• ঢাকা বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
মার্কিন শ্রম বিভাগ-বিজিএমইএ বৈঠক
এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৫০ শতাংশের বেশি
মার্কিন যু্ক্তরাষ্ট্রে গত এক দশকে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৫০ শতাংশেরও বেশি। এই চিত্র দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের অফিস অব টেক্সটাইলস অ্যান্ড গার্মেন্টসের (ওটেক্সার) এক প্রতিবেদনে। সেখানে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি করে এমন দশটি দেশের মধ্যে প্রথম অবস্থানে রয়েছে চীন, পরের অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। মূলত গত এক দশকে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে বাংলাদেশ। বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে। এ সময়ে বাংলাদেশ তার সাশ্রয়ী উৎপাদন ক্ষমতা, উচ্চ মানসম্পন্ন পোশাক এবং দক্ষ শ্রমশক্তির মাধ্যমে ভারতের মতো দেশকেও পেছনে ফেলে দিয়েছে।  ওটেক্সার আরও দেখা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ। তবে ২০১৪ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত (১০ বছর) যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানির ওই পরিসংখ্যান মতে, চীন প্রথম অবস্থানে থাকলেও এক দশকে তাদের পোশাক শিল্পের রপ্তানি কমেছে প্রায় অর্ধেক। আর সে জায়গায় বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। একইসঙ্গে ভারত, পাকিস্তান ও কম্বোডিয়ার মতো দেশগুলোরও রপ্তানিও বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অফিস অব টেক্সটাইলস অ্যান্ড গার্মেন্টসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে যেখানে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ছিল ৪ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার, সেখানে ২০২২ সালে এই রপ্তানি উন্নীত হয় ৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলারে। অবশ্য ২০২৩ সালে আকস্মিকভাবে এই ধারাবাহিকতার পতন ঘটে। ওই বছর যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি প্রায় এক চতুর্থাংশ হ্রাস পেয়ে রপ্তানি দাঁড়ায় ৭ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি হ্রাস পেয়েছিল ২২ দশমিক ০৪ শতাংশ, যার প্রভাবটাই মূলত পড়েছিল বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির ওপর। তবে সার্বিকভাবে ওই দশকে (২০১৪ সাল থেকে শুরু করে ২০২৩ সাল পর্যন্ত) যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ।  ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ২৯ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করে প্রথম স্থান দখল করে চীন। সেখানে ২০২৩ সালে এই রপ্তানি হ্রাস পেয়ে দাঁড়ায় ১৬ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলারে। অর্থাৎ এক দশকের মধ্যে রপ্তানি হ্রাস পায় প্রায় ৪৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। আর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভিয়েতনামের ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি ছিল ৯ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলারের। সেখানে ২০২৩ সালে এই রপ্তানি বেড়ে দাঁড়ায় ১৪ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলারে। অর্থাৎ গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রে ভিয়েতনামের রপ্তানি বেড়েছে ৫২ দশমিক ৯৬ শতাংশ।  ওটেক্সার প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের পোশাক রপ্তানি ছিল ৩ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলারের। ২০২৩ সালে এই রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলারে। আর ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের পোশাক রপ্তানি ছিল ১ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার। যা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলারে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ার পোশাক রপ্তানি গত এক দশকে বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। ২০১৪ সালে যেখানে দেশটির রপ্তানি ছিল ২ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার, সেখানে ২০২৩ সালে এই রপ্তানি উন্নীত হয় ৩ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলারে। তবে গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে চীনের পাশাপাশি হ্রাস পেয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, হন্ডুরাস এবং ইন্দোনেশিয়ার পোশাক রপ্তানিও। এর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার রপ্তানি ১৩ দশমিক ৩১ শতাংশ, মেক্সিকোর ২৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ, হন্ডুরাসের ৬ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে ১৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ। আরটিভি/কেএইচ/এআর
বিজিএমইএর প্রশাসক হলেন আনোয়ার হোসেন
গুজব রটিয়ে কারখানায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হচ্ছে: বিজিএমইএ
পোশাকশ্রমিকদের মজুরি বাড়াতে অস্বীকৃতি জানাল বিজিএমইএ
ফের অস্থিরতা আশুলিয়ায়, ৫১ কারখানা বন্ধ
পোশাক শ্রমিকরা আগামীতে রেশন পাবেন 
পোশাক কারখানার মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলে শ্রমিকদের রেশন দেওয়ার ব্যবস্থার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।  শ্রম সচিব বলেন, রেশনের বিষয়টি দীর্ঘমেয়াদী একটি প্রক্রিয়া। তবে আপাতত ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে শ্রমিকদের মধ্যে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য সরবরাহ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দেশের যেসব শ্রমঘন এলাকা রয়েছে যেমন- সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুর, টঙ্গী ও নারায়ণগঞ্জে টিসিবির কার্ডের বাইরেও কিভাবে ট্রাকে করে ন্যায্যমূল্যে পণ্য সরবরাহ বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে শ্রম মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এরইমধ্যে এ ব্যাপারে আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি এবং বাণিজ্য সচিবকে আমি ডিও প্রেরণ করেছি।  এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, আমরা চেষ্টা করছি ওই সব এলাকায় ট্রাকসেলের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি করার, যেন শ্রমিকরা উপকৃত হন। এসময় শ্রমিকদের স্বল্পমূল্যে ও সহজে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারেও কথা বলেন শ্রম সচিব।  তিনি বলেন, আমরা এ ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করছি। সরকারি হাসপাতালে এমনিতেই চিকিৎসার খরচ কম। তবে শ্রমঘন এলাকাগুলোতে সরকারি হাসপাতালগুলোতে আলাদা ডেস্ক করা যেতে পারে, অপরদিকে ওইসব এলাকায় যেসব বেসরকারি হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিক রয়েছে তাদের সঙ্গে সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) মাধ্যমে শ্রমিকদের স্বল্প খরচে চিকিৎসা সুবিধার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।   এর আগে, শ্রম সচিব রাজধানীর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) ‘শ্রম অধিকার ও পোশাক খাতে অস্থিরতা’ শীর্ষক এক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। আরটিভি/আইএম
প্রতিবেশী দেশের ইন্ধনে পোশাক খাতে অস্থিরতা: শ্রম সচিব
প্রতিবেশী দেশের ইন্ধনে পোশাক খাতে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।  শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) শ্রম অধিকার ও পোশাক খাতে অস্থিরতা নিয়ে ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’ ছায়া সংসদে তিনি এ কথা বলেন। সফিকুজ্জামান বলেন, পোশাক খাতে অস্থিরতা চলতে থাকলে ক্রয়াদেশ অন্য দেশে চলে যেতে পারে। ষড়যন্ত্রকারীরা সে লক্ষ্যেই পোশাকশিল্পে বিশৃঙ্খলা তৈরিতে সচেষ্ট রয়েছে। তবে সরকারের যথাযথ উদ্যোগে অসন্তোষ অনেকটাই দূর হয়েছে। তিনি আরও বলেন, রপ্তানি সংকুচিত করতেই পোশাক শিল্প সম্পর্কে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশনের অপচেষ্টা করা হয়েছে। ভুল তথ্য ছড়িয়ে একটি মহল শিল্প এলাকায় অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। শ্রম সচিব বলেন, শ্রমিকদের অধিকার পদে পদে লঙ্ঘিত হচ্ছে। তাই পোশাক খাত স্থিতিশীল করতে শ্রম অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। একই দেশে দুই ধরনের শ্রম আইন থাকতে পারে না।  গত ১৫ বছরে শ্রমিক কল্যাণ তহবিল নিয়ম মেনে পরিচালিত হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, এই তহবিলের টাকা এমন কিছু ব্যাংকে রাখা হয়েছে যেসব ব্যাংক এখন ঝুঁকিপূর্ণ। বর্তমান সরকার এই তহবিল পরিচালনায় সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে। সফিকুজ্জামান বলেন, বিগত সময়ে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো স্বার্থে ব্যবহৃত হয়েছে। ব্যবসায়ীরা এমপি-মন্ত্রী হলে স্বার্থের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।
পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ নেই: বিজিএমইএ
পোশাক খাতসহ শিল্পাঞ্চলগুলোতে শুরু হওয়া অস্থিরতার পর পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় সাভার ও আশুলিয়া এলাকার পোশাক কারখানাগুলো স্বাভাবিক উৎপাদনে রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। বিজিএমইএ জানায়, সাভার ও আশুলিয়া এলাকার ৩৯৪টি কারখানায় স্বাভাবিক উৎপাদন কার্যক্রম চলছে। এছাড়া ৭টা কারখানা বন্ধ আছে, এর মধ্যে ৬টি খোলার পরও উৎপাদন বন্ধ রেখেছে। তবে শ্রমিক অসন্তোষের কোন ঘটনা নেই। এর আগে, শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে সব পোশাক কারখানায় স্বাভাবিকভাবে কার্যক্রম চালু রাখার ঘোষণা দিয়েছিল বিজিএমইএ। মূলত শিল্পাঞ্চলসহ পোশাক কারখানাগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিতে সরকারের আশ্বাস এবং শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতাদের শ্রমিকদের কাজে ফেরানোর ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করার অঙ্গীকারের পরিপ্রেক্ষিতে এ ঘোষণা দেন বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।   তিনি বলেন, পোশাক কারখানায় নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যাপারে সরকার আশ্বাস দিয়েছে। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) থেকে সব পোশাক কারখানা খোলা থাকবে। তবে কোনো কারখানায় অস্থিরতা তৈরি হলে সে কারখানা শ্রম আইনের ১৩/১ ধারা (কাজ নেই, বেতন নেই) অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।   এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, রোববার  (১৫ সেপ্টেম্বর) থেকে সব কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর যে সব কারখানায় মালিকপক্ষ উদ্দেশ্যমূলকভাবে বন্ধ রাখবেন, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবেন, তাদেরকেও মনে রাখা হবে। আরটিভি/আইএম
আজ খোলা সব পোশাক কারখানা
দেশের সব পোশাক কারখানা রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) থেকে খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।  আশুলিয়া ও গাজীপুরের পোশাক কারখানাগুলোয় সৃষ্ট শ্রমিক অসন্তোষের বিষয়ে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক মতবিনিময় সভায় শিল্প উপদেষ্টা এ কথা বলেন। তবে বিশৃঙ্খলা হলে নিরাপত্তা শঙ্কায় কারখানা বন্ধ রাখতে পারবেন মালিক, এমন হুঁশিয়ারি তৈরি পোশাক শিল্প মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ)। বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেছেন, কোনো কারখানায় অস্থিরতা তৈরি হলে আগামী পরশু (আগামীকাল সোমবার) দিন থেকে সেই কারখানা শ্রম আইনের ১৩/১ ধারা (কাজ নেই, বেতন নেই) অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল শ্রমিক, মালিক ও সরকারের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এ সভা আয়োজন করে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, আজ দেশের সব পোশাক কারখানা খোলা থাকবে। তবে কোনো কারখানার শ্রমিকরা কাজ না করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে মালিক পক্ষ চাইলে আইন অনুযায়ী সেই কারখানা বন্ধ রাখতে পারবে। সভার এক পর্যায়ে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ বলেন, এভাবে মার খেয়ে আমরা কারখানায় যাব না। আমাদের যদি নিরাপত্তা দেন, তাহলে আমরা কারখানা চালাব, না হলে আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এ কে আজাদ আরও বলেন, আমার অধীনে ৭৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করেন। গত মাসের বেতন দিয়েছি, আমার খুব কষ্ট হয়েছে। তৎকালীন সরকারের সময় ছুটি, কারফিউয়ে আমরা কাজ করতে পারিনি। সরকার পরিবর্তন হওয়ার সময় আবার সরকারি ছুটি, কারফিউ—কাজ করতে পারিনি। তারপর শুরু হলো শ্রমিক আন্দোলন। প্রথম নাসা গার্মেন্টস থেকে শুরু হলো। নাসা গার্মেন্টস থেকে বের হয়ে পাশের গার্মেন্টেসে। পাশের গার্মেন্টস থেকে এসে আমার গার্মেন্টেসে দরজা ভাঙতে শুরু করল। আমাদের দুটো গেট। প্রথম গেট ভেঙে ফেলল। কী চাই? চাকরি চাই। কেন চাই? বেকার সংঘ! এমন একটা সমিতি বের হলো! তাদের চাকরি দিতে হবে। আমরা সব দাবি মেনে নিলাম। আমাদের দাবি ছিল, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেন, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস দেন। আজও নিরবচ্ছিন্ন কী জিনিস সেটা বুঝতে পারিনি। ডিজেলে আজও ৪-৫ ঘণ্টা কারখানা চালাতে হয়। ডিজেলে চালাতে হলে আমার খরচই উঠবে না। আমরা জানতে চাই, কারখানা খোলা রাখব নাকি বন্ধ রাখব। পরে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, তৈরি পোশাক খাতে উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে সরকার কমিটি করেছে। এ কমিটির মাধ্যমে সবার সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার যে সংস্কৃতি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, তা ফিরিয়ে আনতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা এমন একটা জায়গায় এসেছি, যখন একটা ক্রাইসিস তৈরি হয়েছে, শিল্প অঞ্চলগুলো কীভাবে চালু রাখা যায়। আমরা আলোচনা করছি। কারখানা রক্ষা করতে গিয়ে আমরা দেখছি বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকরা কারখানা রক্ষার জন্য দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন। বহিরাগত সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করছেন। মালিকরা সহযোগিতা করছেন। কিছু জায়গায় সেটা হচ্ছে না। শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানান, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প ধ্বংসে ষড়যন্ত্র করছে রপ্তানি খাতে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিযোগী প্রতিবেশী দেশ। বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, গাজীপুর, সাভার, আশুলিয়া, জিরানী, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা মেট্রোপলিটন ও চট্টগ্রাম এলাকায় মোট কারখানা রয়েছে ২ হাজার ১৪৪টি। এর মধ্যে গতকাল খোলা ছিল ২ হাজার ১০২টি কারখানা। খোলার পর কাজ বন্ধ হয়েছে এমন কারখানার সংখ্যা চারটি। আরটিভি/একে/এসএ
শ্রমিকদের কাজে ফেরার আহ্বান, বন্ধ কারখানা মালিকদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি
পোশাক শ্রমিকদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান হুঁশিয়ার করে বলেছেন, যেসব কারখানার মালিকপক্ষ উদ্দেশ্যমূলকভাবে কারখানা বন্ধ রাখবেন, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবেন, তাদেরকেও মনে রাখা হবে।  শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নুরুল কাদির অডিটোরিয়ামে আশুলিয়ায় তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর চলমান সংকট ও উত্তরণের পথ নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এ হুঁশিয়ারি দেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা। উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, পোশাক শিল্পে অস্থিরতা মালিক শ্রমিক কারোই কাম্য নয়। পোশাক শিল্পে সংঘাতময় পরিস্থিতির সুযোগ নেবে তৃতীয় পক্ষ। এতে মালিক শ্রমিক কারোরই লাভ হবে না। আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে মালিক শ্রমিকের সমন্বয়ে ত্রিপক্ষীয় কমিটি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আগামীকাল যেসব কারখানায় কাজ হবে না, সেসব কারখানার সমস্যা সমাধানে আলাদাভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া যে সমস্ত কারখানার মালিকপক্ষ উদ্দেশ্যমূলকভাবে কারখানা বন্ধ রাখবেন ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করবেন তাদেরকেও মনে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্প উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আগামীকাল সকল কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অর্থনীতিকে বিপদে ফেলতে কারখানা বন্ধ রাখার অপচেষ্টা মনে রাখা হবে। শিল্প পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমান সরকারকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ঠেলে দিতেই একটি চক্র শিল্প কারখানায় অস্থিরতা তৈরি করছে। এখন বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে উপদেষ্টাদের বিশেষভাবে নজর দেওয়া জরুরি। এদিকে বৈঠক শেষে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে বলা হয়, অস্থিরতা না কাটলে আগামীকাল থেকে তারা কারখানা বন্ধ রাখবেন। বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) বিজিএমইএর সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ছাড়া পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারাসহ শ্রমিক নেতার।  আরটিভি/একে/এআর
কর্মচঞ্চল আশুলিয়া, এখনও বন্ধ ৪৯ কারখানা
দেশের শিল্পাঞ্চলগুলোতে সরকার, মালিক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর প্রচেষ্টায় কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। এরই মধ্যে বেশিরভাগ কারখানায় উৎপাদন চলছে। তবে কিছু কারখানা অজানা রহস্যে আজও বন্ধ দেখা গেছে। তবে সবগুলো কারখানার নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব ও শিল্প পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। কোথাও শ্রমিকদের জমায়েত নাই। বিভিন্ন দাবিতে গত দুই সপ্তাহ ধরে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা গেছে। সেই পরিস্থিতি আশুলিয়ায় এখন দেখা না গেলেও কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদন বন্ধ রেখেছে। এর মধ্যে ৩৬টি কারখানা শ্রম আইনের ১৩/১ ধারায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ১৩টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এই হিসেবে ৪৯টির মধ্যেই রয়েছে বলে জানান আশুলিয়া শিল্পপুলিশ- ১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম। তিনি বলেন, শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় মোট কারখানা রয়েছে ১ হাজার ৮৬৩টি। এর মধ্য অধিকাংশ কারখানায়ই পোশাক কারখানা। দুই একটি রয়েছে ওষুধ ও জুতা তৈরি কারখানা। গত কয়েকদিনের চেয়ে আজ শিল্পাঞ্চলের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। তার দাবি, আজ শিল্পাঞ্চলে কোথাও কোনো শ্রমিক বিক্ষোভ নেই ও শ্রমিকরা রাস্তায় নামেননি। কারখানাগুলোর নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব ও শিল্প পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে বলেও জানান তিনি। স্থানীয়রা জানান, সাভারের আশুলিয়ায় টানা কয়েক দিন শ্রমিক অসন্তোষের পর ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য। শনিবার সকাল থেকে কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা। সকাল থেকেই শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ কারখানা খোলা রয়েছে। আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে ও ইপিজেড এলাকায় বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিকরা প্রবেশ করছেন। এখন পর্যন্ত আশুলিয়া শিল্প এলাকা ও ইপিজেড এ কোথাও কোনো শ্রমিক অসন্তোষের খবর পাওয়া যায়নি। নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া ইপিজেডসহ শিল্পাঞ্চলে বাহিনী টহল দিচ্ছে। শিল্প মালিকদের দাবি, দেশের তৈরি পোশাকশিল্প অস্থিতিশীল করে তুলতে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত চলছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে, ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখে পড়বে পোশাক খাত। ফায়দা নিতে ওৎ পেতে আছে বেশ কিছু দেশ। বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আমার মনে হয় এরা শ্রমিক না। তারা বিভিন্ন কায়দায় অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে। এর পেছনে কাদের ইন্ধন সেটি বোঝা কঠিন কোনো কাজ না। বিকেএমইএ পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, পোশাক শিল্পে অস্থিরতার পেছনে বহিরাগত শক্তির সঙ্গে দেশি-বিদেশি চক্রের যোগসাজস থাকতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৈরি পোশাকশিল্পে সরাসরি প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক নিয়োজিত। আর পরোক্ষভাবে উপকারভোগী কমপক্ষে দুই কোটি মানুষ। এ শিল্প বিপদে পড়লে বিশাল জনগোষ্ঠী বিপদে পড়বে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের অর্থনীতি। আরটিভি/এএইচ
আশুলিয়ায় ২১৯ পোশাক কারখানা বন্ধ
দেশের শিল্পাঞ্চলগুলোতে সরকার, মালিক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারির পরও থামছে না শ্রমিক অসন্তোষ। মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও অজানা রহস্যে আজও (বৃহস্পতিবার) ২১৯টি তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল। বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ২১৯টি কারখানার মধ্যে ৮৬টি কারখানা বন্ধ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বাকি ১৩৩টি কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। তিনি আরও বলেন, শিল্পাঞ্চলের কোথাও আজ সড়ক অবরোধ, কারখানায় হামলা বা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। তবে, যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র‍্যাব সদস্য মোতায়েন রয়েছে। শিল্প মালিকরা বলছেন, দেশের তৈরি পোশাকশিল্প অস্থিতিশীল করে তুলতে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত চলছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিভিন্ন জায়গায় নানান অজুহাতে আন্দোলন ও কারখানা ভাঙচুর শুরু করে দুর্বৃত্তরা। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে, ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখে পড়বে পোশাক খাত। ফায়দা নিতে ওৎ পেতে আছে বেশ কিছু দেশ। বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আমার মনে হয় এরা শ্রমিক না। তারা বিভিন্ন কায়দায় অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে। এর পেছনে কাদের ইন্ধন সেটি বোঝা কঠিন কোনো কাজ না। বিকেএমইএ পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, পোশাক শিল্পে অস্থিরতার পেছনে বহিরাগত শক্তির সঙ্গে দেশি-বিদেশি চক্রের যোগসাজস থাকতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৈরি পোশাকশিল্পে সরাসরি প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক নিয়োজিত। আর পরোক্ষভাবে উপকারভোগী কমপক্ষে দুই কোটি মানুষ। এ শিল্প বিপদে পড়লে বিশাল জনগোষ্ঠী বিপদে পড়বে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের অর্থনীতি।