• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
জিএসপি পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু জানে না মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বাড়াতে ভারত ও নেপালকে প্রস্তাব পাঠিয়েছে বাংলাদেশ 
ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে এ খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে সরকার। সেই লক্ষ্যে বিদ্যুৎ খাতে পারস্পারিক সহযোগিতা বাড়াতে চুক্তি সম্পাদনের জন্য প্রতিবেশী ভারত ও নেপালের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে ইতোমধ্যে।  শনিবার (৩০ মার্চ) ঢাকায় অবস্থিত নেপাল দূতাবাসে ‘প্রি-ইভেন্ট সেমিনার অন দ্য থার্ড নেপাল ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৪’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে সীমানা অতিক্রম করে লাভজনক অংশীদারত্ব গড়ে তোলা সম্ভব উল্লেখ করে তিনি এ সময় বলেছেন, যৌথ প্রয়াসের মাধ্যমে আমাদের এই অঞ্চলের সম্ভাবনা দ্রুতই কাজে লাগানো যাবে। টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর একত্রে কাজ করা অপরিহার্য। প্রতিমন্ত্রী এরপর বলেন, বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ-ভারত-নেপালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি আবশ্যক। আলোচনা চলছে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে ভারত ও নেপালের কাছে। বর্তমানে ভারত থেকে প্রায় ২ হাজার ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশ প্রথম বিদ্যুৎ আমদানি করে। এখন প্রায় ২ হাজার ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশের ভেড়ামারায় এইচভিডিসি সাব-স্টেশনের অব্যবহৃত সক্ষমতার মাধ্যমে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত। নেপালের ন্যাশনাল ইলেকট্রিক অথরিটি (এনইএ) এবং বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) মাঝে ট্যারিফ নির্ধারণ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, নেপাল ও ভারতে বিদ্যুৎ বিক্রির সুযোগ রেখে নেপালের সুঙ্কোশি-৩ প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। ইতোমধ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে আরও এগিয়ে যাওয়ার আলোচনা চলমান রয়েছে। জিএমআর প্রকল্পে ভারতীয় কোম্পানির যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানির বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে সঞ্চালন লাইন তৈরি করা গেলে বিদ্যুৎ আমদানির সঙ্গে রপ্তানিও করা যাবে বলে মনে করেন প্রতিমন্ত্রী। নেপালের বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট তাদের প্রকৌশলীদের মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ দিতে পারে উল্লেখ করে নসরুল হামিদ আরও বলেন, সোলার পাওয়ার প্লান্ট ও সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনে বাংলাদেশ নেপালকে সহযোগিতা করতে পারে। বাংলাদেশের বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা নেপালের বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক। তাদের উৎসাহিত করতে নেপালের বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করা উচিত। প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি এ সময় বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নেপালে বিনিয়োগের পরিবেশ আরও উদার ও ব্যবসাবান্ধব করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার নেপালের অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রথমবারের মতো এই দুই দেশ পরিবেশবান্ধব জলবিদ্যুৎ বাণিজ্যের পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এ সময় অন্যদের মধ্যে নেপাল ইনভেস্টমেন্ট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুশীল ভাটও বক্তব্য রাখেন।  
সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে ৮৩ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি
‘শিগগিরই ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে’
'রপ্তানিতে নতুন পণ্য বাছাইয়ের কাজ চলছে'
ভারত থে‌কে পেঁয়াজ আসছে চল‌তি সপ্তাহেই
৪৩৯ কোটি টাকার সার কিনছে সরকার
সরকার ৪৩৮ কোটি ৯১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকার ইউরিয়া সার, ডিএপি সার ও ফসফরিক এসিড কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরমধ্যে ২৫৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকার ডিএপি সার, ১২২ কোটি ৫৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকার ইউরিয়া সার এবং ৬২ কোটি ৯২ লাখ টাকার ফসফরিক এসিড রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত তিনটি আলাদা প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি জানান, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় জি টু জি পদ্ধতিতে সৌদি আরবের মা আদেন থেকে দ্বিতীয় লটের ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ২৫৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৫৭৬ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ৫৮৯ মার্কিন ডলার। তিনি বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) বাংলাদেশ এর কাছ থেকে ১৪তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১২২ কোটি ৫৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৩৭১.৩৭৫ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ৩১৬.৬২৫ মার্কিন ডলার। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক এসিড কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ৬২ কোটি ৯২ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিকটনের দাম পড়বে ৫৭২ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ৫৮২ ডলার। প্রধান সরবরাহকারী বা প্রস্তুতকারক চায়নার জুনজুয়াই ইকো টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেড। ঢাকার প্রতিনিধি হিসেবে মেসার্স বেস্ট ইস্টার্ন সরবরাহ করবে।
নেপাল থেকে কমে বিদ্যুৎ চায় বাংলাদেশ, চলছে দর কষাকষি
নেপালের সঙ্গে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ কিনতে দর প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশের। কিন্তু বাংলাদেশের প্রস্তাবিত দর অনেক কম বলে তাতে সায় দিতে এখন পর্যন্ত সম্মত হয়নি দেশটি। ফলে, দর কষাকষি চলছে দুদেশের।  নেপালের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিপণন সংক্রান্ত কর্তৃপক্ষ নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটির (এনইএ) কর্মকর্তারা সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নেপালের জাতীয় দৈনিক দ্য কাঠমন্ডু পোস্টকে।  এনইএ’র এক কর্মকর্তা কাঠমন্ডু পোস্টকে বলেন, ‘আমরা যে দাম চেয়েছি, তা আমরা যৌক্তিক মনে করেই চেয়েছি। বাংলাদেশ যে দাম প্রস্তাব করেছে, এখনও আমরা তাতে সায় দিইনি। বাংলাদেশ কর্মকর্তারা বলেছে, এ ব্যাপারে তাদের উচ্চতর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবে আমাদের।’ প্রসঙ্গত, গত বছর মে মাসে নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটি এবং ভারতের তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিপণন সংস্থা এনটিপিসি ও এনভিভিএন এর সঙ্গে ৫ বছর মেয়াদী চুক্তি করে বাংলাদেশের সরকার। সেই চুক্তির শর্ত অনুসারে, ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাঠাবে নেপাল। ভারত-নেপাল সীমান্তের ধালকেবার-মুজাফফরপুর থেকে লাইন বা তারের মাধ্যমে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা দিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছাবে এ বিদ্যুৎ। চুক্তিতে প্রতি ইউনিটের দাম ধরা হয়েছে ৯ দশমিক ৩০ নেপালি রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ দশমিক ৬৮ টাকা। আগামী জুন থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হওয়ার কথা। এর মধ্যেই বাংলাদেশ সরকার প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৫ নেপালি রুপি ধার্য করার প্রস্তাব করেছে বলে জানিয়েছেন এনইএ’র একজন কর্মকর্তা। এতেই খানিকটা বেঁকে বসেছে নেপালের বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এনইএ’র একজন কর্মকর্তা বলছেন, ‘চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, বিদ্যুৎ পাঠানো সংক্রান্ত সার্ভিস চার্জ, হুইল চার্জ আমাদের বহন করতে হবে না। এনভিভিএন এই খরচ বহন করবে। বিদ্যুতের দাম যদি ইউনিট প্রতি ৯ দশমিক ৩০ নেপালি রুপি ধরা হয়, তাহলে সেখান থেকে নেপাল পাবে ৫ দশমিক ২৫ রুপি। বাকিটা পাবে ভারতীয় সংস্থা। কিন্তু, বাংলাদেশ যে দাম প্রস্তাব করেছে, তা কার্যকর হলে আমাদের ভাগে প্রায় কিছুই থাকে না।’ এনইএ’র নির্বাহী পরিচালক কুল মান ঘিসিংয়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল গত সপ্তাহে ঢাকা এসেছিল। সে সময় বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে বিদ্যুতের দাম নিয়ে দর কষাকষি হয় বলে জানা গেছে। তবে, এ বিষয়ে চুড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ নিয়ে উচ্চতর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই চুড়ান্ত মত জানাবেন তারা। এনইএ’র নির্বাহী পরিচালক প্রদীপ কুমার ঠিকে অবশ্য ত্রিদেশীয় বিদ্যুৎ চুক্তি নিয়ে এখনও আশাবাদী। কাঠমন্ডু পোস্টকে তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ক্রয় করার জন্য প্রস্তুত, আর আমরা বিক্রির জন্য প্রস্তুত। আমাদের সর্বশেষ বৈঠক ইতিবাচক ছিল এবং আমরা আশাবাদী যে পরবর্তী বৈঠকে আমরা এ ব্যাপারে মীমাংসায় পৌঁছাতে পারব।’
মার্চের প্রথম সপ্তাহেই আসছে ভারতীয় পেঁয়াজ
রোজা সামনে রেখে মার্চের প্রথম সপ্তাহেই দেশের বাজারে আসতে চলছে ভারতীয় পেঁয়াজ। সবমিলিয়ে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আসবে। দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে এই পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, চলতি সপ্তাহেই ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত অফিসিয়াল কাগজ পাওয়া যেতে পারে। অফিসিয়াল কাগজ পাওয়ার ৩ দিনের মধ্যে ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আনতে চায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সেই হিসেবে মার্চের প্রথম সপ্তাহেই দেশের বাজারে মিলবে ভারতীয় পেঁয়াজ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ভারতের পেঁয়াজ পাওয়া নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো প্রকার সন্দেহ নেই। আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। রোজার আগেই ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে। আশা করছি সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মার্চের প্রথম সপ্তাহেই ভারত থেকে পেঁয়াজ চলে আসবে। এ বিষয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু গণমাধ্যমকে বলেন, ভারতের পেঁয়াজ বাংলাদেশে আসবে শতভাগ নিশ্চিত। দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে ডকুমেন্টেশন শেষ হয়ে যাবে। রোজার আগেই ইনশাআল্লাহ আমরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আনতে পারব। এর আগে, গত বছরের ডিসেম্বরে ভারত অভ্যন্তরীণ সরবরাহ বাড়াতে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ভারতের এই নিষেধাজ্ঞার পর বাংলাদেশের বাজারে হু হু করে বাড়ে পেঁয়াজের দাম। পরে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীকে এক লাখ টন চিনি ও ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ সরবরাহের পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানান।
বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত
বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত। রপ্তানিকারকরা ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই পেঁয়াজ বাংলাদেশে রপ্তানি করতে পারবেন। অবিলম্বে রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) নয়াদিল্লিতে ভারতের ভোক্তা বিষয়ক অধিদপ্তরের সচিব রোহিত কুমার সিং সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি বলেছেন, আমরা বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ, মরিশাসে ১ হাজার ২শ’ টন, বাহরাইনে ৩ হাজার টন এবং ভুটানে ৫শ’ ৬০ টন পেঁয়াজ অবিলম্বে রপ্তানির অনুমতি দিয়েছি।’ রোহিত কুমার বলেন, ব্যবসায়ীদের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই পরিমাণ রপ্তানি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং এই লক্ষ্যে কাজ চলছে। তিনি বলেছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে বাংলাদেশে রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরআগে গত বছরের ডিসেম্বরে ভারত অভ্যন্তরীণ সরবরাহ বাড়াতে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এই মাসের শুরুর দিকে ভারত সফরের সময় পবিত্র রমজান মাসের আগে বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারে তাদের দাম স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশে পেঁয়াজসহ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য ভারতকে অনুরোধ করেছিলেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শঙ্কর এবং বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে বৈঠকের সময় ড. হাছান ওই পণ্যগুলো বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য আবেদন করেছিলেন। সূত্র : বাসস
বাংলাদেশকে পেঁয়াজ দিতে ভারতের নীতিগত সম্মতি
ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন শুধু অফিসিয়ালি বিষয়গুলো বাকি। অফিসিয়ালি কাগজ পেলে দ্রুত ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।  মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ক টাক্সফোর্সের সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ এবং চিনি আমদানির জন্য যে প্রক্রিয়াগুলো আমরা নিয়েছি, নীতিগতভাবে ভারত সরকার সে বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে। এখন আমরা অফিসিয়ালি কাগজ পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আনতে পদক্ষেপ নেবো। এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু টেলিফোনে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প, বস্ত্র ও ভোগ্যপণ্য এবং খাদ্য ও গণবিতরণবিষয়ক মন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে আলাপ করেন। এসময় ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীকে ১ লাখ টন চিনি ও ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ সরবরাহের পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানান তিনি।     ভারতীয় বড় রপ্তানিকারকরা গত রোববার সে দেশের সরকারকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল, স্থানীয় বাজারে সরবরাহ বাড়ার কারণে সীমিত পরিসরে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। ভারতের মহারাষ্ট্রের নাসিক এলাকায় এরই মধ্যে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৪০ রুপি থেকে ১৩ রুপিতে নেমে এসেছে। রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর থেকে দেশটিতে পেঁয়াজের এই অন্যতম উৎপাদনস্থলের কৃষকরা তা প্রত্যাহারের জন্য বিক্ষোভ করে আসছিলেন। নাসিক জেলা পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতি বেশ কয়েক দফায় প্রতিবাদ কর্মসূচিও পালন করে। এরপর থেকেই বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। 
নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত
অভ্যন্তরীণ বাজারে ক্রমবর্ধমান দাম নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচনের আগে পর্যাপ্ত সরবরাহ বহাল করতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে ভারত সরকার। তবে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার রাখতে এর মধ্যেও বাংলাদেশে সীমিত আকারে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।  দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে বাংলাদেশ ছাড়াও চারটি দেশে সরকারিভাবে সীমিত আকারে পেঁয়াজ রপ্তানির এ অনুমতি দিতে যাচ্ছে ভারত সরকার। দেশগুলো হলো- নেপাল, ভুটান, বাহরাইন ও মরিশাস। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না হলেও, দ্বিপক্ষীয় উদ্দেশে সীমিত পরিসরে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে, কী পরিমাণ রপ্তানি করা হবে তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনও জানা যায়নি।   সূত্রমতে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সম্পর্কিত বিভিন্ন শর্তাবলির বিষয়ে আগামী দু-এক দিনের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে। এর আগে পবিত্র রমজান মাসে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমাতে নির্দিষ্ট পরিমাণে চিনি ও পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিতে ভারত সরকারকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রসঙ্গত, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশ ভারত। ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটির সরকার। পরে এই নিষেধাজ্ঞা চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কারণ, অভ্যন্তরীণ বাজারেক্রমবর্ধমান দাম নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচনের আগে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে চেয়েছিল দেশটি। রপ্তানি আটকাতে প্রথমে পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল ভারত। কিন্তু তাতেও আশানুরূপ ফল না আসায় পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। তবে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তিতে এবার  বাংলাদেশসহ ৫টি দেশের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা সীমিত আকারে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। 
লক্ষ্য এবার ওষুধের কাঁচামাল রপ্তানি 
ইউরোপ যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের ১৫৭টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশে তৈরি ওষুধ। দেশে প্রায় সব ধরনের ওষুধ তৈরি হচ্ছে এবং তা রপ্তানি করা হচ্ছে। এছাড়া দেশে মোট চাহিদার ৯৮ ভাগ ওষুধ দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে। অন্যদিকে তৈরি হচ্ছে ওষুধের কাঁচামাল (এপিআই)। আর তা রফতানিতে প্রণোদনা দিবে সরকার। এই বছরের জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা সামন্ত লাল সেন। কাঁচামাল রফতানি বাড়লে ২০-৩০ বিলিয়ন ডলার আয় হতে পারে বলে ধারনা সংশ্লিষ্টদের। ২০০৮ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায়, ওষুধশিল্পের জন্য মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসংলগ্ন বাউশিয়া ও লক্ষ্মীপুর মৌজায় ২০০ একর জায়গাজুড়ে একটি অ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রিডিয়েন্ট (এপিআই) পার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। দেশীয় ওষুধ কোম্পানিগুলোর নিজেদের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের প্রসার ঘটানো, প্রতিযোগিতামূলক বাজার ধরতে পণ্য বৈচিত্র্য সৃষ্টি করা ও পণ্যের মান উন্নয়নে গবেষণা করা হচ্ছে এই পার্কটির প্রধান উদ্দেশ্য। এছাড়াও ওষুধ উৎপাদনে যেসব কাঁচামাল প্রয়োজন ও যেসব কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়, আগামী ১০ বছরের মধ্যে দেশেই তা উৎপাদন করা ও কাঁচামাল আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো বা বন্ধ করার লক্ষ্যে এই পার্ক তৈরি করা হয়েছে। ফলে বছরে সাশ্রয় হবে প্রায় হাজার কোটি টাকারও বেশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর দেশের প্রথম অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট এপিআই শিল্প পার্কের উদ্বোধন করেন। ২০০ একর জমির ওপর মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ৩৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় এই ওষুধ শিল্প পার্কটি। বাংলাদেশ প্রধানত ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা, ক্যান্সার, কুষ্ঠ, কিডনি ডায়ালাইসিস, হোমিওপ্যাথি, বায়োকেমিক্যাল, আয়ুর্বেদিক ও হাইড্রোসিলের পাশাপাশি পেনিসিলিন, স্ট্রেপটোমাইসিন ও এন্টি হেপাটিক ওষুধ রফতানি করে।  ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে ওষুধ শিল্পের যাত্রা শুরু পঞ্চাশের দশকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে এ শিল্পের পরিধি। বর্তমানে সারা দেশে ২৯৫টি অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান তৈরি করছে প্রায় ৪৬ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকার ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামাল। এছাড়া দেশের ২৮৪টি ইউনানি ও ২০৫টি আয়ুর্বেদিক, ৭১টি হোমিওপ্যাথিক ও ৩১টি হার্বাল ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার ওষুধ উৎপাদন করছে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প উত্তরোত্তর উন্নতি করছে। দেশের মোট চাহিদার ৯৮ শতাংশ ওষুধ দেশেই উৎপাদিত হয়। ডা. সামন্ত লাল সেন আরও বলেন, দেশে উৎপাদিত ওষুধ বিদেশে রফতানিতে উৎসাহিত করতে উৎপাদনকারীদের সরকারিভাবে প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে। এই বছরের জানুয়ারি থেকে দেশে উৎপাদিত ওষুধের একটিভ ফার্মাসিউটিক্যালস ইনগ্রিডিয়েন্ট রফতানির জন্য ১০ শতাংশ হারে এবং ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য রফতানির জন্য ৮ শতাংশ হারে সরকারিভাবে প্রণোদনা প্রদান করা হবে বলে সার্কুলার জারি করা হয়েছে। ২০২২ সালের তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত বাংলাদেশে ওষুধের বাজারের আকার ছিল ৩ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। গত ১ দশকে বাজার ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ২০২৭ সালের মধ্যে এটি ৬ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, লিকুইড প্রিপারেশন, ড্রাই সাসপেনশন, ইনজেকশন, ন্যাজাল স্প্রে ও স্যাশের মাধ্যমে গ্র্যানিউলসহ প্রায় সব ধরনের ডোজ উৎপাদনে সক্ষম। স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে ওষুধ তৈরির কাঁচামাল ও ল্যাবরেটরি স্থাপনে এপিআই শিল্প পার্ককে ২০৩২ সাল পর্যন্ত কর অবকাশ ‍সুবিধা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এখন, ওষুধ উৎপাদকরা তাদের প্রতিযোগিতামূলক শক্তিমত্তা বাড়ানোর জন্য ওষুধের কাঁচামাল বা এপিআই উৎপাদনের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। কারন বাংলাদেশ ২০২৬ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পেটেন্টকৃত ওষুধ উৎপাদনে ছাড় সুবিধা হারাবে। তখন পেটেন্টকৃত পণ্যের দাম বেড়ে যাবে এবং কিছু কমপ্লেক্স বায়োলজিকস দেশে আর পাওয়া নাও যেতে পারে। বর্তমানে রাজধানী থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে মুন্সিগঞ্জের এপিআই পার্কে ১৫ প্রতিষ্ঠান এপিআই উৎপাদন করছে এবং আরও ২৭ প্রতিষ্ঠান সেখানে এপিআই অবকাঠামো নির্মাণ করতে যাচ্ছে। গত ৭ বছরে এ খাতে রপ্তানি আয় প্রায় ৩ গুণ বেড়েছে। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের (বাপি) মহাসচিব এস এম শফিউজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বমানের জেনেরিক ওষুধ উৎপাদন করে যা অন্য যেকোনো দেশের দুর্যোগ ছাড়া যে কোনো ধরনের সংকট মোকাবেলায় শক্তি অর্জন করেছে। তার মতে, ফার্মাসিউটিক্যাল নির্মাতারা খুব অত্যাধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে এবং প্রতিযোগিতামূলক মূল্য সরবরাহ করতে পারে, যার জন্য আপাতত কিছু বাধার মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও রফতানি বৃদ্ধি পাবে।  তিনি বলেন, ওষুধ উৎপাদনের মতোই কাঁচামাল উৎপাদনেও স্বয়ংস্বম্পূর্ণ হওয়ার দিকে যাচ্ছি আমরা। ২০৩০ সালের মধ্যে সব কারখানায়ই এপিআই উৎপাদনে যেতে পারবে বলে আশা করি।  বিশেশজ্ঞদের মতে, এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পরে পেটেন্টসহ নানা রকম সুবিধা হারানোর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ওষুধ শিল্পখাতে গবেষণা বাড়ানোর পাশাপাশি দেশের অর্থনীতির সম্ভাবনা তুলে ধরে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি আনায় জোর দিতে হবে। সঠিক প্রস্তুতি নিতে পারলে কম উৎপাদন খরচের সুবিধা কাজে লাগিয়ে ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামাল রপ্তানিতে ২ থেকে ৩ হাজার কোটি ডলারের আয় করা সম্ভব।