• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
১৫ বছরে রিজার্ভ থেকে উধাও ২৪ বিলিয়ন ডলার: গভর্নর
৯০ লাখ টাকা মুনাফা করে ৫০ লাখ জরিমানা গুনতে হবে সাকিবকে
শেয়ার ব্যবসায়ে কারসাজিতে গত ২৪ সেপ্টেম্বর ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও তার মা শিরিন আকতারকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে কারসাজির মাধ্যমে শেয়ার ব্যবসায় ৯০ লাখ টাকা মুনাফা করেছে সাকিবের প্রতিষ্ঠান। বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিএসইসির প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সংস্থাটি সাকিব ও তার মায়ের নামে পরিচালিত বিমা কোম্পানি প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্সের কারসাজির বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে। বিএসইসির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্সের শেয়ার নিয়ে সংঘটিত কারসাজিতে যুক্ত ছিলেন সাকিব আল হাসান। যে বেনিফিশিয়ারি ওনার্স হিসাব ব্যবহার করে শেয়ারবাজারে কারসাজি করা হয় সেটি প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্সের। সেটি সাকিব ও তার মায়ের নামে একটি বেসরকারি ব্যাংকের সহযোগী ব্রোকারেজ হাউসে খোলা হয়েছিল। গত বছরের ১৭ আগস্ট থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্সের  প্রতিটি শেয়ারের দাম প্রায় ৩৫ টাকা বা ৮৫ শতাংশ বেড়েছে। ওই সময়ে সিরিজ লেনদেন বা নিজেদের মধ্যে হাতবদল করে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ানো হয়। এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন শেয়ারবাজারের বহুল আলোচিত কারসাজিকারক আবুল খায়ের হিরু, সাকিব আল হাসানসহ তাদের নিকটাত্মীয়, স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। ডিএসইর তদন্ত ও বিএসইসির প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, মাত্র তিন দিনে ৬৫ টাকা ২৪ পয়সা ক্রয়মূল্যে প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্সের ১০ লাখ ৬০ হাজার শেয়ার কেনা হয় সাকিব আল হাসান ও তার মায়ের বিও হিসাবে। এ জন্য প্রায় ৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়। গত বছরের ১২, ১৪ এ ১৭ সেপ্টেম্বর ভিন্ন ভিন্ন দামে এসব শেয়ার কেনা হয়। এর মধ্যে প্রায় ১০ লাখ ২১ হাজার শেয়ার কেনা হয় ১২ ও ১৪ সেপ্টেম্বর। এই দুই দিনে কেনা সব শেয়ারই পাঁচ দিনের ব্যবধানে বিক্রি করে দেন সাকিব আল হাসান। তাতে প্রতি শেয়ারে প্রায় ৯ টাকা করে মুনাফা হয়। সব মিলিয়ে মুনাফা দাঁড়ায় ৯০ লাখ টাকা। গত ২৪ সেপ্টেম্বর শেয়ার নিয়ে কারসাজির সাকিব আল হাসান ও তার মা শিরিন আকতারসহ সাত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা জরিমানা করে বিএসইসি। ইশাল কমিউনিকেশন, আবুল খায়ের হিরু, আবুল খায়ের হিরুর বাবা আবুল কালাম মাতলুব, হিরুর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মোনার্ক মার্ট, লাভা ইলেকট্রোডস ও জাহিদ কামাল এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে একই সঙ্গে জরিমানা করা হয়। ইশাল কমিউনিকেশনকে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ, সাকিব আল হাসানকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫০ লাখ, আবুল খায়ের হিরুকে ২৫ লাখ, আবুল কালাম মাতলুবকে ১০ লাখ, হিরুর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মোনার্ক মার্টকে ১ লাখ ও লাভা ইলেকট্রোডস ও জাহিদ কামাল নামের একজনকে ১ লাখ করে টাকা জরিমানা করা হয়। আরটিভি/এসএপি
শেয়ারবাজারে দরপতনের কারণ অনুসন্ধানে নেমেছে তদন্ত কমিটি
পুঁজিবাজারে টানা দরপতন, বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ
শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিতে ক্ষতিগ্রস্তদের সুখবর দিলো সরকার
ডিএসইর নতুন চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম
বেক্সিমকোর শেয়ারে কারসাজি, ৪২৮ কোটি টাকা জরিমানা 
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের (বেক্সিমকো) শেয়ার লেনদেনে কারসাজির দায়ে ৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৪২৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯২৪তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভা শেষে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র ফারহানা ফারুকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে অর্থদণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।   বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গ করার দায়ে মারজানা রহমানকে ৩০ কোটি, মুশফিকুর রহমানকে ১২৫ কোটি, মমতাজুর রহমানকে ৫৮ কোটি এবং আব্দুর রউফকে ৩১ কোটি, ট্রেডনেক্সট ইন্টারন্যাশনালকে ৪ কোটি ১ লাখ, জুপিটার বিজনেস লিমিটেডকে ২২ কোটি ৫০ লাখ, এপোলো ট্রেডিং লিমিটেডকে ১৫ কোটি ১ লাখ, আর্ট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডকে ৭০ কোটি এবং ক্রিসেন্ট লিমিটেডকে ৭৩ কোটি টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। এছাড়া ৯টি ইস্যুয়ার কোম্পানির আইপিও বা আরপিও প্রসিডস ইউটিলাইজেশন পরিদর্শন করা হবে বলে জানিয়েছে বিএসইসি। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেড, ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, জেএমআই হাসপাতাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড, লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড, নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, রিং শাইন টেক্সটাইল লিমিটেড, সিকদার ইন্স্যুরেন্স কোং লিমিটেড ও সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।   আরটিভি/এসএইচএম/এআর
দেড় মাসে দ্বিগুণ বাড়লো ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের দাম, তদন্তের নির্দেশ
ইসলামী ব্যাংকের প্রায় ৮২ শতাংশ শেয়ারই অবরুদ্ধ হয়ে আছে। ব্যাংকটির মালিকানায় থাকা এস আলম (সাইফুল আলম) পরিবার ও তাদের নামে-বেনামে তৈরি করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে রয়েছে এসব শেয়ার। ফলে দেশের পুঁজিবাজারে ব্যাংকটির লেনদেনযোগ্য শেয়ারের পরিমাণ কমে গেছে। আর এতে করে ব্যাংকটির শেয়ারের দামও হু হু করে বাড়ছে। মাত্র দেড় মাসেই ব্যাংকটির শেয়ারের দাম বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। এ অবস্থায় বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষকে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের দাম ও লেনদেন অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে, যা খুবই সন্দেহজনক। গত ৬ আগস্ট থেকে গতকাল পর্যন্ত অস্বাভাবিক এ মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনে কোনো ধরনের কারসাজি, সুবিধাভোগী লেনদেনসহ সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ডিএসইকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংকটির শেয়ারের সন্দেহজনক লেনদেন থেকে বিরত থাকার জন্য ব্রোকারেজ হাউসের প্রধান ও অনুমোদিত প্রতিনিধি বা ট্রেডারদের সতর্ক করতেও ডিএসইকে নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য অনুযায়ী, ৬ আগস্ট থেকে গতকাল পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের দাম প্রায় ৩৮ টাকা বা ১১৬ শতাংশ বেড়েছে। অর্থাৎ দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেড় মাসে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি।  শেয়ার মার্কেট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সরকার বদলের পর ইসলামী ব্যাংককে এস আলমমুক্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর থেকে ব্যাংকটির শেয়ারের দাম হু হু করে বাড়তে শুরু করে। এ সময়ে শেয়ারটির প্রতি বিনিয়োগকারীদের বাড়তি আগ্রহ তৈরি হয়। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।  বিএসইসি, ডিএসই ও ইসলামী ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, নামে-বেনামে ইসলামী ব্যাংকের প্রায় ৮২ শতাংশ শেয়ার এখনও এস আলম গ্রুপের হাতে আছে।  ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাইয়ে ব্যাংকটির শেয়ারের প্রায় ৩৬ শতাংশই ছিল উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে। আগস্টে সেই সংখ্যা কমে শূন্য দশমিক ১৮ শতাংশে নেমে যায়। ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক এস আলম-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বাদ দেওয়ার পর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার ধারণের ক্ষেত্রেও বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। এস আলম-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা পর্ষদে না থাকায় তাদের শেয়ারকে এখন আর উদ্যোক্তা-পরিচালকের শেয়ার হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না। ফলে এখন প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ধারণ করা শেয়ারের পরিমাণ বেড়ে গেছে। জুলাইয়ে যেখানে এই পরিমাণ ছিল ৪৩ শতাংশ। আগস্ট শেষে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৩ শতাংশে। এর বাইরে ব্যাংকটির প্রায় ১৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারী ও ৯ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে। নিয়ম অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সব সময় ওই কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু পটপরিবর্তনের পর ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেওয়ায় এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছে ইসলামী ব্যাংকের ক্ষেত্রে। বর্তমানে ব্যাংকটির উদ্যোক্তা-পরিচালকের শেয়ার শূন্যের কোঠায় নেমে গেছে। এর বিপরীতে বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার ধারণের পরিমাণ। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারধারীদের বড় অংশই এস আলমসংশ্লিষ্ট। এর বাইরে বিদেশি শেয়ারধারীদের মধ্যেও এস আলমসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা রয়েছেন। সব মিলিয়ে এস আলমের হাতেই ব্যাংকটির ৮২ শতাংশ শেয়ার থাকার তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এসব শেয়ার অবরুদ্ধ থাকায় বাজারে শেয়ার সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এতে একটি গোষ্ঠী এ সুযোগে ব্যাংকটির শেয়ারের দাম বাড়াচ্ছে। আরটিভি/এসএইচএম-টি  
সাকিব আল হাসানকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা
বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে শেয়ারদরে কারসাজি করার কারণে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত বিএসইসি ৯২৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিএসইসি। এতে জানানো হয়, শেয়ার লেনদেনে কারসাজির কারণে সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গ করায় মো. আবুল খায়েরকে ২৫ লাখ টাকা, সাকিব আল হাসাকে ৫০ লাখ টাকা, ইশাল কমিউনিকেশন লিমিটেডকে ৭৫ লাখ টাকা, মোনার্ক মার্টকে ১ লাখ টাকা, আবুল কালাম মাতব্বরকে ১০ লাখ টাকা, লাভা ইলেকট্রোডস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ১ লাখ টাকা এবং মো. জাহেদ কামালকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির শেয়ার কারসাজির কারণে তাদের সবাইকে মোট এক কোটি ৬৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আরটিভি/ এমএ/ ডিসিএনই
এসআইবিএলের ১৮ লাখ শেয়ার কিনবেন ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের (এসআইবিএল) এক উদ্যোক্তা ও সাবেক চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ চৌধুরী শেয়ার ক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে বিদ্যমান বাজারদরে ব্যাংকটির ১৮ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা দেন তিনি। রোরবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক একেচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র মতে, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক এই চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ চৌধুরী ১৮ লাখ শেয়ার ক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তিনি ডিএসইর পাবলিক/ব্লক মার্কেটে ঘোষিত এই শেয়ার ক্রয় সম্পন্ন করবে। এসআইবিএলের শেয়ারহোল্ডিং রিপোর্ট অনুযায়ী, জুলাইয়ের শেষে সুলতান মাহমুদের কাছে ব্যাংকটির ১.৯১ কোটি শেয়ার ছিল, যা মোট শেয়ারের ১.৬৮ শতাংশ।  এর আগে, গত আগস্টে বাংলাদেশ ব্যাংক এসআইবিএলের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে পাঁচ সদস্যের নতুন বোর্ড গঠন করে। ২০১০ সালে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন সুলতান মাহমুদ। নতুন পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা হলেন—ব্যাংকটির উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার মেজর (অব.) ডা. মো. রেজাউল হক, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মাকসুদা বেগম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এম সাদিকুল ইসলাম, রূপালী ব্যাংক পিএলসির সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোরশেদ আলম খন্দকার ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট আনোয়ার হোসেন। তাদের মধ্যে ডা. রেজাউল হককে পরিচালক এবং বাকিদের স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পরে নতুন পর্ষদ সাদিকুল ইসলামকে ব্যাংকের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে।
এস আলমের ৮২ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে শেয়ার হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা
দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগ্রুপ এস আলমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২৬ ব্যাক্তি এবং ৫৬ প্রতিষ্ঠানকে শেয়ার কেনা-বেচা ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এই ৮২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিএসইসিকে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি এবং বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদে অধিষ্ঠিত পরিচালক এবং প্রতিনিধি পরিচালক সবাই চট্টগ্রামভিত্তিক এস আলম গ্রুপ সংশ্লিষ্ট মর্মে জানা গেছে। এই গ্রুপের বা গ্রুপ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি ঋণ নিয়মাচারের ব্যত্যয় করে পরিচালনা পর্ষদের প্রভাবে বিভিন্ন ব্যাংক হতে বিশাল অংকের ঋণ ও বিনিয়োগ সুবিধা গ্রহণ করেছে মর্মে সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্তমানে এ ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থা ক্রমান্বয়ে অবনতি হচ্ছে। চিঠিতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা একই গ্রুপ সংশ্লিষ্ট হওয়ায় বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় তাদের গৃহীত ঋণ ও বিনিয়োগসমূহ আদায়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার আশংকা রয়েছে। এ বিষয়ে ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১ অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের বিবেচনাধীন রয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ব্যবস্থা গ্রহণের পূর্বে উল্লিখিত ব্যাংকসমূহের পরিচালকরা ও তাদের পরিবার এবং পরিচালকদের মনোনয়ন প্রদানকারী ব্যাংকের শেয়ারধারক প্রতিষ্ঠানসমূহ (প্রাথমিকভাবে প্রস্তুতকৃত তালিকা) যাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে তাদের ধারণকৃত শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় বা হস্তান্তর করতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক। জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের এ নির্দেশনা এবং নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্তদের তালিকা ইতোমধ্যে বিএসএসসি থেকে স্টক এক্সচেঞ্জে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।  শেয়ার হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলম), স্ত্রী ফারজানা পারভীন, ছেলে আহসানুল আলম, মেয়ে মায়মুনা খাতুন। এছাড়াও রয়েছেন পরিবারের সদস্য আতিকুর নেসা, শারমিন ফাতেমা, মারজিনা শারমিন, ফারজানা বেগম, শাহানা ফেরদৌস, রহিমা বেগম, মোহাম্মদ আবদুল মালেক, আশরাফুল মোস্তফা চৌধুরী, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ হাসান, জামাল মোস্তফা চৌধুরী, বেলাল আহমেদ, মাহমুদুল আলম, আশরাফুল আলম, বদরুন নেসা আলম, ওয়াহিদুল আলম সেথ, রোকয়ে ইয়াসমিন, শহিদুল আলম, হালিমা বেগম, রাশেদুল আলম, মোহাম্মদ মোস্তান বিল্লাহ আদিল, ওসমান গনি ও শহিদুল আলম। আর নিষেধাজ্ঞা পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, এবিসি ভেঞ্চার লিমিটেড, আরমাডা স্পিনিং, বাংলাদেশ পেট্রো কেমিক্যাল, বিএলইউ ইন্টারন্যাশনাল, ব্রিলিয়ান্ট বিজনেস কোম্পানি, ব্রডওয়ে ইম্প্যাক্স কোম্পানি, সি অ্যান্ড এ এক্সেসরিস, সি অ্যান্ড এ ফেব্রিকস, কারোলিনা বিজনেস এন্টারপ্রাইজ, ডাইনামিক ভেঞ্চার লিমিটেড, এক্সেল ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং, এক্সেলসিয়র ইম্পেক্স কোম্পানি, ফতেহাবাদ ফার্ম, জেনেসিস টেক্সটাইল এক্সেসরিস অ্যান্ড অ্যাপারেলস, গ্র্যান্ড বিজনেস লিমিটেড, হাসান আবাসন প্রা. লিমিটেড, হাইক্লাস বিজনেস এন্টারপ্রাইজ, হলিস্টিক ইন্টারন্যাশনাল, হানিওয়েল সিকিউরিটিজ করপোরেশন, আইডিয়াল ফ্লাওয়ার মিলস, জেএমসি বিল্ডার্স, কর্ণফুলী ফুডস, কর্ণফুলী প্রাকৃতিক গ্যাস, কিংস্টোন ফ্লাওয়ার মিল, কিংস ওয়ে এনডিভার্স লিমিটেড, লিডার বিজনেস এন্টারপ্রাইজ, লায়ন সিকিউরিটিজ, লায়নহেড বিজনেস রিসোর্স, ম্যারাথন ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, মিল্কওয়ে ইম্প্যাক্স লিমিটেড, মডার্ন প্রপার্টিজ, নওশিন স্টিল, ওশ্যান রিসোর্ট, পদ্মা এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট ট্রেডিং, প্যারাডাইস ইন্টারন্যাশনাল, পিকস বিজনেস এন্টারপ্রাইজ, পারসেপটা এন্ডিভার্স লিমিটেড, প্লাটিনাম এন্ডিভার্স লিমিটেড, পোর্টম্যান সিমেন্ট লিমিটেড, প্রাসাদ প্যারাডাইস রিসোর্ট, পুষ্টি ভেজিটেবল ঘি, রিল্যায়াবল এন্টারপ্রাইজ, শাহ আমানত প্রাকৃতিক গ্যাস, সলিড ওয়্যাক ইন্স্যুরেন্স, সোনালী কর্পো লজিস্টিক, ইউনিগ্লোব বিজনেস রিসোর্স, ইউনিক ইনভেস্টমেন্ট সিকিউরিটিজ, ইউনিটেক্স সিমেন্ট, ইউনিটেক্স স্টিল মিলস, ইউনিটেক্স ট্রি লিমিটেড, ভাইব্রান্ড এন্টিভার্স, ভেক্টর ট্রেড অ্যান্ড বিজনেস, ওয়েসকো লিমিটেড এবং ওয়েস্টার্ন ডিজাইনার লিমিটেড।  
পদত্যাগ করলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু পদত্যাগ করেছেন।  রোববার (১৮ আগস্ট) দিনগত রাতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান বরাবর ই-মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠান তিনি। এ ছাড়া পদত্যাগপত্রের অনুলিপি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ জি এম সাত্ত্বিক আহমেদ শাহ জানান, ডিএসইর চেয়ারম্যানের পদত্যাগপত্রের অনুলিপি ইমেইলে পেয়েছি। তিনি বিএসইসির চেয়ারম্যান বরাবর ইমেইলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, বিএসইসি থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিএসইসি যে সিদ্ধান্ত দেবে আমরা সেটিই পরিপালন করব। এর আগে, গত ১২ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলন করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান এবং সতন্ত্র পরিচালকদের দ্রুত অপসারণ দাবি করে প্রতিষ্ঠানটির সদস্যদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।
বিএসইসির চেয়ারম্যান হলেন রাশেদ মাকসুদ
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান পদে ৪ বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছেন খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। রোববার (১৮ আগস্ট) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের আইন ১৯৯৩ এর ধারা-৫ অনুসারে তাকে নিয়োগের তারিখ থেকে পরবর্তী ৪ বছর মেয়াদের জন্য বিএসইসির চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেওয়া হলো। জনস্বার্থে জারি করা এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। রাশেদ মাকসুদ সর্বশেষ বেসরকারি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ছিলেন। বর্তমানে তিনি বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্টের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। এর আগে তিনি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের এমডি ও সিইও ছিলেন। রাশেদ মাকসুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে ফিন্যান্সে এমবিএ সম্পন্ন করে ১৯৯২ সালে আমেরিকান এক্সপ্রেস ব্যাংকে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকে যোগদানের আগে তিনি এনআরবিসি ব্যাংক লিমিটেডের এমডি এবং সাত বছর সিটি ব্যাংক এনএ বাংলাদেশের এমডি ও সিটি কান্ট্রি অফিসার হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। দীর্ঘ ৩২ বছরের ব্যাংকিং ক্যারিয়ারে রাশেদ মাকসুদ সিটি ব্যাংক এনএ বাংলাদেশের করপোরেট ব্যাংকিং গ্রুপ, ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস গ্রুপ হেডসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। প্রসঙ্গত, গত ১৩ আগস্ট বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম মাসরুর রিয়াজকে। তবে নিয়োগের পর তার বিরুদ্ধে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সখ্যের অভিযোগ তোলা হয়। মূলত সালমান এফ রহমানের সঙ্গে একটি ছবিকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ অভিযোগ তোলা হয়।  এরপর মাসরুর রিয়াজের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে আপত্তি জানান বিএসইসির কর্মকর্তারা। যদিও পরে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল শনিবার বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদানের অপারগতা প্রকাশ করেন এম মাসরুর রিয়াজ।