• ঢাকা শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
ফ্যাটি লিভার থেকে বাঁচতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি
ডেঙ্গুতে আরও ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬২৯
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬২৯ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫০৪ জনে। আর শনাক্ত রোগী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩ হাজার ৫৬ জনে। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে রোববার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়। এ সময়ে হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন বরিশাল বিভাগে ৬০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৩ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ১৫৯ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৫৪ জন এবং দক্ষিণ সিটিতে ৯০ জন, খুলনা বিভাগে ৯৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৮ জন, রংপুর বিভাগে ১০ জন এবং সিলেট বিভাগে ২ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশানিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেতনতা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যদিকে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ডেঙ্গু ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। আমাদের সব জায়গায় হাসপাতালগুলোকে অ্যালার্ট (সতর্ক) করে দেওয়া আছে। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি সকলকে সচেতন করতে। বিভিন্ন জায়গায় কথা বলছি। আমরা চেষ্টা করছি যাতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। আরটিভি/এএইচ/এস
এইডস আক্রান্তদের বেশির ভাগ সমকামী ও বিবাহিত, চলতি বছরে মৃত্যু ১৯৫ 
ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৩৪
ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৩৪
ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৫২
ডায়াবেটিসের হার ৩০ বছরে দ্বিগুণ: গবেষণা
বিশ্বব্যাপী প্রায় ৮০ কোটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ বর্তমানে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বলে একটি নতুন গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে৷ বৃহস্পতিবার ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় দেখা গেছে, গত ৩০ বছরে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের হার দ্বিগুণ হয়েছে৷ আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে৷ এসব দেশে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাওয়া অনেক সময় কঠিন হয়ে যাচ্ছে৷  ১৯৯০ সালে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৭ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এন্ডোক্রাইন রোগে আক্রান্ত ছিল, যা শরীরের ইনসুলিন উৎপাদনে অক্ষমতার ফলে রক্তে সুগারের স্তর নিয়ন্ত্রণে সমস্যা সৃষ্টি করে৷ একে ডায়াবেটিস বলা হয়৷ তবে এই হার ২০২২ সালে বেড়ে ১৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে৷ অর্থাৎ, ১৯৯০ সালের প্রায় ২০ কোটি মানুষের তুলনায় বর্তমানে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৮০ কোটি৷ এতে টাইপ ১ এবং টাইপ ২ উভয় ধরনের ডায়াবেটিস অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷ গবেষণায় দেখা গেছে, উন্নত দেশগুলো যেমন জাপান, ক্যানাডা, ফ্রান্স এবং ডেনমার্কে ডায়াবেটিসের হার কমেছে, কিন্তু উন্নয়নশীল দেশগুলিতে এটি ক্রমাগত বেড়েই চলেছে৷ গবেষকরা বলছেন, ডায়বেটিস রোগ ধরা পরার পর সেটির চিকিৎসা খরচের বোঝা ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসা না হওয়ার বোঝা ক্রমশ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলির উপর পড়ছে৷ উদাহরণ হিসেবে পাকিস্তানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে৷ পাকিস্তানে ১৯৯০ সালে নারীদের ১০ শতাংশ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিল৷ তবে বর্তমানে তা এক-তৃতীয়াংশে পৌঁছেছে৷ আরও উদ্বেগজনক হলো, বিশ্বের প্রায় ৪৪.৫ কোটি ডায়াবেটিস আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ কোনো চিকিৎসা পাচ্ছেন না, যার মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ ভারতের৷ সাব-সাহারান আফ্রিকায় এই সংখ্যা আরো ভয়াবহ, যেখানে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ মানুষ চিকিৎসা পেয়েছেন৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, চিকিৎসার অভাবের কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা হার্টের সমস্যা, কিডনির ক্ষতি, দৃষ্টিশক্তি হারানো এবং কখনো মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছেন৷ ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের গবেষক মজিদ ইজ্জাতি জানান, ডায়াবেটিসের চিকিৎসা সেবা বিশ্বব্যাপী সহজলভ্য করার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে, নাহলে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই সমস্যা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে৷ আরটিভি/এএইচ
ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১২২১
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ বছর মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭২ জনে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। মঙ্গলবার একদিনে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ২২১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৬ হাজার ২১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৩৮৪ জন ঢাকা মহানগরের। মহানগরের বাইরে ঢাকা বিভাগে ৩১২ জন, খুলনা বিভাগে ১৬০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২৩ জন, বরিশাল বিভাগে ৯৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৫ জন, রংপুর বিভাগে ২৮ জন ও সিলেট বিভাগে ৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশানিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেতনতা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যদিকে, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ডেঙ্গু ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। আমাদের সব জায়গায় হাসপাতালগুলোকে অ্যালার্ট (সতর্ক) করে দেওয়া আছে। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি সকলকে সচেতন করতে। বিভিন্ন জায়গায় কথা বলছি। আমরা চেষ্টা করছি যাতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। আরটিভি/এএইচ/এসএ
ডেঙ্গুতে আরও ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১২১১
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ বছর মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬৭ জনে। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। একদিনে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ২১১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ৮০০ জন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৯৮০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। যার মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ৮৩৮ জন, বাকি ২ হাজার ১৪২ জন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশানিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেতনতা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যদিকে, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ডেঙ্গু ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। আমাদের সব জায়গায় হাসপাতালগুলোকে অ্যালার্ট (সতর্ক) করে দেওয়া আছে। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি সকলকে সচেতন করতে। বিভিন্ন জায়গায় কথা বলছি। আমরা চেষ্টা করছি যাতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। আরটিভি/এএইচ
অর্থের অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না ক্যানসারে আক্রান্ত ইউনুস মিয়ার 
চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার টামটা গ্রামের মো. ইউনুস মিয়া, বয়স ৬৫। পরিবারের তিন সদস্যের মধ্যে একমাত্র উপার্জনকারী তিনি। গ্রামে একটি ভাতের হোটেলে কাজ করে কোনোরকমে সংসার চালাতেন। বসতভিটা ছাড়া তেমন কোনো জমিও নেই তার। এমন বাস্তবতায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ইউনুস। বাড়ির লোকজন হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারেন তার লিভার ক্যানসার।   হাসপাতালে ভর্তি ও পরবর্তী চিকিৎসার খরচ না থাকায় বাড়িতেই ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন ইউনুস মিয়া। কিন্তু দিনদিন তার অবস্থা আরও খারাপের দিকে যেতে দেখে তাকে ফের চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়। ডাক্তার তাকে দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে ইউনুস মিয়াকে রাজধানীর দারুসসালামের মানবিক চিকিৎসকদের সংগঠন হিউম্যান এইড রিসার্চ ল্যাব এবং হাসপাতালে বিনা টাকায় একটি বেডের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। ইউনুস মিয়া বর্তমানে হাসপাতালটিতে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যানসারবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাহফুজুল আহমেদ রিয়াদের অধিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।  চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এ চিকিৎসায় ৫ লাখ টাকার বেশি খরচ হতে পারে। এ অবস্থায় অসহায় এই মানুষটির পাশে দাঁড়াতে বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আকুল আবেদন জানিয়েছেন তার পরিবার। ইউনুস মিয়ার স্ত্রী ফেরদাউস বেগম কান্নাকণ্ঠে জানান, আমার ছোট ছোট দুটি সন্তান রয়েছে। আমার স্বামীর কিছু হলে কোথায় যাব, কীভাবে চলব। ঠিকমতো সংসারই চলে না। চিকিৎসার খরচ কীভাবে দেবো। হিউম্যান এইড বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ডা. শেখ মইনুল খোকন বলেন, আমাদের সংগঠন থেকে গরিব ও অসহায় রোগীদের চিকিৎসা দিতে সাধ্যমতো চেষ্টা করি। ইউনুস মিয়াকে বিনা টাকায় একটি বেড দেওয়া হয়েছে। খরচের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানটিও কিছু ডাক্তারের স্বেচ্ছ্বাশ্রম ও মানুষের দানে চলে। যেহেতু চিকিৎসকের খরচ ছাড়াও ক্যানসার চিকিৎসার আরও অনেক কিছু ব্যয়বহুল। তাই আমার প্রত্যাশা ইউনুস মিয়ার চিকিৎসা খরচ কিছুটা লাঘব করতে বিত্তবানরা হাত বাড়িয়ে দিবেন। তাহলে অসহায় এই রোগীর সেবা দেওয়া আমাদের জন্য আরও সহজ হবে। সহায়তা করতে যোগাযোগ করুন- রাজধানীর দারুসসালামের মানবিক চিকিৎসকদের সংগঠন হিউম্যান এইড রিসার্চ ল্যাব এবং হাসপাতাল। ফোন নম্বার- 01774773648 উল্লেখ্য, হিউম্যান এইড বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন পরিচালিত  হিউম্যান এইড রিসার্চ ল্যাব এন্ড হসপিটালে গরিব ও অসহায় রোগীদের স্বল্প খরচে বা ক্ষেত্রভেদে বিনা খরচে উন্নত চিকিৎসা দিয়ে থাকে। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের মানবিক কিছু চিকিৎসক এখানে এসে স্বল্প খরচে বা বিনামূলে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। বিনা খরচে চিকিৎসা দেওয়ায় ইতোমধ্যে গরিবের হাসপাতাল নামেও পরিচিতি অর্জন করেছে।
ডেঙ্গুতে আরও চারজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১০৯
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ বছর মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩০ জনে। বুধবার (৬ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। একদিনে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ১০৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৮ হাজার ২৪৭ জন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত একদিনে ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ৪ জনের মধ্যে দুইজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বাসিন্দা। অপর একজন চট্টগ্রাম এবং চতুর্থ জন খুলনা বিভাগের বাসিন্দা। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৮৮ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) ২৯২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) ৯৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৬৬ জন, খুলনা বিভাগে ১৩৯ জন, বরিশাল বিভাগে ১০৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৫ জন, রংপুর বিভাগে ২০ জন এবং সিলেট বিভাগে ৫ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশানিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেতনতা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যদিকে, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ডেঙ্গু ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। আমাদের সব জায়গায় হাসপাতালগুলোকে অ্যালার্ট (সতর্ক) করে দেওয়া আছে। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি সকলকে সচেতন করতে। বিভিন্ন জায়গায় কথা বলছি। আমরা চেষ্টা করছি যাতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। আরটিভি/এএইচ/এসএ
একদিনে সর্বোচ্চ ১৩৭০ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে, মৃত্যু ৬
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ৩৭০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যা এই বছরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ডেঙ্গু শনাক্ত। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৭ হাজার ১৩৮ জনে এবং মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২৬ জনে। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৩৭৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪৪ জন, বরিশাল বিভাগে ১২২ জন, খুলনা বিভাগে ১৩৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৯ জন, রংপুর বিভাগে ২৭ জন এবং রাজশাহী বিভাগে ২৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশানিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেতনতা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যদিকে, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ডেঙ্গু ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। আমাদের সব জায়গায় হাসপাতালগুলোকে অ্যালার্ট (সতর্ক) করে দেওয়া আছে। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি সকলকে সচেতন করতে। বিভিন্ন জায়গায় কথা বলছি। আমরা চেষ্টা করছি যাতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। আরটিভি/এএইচ/এসএ
ডেঙ্গুতে আরও ৬ মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ১ হাজার ২৯৮  
বর্ষা মৌসুম ফুরিয়ে শীত ঘনিয়ে আসছে। সঙ্গে প্রকট আকার ধারণ করছে ডেঙ্গু। একদিকে বাড়ছে আক্রান্তের হার, অন্যদিকে প্রতিদিনই মৃত্যু ঘটছে এডিস মশাবাহিত রোগটিতে। সবশেষ ২৪ ঘণ্টার প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আরও ছয়জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে দেশে। সেইসঙ্গে নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৯৮ জন। রোববার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনই রাজধানীর বাসিন্দা। এদের মধ্যে চারজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) এবং একজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি)। বাকি একজন মারা গেছেন চট্টগ্রামে।  এ ছাড়া, ডেঙ্গুতে নতুন আক্রান্ত ১ হাজার ২৯৮ জনের মধ্যে ৭৫০ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যেখানে ৪৬৮ জন রাজধানীর। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ১৯৬ জন, খুলনায় ১৪৬ জন, বরিশালে ৮৩ জন, রাজশাহীতে ৪২, ময়মনসিংহে ৩৮, রংপুরে ৩৬ এবং সিলেটে ৭ জন ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায়।  সব মিলিয়ে চলতি বছরের ১ জানিয়ারই থেকে এখন পর্যন্ত ২৪৭ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ডেঙ্গু। এই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৪৯ হাজার ৮৮০ জন।   উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। আরটিভি/এসএইচএম-টি