• ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১
logo
ডেঙ্গুতে আরও ৬ মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ১ হাজার ২৯৮  
ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে নতুন ভর্তি ৬৬০
ক্রমশ ভয়ংকর হয়ে উঠছে ডেঙ্গু। মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্তের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিদিনই ঘটছে প্রাণহানি। আগেরদিনই চলতি বছরের রেকর্ডসংখ্যক মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গুতে। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায়ও আরও চারজনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ডেঙ্গু। সেইসঙ্গে আরও ৬৬০ নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে।  সব মিলিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৪ জনে। সেইসঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ৪৭০ জনে। রোববার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৬৬০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৩২৮ জন এবং বাকিরা ঢাকার বাইরের। এ সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৬৯৭ জন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪২ হাজার ৪৭০ জন। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৬৪৬ জন। মারা গেছেন ২১৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া চারজনের মধ্যে দুইজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও একজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার। বাকি একজন ময়মনসিংহ বিভাগের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৩২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৭ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১১, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২০৭, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১২১ ও খুলনা বিভাগে ৭১ জন রয়েছেন। প্রতি বছরই বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। তবে ২০২৩ সালের ডেঙ্গুর রুদ্ররূপ দেখে দেশ। গত বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। বিপরীতে মারা গেছেন এক হাজার ৭০৫ জন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বাধিক মৃত্যু। আরটিভি/এসএইচএম/এআর
ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১২১৮
ডেঙ্গুতে আরও ৪ মৃত্যু, আক্রান্তে রেকর্ড
ডেঙ্গুতে আরও ৩ মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১ হাজার ১৪৪
আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু, উচ্চঝুঁকিতে ঢাকাসহ ১৮ জেলা 
ডেঙ্গুতে আরও ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে নতুন ভর্তি ৯২৬
দেশব্যাপী ফের আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু। বর্ষা মৌসুম শুরুর পর থেকেই এডিস মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্তের হার বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর ঘটনাও। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ডেঙ্গু। নতুন করে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৯২৬ জন। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সবশেষ যে ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে তাদের ৪ জনই ঢাকা সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা। এদের মধ্যে দুজন ঢাকা দক্ষিণ সিটির এবং দুজন ঢাকা উত্তর সিটির। বাকিদের মধ্যে একজন চট্টগ্রামের এবং একজন বরিশালের।  এদিকে নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৩১৬ জনই রাজধানীর বাসিন্দা। এ ছাড়া ঢাকার আশপাশে ১৯৬ জন, চট্টগ্রামে ১৫১ জন, খুলনায় ১০১ জন, বরিশালে ৬৫ জন, রাজশাহীতে ৪৬ জন, রংপুরে ৩৩ জন, এবং ময়মনসিংহে ১৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন সবশেষ ২৪ ঘণ্টার হিসাবে। সব মিলিয়ে চলতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ১৩১ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ডেঙ্গু। আক্রান্ত হয়ে এই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৪ হাজার ৩৪ জন। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। আরটিভি/এসএইচএম-টি  
ডেঙ্গুতে আরও ৬ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৮৬৫
দেশব্যাপী ফের আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু। বর্ষা মৌসুম শুরুর পর থেকেই এডিস মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্তের হার বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর ঘটনাও। আগের দিনই ৫ জনের মৃত্যুর পর সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ডেঙ্গু। নতুন করে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৬৫ জন।  বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত হিসাব জানানো হয়েছে এ বিজ্ঞপ্তিতে।  সবশেষ যে ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে তাদের সবাই ঢাকা সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা। এদের মধ্যে তিনজন ঢাকা দক্ষিণ সিটির এবং তিনজন ঢাকা উত্তর সিটির। এ ছাড়া নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৩৯৩ জন এ দুই সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা। এ ছাড়া ঢাকার আশপাশে ১২১ জন, চট্টগ্রামে ১৪৫ জন, খুলনায় ৯৪ জন, বরিশালে ৪৬ জন, রংপুরে ২৮ জন, রাজশাহীতে ২০ জন এবং ময়মনসিংহে ১৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন সবশেষ ২৪ ঘণ্টায়।  সব মিলিয়ে চলতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে সারাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৭৯। এই সময়ে মশাবাহিত রোগটিতে প্রাণ হারিয়েছে ১১৯ জন মানুষ।    উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। আরটিভি/এসএইচএম
ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ছাড়াল ২০ হাজার
ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। বর্ষা মৌসুম শুরুর পর থেকেই দেশব্যাপী ফের আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এডিস মশাবাহিত রোগটি। আক্রান্তের হার বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর ঘটনাও। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গুতে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে আরও ৮৭২ জন। এ নিয়ে চলতি বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ২১৩। ১ জানুয়ারি থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে দেশব্যাপী প্রাণ হারিয়েছেন ২১৩ জন।  মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নিয়মিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এসব তথ্য। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডেঙ্গুতে সবশেষ মারা যাওয়া ৫ জনের মধ্যে দুজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এবং একজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা। বাকি দুজনের একজন বরিশালের এবং একজন চট্টগ্রামের। এ ছাড়া নতুন আক্রান্ত ৮৭২ জনের মধ্যে ৩৫৩ জন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের। পাশাপাশি ঢাকার আশপাশে ১০২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২২৪ জন, বরিশাল বিভাগে ৮০ জন, খুলনা বিভাগে ৭২ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৩ জন এবং রংপুর বিভাগে ৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন সবশেষ ২৪ ঘণ্টায়।  আরও জানা গেছে, গত ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৬২ দশমিক ২ শতাংশ এবং নারী ৩৭ দশমিক ৮ শতাংশ। বিপরীতে এ সময়ে ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ ৪৫ দশমিক ১ শতাংশ এবং নারী ৫৪ দশমিক ৯ শতাংশ। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। আরটিভি/এসএইচএম  
মাঙ্কিপক্সের প্রথম টিকার অনুমোদন দিল ডব্লিউএইচও
করোনা মহামারির পর এই মুহূর্তে বৈশ্বিক আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছে মাঙ্কিপক্স। আফ্রিকা ছাড়িয়ে ইউরোপ ও এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি। গত মাসেই ভাইরাসটির সংক্রমণের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক জরুরি সতর্কতা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। মহামারির আকার ধারণ করার আগেই ভাইরাসটি মোকাবিলার জন্য এবার প্রথম টিকার অনুমোদন দিয়েছে সংস্থাটি। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ডব্লিউএইচওর প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র থেকে মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে চলতি বছর। এ দেশটিতেই মাঙ্কিপক্সের প্রথম টিকা এমভিএ-বিএন পৌঁছানোর পর এর প্রাথমিক অনুমোদন দিল ডব্লিউএইচও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক বিবৃতিতে বলেন, ‘মাঙ্কিপক্সের প্রথম টিকার প্রাথমিক অনুমোদন ভাইরাসজনিত রোগটি মোকাবিলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। এখন আমাদের টিকা সংগ্রহ ও বিতরণে গতি বাড়াতে হবে। এই রোগের সংক্রমণ, বিস্তার এবং এতে প্রাণহানি ঠেকানোর জন্য যেসব স্থানে টিকা এখন সবচেয়ে জরুরি, সেসব স্থানের মানুষ যাতে সবার আগে টিকা পান, আমাদের তা নিশ্চিত করতে হবে।’ ডব্লিউএইচওর প্রাথমিক অনুমোদনের অর্থ এখন মাঙ্কিপক্সের এই টিকার মান, সুরক্ষা ও কার্যকারিতার বিষয়টি যাচাই করে দেখা হয়েছে। সংস্থাটির প্রাথমিক অনুমোদন থাকায় এই টিকা জাতিসংঘসহ সব আন্তর্জাতিক সংস্থা সংগ্রহ করতে পারবে। এর পাশাপাশি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো স্বল্প আয়ের দেশগুলো নিজেরা টিকার মান, সুরক্ষা ও কার্যকারিতা যাচাইয়ে সময় অপচয় না করে দ্রুত টিকা সংগ্রহ করতে পারবে। চলতি বছরের শুরুতে কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে প্রথম মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। গত জানুয়ারি থেকে দেশটিতে প্রায় ২২ হাজার মানুষের মধ্যে ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত হয়ে ৭১৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের পর আফ্রিকার দেশগুলোতেও মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। পরে ইউরোপ ও এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়ে। চলতি বছর ভাইরাসটির নতুন ধরন ক্লেড১ বি বেশি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত মাসে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ নিয়ে আন্তর্জাতিক জরুরি সতর্কতা জারি করে ডব্লিউএইচও। ভাইরাসটি মোকাবিলায় এবার প্রাথমিকভাবে প্রথম টিকার অনুমোদন দিল সংস্থাটি। আরটিভি/এসএইচএম
কলেরায় এক বছরে মৃত্যু বেড়েছে ৭১ শতাংশ: ডব্লিউএইচও
বিগত ২০২৩ সালে কলেরায় আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। আগের বছরের সঙ্গে তুলনা করলে  রোগটিতে ৭১ শতাংশ বেড়েছে মৃত্যুহার। জাতিসংঘের বৈশ্বিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তাবিষয়ক অঙ্গসংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান নির্বাহী তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন, অনিরাপদ পানি ও পয়োঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, দারিদ্র্য এবং বাস্তুচ্যুতির জেরে কলেরাজনিত মৃত্যুহারে এই উল্লম্ফণ ঘটেছে। অথচ এই রোগটি নিরাময়যোগ্য এবং সঠিক চিকিৎসা পেলে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। অত্যন্ত সংক্রামক এবং প্রাণঘাতী রোগ কলেরার জন্য দায়ী ভিব্রিও কলেরিয়া নামের একপ্রকার ব্যাকটেরিয়া। দূষিত পানির মাধ্যমে এই রোগটি ছড়ায়। এক সময় এই রোগটির প্রাদুর্ভাবে ভারতবর্ষে গ্রামের পর গ্রাম উজাড় হয়ে যেতো। ২০২৩ সালের কলেরা পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে নিজেদের তথ্য দিয়েছে ৪৫টি রাষ্ট্র। সেসব তথ্যের ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে ডব্লিউএইচও। সেখানে বলা হয়েছে, গত বছর আফ্রিকার দেশগুলোতে কলেরা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা হিসেবে ১২৫ শতাংশ। তবে একই সময়ে  মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব কমেছে ৩২ শতাংশ। শঙ্কার ব্যাপার হচ্ছে, প্রতি বছরই বাড়ছে কলেরায় মৃত্যুর সংখ্যা। ডব্লিউএইচও’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে মৃত্যুহার বেড়েছিল ১৩ শতাংশ, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে বেড়েছে ৩৮ শতাংশ এবং সবশেষ ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বেড়েছে ৭১ শতাংশ। ২০২৩ সালে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, মালাউই, সোমালিয়া, হাইতি, মোজাম্বিক, জিম্বাবুয়েসহ মোট ২২ টি দেশে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল কলেরা । এখন পর্যন্ত এই পরিস্থিতির তেমন উন্নতি ঘটেনি বলে উল্লেখ করা হয়েছে ডব্লিউএইচওর প্রতিবেদনটিতে। কলেরা প্রতিরোধের জন্য টিকা রয়েছে, তবে বিশ্বের মাত্র একটি কোম্পানি সেই টিকা উৎপাদন করে। ফলে একদিকে এই টিকার দাম যেমন বেশি, তেমনি যোগানও অপ্রতুল। তাই টিকার ঘাটতি মেটাতে অন্যান্য কোম্পানিকেও এ খাতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।  
ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু ক্যানসারে হয় না: গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোল্ড স্প্রিং হার্বার ল্যাবরেটরির (সিএসএইচএল) প্রফেসর ও গবেষক বো লির নেতৃত্বে পরিচালিত একটি গবেষণায় ক্যানসার নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে—ক্যানসার নয়, বেশির ভাগ ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয় ‘ক্যাচেক্সিয়া’ রোগে। প্রফেসর বো লি আরও বলেছেন, ‌‌এটি খুবই মারাত্মক একটি সিনড্রোম। গবেষকরা দেখেছেন যখন ক্যানসারের টিউমার— ইন্টারলিউকিন-৬ (আইএল-৬) নামের একটি রোগ প্রতিরোধ অণুর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, তখন এটির কারণে মারাত্মকভাবে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়। এ কারণে ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ ক্যানসার রোগীর ‘ক্যাচেক্সিয়া’ রোগ হয়। সূত্র: ইন্দো এশিয়া নিউজ সার্ভিস ন্যাচার কমিউনিকেশন নামের একটি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে এই গবেষক আরও বলেছেন, ‌বেশিরভাগ ক্যানসার রোগীর মৃত্যু ক্যানসারের বদলে ক্যাচেক্সিয়ায় হয়। এখান থেকে ফেরার কোনো উপায় নেই। মূলত এই রোগের কোনো চিকিৎসাও নেই। একটি ইঁদুরের ওপর গবেষণা চালিয়ে এই প্রফেসর ও তার দল দেখেছেন, মস্তিষ্কের ‘এরিয়া পোসট্রেমা’ নামের একটি নিউরনে আইএল-৬ নামের রোগ প্রতিরোধী অণু প্রবেশে বাধা প্রধান করলে ইঁদুরের মধ্যে ক্যাচেক্সিয়া হয় না। প্রফেসর বো লি জানান, ভবিষ্যতে এসব নিউরন লক্ষ্য করে ওষুধ প্রয়োগ করে ক্যানসার ক্যাচেক্সিয়াকে একটি চিকিৎসাযোগ্য রোগে পরিণত করা যাবে। গবেষকরা বলছেন, প্রচুর পরিমাণে আইএল-৬ উৎপাদিত হওয়ায় ক্যানসার এই প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। যেটি শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। যার মধ্যে অন্যতম হলো মানুষ ও প্রাণী খাবার খাওয়া ছেড়ে দেবে। অপরটি হলো ক্যাচেক্সিয়া হওয়া।  তার আরও জানান, সুস্থ রোগীদের মধ্যে আইএল-৬ একটি প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে। এই অণু পুরো শরীরে প্রবাহিত হয়। যখন কোনো হুমকির সঙ্গে এই প্রতিরোধ ব্যবস্থা কাজ করে— তখন এটির বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করতে মস্তিষ্ককে সতর্ক করে দেয়।
সুস্থভাবে বাঁচতে চান বিরল রোগে আক্রান্ত তরুণ কবি উৎপল সরকার
বিরল রোগে আক্রান্ত রাজবাড়ির কালুখালী উপজেলার তরুণ কবি উৎপল সরকার। দিনের পর দিন তার হাত-পা বাঁকা হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে তার জন্য সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন হয়ে উঠছে কঠিন। রাজধানীর বারী-ইলিজারভ অর্থোপেডিক সেন্টারে ডা. মো. মোফাখখারুল বারীর অধিনে প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেও বর্তমানে তার অবস্থা ভালো নেই। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দ্রুত সার্জারি করতে না পারলে বড় ধরনের সমস্যায় পড়বেন এই তরুণ কবি। কারণ বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার হাত-পা আরো বেশি বাঁকা হচ্ছে। উৎপল সরকার জানিয়েছেন, বারী-ইলিজারভ অর্থোপেডিক সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। সেখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সার্জারি করে তাকে সুস্থ করা সম্ভব হবে এবং এতে ব্যয় হবে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। তবে এই টাকা আমার পরিবারের পক্ষে কোনোভাবেই জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না।   ছাত্রজীবন থেকেই শিল্প সাহিত্যের সাথে যুক্ত কবি উৎপল সরকার। তবে ৯-১০ বছর বয়স হতেই দুরারোগ্য রোগে বিকলাঙ্গ হয়ে পড়েন এই তরুণ, আজও পূর্ণ নিরাময় হয়নি। প্রচণ্ড দারিদ্রতা ও শারীরিক অসুস্থ অবস্থায় তিনি রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। বাল্যকাল থেকেই তার কাব্য প্রতিভার বিকাশ ঘটে। পান্থপিদিম সাংস্কৃতিক সংগঠনের পৃষ্ঠপোষকতায় কিশোর বয়সে ‘প্রদীপ রাজি’ ও ‘সত্যের ডাক’ নামে তার দুইটি কবিতা পত্র প্রকাশিত হয়। অধ্যাপক মুন্সি আকবর আলীর সম্পাদনায় যৌথ কাব্যগ্রন্থ কবিতা মঞ্জুরীতে তার কবিতা স্থান পায় ও তার সম্পাদনায় ‘সাহিত্য মজলিস’ মাসিক সাহিত্য পত্রিকায় কবি নিয়মিত কবিতা লিখতেন।    এ ছাড়াও পাংশা বার্তা, উল্টো পথ, মুক্ত বিহঙ্গ, কাশফুল ইত্যাদি পত্র পত্রপত্রিকায় তার নিয়মিত লেখা ছাপা হতো। বর্তমানে তিনি পাংশা একটা ভাড়া বাড়িতে বাবা মায়ের সাথে বসবাস করেন। পেশা হিসেবে পাংশা শহরের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের ইংরেজি শিক্ষাদান করছেন। বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ তার অসংখ্য শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। তিনি এই শিক্ষাদানের পাশাপাশি রাজবাড়ী জেলাধীন পাংশা থানা শহরে নিজ উদ্যোগে তরুণদের নিয়ে ‘বহুবচন’ ও ‘বোহেমিয়ান’ নামক দুটি থিয়েটার প্রতিষ্ঠা করেন। শিল্প সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি তিনি পাংশা উপজেলা প্রেসক্লাবের সক্রিয় একজন সদস্য। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে তার বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তার হাত-পা আরো বেশি বাঁকা হচ্ছে। ফলপ্রসূত তাকে একটি কক্ষের মধ্যে নিঃসঙ্গ জীবন কাটাতে হচ্ছে। বিত্তবানদের উদ্দেশে এই তরুণ কবি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ১২ লাখ টাকা অনেকের জন্য হয়তো খুব বেশি নয়। কিন্তু আমার মত নিম্নবিত্ত পরিবারের কাছে এটি পাহাড়সম। এত টাকা আমার এবং দরিদ্র পিতার পক্ষে বহন করা অসম্ভব। তাই বাধ্য হয়ে দেশের বিবেকবান মানুষের কাছে সাহায্য কামনা করছি। সোনালী ব্যাংক পাংশা শাখা,একাউন্ট নং: 2210301011439 বিকাশ নাম্বার :(পার্সোনাল)  01710855495 নগদ নাম্বার: (পার্সোনাল)  01710855495.