• ঢাকা শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
ভারত থেকে ২৮২ কোটি ৯৬ লাখ টাকার চাল আমদানির অনুমতি
ভারতে ইলিশ রপ্তানি নিয়ে সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশটিতে ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের প্রধান নিয়ন্ত্রককে চিঠি দিয়ে নতুন এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪৮টি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন করে ২ হাজার ৪০০ টন, আর একটি প্রতিষ্ঠান ২০ টন ইলিশ রপ্তানি করবে। ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- আরিফ সি ফুডস, জারা এন্টারপ্রাইজ, সততা ফিশ ফিড, এস এ আর এন্টারপ্রাইজ, নাহিয়ান এন্টারপ্রাইজ, তানিশা এন্টারপ্রাইজ, রুপালী সি ফুডস লিমিটেড, লাকি এন্টারপ্রাইজ, টাইগার ট্রেডিং, রিপা এন্টারপ্রাইজ, জেবিএস ফুড প্রোডাক্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, মাশফি অ্যান্ড ব্রাদার্স, মহিমা এন্টারপ্রাইজ, সেভেন স্টার ফিশ প্রসেসিং কোম্পানি লিমিটেড, রহমান ইমপেক্স, আসিফ ইমপেক্স, নোমান এন্টারপ্রাইজ, যমুনা অ্যাগ্রো ফিশারিজ, রুপালী ট্রেডিং করপোরেশন, সততা ফিশ, প্যাসিফিক সি ফুডস লিমিটেড, জেজে ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল, বিশ্বাস ইন্টারন্যাশনাল, ক্যাপিটাল এক্সপোর্ট ইমপোর্ট অ্যান্ড কোম্পানি, অর্পিতা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, সুমন ট্রেডার্স, সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ, সততা ফিশ, আঁচল এন্টারপ্রাইজ, ২ এইচ ইন্টারন্যাশনাল, এমএপি ইন্টারন্যাশনাল, সরদার এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট, ইউভা ট্রেডিং, ফারিয়া ইন্টারন্যাশনাল, আসফা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, স্ট্যান্ডার্ড ফুড করপোরেশন, জেএস এন্টারপ্রাইজ, পদ্মা অ্যাগ্রো ফিশারিজ, ন্যাশনাল অ্যাগ্রো ফিশারিজ, মেসার্স আহনাফ ট্রেডিং, নাফিজা এন্টারপ্রাইজ, ডিপ সি ফিশারিজ লিমিটেড, মাসুদ ফিশ প্রসেসিং, আরকে ট্রেডার্স, বৃষ্টি এন্টারপ্রাইজ, ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ ও লোকজ ফ্যাশন।  এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে লোকজ ফ্যাশন ২০ টন, আর বাকি সবকটি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন করে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পেয়েছে। আরটিভি/এফএ  
এলসি খোলায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চায় বিজিএমইএ
জিএসপি পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু জানে না মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বাড়াতে ভারত ও নেপালকে প্রস্তাব পাঠিয়েছে বাংলাদেশ 
সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে ৮৩ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি
‘শিগগিরই ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে’
শিগগিরিই ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। রোববার (১০ মার্চ) মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটে বাজার পরিদর্শন করে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিগগিরিই ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে। আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে সরবরাহ বাড়াবে। সারাদেশে টিসিবির ১ কোটি মানুষকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দেওয়ার মাধ্যমে বাজারে চাপ কমবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সাধারণ মানুষকে যৌক্তিক দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য কাজ করছে সরকার। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দায়িত্বভার নিয়ে সংক্ষিপ্ত সময়ে বাজার ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে একাধিক মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। রমজানের শুরুতে পণ্যের চাপ বেশি। ভোক্তা অধিদপ্তরের বিশেষ দল বাজার তদারকিতে কাজ করবে। সরকারের সব উদ্যোগের সুবিধা যেনো সাধারণ মানুষ পায়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান দেশের প্রতিটি বাজার কমিটিকে বাজার মনিটরিং করার আহ্বান রেখে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এটিএন বাংলার নির্বাহী পরিচালক হাসানুল কিরণ, কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম সেন্টু, বাজার কমিটির সভাপতি বাবুল, বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান খানসহ ব্যবসায়ী নেতারা।
'রপ্তানিতে নতুন পণ্য বাছাইয়ের কাজ চলছে'
রপ্তানিতে সারাদেশ থেকে নতুন পণ্য বাছাইয়ের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।   শনিবার (২ মার্চ) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে তৃণমূল নারীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব গ্রাসরুট উইম্যান এন্ট্রাপ্রেনিয়ার অব বাংলাদেশ আয়োজিত এক সভায় একথা জানান তিনি।  প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, রপ্তানিতে নতুন পণ্য বাছাইয়ে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এবার হস্তশিল্পকে বর্ষপণ্য ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একটি গ্রাম, একটি পণ্য-কর্মসূচির মাধ্যমে সারাদেশ থেকে উপযুক্ত পণ্য দেশে ও বিদেশের বাজারে পৌঁছাতে কাজ করা হচ্ছে। যোগ্য পণ্যগুলোকে ই-কমার্সের সঙ্গে যোগ করে রপ্তানির ব্যবস্থা করা হবে। আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আমরা নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নিয়ে আসতে চাই। পণ্যের সঙ্গে পণ্যের কারিগর ও অবস্থানকে পৃথকভাবে চিহ্নিত করতে চাই। বিশ্বের নারী উদ্যোক্তাদের জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও), যা সরকারের পরিকল্পনার সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহ উদ্দিন মাহমুদ। এসএমই খাতের বিকাশে ভিন্ন ট্যাক্স-ভ্যাট নীতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে এ খাতের সম্ভাবনা ও অবদান নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন তিনি। অনুষ্ঠান উদ্বোধন শেষে উদ্যোক্তাদের আয়োজিত কিছু স্টল পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম।
ভারত থে‌কে পেঁয়াজ আসছে চল‌তি সপ্তাহেই
চল‌তি সপ্তাহেই ভারত থে‌কে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আসা শুরু হ‌চ্ছে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।  শ‌নিবার (২ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টারে অ্যাসোসিয়েশন অব গ্রাসরুট উইম্যান অন্ট্রাপ্রেনারস বাংলাদেশ (এ‌জিউ‌ব্লিউই‌বি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠা‌ন শে‌ষে সাংবা‌দিক‌দের মু‌খোমু‌খি হ‌য়ে এ তথ‌্য জান‌ান তিনি।  সম্প্রতি আবুধাবিতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ১৩তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে ভার‌তের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযুষ গয়ালের স‌ঙ্গে বৈঠক ক‌রে‌ছেন প্রতিমন্ত্রী। ওই বৈঠ‌কের প্রসঙ্গ তু‌লে ধ‌রে তিনি বলেন, ডব্লিউটিওতে ভার‌তের বা‌ণিজ‌্যমন্ত্রীর স‌ঙ্গে একটা বৈঠক ছিল। সেখা‌নে বসে তিনি (পীযুষ গয়াল) চি‌ঠি ইস‌্যু করার নি‌র্দেশ দি‌য়ে‌ছেন। চি‌ঠি ইস‌্যু হ‌য়ে গেছে। আমা‌দের হা‌তে চি‌ঠির ক‌পি এসে গে‌ছে। গতকাল‌ আমরা চি‌ঠি পে‌য়ে‌ছি। আহসানুল ইসলাম টিটু ব‌লেন, এ সপ্তাহেই ভারত থে‌কে ৫০ হাজার মে‌ট্রিক টন পেঁয়াজ আসা শুরু হ‌বে। রমজা‌নের আগে যেন ভোক্তাদের বে‌শি দামে নিত‌্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিন‌তে না হয়, সেটাই আমা‌দের লক্ষ্য। গত ৭ থে‌কে ৯ ফেব্রুয়া‌রি দি‌ল্লি সফরে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ওই সফ‌রে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভার‌তের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযুষ গয়ালের স‌ঙ্গে বৈঠক ক‌রেন তিনি। সেই বৈঠ‌কেও ভারত‌ থেকে রমজানের আগে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ এবং এক লাখ টন চিনি আমদানির বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল।   
৪৩৯ কোটি টাকার সার কিনছে সরকার
সরকার ৪৩৮ কোটি ৯১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকার ইউরিয়া সার, ডিএপি সার ও ফসফরিক এসিড কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরমধ্যে ২৫৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকার ডিএপি সার, ১২২ কোটি ৫৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকার ইউরিয়া সার এবং ৬২ কোটি ৯২ লাখ টাকার ফসফরিক এসিড রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত তিনটি আলাদা প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি জানান, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় জি টু জি পদ্ধতিতে সৌদি আরবের মা আদেন থেকে দ্বিতীয় লটের ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ২৫৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৫৭৬ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ৫৮৯ মার্কিন ডলার। তিনি বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) বাংলাদেশ এর কাছ থেকে ১৪তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১২২ কোটি ৫৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৩৭১.৩৭৫ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ৩১৬.৬২৫ মার্কিন ডলার। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক এসিড কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ৬২ কোটি ৯২ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিকটনের দাম পড়বে ৫৭২ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ৫৮২ ডলার। প্রধান সরবরাহকারী বা প্রস্তুতকারক চায়নার জুনজুয়াই ইকো টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেড। ঢাকার প্রতিনিধি হিসেবে মেসার্স বেস্ট ইস্টার্ন সরবরাহ করবে।
নেপাল থেকে কমে বিদ্যুৎ চায় বাংলাদেশ, চলছে দর কষাকষি
নেপালের সঙ্গে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ কিনতে দর প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশের। কিন্তু বাংলাদেশের প্রস্তাবিত দর অনেক কম বলে তাতে সায় দিতে এখন পর্যন্ত সম্মত হয়নি দেশটি। ফলে, দর কষাকষি চলছে দুদেশের।  নেপালের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিপণন সংক্রান্ত কর্তৃপক্ষ নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটির (এনইএ) কর্মকর্তারা সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নেপালের জাতীয় দৈনিক দ্য কাঠমন্ডু পোস্টকে।  এনইএ’র এক কর্মকর্তা কাঠমন্ডু পোস্টকে বলেন, ‘আমরা যে দাম চেয়েছি, তা আমরা যৌক্তিক মনে করেই চেয়েছি। বাংলাদেশ যে দাম প্রস্তাব করেছে, এখনও আমরা তাতে সায় দিইনি। বাংলাদেশ কর্মকর্তারা বলেছে, এ ব্যাপারে তাদের উচ্চতর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবে আমাদের।’ প্রসঙ্গত, গত বছর মে মাসে নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটি এবং ভারতের তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিপণন সংস্থা এনটিপিসি ও এনভিভিএন এর সঙ্গে ৫ বছর মেয়াদী চুক্তি করে বাংলাদেশের সরকার। সেই চুক্তির শর্ত অনুসারে, ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাঠাবে নেপাল। ভারত-নেপাল সীমান্তের ধালকেবার-মুজাফফরপুর থেকে লাইন বা তারের মাধ্যমে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা দিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছাবে এ বিদ্যুৎ। চুক্তিতে প্রতি ইউনিটের দাম ধরা হয়েছে ৯ দশমিক ৩০ নেপালি রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ দশমিক ৬৮ টাকা। আগামী জুন থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হওয়ার কথা। এর মধ্যেই বাংলাদেশ সরকার প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৫ নেপালি রুপি ধার্য করার প্রস্তাব করেছে বলে জানিয়েছেন এনইএ’র একজন কর্মকর্তা। এতেই খানিকটা বেঁকে বসেছে নেপালের বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এনইএ’র একজন কর্মকর্তা বলছেন, ‘চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, বিদ্যুৎ পাঠানো সংক্রান্ত সার্ভিস চার্জ, হুইল চার্জ আমাদের বহন করতে হবে না। এনভিভিএন এই খরচ বহন করবে। বিদ্যুতের দাম যদি ইউনিট প্রতি ৯ দশমিক ৩০ নেপালি রুপি ধরা হয়, তাহলে সেখান থেকে নেপাল পাবে ৫ দশমিক ২৫ রুপি। বাকিটা পাবে ভারতীয় সংস্থা। কিন্তু, বাংলাদেশ যে দাম প্রস্তাব করেছে, তা কার্যকর হলে আমাদের ভাগে প্রায় কিছুই থাকে না।’ এনইএ’র নির্বাহী পরিচালক কুল মান ঘিসিংয়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল গত সপ্তাহে ঢাকা এসেছিল। সে সময় বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে বিদ্যুতের দাম নিয়ে দর কষাকষি হয় বলে জানা গেছে। তবে, এ বিষয়ে চুড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ নিয়ে উচ্চতর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই চুড়ান্ত মত জানাবেন তারা। এনইএ’র নির্বাহী পরিচালক প্রদীপ কুমার ঠিকে অবশ্য ত্রিদেশীয় বিদ্যুৎ চুক্তি নিয়ে এখনও আশাবাদী। কাঠমন্ডু পোস্টকে তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ক্রয় করার জন্য প্রস্তুত, আর আমরা বিক্রির জন্য প্রস্তুত। আমাদের সর্বশেষ বৈঠক ইতিবাচক ছিল এবং আমরা আশাবাদী যে পরবর্তী বৈঠকে আমরা এ ব্যাপারে মীমাংসায় পৌঁছাতে পারব।’
মার্চের প্রথম সপ্তাহেই আসছে ভারতীয় পেঁয়াজ
রোজা সামনে রেখে মার্চের প্রথম সপ্তাহেই দেশের বাজারে আসতে চলছে ভারতীয় পেঁয়াজ। সবমিলিয়ে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আসবে। দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে এই পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, চলতি সপ্তাহেই ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত অফিসিয়াল কাগজ পাওয়া যেতে পারে। অফিসিয়াল কাগজ পাওয়ার ৩ দিনের মধ্যে ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আনতে চায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সেই হিসেবে মার্চের প্রথম সপ্তাহেই দেশের বাজারে মিলবে ভারতীয় পেঁয়াজ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ভারতের পেঁয়াজ পাওয়া নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো প্রকার সন্দেহ নেই। আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। রোজার আগেই ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে। আশা করছি সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মার্চের প্রথম সপ্তাহেই ভারত থেকে পেঁয়াজ চলে আসবে। এ বিষয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু গণমাধ্যমকে বলেন, ভারতের পেঁয়াজ বাংলাদেশে আসবে শতভাগ নিশ্চিত। দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে ডকুমেন্টেশন শেষ হয়ে যাবে। রোজার আগেই ইনশাআল্লাহ আমরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আনতে পারব। এর আগে, গত বছরের ডিসেম্বরে ভারত অভ্যন্তরীণ সরবরাহ বাড়াতে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ভারতের এই নিষেধাজ্ঞার পর বাংলাদেশের বাজারে হু হু করে বাড়ে পেঁয়াজের দাম। পরে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীকে এক লাখ টন চিনি ও ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ সরবরাহের পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানান।
বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত
বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত। রপ্তানিকারকরা ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই পেঁয়াজ বাংলাদেশে রপ্তানি করতে পারবেন। অবিলম্বে রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) নয়াদিল্লিতে ভারতের ভোক্তা বিষয়ক অধিদপ্তরের সচিব রোহিত কুমার সিং সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি বলেছেন, আমরা বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ, মরিশাসে ১ হাজার ২শ’ টন, বাহরাইনে ৩ হাজার টন এবং ভুটানে ৫শ’ ৬০ টন পেঁয়াজ অবিলম্বে রপ্তানির অনুমতি দিয়েছি।’ রোহিত কুমার বলেন, ব্যবসায়ীদের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই পরিমাণ রপ্তানি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং এই লক্ষ্যে কাজ চলছে। তিনি বলেছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে বাংলাদেশে রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরআগে গত বছরের ডিসেম্বরে ভারত অভ্যন্তরীণ সরবরাহ বাড়াতে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এই মাসের শুরুর দিকে ভারত সফরের সময় পবিত্র রমজান মাসের আগে বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারে তাদের দাম স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশে পেঁয়াজসহ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য ভারতকে অনুরোধ করেছিলেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শঙ্কর এবং বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে বৈঠকের সময় ড. হাছান ওই পণ্যগুলো বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য আবেদন করেছিলেন। সূত্র : বাসস