও রাহুলের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করে ভোট চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে দুই নেতার দল থেকে পরস্পরের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশও জানানো হয়। এরপরই তাদেরকে সতর্ক করে নোটিশ পাঠায় কমিশন।  হায়দরাবাদে কংগ্রেস নেতা রাহুল মন্তব্য করেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে কোন শ্রেণির হাতে কত সম্পদ আছে, তা আর্থ-সামাজিক সমীক্ষা করে দেখবে। সেই মন্তব্যের রেশ ধরেই গত রবিবার রাজস্থানের বাঁশওয়ারায় জনসমাবেশে মোদি বলেন, কংগ্রেস তার ইশতেহারে দেশের সম্পদ মুসলমানদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।  মোদী আরও বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ অতীতে বলেছিলেন, দেশের সম্পদে সর্বাগ্রে অধিকার মুসলিমদের। সেই কারণেই সমীক্ষা করার পরিকল্পনা নিয়েছে কংগ্রেস। যাতে দেশবাসীর কষ্টার্জিত অর্থ মুসলিম এবং অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া যায়। পরদিন সোমবার উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে সমর্থকদের উদ্দেশে মোদি বলেন, ‘কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে মা-বোনেদের মঙ্গলসূত্র ছিনিয়ে নেবে। মোদির সেই মন্তব্যের নিন্দা করে সরব হয় কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলি। ইসির কাছে অভিযোগ করে তারা।  আর রাহুলের বিরুদ্ধে ভাষা ও অঞ্চলের ভিত্তিতে ঘৃণা ও বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগ তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। সম্প্রতি ভারতের নির্বাচনি প্রচারণায় কংগ্রেস ও মুসলমানদের সরাসরি আক্রমণ করে বক্তব্য দেয়ার প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখেছেন প্রায় ২০ হাজার নাগরিক। যে চিঠিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।   তারা বলছে, নির্বাচনি জনসভায় মোদি যা বলেছেন, তা ভয়ংকর। কমিশন ব্যবস্থা না নিলে নির্বাচনি সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বশাসনের চরিত্রকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাবে। তবে হাজার হাজার নাগরিকের চিঠির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি নির্বাচন কমিশন।  
ভারতীয় হৃদয়ে প্রাণ বাঁচল পাকিস্তানি তরুণীর
আয়েশা রাশান। ১৯ বছরের এক পাকিস্তানি তরুণী। হৃদপিণ্ডের দুরারোগ্য এক সমস্যায় ভুগছিলেন। প্রতিস্থাপন ছাড়া আর কোনো উপায়ই ছিল না ওই ব্যাধি থেকে মুক্তির। কিন্তু পরিবারের আর্থিক সামর্থ্য ছিল না সেই চিকিৎসার খরচ চালানোর, মিলছিল না কাঙ্ক্ষিত ডোনারও। এদিকে ক্রমেই জীবনপ্রদীপ নিভে আসছিল আয়েশার, সঙ্গে দূর আকাশে মিলিয়ে যাচ্ছিল তার ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার স্বপ্ন। এরই মধ্যে করাচির এ তরুণীর জীবনে ত্রাণকর্তা হয়ে আবির্ভূত হলো পাশের দেশ ভারত।  সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তার হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনের সার্জারিটি সম্পন্ন করলেন চেন্নাইয়ের এমজিএম হেলথকেয়ারের চিকিৎসকরা। ভারতীয় এক হৃদপিণ্ডে নতুন জীবনের মুখ দেখলেন পাকিস্তানি তরুণী। বুধবার (২৪ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয় এই তথ্য। মেয়ের নতুন জীবন পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভোলেনি আয়েশার পরিবার। তারা বলেছে, ট্রাস্ট এবং চেন্নাইয়ের ডাক্তারদের সহায়তা ছাড়া অপারেশনটির খরচ বহন করা তাদের পক্ষে সম্ভব হতো না। ভারতের চিকিৎসকরা তাদের কাছে দেবদূত হয়ে আবির্ভূত হয়েছেন। যে মেয়ের জীবনের আশা একটু একটু করে ফুরিয়ে আসছিল, সেই মেয়েকেই নতুন হৃদয় দিয়ে পুনর্জীবন দিয়েছেন তারা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আয়েশার অবস্থা এখন স্থিতিশীল এবং তিনি পাকিস্তানে ফিরে যেতে পারবেন। তার হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা একদম শেষের দিকে ছিল। তাকে সেই অবস্থায় নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। তার হৃদপিণ্ডে দুটি ফুটো হওয়ার কারণে সম্পূর্ণ হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্টের প্রয়োজন হয়। তারা জানান, একটি হার্ট ট্রান্সপ্লান্টে ৩৫ লাখ রুপির বেশি খরচ হয়ে থাকে। কিন্তু আয়েশার অপারেশনের সমস্ত ব্যয়ভার ট্রাস্ট এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহন করেছে। ডা. কে আর বালাকৃষ্ণান, পরিচালক (ইনস্টিটিউট অফ হার্ট অ্যান্ড লাং ট্রান্সপ্লান্ট), এবং ডা. সুরেশ রাও (সহ-পরিচালক (ইনস্টিটিউট অফ হার্ট অ্যান্ড লাং ট্রান্সপ্লান্ট) জানিয়েছেন, দানকারী হৃদপিণ্ডটি দিল্লি থেকে এসেছে। তারা আরও জানান, আয়েশা আমাদের মেয়ের মতোই। সে আসলেই ভাগ্যবতী। এ সময় তারা আরও জানান, তামিলনাড়ু অঙ্গদান এবং প্রতিস্থাপনে এগিয়ে গেছে। সরকারের কাছে হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্টের ব্যয়ভার আরও কমিয়ে আনার অনুরোধ জানান এ চিকিৎসকরা।  
বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করছে যুক্তরাজ্য : অ্যামনেস্টি 
যুক্তরাজ্য ইচ্ছাকৃতভাবে বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তুলছে বলে দাবি করেছে মানবাধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটির বার্ষিক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এমনটি দাবি করা হয়েছে। খবর গার্ডিয়ানের। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনের নড়বড়ে অবস্থার মধ্যে জাতীয় ও বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সুরক্ষাকে দুর্বল করছে ব্রিটেন।  এতে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে আশ্রয়প্রার্থী এবং অন্যান্য অভিবাসীদের লক্ষ্যবস্তু করছে দেশটির সরকার। দেশটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে এবং বৈশ্বিক একটি বিপজ্জনক সময়ে মানবাধিকার সুরক্ষা লঙ্ঘন করেছে। এ ছাড়া গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে জাতিসংঘে ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় বিশেষভাবে যুক্তরাজ্যের নিন্দা করা হয়েছে এ প্রতিবেদনে। এ ব্যাপারে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইউকের প্রধান নির্বাহী সাচা দেশমুখ বলেছেন, যুক্তরাজ্য তার ভয়ংকর অভ্যন্তরীণ নীতি এবং রাজনীতির মাধ্যমে সর্বজনীন মানবাধিকারের সম্পূর্ণ ধারণাকে ইচ্ছাকৃতভাবে অস্থিতিশীল করে তুলছে।