• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
লাল ফ্রক পরা শিশুটি এখন দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী
ফেসবুক পেজ হ্যাক, উদ্ধারের পর যা জানালেন হানিফ সংকেত
জনপ্রিয় উপস্থাপক ও নির্মাতা হানিফ সংকেতের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজটি হ্যাকারদের কবলে পড়েছিল। তবে বেশিক্ষণ তারা পেজটি নিজেদের দখলে রাখতে পারেনি। খুবই অল্প সময়ের মধ্যে হানিফ সংকেতের কারিগরি দল পেজের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে নেন।  রোববার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় হ্যাকাররা হানিফ সংকেতের পেজে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ছবিও পোস্ট করে।  ১ কোটিরও বেশি অনুসারীর ফেসবুক পেজটি ফিরে পাওয়ার পর নিজের প্রতিক্রিয়া জানান হানিফ সংকেত। এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, কিছুক্ষণ আগে কে বা কারা আমার এই পেজটি হ্যাক করে সেখানে অত্যন্ত অরুচিকর একটি দৃশ্য সংযোজন করে; যা খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আমার টেকনিক্যাল টিম অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে অপসারণ করে।’ জনপ্রিয় এই উপস্থাপক আরও লিখেছেন, ‘আমাদের এই পোস্ট দেয়ার আগেই অনেকে পেজ হ্যাক হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে আমাদের সতর্ক করেছেন। সে জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।’ প্রসঙ্গত, জনপ্রিয় টেলিভিশন ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র গ্রন্থনা, পরিকল্পনা ও উপস্থাপনা করেন হানিফ সংকেত। পাশাপাশি নাটক নির্মাণেও সাফল্য রয়েছে তার। 
পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ অভিনেতা গুরুচরণ সিং
ফরিদুল হাসানের তারকাবহুল ধারাবাহিক ‘বাহানা’
কলকাতার সিনেমায় তারিন
সমাজের নানা অসঙ্গতি নিয়ে তানিনের ‘রসের হাঁড়ি বাড়াবাড়ি’
বিয়ে-বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন শিমুল
শোবিজের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা ও মডেল মনির খান শিমুল। ক্যারিয়ারে অসংখ্য টেলিফিল্ম, নাটক ও সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে অভিনেত্রী নাদিয়া আহমেদের সঙ্গে ভালোবেসে ঘর বেঁধেছিলেন এই অভিনেতা। তবে দীর্ঘস্থায়ী হয়নি তাদের সেই সংসার। দাম্পত্য জীবনের পাঁচ বছরের মধ্যেই সংসার জীবনের ইতি টানেন নাদিয়া-শিমুল।   পরবর্তীতে অভিনেতা নাঈম আহমেদকে বিয়ে করে পুনোরায় ঘর বাঁধেন নাদিয়া। বর্তমানে বেশ সুখেই আছেন তারা। নাদিয়া নতুন নীড়ের খোঁজ পেলেও শিমুল এখনও একাই রয়ে গেছেন। আগের মতো অভিনয়েও খুব একটা দেখা যায় না তাকে। এবার বিয়ে এবং বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুলেছেন শিমুল।   সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমে ব্যক্তিগত জীবন, বিয়ে-বিচ্ছেদ, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন এই অভিনেতা।  এ সময় বিয়ে করছেন কবে? এমন প্রশ্নের জবাবে শিমুল বলেন, কখনোই বিয়ে করতে চাইনি। তবে সময়ের প্রয়োজনে বিয়ে করলাম। ভাবলাম জীবনটা সাজাবো। কেউ তো  ডিভোর্স চায় না। কিন্তু ডিভোর্স হয়ে গেল। বিয়ে যখন করব না বলেছিলাম, তখন আমার অনেক বড় বড় প্রজেক্ট ছিল, তখন আমি এগুলোর মধ্যে আবার ফিরে এলাম।   অভিনেতা আরও বলেন, বিয়ে হয়তো করব। কাউকে পছন্দ হয়ে গেলে, তার সঙ্গে বাকি জীবনটা হয়তো কাটাতে পারি। না হলে আমি এতগুলো প্রজেক্ট করেছি যে এদের সঙ্গে আমার জীবন কেটে যাবে। আমার বন্ধুদের একটি এতিমখানা আছে, চিন্তা করলাম, একজন বাচ্চাকে বড় না করে বেশ কিছু বাচ্চাকে বড় করি। আমি সব সময়ই অনেক আনন্দে থাকি, সৎ থাকি।  ডিভোর্স প্রসঙ্গে শিমুল বলেন, একটা বড় হুমকি ছিল, ডিভোর্সটা হয়ে গেলে মানুষ কী বলবে? কিছুই হয় না আসলে, এর চেয়েও খারাপ খারাপ জিনিস হয়। আমি জীবনে কোনো দিন ফাঁকি দিইনি। আমার সামনে থেকে কোনো প্রাণী-মানুষ অভুক্ত যায়নি।  অভিনয়ে অনিয়মিত থাকার ব্যাপারে তিনি বলেন, আগে ছিল বেগ, এখন হচ্ছে আবেগ। সব সময়ই বেছে বেছে কাজ করেছি আমি। টাকার জন্য কখনোই কাজ করিনি। আমরা ভালোবেসে কাজ করতাম। তবে এখন সময়টা পাল্টেছে। ভালো কাজের জন্য পরিবেশটাও জরুরি। ক্ষমতা, অর্থ থেকে শিল্পীদের একটু দূরে থাকাই উচিত। সিনেমা পরিচালনা নিয়ে শিমুল বলেন, সিনেমা বানানোর  পরিকল্পনা তো রয়েছেই।  সেই স্বপ্ন ২০ থেকে ২৫ বছরের। প্রাথমিক কাজ শুরু করেছি। মরে যাওয়ার আগে অন্তত একটা-দুটো-তিনটে সিনেমা বানাব।   
ডিভোর্স নিয়ে মুখ খুললেন ঐশী
অনামিকা ঐশী। টিকটক করে পেয়েছিলেন পরিচিতি। পরে আলোচনায় আসেন ‘বদমাইশ পোলাপাইন’ ওয়েব সিরিজে অভিনয় করে। এরপর বেশ কিছু নাটকে কাজ করলেও তাকে আর সেভাবে ছোট পর্দায় পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি আবারও তিনি আলোচনায়। জানা গেছে, ভাঙনের মুখে সংসার।  দেশের একটি গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে ঐশী বলেন, আমরা এখনই এই নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছিলাম না। ও চাচ্ছে না, আমিও চাচ্ছি না। আমাদের এখনো ডিভোর্স হয়নি। আমরা দুজনই সেপারেশনে আছি। ও ক্লিয়ার করে বলতে পারছে না কী করবে, আমিও পারছি না। এটা দুজনের সিদ্ধান্তের বিষয়। তিনি আরও বলেন, আসলে আমাদের মধ্যে তেমন কিছুই হয়নি। ওর কিছু জিনিস আমার ভালো লাগেনি। তাই আমি চলে আসছি।  ঐশী বলেন, আমাদেরকে নিয়ে অনলাইনে খুব ট্রল হচ্ছে। এটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ, আমরা প্রায় এক বছরের মতো একসঙ্গে ছিলাম, পাবলিকলি। এখন মানুষ একসঙ্গে দেখছে না। তাই ট্রল করছে, করবেই। তারা আসলে আমাদেরকে আবার একসঙ্গে দেখতে চায়। কিংবা জানতে চায় আসলে কী হয়েছে আমাদের মধ্যে।  প্রসঙ্গত, গায়ক আলভীকে ভালোবেসে বিয়ে করেন ঐশী। শুরু করেন সংসারও। কিন্তু কিছুদিন না যেতেই ভালোবাসার মানুষটির অনেক কিছুই মেনে নিতে পারছিলেন না তিনি। তাই শুরু করেন আলাদা থাকা। এখনও আছেন সেভাবেই।
তারকাদের গোপনে বিয়ে করানো প্রসঙ্গে যা বললেন তুষার খান
টিভি নাটকের জনপ্রিয় মুখ তুষার খান। চার দশকের বেশি সময় ধরে যেমন মঞ্চ, তেমনি টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয় তিনি। সালমান শাহ অভিনীত ‘বিক্ষোভ’ সিনেমাসহ বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করে বেশ আলোচনায় আসেন এই অভিনেতা। নব্বইয়ের দশকের প্রথম দিকে টিভি নাটকে অভিনয় শুরু করেন। বলছি দর্শকপ্রিয় অভিনেতা তুষার খানের কথা। অভিনেতার পাশাপাশি তুষার খানের আরও একটি পরিচয় আছে। সম্প্রতি একটি টেলিভিশনে হাজির হয়েছিলেন তিনি, বলেছেন অনেক কিছু। প্রশ্ন করা হয়, শুনেছি আপনি টেলিভিশনের অনেককে বিয়ে করিয়েছেন। সেই গল্পটা জানতে চাই। কাকে কাকে বিয়ে করিয়েছেন—উপস্থাপকের এমন প্রশ্নের জবাবে তুষার খান বলেন, বৃন্দাবন-খুশি, আ খ ম হাসান, জয়রাজ, শামীম জামান, ফিল্মের একজন প্রডিউসার আছেন, উনি আমার কাজিন হন। বাইরে আরও বেশ কিছু এবং এটার অনেক মজার মজার ঘটনা আছে। এ নিয়ে কোনো সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তুষার খানের ভাষ্য, ‘না। একদিন হঠাৎ রাত সাড়ে ১১টা থেকে পৌনে ১২টা দিকে দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ পেলাম। দেখলাম হাসান। বলল ভাই, মেয়ে তো পালিয়ে আসছে। তখন বললাম, ও পালিয়ে আসছে, নাকি তুই নিয়ে আসছস। রাত ১২টার সময় লালমাটিয়া কাজি অফিসের কাজি সাহেবকে ডেকে এনে বিয়ে দেওয়ালাম। তুষার খান আরও বলেন, শামীমের তো আরেক রকমের মজা। ওর আক্‌দ হওয়ার কথা। মেয়ে তুলে নিয়ে আসার কথা। তখন শামীমের শাশুড়ির সঙ্গে এত মজার মজার কথা হলো। বললাম খালা, মেয়েকে নিয়ে গেলাম। বলল, নাও। এমনকি শামীমের বউকে আমি নিয়ে এসেছিলাম। সেদিন ওর বউয়ের আসার কথা নয়। আরও অনেক মজার মজার কথা। সব কথা তো বলা যায় না। প্রসঙ্গত, ১৯৮২ সালে আরণ্যক নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অভিনয় শুরু করেন তিনি। নব্বইয়ের দশকের প্রথম দিকে টিভি নাটকে অভিনয় শুরু করেন তুষার। চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘আজকের প্রতিবাদ’ চলচ্চিত্র দিয়ে বড়পর্দায় যাত্রা শুরু হয় তার। মুহম্মদ হান্নানের পরিচালনায় সালমান শাহের সঙ্গে ‘বিক্ষোভ’ সিনেমায় অভিনয় করে পরিচিত পান তুষার।
তীব্র গরমে ফেসবুকে ভাইরাল আবুল খায়েরের সেই বিজ্ঞাপন!
তীব্র গরমে নাজেহাল দেশবাসী। আর এই গরমের অন্যতম কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে বৃক্ষনিধন। সামাজিক মাধ্যমগুলোতে গাছ কাটার সমালোচনা যেমন হচ্ছে নতুন করে গাছ লাগানোর কথাও বলছেন অনেকে। ইট-পাথরে গড়া বড় শহরগুলোই শুধু না, অজপাড়াগাঁয়ের বাতাসেও এখন শীতলতা নাই। হাওয়ার পরশে যেন দাবানলের অনুভূতি! গুগল ওয়েদারে তাপমাত্রা যদি দেখায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, উপলব্ধি দেখায় ৪২ বা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কেন এই অবস্থা? সামাজিক মাধ্যমে সাম্প্রতিক পোস্টগুলো থেকে মনে হয়, তারা গাছ কমে যাওয়াকেই কারণ হিসেবে দেখছেন। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, প্রতিবছরই পৃথিবীর বায়ুতে যে তাপমাত্রা বাড়ছে এর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে বৃক্ষনিধন। এবারও তীব্র গরমে অতিষ্ঠ মানুষ ফেসবুকে বৃক্ষ রোপণ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করছেন। অনেকে এক সময় বাংলাদেশ টেলিভিশনে বহুল প্রচারিত একটি বিজ্ঞাপনের কথা স্মরণ করে আবেগতাড়িত হচ্ছেন। বিজ্ঞাপনটিতে কিংবদন্তী অভিনেতা আবুল খায়ের ছিলেন একজন কবিরাজ। একদিন হাঁটতে হাঁটতে আকাশমুখী গাছের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা ভাবছিলেন তিনি। এরমধ্যেই সেখানে আসেন গাছের মালিক। তাদের দুজনের কথোপকথন ছিল এমন- গাছের মালিক: কি গো কবিরাজ, কী খোঁজতাসেন? কবিরাজ: আইচ্ছা, এইখানে একটা অর্জুন গাছ আছিল না? গাছের মালিক: আছিল, কাইট্টা ফালাইছি। কবিরাজ: এইখানে একটা শিশু গাছ আর ওই মাথায় একটা হরতকী গাছ। গাছের মালিক: আছিলো, কাইট্টা ফালাইছি। কবিরাজ: আপনের গাছ? গাছের মালিক: হ। টেকার দরকার পড়ছে তাই বিক্রি করছি। কবিরাজ: গাছ লাগাইছিলো কে? গাছের মালিক: আমার বাবায়। কবিরাজ: আপনি কী লাগাইছেন? গাছের মালিক: আমি কী লাগাইছি? কবিরাজ- হ, ভবিষ্যতে আপনার পোলারও টেকার দরকার হইতে পারে।   এরপর কবিরাজ একদল গ্রামবাসীর উদ্দেশে বলেন, আমি আর আপনাগোর কবিরাজ নাই। আপনারা চাইলেও আমি আর ওষুধ দিতে পারুম না। প্রশ্ন করতে পারেন কেন? উত্তর একটাই। সাপ্লাই শেষ। গাছ নাই তো আমার ওষুধও নাই। লাকড়ি বানায়া চুলায় দিছি, খাট-পালঙ্ক বানায়া শুইয়া রইছি, টেকার দরকার পড়ছে গাছ কাটছি। যা কাইটা ফালাইসি তা কি পূরণ করছি? বাপ-দাদার লাগানো গাছ কাটছি। নিজেগো সন্তানের জন্য কী রাখছি? অক্সিজেনের ফ্যাক্টরি ধীরে ধীরে শেষ হইতাসে। চোখ ভইরা সবুজ দেখি না। ভবিষ্যতে কেমনে দম লইবেন?   মানুষের মাঝে বৃক্ষ নিধন বিরোধী সচেতনতা বাড়াতে বাংলাদেশ বন অধিদপ্তর বিজ্ঞাপনটি তৈরি করেছিল। নব্বই দশকে বিটিভি যখন দেশের একমাত্র টেলিভিশন চ্যানেল ছিল তখন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ফাঁকে বিজ্ঞাপনটি বেশি প্রচার করা হতো। পরবর্তী সময়িও বিজ্ঞাপনটি দেখা গেছে বিটিভিতে। এই বিজ্ঞাপনে মরহুম আবুল খায়েরের অসাধারণ আর হৃদয়গ্রাহী সংলাপ সাধারণ মানুষের মুখে মুখে ফিরতো। বিজ্ঞাপনটির সংলাপ ফেসবুকে শেয়ার করে অনেকেই এটি আবারও টেলিভিশনে ব্যাপকভাবে প্রচারের দাবি জানাচ্ছেন।
বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন জয়া
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ইতোমধ্যে ঢালিউড-টালিউড মাতিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান তিনি। কাজের পাশাপাশি এই অভিনেত্রীর ঘরের খবর পেতেও মুখিয়ে থাকেন দর্শক। কবে বিয়ে করছেন, কেন একা থাকেন এসব জানার খুব শখ তাদের। বরাবরই তিনি মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। তবে এবার সবকিছু নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে জয়া কথা বলেছেন বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে। বিয়ে নিয়ে জয়া বলেন, বর্তমান জীবন খুবই এনজয় করছি। দেখুন, পরিবার তো শুধু স্বামী-স্ত্রীকেই ঘিরে নয়, অথবা পার্টনার হলেই হয় না, পরিবারে আরও অনেকেই আছে। পরিবারে মা-বাবা আছেন, আমার বাড়িতে যেসব লোক কাজ করেন, তারা আছেন। চারপেয়ে পোষ্য আছে। আমি খুবই এনজয় করি। একাকী জীবনযাপন নিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি তো কোনোকিছু পরিকল্পনা করি না। যদি মনে করি যে সিঙ্গেল থেকে ডাবল হতে চাই, দরকার আছে, তখনই হবো। তবে এই মুহূর্তে আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, আমি খুবই ভালো আছি, শান্তিতে আছি চারদিকে। আমার আপাতত কোনো প্ল্যান নেই। এদিকে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে কাজ করতে যাচ্ছেন জয়া। এটি নির্মাণ করবেন মহানগর খ্যাত নির্মাতা আশফাক নিপুণ।
যে কারণে মেহজাবীন-সিয়ামের পাল্টাপাল্টি পোস্ট
ঢাকাই সিনেমার বর্তমান প্রজন্মের নায়ক সিয়াম আহমেদ। বড়পর্দায় কাজের আগে অভিনয় করেছেন ছোট পর্দা ও বিজ্ঞাপনচিত্রে। অপর দিকে ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ মেহজাবীন চৌধুরী। এই দুই জনপ্রিয় তারকা আবার বেশ ভালো বন্ধুও। নাটক থেকে শুরু করে একসঙ্গে কাজ করেছেন বিজ্ঞাপনেও। এবারের ঈদ উৎসবে বিখ্যাত ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে পারফর্ম করেছেন তারা। কিন্তু হুট করেই অল্প সময়ের ব্যবধানে দুজন দুজনকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। দুজনের পোস্টে নেটদুনিয়া ভাইরাল। দিন কয়েক আগে সামাজিকমাধ্যমে মেহজাবীন চৌধুরী ও সিয়াম আহমেদ একজন আরেকজনের নাম উল্লেখ করে পোস্ট দেন। মেহজাবীন লেখেন, সিয়াম আহমেদ যেখানে থাকবে প্লিজ আমাকে সেখানে ডাকবেন না। অন্যদিকে সিয়াম লেখেন, মেহজাবীন-ও যেখানে থাকবে, আমার সেখানে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। দুই তারকার এই পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাসে নেটিজেনরা ধারণা করেছিলেন বিষয়টি প্রচারণামূলক কিছু হবে হয়তো। অবশেষে সেই অনুমানই সত্যি হলো।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) নিজের ফেসবুক থেকে মেহজাবীন জানালেন এটি একটি ক্যাম্পেইনের প্রচারণা ছিল। তিনি লিখেছেন, সিয়াম আর আমার পাল্টাপাল্টি পোস্ট নিয়ে তো অনেক কথাই হচ্ছে। কিন্তু আসলে সিয়াম আর আমার বন্ধুত্ব সবসময়ই বেশ ভালো। তবে বন্ধুত্ব যত ভালোই হোক না কেন, সব সম্পর্কেই কিছু মান-অভিমান, কিছু ছোট অভিযোগ-অনুযোগ থাকে। আনন্দের আর অভিমানের মুহূর্ত মিলেই তো একটা সম্পর্ক সুন্দর হয়। এরপর লেখেন, অভিমানের মুহূর্তগুলোতেই কিন্তু আমরা প্রিয়জনদের সব থেকে বেশি মিস করি আর উপলব্ধি করি। এই সময়গুলোতেই আমাদের মধ্যে একটু-আকটু খুনসুটি হয়ে থাকে। মেহজাবীন জানান, একটি তেল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পেইনের অংশ এটি। সাধারণ মানুষকেও আহ্বান জানানো হয়েছে এতে অংশ নিতে। প্রিয়জনের সঙ্গে এমন অম্ল-মধুর মুহূর্তের স্মৃতি শেয়ার করতে বলা হয়েছে। সেখান থেকে ১০ জন বিজয়ী নির্ধারণ করা হবে। যারা নৈশভোজের সুযোগ পাবেন সিয়াম-মেহজাবীনের সঙ্গে। সিয়াম এই মুহূর্তে ব্যস্ত আছেন ‘জংলি’ সিনেমার কাজে। এটি নির্মাণ করছেন আম রাহিম। অন্যদিকে মেহজাবীন করছেন ‘প্রিয় মালতী’ নামের একটি ছবির কাজ। এটির নির্মাতা শঙ্খ দাশগুপ্ত। 
মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন অভিনেতা রুমি
বরগুনায় মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা অলিউল হক রুমি। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। সোমবার (২২ এপ্রিল) ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।     সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে রুমির মরদেহ বরগুনা পৌরসভার পিটিআই সড়কে ভাইরের বাসায় পৌঁছায়। প্রিয় অভিনয় শিল্পীকে এক নজর দেখতে ভিড় করেন তার স্বজনরা। পরে পৌনে ছয়টায় বরগুনার শহীদ আবুল হোসেন ঈদগাহ মাঠে তার দ্বিতীয় জানাজা শেষে বরগুনা পৌর গণকবরে তার মায়ের কবরের পাশে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এসময় তার সহকর্মী রাশেদ সিমান্ত, শফিক খান নীলুসহ তার সহকর্মী শিল্পীবৃন্দ, আত্মীয় স্বজনসহ স্থানীয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ভোর ৩টা ৫৮ মিনিটে ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এরপর সকাল ৯টায় রাজধানী শহীদবাগ জামে মসজিদে তার প্রথম জানাজা সম্পন্ন করে মরদেহ বরগুনা পৌর শহরের পিটিআই সড়কে ছোট ভাই জিয়াউল হক জুয়েলের বাড়িতে আনা হয়।  বরগুনা জেলার বামনা উপজেলায় জন্ম রুমির। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক ও মা হামিদা হক। পরিবারে তিন বোন ও তিন ভাইয়ের মধ্যে রুমি মেজো। ভাইদের মধ্যে তিনি বড়। রুমির দুই সন্তান। মেয়ে আফরা আঞ্জুম রুজবা স্বামী সন্তান নিয়ে থাকেন কানাডায়। আর ছেলে ফারদিন হক রিতম একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্প্রতি লেখাপড়া শেষ করেছেন। অভিনয়ে তিন দশকের বেশি সময় পার করেছেন রুমি। দীর্ঘ এ পথচলায় অভিনয় করেছেন অসংখ্য নাটক ও সিনেমায়। ১৯৮৮ সালে রুমির অভিনয়ের শুরু থিয়েটার বেইলি রোডের ‘এখনো ক্রীতদাস’ নাটকের মধ্য দিয়ে। একই বছর ‘কোন কাননের ফুল’ নাটকের মাধ্যমে ছোট পর্দায় অভিষেক হয় তার। টেলিভিশনের পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। ২০০৯ সালে ‘দরিয়া পাড়ের দৌলতী’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বড়পর্দায় অভিষেক হয় অলিউল হক রুমির। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটক হলো, ‘ঢাকা টু বরিশাল’, ‘আমেরিকান সাহেব’, ‘জার্নি বাই বাস’, ‘বাকির নাম ফাঁকি’, ‘যমজ সিরিজ’, ‘কমেডি ৪২০’, ‘চৈতা পাগল’, ‘জীবনের অলিগলি’, ‘মেঘে ঢাকা শহর’ ইত্যাদি। রুমির মৃত্যুতে শোবিজ পাড়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।