• ঢাকা বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
৬৯ লাখ টাকার স্বর্ণ নিয়ে বিমানবন্দরে আটক অভিনেত্রী
জাপান গার্ডেন সিটির মৃত কুকুরদের জন্য মঞ্চ নাটকে নওশাবা
দেশের নানান ইস্যুতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। শুধু তাই নয়, পশু-প্রাণীদের প্রতি বরাবরই সহানুভূতিশীল তিনি। এমনকি যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময়ই প্রতিবাদ করতে দেখা যায়। বিশেষ করে পশু-প্রাণীদের প্রতি করা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত আওয়াজ তোলেন নওশাবা।  কয়েকদিন আগেই রাজধানীর মোহাম্মদপুরে খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে কুকুর হত্যা করার ঘটনায় সোচ্চার ছিলেন অভিনেত্রী। এবার সেই মৃত কুকুরদের জন্য মঞ্চ নাটকে দেখা যাবে নওশাবাকে।   শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ ও মানুষের সবচেয়ে বিশ্বস্ত এই প্রাণীর কথা নিয়ে মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে নাটক। সেখানেও নিজেকে শামিল করেছেন নওশাবা। নাটকটির নাম ‘কণ্ঠনালিতে সূর্য’।  নাটকের দল তীরন্দাজ এবং নওশাবার সংগঠন টুগেদার উই ক্যান মিলে মঞ্চে আনছে নাটকটি। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টা এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় মঞ্চায়ন হবে নাটকটি।  এ প্রসঙ্গে নওশাবা বলেন, আমি খুব অল্প সময়ের নোটিশে এই কাজটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। সাধারণত আমি এত অল্প সময়ে কোনো কাজ করি না। কিন্তু কাজটিতে যেহেতু আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধুদের (কুকুর) কথা রয়েছে, তাই আমি রাজি হয়েছি। কারণ, এখন সময় এগুলো নিয়ে কথা বলার। নাটকে আমরা একটা সাইলেন্ট পাপেট শো করব। অভিনেত্রী আরও বলেন, রাস্তায় থাকা আমাদের বিশ্বস্ত এই বন্ধুদের নিয়ে আরো বেশি সচেতনতা বাড়ানো দরকার। এই পৃথিবী শুধু মানুষের না। আরও অনেক রকম প্রাণীর বাস এখানে। তাদের থাকার, বসবাসের উপযোগী পরিবেশ এই মানুষকেই করতে হবে।    প্রসঙ্গত, গত ২২ নভেম্বর রাজধানীর মোহাম্মাদপুরের জাপান গার্ডেন সিটি এলাকায় বেওয়ারিশ কুকুরের দৌরাত্ম্য বেড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে এসব প্রাণীদের প্রতি একরকম তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুকুরের প্রতি বিভিন্ন অভিযোগ এনে পোস্ট করেছেন অনেকে। এমন অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরেই জাপান গার্ডেন সিটিবাসীর পক্ষ থেকে বেওয়ারিশ কুকুর নিধনের উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। এবার সেটাই ঘটানো হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় সকল প্রাণীহত্যার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও তুলেছেন প্রাণীপ্রেমীরা। আরটিভি/এইচএসকে/এস  
যে কারণে মামুনুর রশীদকে শিল্পকলায় অভিনয় করতে নিষেধ করা হয়
আসছে ফারুক আহমেদের গল্পগ্রন্থ ‘আমার না বলা কথা’
শিল্পকলায় প্রতিবাদ সভায় হামলা / প্রধান উপদেষ্টার কাছে সমাধান চাইলেন নাট্যকর্মীরা
গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের প্রতিবাদ সভায় হামলা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী
শিল্পকলায় নাটক বন্ধ নিয়ে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় বিক্ষোভের মুখে শনিবার (২ নভেম্বর) বন্ধ হয়ে যায় দেশনাটক দলের ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকের প্রদর্শনী। এদিন নাট্যদলটির প্রদর্শনী চলার সময়ে দর্শকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নাটক বন্ধের নির্দেশ দেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। এদিকে নাটক বন্ধ হওয়া নিয়ে  চলছে  আলোচনা-সমালোচনা। এবার বিষয়টি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস উইং থেকে একটি ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।  সোমবার (৪ নভেম্বর) প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত শনিবার জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে ‘দেশ নাটক’ প্রযোজিত নাটক ‘নিত্যপুরাণ’ মঞ্চায়নের সময় এক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভকারীদের নির্বৃত্ত করার লক্ষ্যে ফ্যাসিস্ট সরকার যেভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জনতার মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিত, সে প্রক্রিয়ায় না গিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের জন্য শিল্পকলা একাডেমি একাধিকবার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা ক্ষান্ত হয়নি। বরং তাদের সংখ্যা বেড়ে গেলে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবার উপক্রম হয়। তখন অভিনয়শিল্পী ও দর্শকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ‘দেশ’ নাটকের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে দর্শকের কাছে দুঃখপ্রকাশ করে প্রদর্শনী বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, কিন্তু গত ৩ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে দেশের কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় ‘শিল্পকলায় নাটকের প্রদর্শনী বন্ধের ঘটনা সমর্থন করে না সরকার’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের মূল বক্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ফলে এটি জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। প্রকৃতপক্ষে তিনি বিক্ষুব্ধকারীদের নাটক বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনাকে অর্থাৎ শিল্পচর্চার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা সরকার সমর্থন করে না মর্মে বুঝিয়েছেন। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন। তাছাড়া বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সর্বাবস্থায় জনগণের, শিল্পচর্চার ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশ্বাস করে। এ জন্য বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি উক্ত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে কাজ করছে। প্রেস উইং থেকে বলা হয়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি চায় না শিল্পকলার কণ্ঠ কেউ রোধ করুক। কেননা, বাংলাদেশের হাজার বছরের নাটকের ইতিহাস আছে। নাটকের মাধ্যমেই সমাজের ত্রুটি বিচ্যুতি ও বিকল্প ধারণা তুলে ধরা সম্ভব। তাই যারা নাটক করতে চায় তাদের নাটক করতে দিতে হবে। নাটক দেখেই দর্শক বিবেচনা করবে তাদের নাটক তারা গ্রহণ করবে কি না। বাংলাদেশে সকল দলের নাটক করার বিষয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সার্বিক সহযোগিতা রয়েছে। শিল্পকলা একাডেমি মনে করে, জুলাই বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশে কোনো ব্যক্তির কারণে নাটকের দল যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে প্রচেষ্টা সাংস্কৃতিক সংগঠন বা নাটকের দলের থাকা উচিত। কোনো দলের ভেতরে বিতর্কিত কেউ যদি থাকে, যারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে অস্বীকার করে এবং স্বৈরাচারীর দোসর হয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের কার্যক্রমকে এখনও সমর্থন করে তাহলে দলের পক্ষ থেকেই তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বা বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এসব গণহত্যার দোসর বা সমর্থনকারীদের তিরস্কার করে, নিন্দা জানায়। সুস্থ, উৎসবমুখর, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও জনবান্ধব শিল্পচর্চায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পাশে থেকে দেশের শিল্প সংস্কৃতিকে সমুন্নত রাখতে দেশের সাংবাদিক, সংস্কৃতিসেবীসহ দেশের জনসাধারণ এগিয়ে আসবে এটাই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রত্যাশা। আরটিভি/এএ-টি 
শিল্পকলায় নাটকের প্রদর্শনী বন্ধ, যা বলছেন নাট্যজনরা
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় বিক্ষোভের মুখে শনিবার (২ নভেম্বর) বন্ধ হয়ে যায় দেশনাটক দলের ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকের প্রদর্শনী। এদিন নাট্যদলটির প্রদর্শনী চলার সময়ে দর্শকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নাটক বন্ধের নির্দেশ দেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ।  এদিকে বিষয়টি সরগরম করে তোলে সামাজিকমাধ্যম। নেটাগরিকদের অনেকেই ক্ষোভ ঝাড়েন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদের ওপর। কেননা, বিক্ষোভকারীদের বাধার মুখে নাটকের প্রদর্শনী বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। যদিও জামিল আহমেদ নাটকটির প্রদর্শনী চালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তিনি ব্যর্থ হন।  রোববার (৩ নভেম্বর) সকালে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে নাটকের প্রদর্শনী বন্ধ প্রসঙ্গে তিনি জানান, দর্শকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নাটক বন্ধ করতে হয়েছিল তাকে। জানা গেছে, দেশনাটকের সিনিয়র সদস্য এহসানুল আজিজ বাবু ছাত্র আন্দোলনের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্র আন্দোলন বিরোধী পোস্ট দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে এমনটা করেছেন তারা। মূলত আওয়ামী দোসরদের বিশৃঙ্খলার কারণেই শিল্পকলার নাটক বন্ধ করতে বাধ্য হন ডিজি সৈয়দ জামিল আহমেদ। নাটক প্রদর্শনী বন্ধের পর ইস্যুটি নিয়ে নানা রকম আলোচনা-সমালোচনা চলছে। বিভিন্নজন বিভিন্ন মতামত দিচ্ছেন।  বিষয়টি নিয়ে আরটিভির সঙ্গে আলাপ  হলে নাট্যকার, একুশে পদক প্রাপ্ত অভিনেতা, নাট্য পরিচালক ও  স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের মঞ্চ আন্দোলনের পথিকৃৎ মামুনুর রশীদ  বেশ ক্ষোভ প্রকাশ করেন নাটক প্রদর্শনী বন্ধ নিয়ে। তিনি বলেন, গত ৫৩ বছরে এমনটি হয়নি। একটি চলমান নাটক বন্ধ করে দেয়া হয় কিভাবে? শুনলাম নাট্য দলটির একজন নাকি ফেসবুকে নানা বিতর্কিত কথা লিখেছিল। যদি তাই হবে তাহলে তাকে শাস্তি দেওয়া হোক। দলবল নিয়ে হামলা করে হুমকি দিয়ে কেন প্রদর্শনী বন্ধ করা হবে? যে বা যারা এটি করেছে আমি বলব, তারা অপরাধ করেছে।  জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেতা নাট্যকার ও চলচ্চিত্র পরিচালক গাজী রাকায়েত  বলেন, চলমান একটি নাটক কেন বন্ধ করে দেওয়া হবে? প্রতিবাদ যে কেউ করতে পারে, তাই বলে একটি  প্রদর্শনী যখন চলে তা বন্ধ করে নয়। কেউ যদি অপরাধ করে থাকেন তাহলে নাটক শেষে তার বিচারের ব্যবস্থা করা যেতে পারে কিন্ত তা না করে প্রদর্শনীই বন্ধ করে দেওয়া হলো। আমি একদমই প্রদর্শনী বন্ধের পক্ষে নই।  জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেতা, পরিচালক, লেখক ও নাট্যদল নাট্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা তারিক আনাম খান  বলেন, আসলে বিষয়টি সত্যই অনেক দুঃখজনক। অনেক পরিশ্রম, ত্যাগের পর শিল্পকলায় বেশ কয়েকটি নাট্যমঞ্চ তৈরি হয়েছে। কিন্তু হুট করে এখন সেখানে হুমকি দিয়ে নাটক প্রদর্শনী বন্ধ করে দেওয়াটা বেশ কষ্ট দিয়েছে আমাকে। কেউ যদি কোনো ভুল করে, তাহলে দেশের প্রচলিত আইনে তাকে শাস্তি দেওয়া উচিত। কিন্ত তা না করে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে নাটক প্রদর্শনী বন্ধ করে দেওয়াটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তিনি আরও বলেন, একজন লোকের কারণে কেনো দর্শক থেকে শুরু করে পুরো দল সাফার করবে! আমি যতটুকু জেনেছি দেশ নাটকে সংশ্লিষ্ট যারা আছেন, তারা বলেছিলেন যিনি একটি উসকানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন কিন্ত পরে তা কতদূর কী হয়েছে, আমি জানি না। একজন বাদে দলটিতে অনেকেই আছে যারা ছাত্র আন্দলনে রাজপথে নেমেছিল। তাহলে একজনের জন্য কেন নাটক প্রদর্শনী বন্ধ করে দেওয়া হবে? আমি চাই বিষয়টি নিয়ে  কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিক, যাতে পরবর্তীতে কেউ যেন এইসব কর্মকাণ্ড করতে না পারে। পাশাপাশি যেন কোনো নাটকের প্রদর্শনী বন্ধও না হয়।  জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা নাট্যকার ও চলচ্চিত্র পরিচালক গাজী রাকায়েত বলেন,  চলমান একটি নাটক কেন বন্ধ করে দেওয়া হবে? প্রতিবাদ যে কেউ করতে পারে, তাই বলে একটি প্রদর্শনী যখন চলে, তখন তা বন্ধ করে নয়। কেউ যদি অপরাধ করে থাকেন, তাহলে নাটক শেষে তার বিচারের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কিন্ত তা না করে প্রদর্শনীই বন্ধ করে দেওয়া হলো। আমি একদমই প্রদর্শনী বন্ধের পক্ষে নই।  আরটিভি /এএ   
মঞ্চে সস্ত্রীক কাঁদলেন আবুল হায়াত
একুশে পদক ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যকার ও নাট্যনির্দেশক আবুল হায়াত। গুণী এই মানুষটির আত্মজীবনীমূলক ‘রবি পথ-কর্মময় ৮০’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে শিল্পকলায় এসেছিলেন নাট্যাঙ্গনের অনেকেই। বাবার বই প্রকাশ উপলক্ষে বড় মেয়ে বিপাশা হায়াত উড়ে আসেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। প্রধান অতিথি হয়ে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। সবার বক্তব্য শেষে পরিবারের সবাইকে নিয়ে মঞ্চে ওঠেন আবুল হায়াত। শনিবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে ‘রবি পথ-কর্মময় ৮০’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়। ‘রবি পথ-কর্মময় ৮০’ লেখার গল্প বলতে বলতে আবুল হায়াত কাছে টেনে নিলেন স্ত্রী শিরিন হায়াতকে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বললেন, আজ থেকে তিন বছর আগে চিকিৎসক বললেন, আমার ক্যানসার হয়েছে। আমি জানতে পারলাম, আমি ক্যানসার রোগী। হাসপাতাল থেকে বাসা পর্যন্ত আর কথা বলতে পারিনি। প্রসঙ্গত, ‘রবি পথ-কর্মময় ৮০’ নাট্যজন আবুল হায়াতের আত্মজীবনীমূলক এই বই প্রকাশ করেছে সুবর্ণ প্রকাশনী। অভিনয়শিল্পী সংঘ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাট্যজন মামুনুর রশীদ, নওয়াজীশ আলী খান, তারিক আনাম খান, সারা যাকের, শাহীন খান, আহসান হাবিব নাসিম, শাহেদ শরীফ খান, মুনিরা ইউসুফ মেমী, পরিচালক আরিফ খান প্রমুখ। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন অপি করিম। ১৯৪৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ভারতের মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন আবুল হায়াত। ১৯৪৭ সালে পরিবারের সঙ্গে চলে আসেন চট্টগ্রামে। মাত্র ১০ বছর বয়সে মঞ্চে ওঠেন অভিনয়ের জন্য। যে অভিনয়ের সঙ্গে এখনো নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন এই অভিনেতা। ২০১৫ সালে তিনি দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘একুশে পদক’-এ ভূষিত হন। থিয়েটারের মাধ্যমে অভিনয়ের যাত্রা শুরু আবুল হায়াতের। পরবর্তী সময়ে টেলিভিশন নাটক, সিনেমায় অভিনয় করে দেশজুড়ে পেয়েছেন তারকাখ্যাতি। এখনও সমানতালে অভিনয় করে চলেছেন। পাশাপাশি দাম্পত্যজীবনেও ভীষণ সুখী এই অভিনেতা। বর্তমানে দেশের অন্যতম নাট্যদল নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত আছেন তিনি। আবুল হায়াতের উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো— ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘বহুব্রীহি’, ‘অন্য ভুবনের ছেলেটা’, ‘দ্বিতীয় জন্ম’, ‘শেখর’, ‘অয়োময়’, ‘নক্ষত্রের রাত’, ‘আজ রবিবার থেকে জোছনার ফুল’, ‘শুকনো ফুল রঙিন ফুল’, ‘আলো আমার আলো’, ‘নদীর নাম নয়নতারা’, ‘খেলা’, ‘শনিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিট’, ‘হাউজফুল’, ‘এফএনএফ’সহ অসংখ্য দর্শকনন্দিত নাটকে অভিনয় করে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য সিনেমার তালিকায় রয়েছে—‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’, ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’, ‘প্রেমের তাজমহল’, ‘শঙ্খনীল কারাগার’, ‘আগুনের পরশমণি’, ‘জয়যাত্রা’, ‘দারুচিনি দ্বীপ’, ‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’, ‘অজ্ঞাতনামা’, ‘ফাগুন হাওয়া’ ইত্যাদি। আরটিভি/এএ-টি 
বিক্ষোভের মুখে শিল্পকলায় নাটকের প্রদর্শনী বন্ধ, মুখ খুললেন বন্যা মির্জা
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় বিক্ষোভের মুখে পড়ে শনিবার (২ নভেম্বর) বন্ধ হয়ে যায় দেশনাটক দলের প্রদর্শনী। এদিন নাট্যদলটির প্রদর্শনী চলার সময়ে দর্শকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে, নাটক বন্ধের নির্দেশ দেন একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ। একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, জাতীয় নাট্যশালায় গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন বেশ কিছু উত্তেজিত জনতা। তাদের দাবি, এই নাটক প্রদর্শনী বন্ধ করতে হবে। নাটক প্রদর্শনী বন্ধের পর ইস্যুটি নিয়ে নানারকম আলোচনা-সমালোচনা চলছে। নাটক বন্ধের কারণে কেউ কেউ আবার সৈয়দ জামিল আহমেদের পদত্যাগও চাইছেন!  এদিকে, অভিনেত্রী বন্যা মির্জা তার এক ফেসবুক পোস্টে জানান, নাটক বন্ধের কারণ সৈয়দ জামিল আহমেদ নন। তিনি লিখেন, কেউ না জেনে একটা মন্তব্য করে দিয়েন না। কার দায় কাকে নিতে হবে সেটা বলে দেওয়া সহজ। কোন কিছু না জেনে একটা যেকোনো মন্তব্য করাও সহজ এবং ফেসবুকে যে কেউ যখন তখন সেটা করতে পারেন। তিনি আরও লিখেন, আমরা বাইরে দাঁড়িয়ে অনেক বিপ্লব করতে পারি। নাট্যকর্মীদের কথা না হয় ভাবলাম না কিন্তু, যারা নাটক দেখতে এসেছিলেন? সেই দর্শকদের কথা দেশ নাটককে ভাবতে হতো। যতক্ষণে লোক জড়ো হয়েছিল ততক্ষণে অনেক দর্শকও এসে পড়েছিলেন। দর্শকদের দায় নাট্যকর্মীদেরই।  শুনুন, দেশ নাটকে কোনো দলপ্রধান নেই। একটা দলে কমিটি থাকতে হয়। এটাই নিয়ম। আর নিয়ম করে সেটা কেউ না কেউ থাকেন। তবে অনেক দলেই দলীয় প্রধান থাকেন ও সারা জীবন তিনিই থাকেন। এমনও হয়। তো এই কথা থিয়েটারের বাইরে কারো বোঝার কথা না। কিন্তু সবাই এত বুঝে গেলেন? যে ব্যানারের ছবি দেখেছি তা বাইরের কারো করা বলে মনে হচ্ছে না। ব্যানার কি তৈরি করা ছিল? লোকেরা ব্যানারসমেত নাটক বন্ধ করতে এসেছিল! এটা দেখেই তো বোঝা যায় কে বা কারা করেছে। এটি ‘বিভীষণ’ কাজ। যিনি বা যারা করেছেন তাদের আনসেকসেসফুল পলিটিক্যাল ক্যারিয়ার নিয়ে ঘুমাতে পারছেন না। অন্যখানে শক্তি ক্ষয় করে চলেছেন। এরপর জামিল আহমেদের প্রসঙ্গ টেনে বন্যা আরও লিখেন, এটা না বোঝার মতো কিছু না যে কারা চাননি জামিল আহমেদ শিল্পকলার ডিজি হন? তারা সুযোগ কাজে লাগিয়েছে। আর দেশ নাটকে সকল মতের মানুষ একসাথেই কাজ করেন। তাদের মতবিরোধ থাকতে পারে। আছে। কিন্তু অসম্মান নেই। তাদের দর্শক আছে।  লোক তাদের নাটক দেখতে আসে। এটা অর্জন। সৈয়দ জামিল আহমেদ নিজে গেছেন এর ভিতর কারণ ততক্ষণে তিনি বুঝেছেন কোন আইনি সহায়তা পাবেন না। আর  তিনি ডিজি হয়েছেন মানে তিনি কাজটি করতেই ডিজি হবার প্রস্তাবে সম্মত হয়েছেন। তিনি  মোটেই সেই মানুষ নন যিনি নাটক বন্ধ করতে বলবেন। দেশ নাটকেরও কেউ সেটা বলছেন না।  সবশেষে তিনি লিখেন, যারা নাটক বন্ধের দায় জামিল আহমেদকে দিচ্ছেন তারা গিয়ে বিপ্লব করেন। দর্শকের দায় নাট্যকর্মীদের নিতে হয়। এমন বোকা মার্কা কথা খুব বিরক্তিকর। আর লোকজন ১০ জন হোক আর ৫০ জন হোক তারা জানেই না তারা সেখানে কেন গিয়েছে। তারা কেবল জানে এভাবে চিৎকার করতে হয়। যা তাদের শেখানো হয়েছে। যারা মজা দেখছেন, তারা জানবেন যে তাদের আমরা চিনি। এসবই  আমাদের জীবনের শ্লেষ। এদিকে রোববার (৩ নভেম্বর) সকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ জামিল আহমেদ জানান, নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে শিল্পকলা একাডেমিতে নাটকের প্রদর্শনী মাঝপথে বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। শিল্পকলার এ মহাপরিচালক বলেন, পরিস্থিতি দেখে শঙ্কা হয়েছিল শিল্পকলা একাডেমিও আক্রান্ত হতে পারে। আরটিভি/এএ-টি 
বিক্ষোভের মুখে শিল্পকলা একাডেমিতে নাটকের প্রদর্শনী বন্ধ
গত ২ নভেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় বিক্ষোভের মুখে পড়ে বন্ধ হয়ে যায় দেশনাটক দলের প্রদর্শনী। এদিন নাট্যদলটির প্রদর্শনী চলার সময়ে দর্শকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে, নাটক বন্ধের নির্দেশ দেন একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ।   একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, জাতীয় নাট্যশালায় গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন বেশ কিছু উত্তেজিত জনতা। তাদের দাবি, এই নাটক প্রদর্শনী বন্ধ করতে হবে।  এ সময় দর্শক সারি থেকে সৈয়দ জামিল আহমেদকে লক্ষ্য করে জানতে চাওয়া হয়, এভাবে কারও কথা বলার অধিকার বন্ধ করা যাবে কী? জবাবে তিনি বলেন, তাদের বোঝানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছি আমি। এতক্ষণ তাদের সঙ্গে কথার যুদ্ধ করেছি। যদি তারা আগুন ধরিয়ে দেয়, এইজন্য নাটক বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশনাটকের এই প্রদর্শনী বন্ধের দাবিতে বিকেল থেকেই নাট্যশালার মূল ফটকের বাইরে অবস্থান নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের অংশগ্রহণকারীরা। বাইরের পরিস্থিতি নাকি স্বাভাবিক নয়; মব সৃষ্টি হয়েছে। এমনটা জানিয়ে শিল্পকলার মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদকে নাটক বন্ধ করে দিতে বলেন।  জানা গেছে, দেশনাটকের সিনিয়র সদস্য এহসানুল আজিজ বাবু ছাত্র আন্দোলনের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্র আন্দোলন বিরোধী পোস্ট দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে এমনটা করেছেন তারা। দেশ নাট্যদলের মাসুম রেজার ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকটি চলছিল। এ সময় আন্দোলনকারীরা নাটক প্রদর্শনীর সময় ২০-২৫ জন গেটের বাইরে স্লোগান দেন। তাদের এক দফা    এক দাবি, এজাজ বাবুর পদত্যাগ। আরটিভি/এইচএসকে/এআর  
মঞ্চায়িত হলো নাটক ‘প্রভাত ফিরে এসো’
জাতীয় মহিলা সমিতি বেইলি রোডের ডক্টর নীলিমা ইব্রাহিম মিলন আয়তনে মনোজ মিত্রের ‘প্রভাত ফিরে এসো’ নাটকটি শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাতটায় মঞ্চায়িত হয়েছে। হামিদুর রহমান পাপ্পুর নির্দেশনায় এতে সৈম্য চরিত্রে অভিনয় করেন হামিদুর রহমান নিজেই। ঝুমি চরিত্র অভিনয় করেন শারমিন সুলতানা ঊর্মি। নাটকটিতে সমাজের বিভিন্ন দিক উঠে এসেছে।  যেমন আছে হাস্যরস তেমন আছে পারিবারিক গল্প, তেমন আছে বিরহ। সব মিলিয়ে চমৎকারভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে গল্পটিকে। গল্পের অন্যতম চরিত্র ঝুমি (শারমিন সুলতানা উর্মি) গণমাধ্যমকে জানান, এই গল্পটি একটা সামাজিক গল্প তাই মঞ্চায়ন করতে খুবই আনন্দ পাই। আজও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। এতে অভিনয় করতে আমি বরাবরের মতই খুবই আনন্দ পেয়েছি। এর আগেও কয়েকবার এই নাটকে অভিনয় করা হয়েছে। গল্প নির্ভর হওয়ায় এতে উপস্থিত দর্শকরাও খুবই আনন্দ পেয়েছে। নাটকটির গল্পের নামকরণ প্রভাত চরিত্রে অভিনয় করেন মোহাম্মদ আলমগীর, নিলুর মামা চরিত্র অভিনয় করেন রায়হান ইসলাম, ঝুমির মা চরিত্রে অভিনয় করেন আজমিরা কান্তা।   আরটিভি /এএ 
অভিনেতা জামালউদ্দিন হোসেন আর নেই
একুশে পদকপ্রাপ্ত জামালউদ্দিন হোসেন আর নেই। টেলিভিশন ও মঞ্চ নাটকের এ অভিনেতা শনিবার (১২ অক্টোবর) কানাডার ক্যালগিরিতে রকিভিউ হসপিটালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তিনি অনেক দিন ধরে মেয়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন। কিছুদিন আগে কানাডায় ছেলের কাছে বেড়াতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। জামালউদ্দিন হোসেনের মৃত্যুর খবরটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিশ্চিত করেন অভিনেতা-নাট্যপরিচালক শামসুল আলম বকুল। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দিলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে জামালউদ্দিন হোসেনকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। তার ছেলে ক্যালগিরির মাউন্ট রয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাসফিন হোসেন তপু। সত্তরের দশকের মাঝামাঝি থেকে মঞ্চ নাটকে অভিনয় শুরু করেন জামালউদ্দিন হোসেন। নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের এই সদস্য পরে টেলিভিশন নাটক এবং চলচ্চিত্রেও কাজ করেন। তার স্ত্রী রওশন আরা হোসেনও একজন অভিনয় শিল্পী। জামালউদ্দিন হোসেন গত ১৫ বছর ধরে অভিনয়ে একেবারে অনিয়মিত। গত ৭ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন মেয়ের সঙ্গে। জামালউদ্দিন হোসেন নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় ছেড়ে একসময় প্রতিষ্ঠা করেন নাগরিক নাট্যাঙ্গন অনসাম্বল। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন তিনি। বিটিভিতে অনেক জনপ্রিয় নাটকে অভিনয় করেছেন। অনেকগুলো মঞ্চ নাটকে নির্দেশনা দিয়েছেন। তার নির্দেশিত আলোচিত কয়েকটি নাটকের মধ্যে আছে চাঁদ বণিকের পালা, খাঁচার ভিতর অচিন পাখি, রাজা রাণী, বিবি সাহেব, যুগলবন্দি। আরটিভি/এএইচ