• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
লন্ডনে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি নাট্যনির্মাতার মৃত্যু
এক মাস ধরে হাসপাতালে অভিনেতা, পাশে নেই পরিবার
ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা পার্থ সারথি দেব গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।  গত এক মাস ধরে কলকাতার এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিনি। আপাতত ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে এই অভিনেতাকে। ক্রমশই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে। আপাতত তার দেখাশোনা করছেন অভিনেতা বাপি দাস। হিন্দুস্তান টাইমসকে তিনি বলেন, পার্থদা দীর্ঘদিন ধরে সিওপিডির সমস্যায় জর্জরিত। তার সঙ্গে বুকে সংক্রমণ এবং নিউমোনিয়া দুটোই ধরা পড়েছে। বর্তমানে ভেন্টিলেশনে রয়েছেন।
স্কুলছাত্র মামুনুর রশীদ, সহপাঠী চঞ্চলপুত্র!
অশ্লীলতার অভিযোগে ১৮টি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ
শবনম ফারিয়ার স্ট্যাটাসে উত্তাল নেটদুনিয়া
বিরতি কাটিয়ে ফের শুটিংয়ে তানিন
নেপাল চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের তিন সিনেমা
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘নেপাল আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’। আগামী ১৪ মার্চ শুরু হয়ে এই উৎসব চলবে ১৮ মার্চ পর্যন্ত। এবারের এই উৎসবে যাচ্ছে বাংলাদেশের তিন সিনেমা। সপ্তমবারের মতো উৎসবটির আয়োজন করেছে নেপাল ফিল্ম অ্যান্ড কালচারাল একাডেমি। জানা গেছে, এবার ৬টি বিভাগে বিভিন্ন দেশের মোট ৮৮টি সিনেমা অংশ নিচ্ছে। গেল আসরে অংশ নিয়েছিল ৩৫টি দেশের ৯৫টি সিনেমা। নেপালের মর্যাদাপূর্ণ এই উৎসবে এবার বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত হয়েছে তিন নির্মাতার ৩টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। সিনেমাগুলো হলো- আরাফাত মহসীনের ‘এভরিথিং ইজ নাথিং’ সুপিন বর্মনের ‘অ্যা লেটার অব পোস্ট মাস্টার’, শায়লা রহমান তিথির ‘জয় বাংলা’। ‘শর্টস ইন্টারন্যাশনাল’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে বাংলাদেশের সিনেমাগুলো। উৎসবের তৃতীয় দিন (১৭ মার্চ) বেলা ১১টায় সুপিন বর্মনের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘অ্যা লেটার অব পোস্ট মাস্টার’ প্রদর্শিত হবে। এরই মধ্যে দুটি উৎসবের সেরা পুরস্কার জয় করেছে ‘অ্যা লেটার অব পোস্ট মাস্টার’। উৎসবের চতুর্থ দিন (১৭ মার্চ) বিকেল ৪টায় প্রদর্শিত হবে শায়লা রহমান তিথির সিনেমা ‘জয় বাংলা’। চলচ্চিত্রটি ইতোমধ্যে একটি জাতীয় ও একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছে। সিনেমাটির চিত্রনাট্য করেছেন সাজিন আহমেদ বাবু। এতে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, ফারজানা চুমকি নাজমুল হক বাবু, শাশ্বত স্বপন, নাজমুল হক বাবু, মো. বোরহান উদ্দিন, রাব্বী আহমেদ সম্রাটসহ আরও অনেকে। এ ছাড়া আরাফাত মহসীনের ‘এভরিথিং ইজ নাথিং’ সিনেমাটি উৎসবের শেষ দিন (৮ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে প্রদর্শিত হবে। এর আগে ওয়েস্ট বেঙ্গল শর্ট ফিল্ম ফ্যাস্টিভালে ‘এভরিথিং ইজ নাথিং’ চলচ্চিত্রটির জন্য আরাফাত মহসীন নিধি বেস্ট ন্যারেটিভ ডিরেক্টর পুরস্কারে ভূষিত হন এবং একাধিক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সুনাম অর্জন করেছে। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এবার উৎসবের জুরি প্রধান হিসেবে থাকছেন চীনের বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ফেই সিয়েহ। আগামী ১৪ মার্চ সপ্তম নেপাল আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নেপাল সফরে যাচ্ছেন নির্মাতা আরাফাত মহসীন নিধি, সুপিন বর্মন এবং শায়লা রহমান তিথি।
ইয়াশের সঙ্গে প্রেমের বিষয়ে মুখ খুললেন তটিনী
এ প্রজন্মের অভিনেত্রী তানজিম সাইয়ারা তটিনী। খুব অল্প সময়েই নিজের লাস্যময়ী হাসি দিয়ে দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছেন তিনি। অভিনয়েও বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন তটিনী। অন্যদিকে ছোটপর্দার অভিনেতা ইয়াশ রোহান। কয়েক দিন আগেই ফেসবুকে দুজনের পোস্ট করা একটি ছবি নিয়ে নেটদুনিয়ায় শুরু হয় নানান চর্চা। গুজন ওঠে— প্রেম করছেন ইয়াশ-তটিনী। ইয়াশ-তটিনীর ছবিটি দেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো মন্তব্যের ঝড় তুলতে থাকেন নেটিজেনরা। অনেকেই আবার শুভকামনাও জানান তাদের। ফেসবুকে পোস্ট করা ওই ছবিতে দেখা যায়— বেশ রোমান্টিক দৃষ্টিতে ইয়াশের দিকে তাকিয়ে আছেন তটিনী। আর ইয়াশ দূরের কিছু একটা দেখাচ্ছেন অভিনেত্রীকে। দুজনেই ছবিটি শেয়ার করেন ফেসবুকে। ক্যাপশনে তারা লেখেন, ওহে কী করিলে বলো পাইব তোমারে, রাখিব আঁখিতে আঁখিতে।     সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমকে এ প্রসঙ্গে তটিনী বলেন, আসলে এটা ইচ্ছাকৃত ছিল। আমরা একসঙ্গে রাফাত মজুমদার রিংকুর একটি নাটকে কাজ করেছি। ওই নাটকের প্রচারণার জন্য একসঙ্গে পোস্ট করা হয়েছে ছবিটি। অভিনেত্রী আরও বলেন, আমরা প্রথমবার যখন একসঙ্গে কাজ শুরু করি, ওই সময় থেকেই আমাদের কাজগুলো পছন্দ করতে থাকেন দর্শকরা। তখনও আমাদের নিয়ে নানা মন্তব্য করতেন তারা। শুরুতে কিছুটা ভ্যাবাচেকা খেতাম। মনে হতো, আসলে এসব ব্যাপারে কী বলব বা কী ব্যাখ্যা দেব, ঠিক ভেবে পেতাম না। কারণ, দর্শকদের বোঝানো তো সহজ নয়।    ভক্তদের আগ্রহ-কৌতূহলগুলো দারুণ উপভোগ করেন বলে জানান তটিনী। বলা যায় তাদের আলোচনা-সমালোচনায় অভ্যস্তও হয়ে গেছেন। তবে দর্শকরা তাদের নিয়ে কথা বলেন, প্রশংসা করেন এটাকে ইতিবাচকভাবেই দেখেন তিনি। তটিনী বলেন, আমরা ধারাবাহিকভাবে একসঙ্গে এত কাজ করি, অভিনয়ের মাধ্যমেই আমাদের সংযোগ হয়ে গেছে। আমাকে অভিনয়ে খুবই হেল্প করেন ভাইয়া। আর আমিও জুনিয়র হিসেবে ভাইয়াকে সেই জায়গা থেকে যথেষ্ট সম্মান করি।
যে কারণে কপালের টিপ সরিয়ে পরছেন তারা
সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে নারীদের কপালের বাঁকা টিপের সেলফি। না, এটি কোনো ট্রেন্ড নয়। চলছে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ‘Odd Dot Selfie’। বাঙালি নারীর সাজসজ্জায় টিপের ব্যবহার কারও অজানা নয়। নারীর চিরাচরিত এই টিপই এবার হয়ে উঠেছে নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা। ‘আমার প্রতিবাদের ভাষা #OddDotSelfie’ স্লোগানে চলছে এই অভিনব প্রতিবাদ যাতে সাড়া দিয়েছেন দেশখ্যাত অভিনয় শিল্পী ও ইনফ্লুয়েন্সাররা।  সম্প্রতি ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে সেলফি পোস্ট করে এই প্রতিবাদ শুরু করেন তারা। কপালের মাঝখান থেকে টিপ একটু সরিয়ে সেলফি তুলে #OddDotSelfie লিখে পোস্ট করেন নিজ নিজ ওয়ালে। তারা নারীদের আহ্বান জানান সেলফি ও হ্যাশট্যাগসহ প্রতিবাদে যোগ দিতে। এরপর এটি ছড়িয়ে যেতে থাকে সাধারণ মানুষের মাঝেও। ইনফ্লুয়েন্সার নাজিবা নওশিন বলেন, আমরা নারীরা মন ভালো থাকলে টিপ পরি। এটি আমাদের কালচার। কপালের সেই টিপ সরিয়ে দিয়ে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমরা এবার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ বিষয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সমাজকর্মী সারা যাকের বলেন, আমাদের দেশের নারীরা প্রতিদিন ঘরে বাইরে নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কিন্তু সেই অনুপাতে এটা নিয়ে কোনো প্রতিবাদই হচ্ছে না। সবাই মিলে সোচ্চার হওয়ার এখনই সময়। শুধু নিজের জন্য নয়, আশেপাশে কোনো নারীকে নির্যাতিত হতে দেখামাত্র প্রতিবাদ করা উচিত। পরিবারে নারীর প্রতি সহিংসতা যেমন বাড়ছে তেমনি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনলাইনে এই হয়রানির মাত্রা বেড়েছে। কিন্তু কোনো প্রতিবাদ দেখা যাচ্ছে না। যেকোনো নির্যাতনের শিকার হলে নারীরা বেশির ভাগ সময় তা মুখ বুজে সহ্য করে নেন। কিন্তু নারীর প্রতি সহিংসতা নারীরা মুখ খুললেই বন্ধ হবে। তাই আমি এই প্রতিবাদে যোগ দিয়েছি, জানান প্রতিবাদে অংশগ্রহণকারী নাট্যকর্মী ফৌজিয়া করিম অনু।
সম্মাননা পাচ্ছেন ৮ অভিনেত্রী
সময়টা ২০২০ সাল, অভিনেতা সায়েম সামাদের হাত ধরে ‘কাঁচখেলা রেপার্টরি থিয়েটার’-এর যাত্রা শুরু হয়। ২০২২ সাল থেকে সায়েম সামাদের উদ্যোগেই আন্তর্জাতিক নারী দিবসে মূলত থিয়েটারের সঙ্গে সম্পৃক্ত অভিনেত্রীদের সম্মাননা দিয়ে আসছেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও সায়েম সামাদের উদ্যোগে বিভিন্ন নাট্যদলের অভিনয়শিল্পীকে সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে। মঞ্চের দাপুটে অভিনেত্রী, যিনি ‘লাল জমিন’ নাটক করে সারা দেশে ভীষণ সাড়া ফেলেছেন সেই নন্দিত অভিনেত্রী মোমেনা চৌধুরী, নাটক ও সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রোজী সেলিম, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী ও নির্দেশক নাজনীন হাসান চুমকি এবং গুণী অভিনেত্রী তনিমা হামিদ কাঁচখেলা নাট্য সম্মাননায় ভূষিত হতে যাচ্ছেন। আরও চারজন অভিনয়শিল্পী একই সম্মাননায় ভূষিত হতে যাচ্ছেন। তারা হলেন জুয়েনা শবনম, শামসি আরা সায়েকা, হাসিনা সাফিনা বানু উর্মি ও সৈয়দা নওশীন ইসলাম দিশা। কাঁচখেলা রেপার্টরি থিয়েটারের প্রধান নির্বাহী সায়েম সামাদ বলেন, সকল ক্ষেত্রে নারীর অবদান অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের মঞ্চনাটকে নারীর মেধা ও শ্রমের মূল্যায়ন যথাযথভাবে হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। পুরুষ সহকর্মীর তুলনায় নারীকে থিয়েটারে সম্পৃক্ত হতে সাধনা চালিয়ে যেতে অনেক বেশি পরিশ্রম ও প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়তে হয়। নারীর মঞ্চ সাধনাকে মূল্যায়িত করতে প্রতিবছর বিগত তিন বছর যাবত এই আয়োজন করছি। সবার সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু উপহার দেওয়ার ইচ্ছে আছে। আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই প্রত্যেক নারী শিল্পীকে যারা এই সম্মাননা গ্রহণ করার জন্য সম্মতি দিয়েছেন। কারণ তাদের কারণেই আলোকিত হবে এই অনুষ্ঠান। জনপ্রিয় অভিনেত্রী রোজী সেলিম সম্মাননা নিয়ে নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন, ‘প্রতিবছর মঞ্চনাটকের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর মেধার মূল্যায়নে কাঁচখেলা রেপার্টরি থিয়েটার এই সম্মাননা প্রদান করছে। আমি মনে করি, নারীর মেধার মূল্যায়নের মাধ্যমে মঞ্চনাটক নারীর অংশগ্রহণে আরও সমৃদ্ধ হবে।’ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী ও নির্দেশক নাজনীন হাসান চুমকি বলেন, প্রতিবছর মঞ্চনাটকে নারীর অবদানকে স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে কাঁচখেলা রেপার্টরি থিয়েটার অনন্য সামাজিক ভূমিকা রেখেছে। এ সম্মাননা প্রদানের মাধ্যমে মঞ্চনাটক নারীর অংশগ্রহণে আরও সমৃদ্ধ হবে। আগামী ৮ মার্চ সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর মহিলা সমিতি মিলনায়তনে উৎসবের উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী নারী শিল্পীদের হাতে সম্মাননা প্রদান করবেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তারানা হালিম এমপিসহ বেশ কয়েকজন। আগামী ৮ থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী নাট্য উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেত্রী ডলি জহুর। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় মহিলা সমিতি মিলনায়তনে থাকছে মঞ্চনাটকের প্রদর্শনী। আগামী ৮ মার্চ মঞ্চস্থ হবে থিয়েটার ফ্যাক্টরির নাটক ‘আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে’, ৯ মার্চ প্রাচ্যনাটের ‘আগুনযাত্রা’ এবং ১০ মার্চ অনুস্বরের ‘হার্মাসিস ক্লিওপেট্রা’।
ভাবনাকে কাজের মেয়ে বলে কটাক্ষ!
ছোট ও বড় পর্দার পরিচিত মুখ অভিনেত্রী আশনা হাবীব ভাবনা। তিন বছর আগে সিনেমায় অভিনয় শুরু করেন তিনি। সেই সময়ে ভাবনা ও তার মাকে কটাক্ষ করে এক জনপ্রিয় অভিনেত্রী বলেছিলেন তাদের দেখতে অনেকটাই কাজের মেয়ের মতো। সম্প্রতি সহকর্মীর সেই কটাক্ষ নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন অভিনেত্রী।  এ ব্যাপারে দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে ভাবনা বলেন, শোবিজ অঙ্গনের কাছের একজন মানুষ আমাকে নিয়ে এমন কথা বলবে, সেটি কখনো কল্পনাই করিনি আমি। তার উদ্দেশ্য ছিল আমাকে সরাসরি অপমান বা ছোট করা। তবে তার ওই অপমান, ছোট করার চেষ্টাগুলোই শক্তি জুগিয়েছে আমায়। এমন অনেকেই আছে যারা সহ্য করতে পারে না যে কেনো একের পর এক নায়িকা হচ্ছি। কিন্তু যতই ছোট করা হোক না কেন আমায়, আমি কখনোই পেছনে ফিরে তাকাইনি। নিজের যোগ্যতার মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য চিন্তা করেছি সবসময়।  ‘ভয়ংকর সুন্দর’ সিনেমার এ নায়িকা জানান, তাকে ও তার মায়ের সম্পর্কে ওই অভিনেত্রী বলেছিলেন, ভাবনা কী করে নায়িকা হয়? ওর চেহারা তো ওর মায়ের মতো। আর ওর মা তো দেখতে আমাদের বাসার কাজের মেয়ে রহিমার মতো। ভাবনা বলেন, আমাকে নিয়ে কেউ একটা মন্তব্য করতেই পারে। কিন্ত আমার মাকে টেনে এনে কেন অপমান করা। আমি চাইলে সেদিন তাকে ওই কথার জবাব দিতে পারতাম; দেইনি। আমার মা-বাবা সেই শিক্ষা দেননি আমাকে। কাউকে ছোট করে কখনো বড় হওয়া যায় না। আমাদের সহকর্মীদের মধ্যেই অনেকে আছেন, যারা অন্যদের টেনে নিচে নামাতে চান। তবে ভাবনা সেই অভিনেত্রীর নাম জানাননি। নাম প্রকাশ করে তাকে ছোট করতে চাননি। ওই অভিনেত্রী একজন শিক্ষিত সংস্কৃতিমনা সহকর্মী। তাকে কখনোই ছোট করতে চান না ভাবনা। ভাবনা বলেন, এখনও কিন্তু আমরা কথা বলি, কখনো আবার আড্ডা দেই। তার নাম প্রকাশ করে ছোট করার কী প্রয়োজন। সে তার নিজের মতো থাক। আমাকে ও মাকে যারা ছোট করেছিলেন, আমি তাদের অন্যভাবে জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমাকে যেদিন অপমান করা হয়, ওই দিনই মাথায় আসে ‘কাজের মেয়ে’ নামে একটি বই লিখব আমি। যে মেয়েটি অনেক কাজের ও পরিশ্রমী। সেই বইটি এবার প্রকাশ হয়েছে বইমেলায়। আর শেষ দিন মনে হলো পেছনের ঘটনা সবাইকে জানানো দরকার। 
হাসপাতালে মৌসুমী মৌ
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন উপস্থাপিকা মৌসুমী মৌ। সামাজিক মাধ্যমে এ খবর তিনি নিজেই জানিয়েছেন।  নিজের ফেসবুকে মৌ লিখেছেন, ফুসফুসে ইনফেকশনের কারণে শুক্রবার (১ লা মার্চ) বিপিএল ২০২৪ এর ফাইনাল ম্যাচের পোস্ট শো ক্যানসেল করতে হলো।  এরপর তিনি লেখেন, জীবন মানুষকে কখন কোথায় এনে দাঁড় করায় কেউ বলতে পারবে না। কিন্তু হতাশ হলে চলবে না। এগিয়ে যেতে হবে দুর্বার গতিতে। ফরচুন বরিশালকে অভিনন্দন বিপিএল ২০২৪ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায়। সবশেষে তিনি লেখেন, এবারের বিপিএলে বহুবার আমি ফরচুন বরিশালের ম্যাচ শেষে বলেছি আনফরচুনেটলি হেরে গেছে ফরচুন বরিশাল। শেষপর্যন্ত জয়টা কিন্তু তাদেরই হলো। জীবনও এমনই পুরোটা গেম। কেউ জিতে কেউ হারে! কিছুদিন আগে বিয়ে করেছেন মৌসুমী মৌ। এক দশক ধরে বিনোদন অঙ্গনে আছেন মৌসুমী মৌ। অভিনয় ও উপস্থাপনায় সাবলীল তিনি। ২০টিরও বেশি নাটকে কাজ করেছেন। অভিনয় করেছেন ওয়েবফিল্মেও।