• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু ক্যানসারে হয় না: গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
সুস্থভাবে বাঁচতে চান বিরল রোগে আক্রান্ত তরুণ কবি উৎপল সরকার
বিরল রোগে আক্রান্ত রাজবাড়ির কালুখালী উপজেলার তরুণ কবি উৎপল সরকার। দিনের পর দিন তার হাত-পা বাঁকা হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে তার জন্য সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন হয়ে উঠছে কঠিন। রাজধানীর বারী-ইলিজারভ অর্থোপেডিক সেন্টারে ডা. মো. মোফাখখারুল বারীর অধিনে প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেও বর্তমানে তার অবস্থা ভালো নেই। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দ্রুত সার্জারি করতে না পারলে বড় ধরনের সমস্যায় পড়বেন এই তরুণ কবি। কারণ বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার হাত-পা আরো বেশি বাঁকা হচ্ছে। উৎপল সরকার জানিয়েছেন, বারী-ইলিজারভ অর্থোপেডিক সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। সেখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সার্জারি করে তাকে সুস্থ করা সম্ভব হবে এবং এতে ব্যয় হবে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। তবে এই টাকা আমার পরিবারের পক্ষে কোনোভাবেই জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না।   ছাত্রজীবন থেকেই শিল্প সাহিত্যের সাথে যুক্ত কবি উৎপল সরকার। তবে ৯-১০ বছর বয়স হতেই দুরারোগ্য রোগে বিকলাঙ্গ হয়ে পড়েন এই তরুণ, আজও পূর্ণ নিরাময় হয়নি। প্রচণ্ড দারিদ্রতা ও শারীরিক অসুস্থ অবস্থায় তিনি রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। বাল্যকাল থেকেই তার কাব্য প্রতিভার বিকাশ ঘটে। পান্থপিদিম সাংস্কৃতিক সংগঠনের পৃষ্ঠপোষকতায় কিশোর বয়সে ‘প্রদীপ রাজি’ ও ‘সত্যের ডাক’ নামে তার দুইটি কবিতা পত্র প্রকাশিত হয়। অধ্যাপক মুন্সি আকবর আলীর সম্পাদনায় যৌথ কাব্যগ্রন্থ কবিতা মঞ্জুরীতে তার কবিতা স্থান পায় ও তার সম্পাদনায় ‘সাহিত্য মজলিস’ মাসিক সাহিত্য পত্রিকায় কবি নিয়মিত কবিতা লিখতেন।    এ ছাড়াও পাংশা বার্তা, উল্টো পথ, মুক্ত বিহঙ্গ, কাশফুল ইত্যাদি পত্র পত্রপত্রিকায় তার নিয়মিত লেখা ছাপা হতো। বর্তমানে তিনি পাংশা একটা ভাড়া বাড়িতে বাবা মায়ের সাথে বসবাস করেন। পেশা হিসেবে পাংশা শহরের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের ইংরেজি শিক্ষাদান করছেন। বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ তার অসংখ্য শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। তিনি এই শিক্ষাদানের পাশাপাশি রাজবাড়ী জেলাধীন পাংশা থানা শহরে নিজ উদ্যোগে তরুণদের নিয়ে ‘বহুবচন’ ও ‘বোহেমিয়ান’ নামক দুটি থিয়েটার প্রতিষ্ঠা করেন। শিল্প সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি তিনি পাংশা উপজেলা প্রেসক্লাবের সক্রিয় একজন সদস্য। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে তার বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তার হাত-পা আরো বেশি বাঁকা হচ্ছে। ফলপ্রসূত তাকে একটি কক্ষের মধ্যে নিঃসঙ্গ জীবন কাটাতে হচ্ছে। বিত্তবানদের উদ্দেশে এই তরুণ কবি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ১২ লাখ টাকা অনেকের জন্য হয়তো খুব বেশি নয়। কিন্তু আমার মত নিম্নবিত্ত পরিবারের কাছে এটি পাহাড়সম। এত টাকা আমার এবং দরিদ্র পিতার পক্ষে বহন করা অসম্ভব। তাই বাধ্য হয়ে দেশের বিবেকবান মানুষের কাছে সাহায্য কামনা করছি। সোনালী ব্যাংক পাংশা শাখা,একাউন্ট নং: 2210301011439 বিকাশ নাম্বার :(পার্সোনাল)  01710855495 নগদ নাম্বার: (পার্সোনাল)  01710855495.
২১ দিন পর ডেঙ্গুতে মৃত্যু দেখলো দেশ
ক্যানসার চিকিৎসায় নতুন ট্যাবলেট আনছে ভারত, দাম হাতের নাগালেই
হাজারো মানুষকে পথে বসাচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ!
২৪ ঘণ্টায় ২৯ জনের করোনা শনাক্ত
২২ লাখ ক্যানসার রোগী বাংলাদেশে
বাংলাদেশে ২২ লাখ ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী রয়েছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ক্যানসার সচেতনতামূলক এক বিশেষ গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ তথ্য জানান। উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রতি বছর ক্যান্সারে দেড় লাখ রোগী মারা যাচ্ছে। আমরা ২০৩০ সালে যখন এসডিজি অর্জন করব, তখন বিশ্বের ৭৭ শতাংশ ক্যানসার রোগী হবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। আর বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ রোগী থাকবে এই অঞ্চলে। সুতরাং আমরা খারাপ অবস্থায় আছি। তিনি বলেন, খারাপ অবস্থায় থাকার কারণ হলো আমরা রোগকে অবহেলা করি।  এমনকি আমরা ব্রেস্ট ক্যানসারের রোগীকে চতুর্থ স্টেজে নিয়ে আসি। যার ফলে তাকে আর বাঁচানো যায় না। অথচ আর্লি ডায়গোনোসিস করলে অনেক রোগীকে বাঁচাতে পারতাম। উপাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিডনি, হার্ট ও ক্যানসারকে প্রাধান্য দিয়ে আট বিভাগে আটটি হাসপাতাল তৈরি করে দিয়েছেন। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে আমরা বিভাগ অনুযায়ী রোগীদের চিকিৎসা দিতে পারব। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবির, বাংলাদেশ সোসাইটি অব রেডিয়েশন অনকোলজিস্টের সভাপতি অধ্যাপক ডা. কাজী মোশতাক হোসেন ও এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য।
দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে ঝুঁকি বেশি
এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে রোগীর অবস্থা প্রথমবারের চেয়ে বেশি গুরুতর হতে পারে। এ ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা দ্রুত খারাপের দিকে চলে যায়। সম্প্রতি ভ্যাকসিনসওয়ার্কের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি সেরোটাইপ বা ধরন রয়েছে। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা এসব ধরনের সঙ্গে লড়াই করে। প্রথম আক্রমণে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ায় দ্বিতীয় আক্রমণটি শক্তিশালী হয় এবং সেরোটাইপগুলো আগের ভাইরাস কণার সঙ্গে যুক্ত হয়। এভাবে শরীরে ডেঙ্গু আবারও বাসা বাঁধতে পারে। প্রথমটির বিরুদ্ধে দেহে আজীবন অ্যান্টিবডি তৈরি হলেও পরবর্তী তিনটি সেরোটাইপের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডির সক্ষমতা দুই মাসের কম হতে পারে। এ জন্য দ্বিতীয়বার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা থেকে যায়। এ ক্ষেত্রে ‘সাইকোটিন’ নামক এক প্রকার প্রতিরোধক শরীরের জীবাণু প্রতিরোধী কোষকে সংকেত পাঠায়। এতে দেহে ‘সাইকোটিন স্টর্ম’ তৈরি হয়। দুর্বল শরীরে এই প্রক্রিয়া বিপরীতমুখী কাজ করায় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ও ভারতে প্রতিবছর ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালে দেশ দুটিতে আগের তুলনায় বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ডেঙ্গু মারাত্মক আকার ধারণ করে। পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালের কোভিড-১৯ ওয়ার্ডকে ডেঙ্গু ওয়ার্ডে রূপান্তর করার প্রয়োজন পড়ে। এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৫৫ জন। এরমধ্যে ১৪ জন মারা গেছেন। এর আগে, ২০২৩ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল ভর্তি হন রেকর্ড তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরের দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন এক হাজার ৭০৫ জন। তার আগে ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ৬২ হাজার ৩৮২ জন আক্রান্ত এবং ২৮১ জনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়।
একমাসে ডেঙ্গুতে ১৪ জনের মৃত্যু
চলতি বছরের জানুয়ারিতে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৫৫ জন। এরমধ্যে ১৪ জন মারা গেছেন। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়, জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ঢাকার বাহিরে। এই সময়ে ঢাকায় ৩৫৮ জন এবং ঢাকার বাহিরে ৬৯৬ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে ঢাকায় ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই হিসেবে আক্রান্ত কম হলেও ঢাকায় মৃত্যু বেশি। এ ছাড়া জানুয়ারি মাসে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৯২৮ ডেঙ্গু রোগী। এদিকে সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২০ জন। এ নিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১১৩ ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ২০ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৯ জন। এছাড়া ঢাকার বাইরের ১১ জন। ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২৬ জন। এর মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৩ জন এবং ২৩ জন ঢাকার বাইরের। এর আগে, ২০২৩ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল ভর্তি হন রেকর্ড তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরের দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন এক হাজার ৭০৫ জন। তার আগে ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ৬২ হাজার ৩৮২ জন আক্রান্ত এবং ২৮১ জনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়।
ক্যানসার নিয়ে সুখবর দিলেন বিজ্ঞানীরা
অস্ট্রেলিয়ার একদল বিজ্ঞানী একটি বিশেষ প্রোটিনের খোঁজ পেয়েছেন। যা কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দেবে বলে দাবি করা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা বলছেন, তারা ‘কেইউ ৭০’ নামে একটি বিশেষ প্রোটিন আবিষ্কার করেছেন। যা একটি সুইচের মতো কাজ করে। প্রোটিনটি নষ্ট হয়ে যাওয়া ডিএনএকে শনাক্ত করতে পারে। তারপর সেই ডিএনএ’কে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। অথবা নষ্টও করে দিতে পারে। এর ফলে কোলন ক্যানসারের আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়। এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সি মিং ম্যান বলেন, ‘কেইউ ৭০’ নামের প্রোটিনটি আমাদের শরীরেই থাকে। আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অংশ এই বিশেষ প্রোটিন। তবে তার পরিমাণ কতটা রয়েছে, তা দেখা জরুরি। কারণ এর পরিমাণ কম হলে রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাবে। তাই একজনের কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কতটা রয়েছে তা জানতে ‘কেইউ ৭০’ প্রোটিনের পরীক্ষা করা জরুরি। সেটার পরিমাণই বলে দেবে ক্যানসারের ঝুঁকি কতটুকু। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যানসারের মূল কারণ ডিএনএ নষ্ট হওয়া। এটিই কোষকে ক্যানসারাস করে তোলে। তাই নষ্ট ডিএনএকে খুঁজে বের করে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারলেই মরণব্যাধি এড়ানো যায়‌‌। মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) তথ্যানুযায়ী, ২০২০ সালে আমেরিকায় এক লাখ ২৬ হাজার ২৪০ জন কোলোরেক্টাল ক্যানসারে আক্রান্ত হন।‌ এর মধ্যে ৫১ হাজার ৮৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সূত্র: এবিপি আনন্দ
দেশে রোবট দিয়ে হার্টের রিং বসানো শুরু 
দেশে রোবটিক এনজিওপ্লাস্টি বা হার্টের রিং বাসানো শুরু হয়েছ। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের হৃদরোগ চিকিৎসায় সর্বাধুনিক এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।  রোববার প্রথমবারের মতো দুইজন হৃদরোগীর হার্টে বিনামূল্যে রোবটের মাধ্যমে রিং পরানো মধ্যে দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা রোগীর চেয়ে দূরে থেকে নিখুঁতভাবে হৃদরোগীদের হার্টের ধমনীতে রিং পরাতে পারবেন। এতে অংশ নেন সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার কর্মকার ও তার বিশেষায়িত টিম। এই চিকিৎসা পদ্ধতিটির উদ্বোধন করেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল হাসান মিলন ও কার্ডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. সালাউদ্দিন। জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতসহ বিশ্বে ১৬০টি দেশে রোবটিক এনজিওপ্লাস্টি (রোবট দিয়ে হার্টের রিং পরানো) সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে ভারতে ছয়টি সেন্টার রয়েছে। রোবটিক এনজিওপ্লাস্টি বর্তমানে পৃথিবীতে হার্টের রিং পরানোর সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। কার্ডিওলজিস্টরা এখনও ক্যাথল্যাবে রোগীদের কাছে গিয়ে হার্টের রিং পরান। এর সর্বশেষ আবিষ্কার হলো রোবটিক এনজিওপ্লাস্টি অর্থাৎ রোবট দিয়ে হার্টের রিং পরানো।  আধুনিক এ চিকিৎসার বিষয়ে বর্ণনা দিতে গিয়ে ডাক্তাররা বলেন, এই রোবটের দুটি অংশ থাকে। একটি হলো রোবটের হাত; যা ক্যাথল্যাবে থাকে। আরেকটি থাকে কন্ট্রোল সেকশন, যেখান থেকে মূলত কার্ডিওলজিস্ট পুরো রিং পরানো কার্যক্রমটি দূর থেকে সম্পন্ন করে থাকেন। এ কাজে তিন ধরনের সুবিধার কথা জানিয়ে ডা. প্রদীপ কুমার কর্মকার বলেন, প্রথম সুবিধা হলো হার্টের রিং পরানোর জটিল প্রক্রিয়াটি রোবটের মাধ্যমে খুব সূক্ষ্ম ও নিখুঁতভাবে সম্পন্ন হয়। নিখুঁতভাবে পজিশন করার জন্য এক মিলিমিটার সামনে অথবা এক মিলিমিটার পিছনে নেওয়ার প্রয়োজন হয়ে থাকে, যা হাত দিয়ে করলে নিখুঁতভাবে করা বেশ কঠিন। কিন্তু রোবটের মাধ্যমে নিখুঁতভাবে এটি সম্পন্ন করা যায় বলে জানান তিনি।
ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু
সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া এই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৩ জন। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গ সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ জন, আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২০ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ১৬৫ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ৭১ জন এবং অন্যান্য বিভাগের হাসপাতালে ৯৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত সারাদেশে ৭৫৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ২৭৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪৭৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৫৮১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এ ছাড়া চলতি বছরে ডেঙ্গুতে হয়ে এখন পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। মারা গেছেন ১ হাজার ৭০৫ জন। আর ২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৮৬৮ জন।
দেশে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত
দেশে করোনাভাইরাসের অমিক্রন ধরনের উপধরন জেএন.১ শনাক্ত হয়েছে। পাঁচ ব্যক্তির দেহে করোনার এই নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, পাঁচটি নমুনায় অমিক্রনের উপধরন জেএন.১ শনাক্ত হয়েছে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরের করোনা রোগীদের নমুনা পরীক্ষার পর এই উপধরন শনাক্ত হয়। করোনার নতুন উপধরন জেএন.১ এর কথা মাসখানেক আগেই বিশ্ববাসীকে জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি তখন বলেছিল, করোনার এই নতুন ধরনটি বিশ্বজুড়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ইতোমধ্যে ভারত, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশে করোনার এই ধরনটি পাওয়া গেছে। দ্রুত ছড়ানোর কারণে ডব্লিউএইচও এটিকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে অভিহিত করেছে । ধারণা করা হচ্ছে, অমিক্রনের আরেক উপধরন বিএ.২.৮৬ ধরনের তুলনায় জেএন.১ এর স্পাইক প্রোটিনের অতিরিক্ত পরিবর্তনের কারণে সব অঞ্চলে এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। বিএ.২.৮৬ ধরন থেকেই জেএন.১-এর উৎপত্তি। তবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিদ্যমান যে টিকাগুলো রয়েছে, সেগুলোই জেএন.১ থেকে মানুষকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম বলে জানায় ডব্লিউএইচও।