• ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১
logo
বিজিএমইএর প্রশাসক হলেন আনোয়ার হোসেন
গুজব রটিয়ে কারখানায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হচ্ছে: বিজিএমইএ
নিখোঁজের গুজব রটিয়ে কারখানায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।  সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিজিএমইএ’র জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, কারখানার নিরাপত্তা নিয়ে পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা অসন্তুষ্ট। তাদের অভিযোগ, নিখোঁজের গুজব রটিয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হচ্ছে। সময়মতো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা মিলছে না। রাকিব আরও বলেন, আমরা নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি, তা না হলে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে আমাদের কারখানাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সংবাদ সম্মেলনে কারখানা মালিকরা বলেন, শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি আদায়ের পরও পোশাক খাতে অসন্তোষ বিরাজ করছে। কারণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সুযোগ নিয়ে কিছু মহল গুজব ছড়াচ্ছে। বিজিএমইএ’র সদস্যরা জানান, নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। এ বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। তদন্ত করে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।  বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৈরি পোশাক শিল্পে সরাসরি প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক নিয়োজিত। আর পরোক্ষভাবে উপকারভোগী কমপক্ষে দুই কোটি মানুষ। এ শিল্প বিপদে পড়লে বিশাল জনগোষ্ঠী বিপদে পড়বে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের অর্থনীতি। আরটিভি/আরএ/এআর
পোশাকশ্রমিকদের মজুরি বাড়াতে অস্বীকৃতি জানাল বিজিএমইএ
ফের অস্থিরতা আশুলিয়ায়, ৫১ কারখানা বন্ধ
পোশাক শ্রমিকরা আগামীতে রেশন পাবেন 
প্রতিবেশী দেশের ইন্ধনে পোশাক খাতে অস্থিরতা: শ্রম সচিব
পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ নেই: বিজিএমইএ
পোশাক খাতসহ শিল্পাঞ্চলগুলোতে শুরু হওয়া অস্থিরতার পর পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় সাভার ও আশুলিয়া এলাকার পোশাক কারখানাগুলো স্বাভাবিক উৎপাদনে রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। বিজিএমইএ জানায়, সাভার ও আশুলিয়া এলাকার ৩৯৪টি কারখানায় স্বাভাবিক উৎপাদন কার্যক্রম চলছে। এছাড়া ৭টা কারখানা বন্ধ আছে, এর মধ্যে ৬টি খোলার পরও উৎপাদন বন্ধ রেখেছে। তবে শ্রমিক অসন্তোষের কোন ঘটনা নেই। এর আগে, শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে সব পোশাক কারখানায় স্বাভাবিকভাবে কার্যক্রম চালু রাখার ঘোষণা দিয়েছিল বিজিএমইএ। মূলত শিল্পাঞ্চলসহ পোশাক কারখানাগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিতে সরকারের আশ্বাস এবং শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতাদের শ্রমিকদের কাজে ফেরানোর ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করার অঙ্গীকারের পরিপ্রেক্ষিতে এ ঘোষণা দেন বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।   তিনি বলেন, পোশাক কারখানায় নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যাপারে সরকার আশ্বাস দিয়েছে। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) থেকে সব পোশাক কারখানা খোলা থাকবে। তবে কোনো কারখানায় অস্থিরতা তৈরি হলে সে কারখানা শ্রম আইনের ১৩/১ ধারা (কাজ নেই, বেতন নেই) অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।   এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, রোববার  (১৫ সেপ্টেম্বর) থেকে সব কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর যে সব কারখানায় মালিকপক্ষ উদ্দেশ্যমূলকভাবে বন্ধ রাখবেন, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবেন, তাদেরকেও মনে রাখা হবে। আরটিভি/আইএম
আজ খোলা সব পোশাক কারখানা
দেশের সব পোশাক কারখানা রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) থেকে খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।  আশুলিয়া ও গাজীপুরের পোশাক কারখানাগুলোয় সৃষ্ট শ্রমিক অসন্তোষের বিষয়ে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক মতবিনিময় সভায় শিল্প উপদেষ্টা এ কথা বলেন। তবে বিশৃঙ্খলা হলে নিরাপত্তা শঙ্কায় কারখানা বন্ধ রাখতে পারবেন মালিক, এমন হুঁশিয়ারি তৈরি পোশাক শিল্প মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ)। বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেছেন, কোনো কারখানায় অস্থিরতা তৈরি হলে আগামী পরশু (আগামীকাল সোমবার) দিন থেকে সেই কারখানা শ্রম আইনের ১৩/১ ধারা (কাজ নেই, বেতন নেই) অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল শ্রমিক, মালিক ও সরকারের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এ সভা আয়োজন করে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, আজ দেশের সব পোশাক কারখানা খোলা থাকবে। তবে কোনো কারখানার শ্রমিকরা কাজ না করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে মালিক পক্ষ চাইলে আইন অনুযায়ী সেই কারখানা বন্ধ রাখতে পারবে। সভার এক পর্যায়ে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ বলেন, এভাবে মার খেয়ে আমরা কারখানায় যাব না। আমাদের যদি নিরাপত্তা দেন, তাহলে আমরা কারখানা চালাব, না হলে আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এ কে আজাদ আরও বলেন, আমার অধীনে ৭৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করেন। গত মাসের বেতন দিয়েছি, আমার খুব কষ্ট হয়েছে। তৎকালীন সরকারের সময় ছুটি, কারফিউয়ে আমরা কাজ করতে পারিনি। সরকার পরিবর্তন হওয়ার সময় আবার সরকারি ছুটি, কারফিউ—কাজ করতে পারিনি। তারপর শুরু হলো শ্রমিক আন্দোলন। প্রথম নাসা গার্মেন্টস থেকে শুরু হলো। নাসা গার্মেন্টস থেকে বের হয়ে পাশের গার্মেন্টেসে। পাশের গার্মেন্টস থেকে এসে আমার গার্মেন্টেসে দরজা ভাঙতে শুরু করল। আমাদের দুটো গেট। প্রথম গেট ভেঙে ফেলল। কী চাই? চাকরি চাই। কেন চাই? বেকার সংঘ! এমন একটা সমিতি বের হলো! তাদের চাকরি দিতে হবে। আমরা সব দাবি মেনে নিলাম। আমাদের দাবি ছিল, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেন, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস দেন। আজও নিরবচ্ছিন্ন কী জিনিস সেটা বুঝতে পারিনি। ডিজেলে আজও ৪-৫ ঘণ্টা কারখানা চালাতে হয়। ডিজেলে চালাতে হলে আমার খরচই উঠবে না। আমরা জানতে চাই, কারখানা খোলা রাখব নাকি বন্ধ রাখব। পরে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, তৈরি পোশাক খাতে উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে সরকার কমিটি করেছে। এ কমিটির মাধ্যমে সবার সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার যে সংস্কৃতি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, তা ফিরিয়ে আনতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা এমন একটা জায়গায় এসেছি, যখন একটা ক্রাইসিস তৈরি হয়েছে, শিল্প অঞ্চলগুলো কীভাবে চালু রাখা যায়। আমরা আলোচনা করছি। কারখানা রক্ষা করতে গিয়ে আমরা দেখছি বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকরা কারখানা রক্ষার জন্য দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন। বহিরাগত সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করছেন। মালিকরা সহযোগিতা করছেন। কিছু জায়গায় সেটা হচ্ছে না। শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানান, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প ধ্বংসে ষড়যন্ত্র করছে রপ্তানি খাতে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিযোগী প্রতিবেশী দেশ। বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, গাজীপুর, সাভার, আশুলিয়া, জিরানী, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা মেট্রোপলিটন ও চট্টগ্রাম এলাকায় মোট কারখানা রয়েছে ২ হাজার ১৪৪টি। এর মধ্যে গতকাল খোলা ছিল ২ হাজার ১০২টি কারখানা। খোলার পর কাজ বন্ধ হয়েছে এমন কারখানার সংখ্যা চারটি। আরটিভি/একে/এসএ
শ্রমিকদের কাজে ফেরার আহ্বান, বন্ধ কারখানা মালিকদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি
পোশাক শ্রমিকদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান হুঁশিয়ার করে বলেছেন, যেসব কারখানার মালিকপক্ষ উদ্দেশ্যমূলকভাবে কারখানা বন্ধ রাখবেন, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবেন, তাদেরকেও মনে রাখা হবে।  শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নুরুল কাদির অডিটোরিয়ামে আশুলিয়ায় তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর চলমান সংকট ও উত্তরণের পথ নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এ হুঁশিয়ারি দেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা। উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, পোশাক শিল্পে অস্থিরতা মালিক শ্রমিক কারোই কাম্য নয়। পোশাক শিল্পে সংঘাতময় পরিস্থিতির সুযোগ নেবে তৃতীয় পক্ষ। এতে মালিক শ্রমিক কারোরই লাভ হবে না। আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে মালিক শ্রমিকের সমন্বয়ে ত্রিপক্ষীয় কমিটি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আগামীকাল যেসব কারখানায় কাজ হবে না, সেসব কারখানার সমস্যা সমাধানে আলাদাভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া যে সমস্ত কারখানার মালিকপক্ষ উদ্দেশ্যমূলকভাবে কারখানা বন্ধ রাখবেন ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করবেন তাদেরকেও মনে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্প উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আগামীকাল সকল কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অর্থনীতিকে বিপদে ফেলতে কারখানা বন্ধ রাখার অপচেষ্টা মনে রাখা হবে। শিল্প পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমান সরকারকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ঠেলে দিতেই একটি চক্র শিল্প কারখানায় অস্থিরতা তৈরি করছে। এখন বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে উপদেষ্টাদের বিশেষভাবে নজর দেওয়া জরুরি। এদিকে বৈঠক শেষে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে বলা হয়, অস্থিরতা না কাটলে আগামীকাল থেকে তারা কারখানা বন্ধ রাখবেন। বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) বিজিএমইএর সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ছাড়া পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারাসহ শ্রমিক নেতার।  আরটিভি/একে/এআর
কর্মচঞ্চল আশুলিয়া, এখনও বন্ধ ৪৯ কারখানা
দেশের শিল্পাঞ্চলগুলোতে সরকার, মালিক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর প্রচেষ্টায় কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। এরই মধ্যে বেশিরভাগ কারখানায় উৎপাদন চলছে। তবে কিছু কারখানা অজানা রহস্যে আজও বন্ধ দেখা গেছে। তবে সবগুলো কারখানার নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব ও শিল্প পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। কোথাও শ্রমিকদের জমায়েত নাই। বিভিন্ন দাবিতে গত দুই সপ্তাহ ধরে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা গেছে। সেই পরিস্থিতি আশুলিয়ায় এখন দেখা না গেলেও কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদন বন্ধ রেখেছে। এর মধ্যে ৩৬টি কারখানা শ্রম আইনের ১৩/১ ধারায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ১৩টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এই হিসেবে ৪৯টির মধ্যেই রয়েছে বলে জানান আশুলিয়া শিল্পপুলিশ- ১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম। তিনি বলেন, শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় মোট কারখানা রয়েছে ১ হাজার ৮৬৩টি। এর মধ্য অধিকাংশ কারখানায়ই পোশাক কারখানা। দুই একটি রয়েছে ওষুধ ও জুতা তৈরি কারখানা। গত কয়েকদিনের চেয়ে আজ শিল্পাঞ্চলের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। তার দাবি, আজ শিল্পাঞ্চলে কোথাও কোনো শ্রমিক বিক্ষোভ নেই ও শ্রমিকরা রাস্তায় নামেননি। কারখানাগুলোর নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব ও শিল্প পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে বলেও জানান তিনি। স্থানীয়রা জানান, সাভারের আশুলিয়ায় টানা কয়েক দিন শ্রমিক অসন্তোষের পর ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য। শনিবার সকাল থেকে কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা। সকাল থেকেই শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ কারখানা খোলা রয়েছে। আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে ও ইপিজেড এলাকায় বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিকরা প্রবেশ করছেন। এখন পর্যন্ত আশুলিয়া শিল্প এলাকা ও ইপিজেড এ কোথাও কোনো শ্রমিক অসন্তোষের খবর পাওয়া যায়নি। নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া ইপিজেডসহ শিল্পাঞ্চলে বাহিনী টহল দিচ্ছে। শিল্প মালিকদের দাবি, দেশের তৈরি পোশাকশিল্প অস্থিতিশীল করে তুলতে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত চলছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে, ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখে পড়বে পোশাক খাত। ফায়দা নিতে ওৎ পেতে আছে বেশ কিছু দেশ। বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আমার মনে হয় এরা শ্রমিক না। তারা বিভিন্ন কায়দায় অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে। এর পেছনে কাদের ইন্ধন সেটি বোঝা কঠিন কোনো কাজ না। বিকেএমইএ পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, পোশাক শিল্পে অস্থিরতার পেছনে বহিরাগত শক্তির সঙ্গে দেশি-বিদেশি চক্রের যোগসাজস থাকতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৈরি পোশাকশিল্পে সরাসরি প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক নিয়োজিত। আর পরোক্ষভাবে উপকারভোগী কমপক্ষে দুই কোটি মানুষ। এ শিল্প বিপদে পড়লে বিশাল জনগোষ্ঠী বিপদে পড়বে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের অর্থনীতি। আরটিভি/এএইচ
আশুলিয়ায় ২১৯ পোশাক কারখানা বন্ধ
দেশের শিল্পাঞ্চলগুলোতে সরকার, মালিক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারির পরও থামছে না শ্রমিক অসন্তোষ। মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও অজানা রহস্যে আজও (বৃহস্পতিবার) ২১৯টি তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল। বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ২১৯টি কারখানার মধ্যে ৮৬টি কারখানা বন্ধ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বাকি ১৩৩টি কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। তিনি আরও বলেন, শিল্পাঞ্চলের কোথাও আজ সড়ক অবরোধ, কারখানায় হামলা বা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। তবে, যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র‍্যাব সদস্য মোতায়েন রয়েছে। শিল্প মালিকরা বলছেন, দেশের তৈরি পোশাকশিল্প অস্থিতিশীল করে তুলতে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত চলছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিভিন্ন জায়গায় নানান অজুহাতে আন্দোলন ও কারখানা ভাঙচুর শুরু করে দুর্বৃত্তরা। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে, ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখে পড়বে পোশাক খাত। ফায়দা নিতে ওৎ পেতে আছে বেশ কিছু দেশ। বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আমার মনে হয় এরা শ্রমিক না। তারা বিভিন্ন কায়দায় অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে। এর পেছনে কাদের ইন্ধন সেটি বোঝা কঠিন কোনো কাজ না। বিকেএমইএ পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, পোশাক শিল্পে অস্থিরতার পেছনে বহিরাগত শক্তির সঙ্গে দেশি-বিদেশি চক্রের যোগসাজস থাকতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৈরি পোশাকশিল্পে সরাসরি প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক নিয়োজিত। আর পরোক্ষভাবে উপকারভোগী কমপক্ষে দুই কোটি মানুষ। এ শিল্প বিপদে পড়লে বিশাল জনগোষ্ঠী বিপদে পড়বে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের অর্থনীতি।
ফের অস্থিরতা আশুলিয়ায়, ৯০ কারখানা বন্ধ
দেশের শিল্পাঞ্চলগুলোতে সরকার, মালিক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারির পরও থামছে না শ্রমিক অসন্তোষ। মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও অজানা রহস্যে আজও (সোমবার) ৯০ পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে অন্যান্য কারখানায় উৎপাদন চলছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম এ তথ্য জানান। জানা গেছে, বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা সোমবার সকালে কাজে যোগ না দিয়ে বেরিয়ে পড়েন। এ ঘটনার পর ৯০টি কারখানায় বন্ধের নোটিশ টানিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ।  সারোয়ার আলম বলেন, পোশাক কারখানা ছুটি ঘোষণা করলেও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র‍্যাব সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এর আগে, আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে নানা দাবিতে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে ৩০টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। শিল্প মালিকরা বলছেন, দেশের তৈরি পোশাক শিল্প অস্থিতিশীল করে তুলতে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত চলছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিভিন্ন জায়গায় নানা অজুহাতে আন্দোলন ও কারখানা ভাঙচুর শুরু করে দুর্বৃত্তরা। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে, ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখে পড়বে পোশাক খাত। ফায়দা নিতে ওত পেতে আছে বেশ কিছু দেশ। বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আমার মনে হয় এরা শ্রমিক না। তারা বিভিন্ন কায়দায় অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে। এর পেছনে কাদের ইন্ধন সেটি বোঝা কঠিন কোনো কাজ না। বিকেএমইএ পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, পোশাক শিল্পে অস্থিরতার পেছনে বহিরাগত শক্তির সঙ্গে দেশি-বিদেশি চক্রের যোগসাজস থাকতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৈরি পোশাক শিল্পে সরাসরি প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক নিয়োজিত। আর পরোক্ষভাবে উপকারভোগী কমপক্ষে দুই কোটি মানুষ। এ শিল্প বিপদে পড়লে বিশাল জনগোষ্ঠী বিপদে পড়বে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের অর্থনীতি। আরটিভি/আরএ/এসএ/ডিসিএনই
আশুলিয়ার পোশাক কারখানাগুলো খুলছে শনিবার
আশুলিয়ার তৈরি পোশাক কারখানাগুলো খুলতে যাচ্ছে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর)। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি শ্রমিকনেতা ও স্থানীয় রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে আশ্বাস পাওয়ার পর  এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নেতারা। ব্যাপক শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে আশুলিয়ার তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে চলমান অস্থিরতা নিয়ে বিজিএমইএর কার্যালয়ে দুই দফায় শিল্পমালিক, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, বিভিন্ন সংগঠনের শ্রমিকনেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক হয় শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর)। বিজিএমইএর সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব, শ্রমিকনেতা মন্টু ঘোষ, নাজমা আক্তার প্রমুখ। বৈঠক প্রসঙ্গে বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, ‘সব পক্ষই কারখানা সচল রাখার পক্ষে মত দিয়েছে। তারা বলেছে, শিল্প বন্ধ রাখা কোনোভাবে কম্য নয়। উৎপাদন না হলে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ব্যবসাও অন্যত্র চলে যাওয়ার শঙ্কা থাকে।’  তিনি বলেন, শ্রমিকনেতারা সাধারণ শ্রমিকদের কাজে ফিরতে আহ্বান জানিয়েছেন। কোনো দাবি-দাওয়া থাকলে মালিকপক্ষকে লিখিতভাবে জানানোর কথা বলেছেন। অন্যদিকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা বর্তমান পরিস্থিতিতে ঝুট ব্যবসা থেকে বিরত থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। আশুলিয়ায় আল মুসলিম ও নাসা গ্রুপের শ্রমিকদের মধ্যে বেতন-ভাতা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। এই দুই গ্রুপের শ্রমিকেরা দাবি আদায়ে একাধিক দিন কর্মবিরতিও পালন করেন। এ বিষয়ে বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, ‘আমরা উভয় গ্রুপের মালিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন।’ প্রসঙ্গত, দুই সপ্তাহ ধরে গাজীপুর ও আশুলিয়ার ওষুধ ও তৈরি পোশাকশিল্পে শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনা ঘটছে। এ বিক্ষোভে শ্রমিকদের পাশাপাশি অংশ নেন বিভিন্ন সময় ছাঁটাইকৃতদের অনেকেই। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার গাজীপুরের পরিস্থিতির উন্নতি হলেও আশুলিয়ায় বিক্ষোভ হয়েছে। সকালে কয়েকটি কারখানায় হামলা ও ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা। এতে অন্তত ৩৫ জন আহত হন। দুপুরের পর ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় অধিকাংশ কারখানা। সব মিলিয়ে সেদিন ১২৯টি তৈরি পোশাক কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হয়।