• ঢাকা শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (১৭ মে)
একদিনে ১৩০৮৫ কোটি টাকা ধার দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক
ডলারের পাশাপাশি দেশের ব্যাংক খাতে চলছে তারল্য সংকট। সংকট মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার নেওয়া অব্যাহত রেখেছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। বুধবার (১৫ মে) এক নিলামে ৩৬টি ব্যাংক ও একটি ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) রেপো ও তারল্য সহায়তা সুবিধার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে ১৩ হাজার ৮৫ কোটি টাকা ধার নিয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, বুধবার বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক রেপো এবং অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট ফ্যাসিলিটি (এএলএসএফ) এর নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নিলামে এক দিন মেয়াদি রেপো সুবিধার আওতায় দুইটি ব্যাংক মোট ৪৯৪ দশমিক ১৫ কোটি টাকার ১৩টি বিড, সাত দিন মেয়াদি রেপো সুবিধার আওতায় ১৬টি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান মোট ৫ হাজার ৪৩১ দশমিক ২৮ কোটি টাকার ৬৫টি বিড এবং এক দিন মেয়াদি অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট ফ্যাসিলিটির আওতায় ১৮টি পিডি ব্যাংক মোট ৭ হাজার ১৫৯ দশমিক ৯৪ কোটি টাকার ৫৪টি বিড দাখিল করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও জানায়, অকশন কমিটি কর্তৃক সকল বিডই গৃহীত হয়। ফলে রেপো এবং এএলএসএফ এর আওতায় সর্বমোট ১৩ হাজার ০৮৫ দশমিক ৩৭ কোটি টাকা প্রদান করা হয়। উল্লিখিত এক দিন ও সাত দিন মেয়াদি রেপো এবং অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট ফ্যাসিলিটি এর সুদের হার ছিল যথাক্রমে বার্ষিক শতকরা ৮ দশমিক ৫০, ৮ দশমিক ৬০ ও ৮ দশমিক ৫০ ভাগ। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রা সংকট, সরকারি ট্রেজারি বিলের ক্রমবর্ধমান সুদের হার ও নীতি হার বৃদ্ধির কারণে সামগ্রিক ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট তৈরি হয়েছে। কোনো কোনো ব্যাংক এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তারল্য সহায়তা নিয়ে ট্রেজারি বিলে বিনিয়োগ করছে। কারণ ট্রেজারি বিলের সুদহার ১১ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যাংকিং খাতে তারল্যের সংকটের মধ্যে ব্যাংকগুলো গত কয়েক মাস ধরে প্রতি কার্যদিবসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তারল্য সহায়তা পাচ্ছে। এখন ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী জুলাই থেকে রেপোর মাধ্যমে তারল্য সহায়তা প্রতিদিনের পরিবর্তে সাপ্তাহিক হবে।  
সুদহার ১৪ শতাংশের বেশি হবে না, আশ্বাস গভর্নরের
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (১৬ মে)
সাংবাদিক প্রবেশে কড়াকড়ি, যা জানাল বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (১৫ মে)
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (১৪ মে)
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য দিনকে দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য তাই মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন বৈদেশিক মুদ্রা। লেনদেনের সুবিধার্থে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে ১৪ মে ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হার তুলে ধরা হলো- বৈদেশিক মুদ্রার নাম   বাংলাদেশি টাকা   ইউএস ডলার   ১১৫ টাকা ৫৩ পয়সা   ইউরোপীয় ইউরো   ১২৬ টাকা ৫০ পয়সা   ব্রিটেনের পাউন্ড   ১৪৬ টাকা ৪৫ পয়সা    ভারতীয় রুপি   ১ টাকা ৩৭ পয়সা   মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত   ২৪ টাকা ৫৫ পয়সা   সিঙ্গাপুরের ডলার   ৮৬ টাকা ৩৫ পয়সা   সৌদি রিয়াল   ৩১ টাকা ১৮ পয়সা   কানাডিয়ান ডলার   ৮৪ টাকা ২০ পয়সা   অস্ট্রেলিয়ান ডলার   ৭৭ টাকা ০৫ পয়সা   কুয়েতি দিনার   ৩৭৯ টাকা ৯৪ পয়সা   ** যেকোনো সময় মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তন হতে পারে।
১০ দিনে এলো ৮১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
চলতি মে মাসের প্রথম ১০ দিনে (১ থেকে ১০ মে) প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স দেশে এসেছে ৮১ কোটি ৩৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার; যা আগের মাসের তুলনায় বেশি। সোমবার (১২ মে) এ তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তথ্য অনুযায়ী, ঈদের মাস এপ্রিলে প্রতিদিনে এসেছিল ৬ কোটি ৮১ লাখ ২ লাখ ডলার। আর আগের বছরের মে মাসে প্রতিদিন প্রবাসী আয় এসেছিল ৫ কোটি ৬৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬৬৬ ডলার। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের মে মাসের প্রথম ১০ দিনে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ৭১ কোটি ৫১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এ ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৯ কোটি ৩৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২৮ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। দেশে কার্যরত ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রথম ১০দিনে একক ব্যাংক হিসাবে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক। এ সময়  ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ২৭ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। ন্যাশনাল ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে আট কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার। জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ছয় কোটি ৫২ লাখ ৩০ হাজার ডলার। এ ছাড়া প্রবাসী আয় সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে তিন কোটি ৮৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের তিন কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার এসেছে।  এদিকে গত এপ্রিল মাসে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। গত মার্চে দেশে এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২১৬ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আর গত জানুয়ারি মাসে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ২১০ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
একীভূত হতে সোনালী-বিডিবিএলের সমঝোতা স্মারক সই
একীভূতকরণের কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসি (বিডিবিএল)।  রোববার (১২ মে) ব্যাংক দুটির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এ বছরের এপ্রিলে সোনালীর ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে বিডিবিএলের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনের পর এই উদ্যোগ নেওয়া হলো। সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার, সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক-সিইও আফজাল করিম এবং বিডিবিএলের চেয়ারম্যান শামীমা নার্গিস ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান গাজীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী বলেন, ‘চুক্তি সইয়ের আগে চুক্তিটি ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করার জন্য সময় নেওয়া হয়েছে। কোনো প্রভাব ছাড়াই আমরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে জানিয়েছি যে আমরা বিডিবিএলের সঙ্গে একীভূত হতে চাই।’ উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত সোনালী ব্যাংকের ঋণ ছিল ৯৩ হাজার ৯৬ কোটি টাকা। বাংলাদেরশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, সোনালীর বিতরণ করা ঋণের মধ্যে ১৩ হাজার ১৫০ কোটি টাকা ঝুঁকিতে; যা মোট বিতরণ করা ঋণের ১৪ দশমিক ১ শতাংশ। এ ছাড়া বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক ও বাংলাদেশ শিল্প ঋণ সংস্থা একীভূত হয়ে ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত বিডিবিএল  ব্যাংকটিও খেলাপি ঋণে জর্জরিত। বর্তমানে বিডিবিএলের খেলাপি দাঁড়িয়েছে ৯৮২ কোটি টাকা; যা বিতরণ করা ঋণের ৪২ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (১২ মে)
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য দিনকে দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য তাই মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন বৈদেশিক মুদ্রা। লেনদেনের সুবিধার্থে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে ১২ মে ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হার তুলে ধরা হলো- বৈদেশিক মুদ্রার নাম   বাংলাদেশি টাকা   ইউএস ডলার   ১১৬ টাকা ৮৯ পয়সা   ইউরোপীয় ইউরো   ১২৬ টাকা ১০ পয়সা   ব্রিটেনের পাউন্ড   ১৪৬ টাকা ২৬ পয়সা    ভারতীয় রুপি   ১ টাকা ৩৭.৬৭ পয়সা   মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত   ২৪ টাকা ৫৫ পয়সা   সিঙ্গাপুরের ডলার   ৮৬ টাকা ৩৫ পয়সা   সৌদি রিয়াল   ৩১ টাকা ২০ পয়সা   কানাডিয়ান ডলার   ৮৪ টাকা ২০ পয়সা   অস্ট্রেলিয়ান ডলার   ৭৬ টাকা ৯৯ পয়সা   কুয়েতি দিনার   ৩৮১ টাকা ০২ পয়সা   ** যেকোনো সময় মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তন হতে পারে।
সোনালী-বিডিবিএল একীভূত হতে পারে রোববার
এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংক একীভূত হওয়ার চুক্তি সম্পন্নের পর এবার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল) একীভূত হতে যাচ্ছে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে। সবকিছু ঠিক থাকলে রোববার (১২ মে) চুক্তি সম্পন্ন করতে পারে দুই ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। বাংলাদেশ ব্যাংক ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক দুটির বিশ্বস্ত সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিডিবিএল সূত্র জানায়, মার্জারের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা ছিল, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের পর্ষদ অনুমোদন দিয়েছে। গত বুধবার বিষয়টি অনুমোদন হয়েছে সোনালী ব্যাংকের পর্ষদ সভায়। দুটো সরকারি ব্যাংক একমত হওয়ায় একীভূত হবে। ব্যাংক দুটির বোর্ডের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করার পর রোববার চুক্তি হচ্ছে। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপ শুরু হবে। ঝুঁকিতে থাকা দুর্বল ব্যাংকগুলোকে অপেক্ষাকৃত সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার উদ্যোগ নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে পরামর্শ দিয়ে আসছে আইএমএফ। তারই অংশ হিসেবে রোডম্যাপ ঠিক করা হয়। পাশাপাশি ব্যাংকগুলোকে এক বছর সময় দিয়ে ‘প্রম্পট কারেক্টিভ অ্যাকশন (পিসিএ)’ নীতি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত বুধবারও আইএমএফ সংবাদ সম্মেলনে দুর্বল ব্যাংকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতের বিষয়টি বাস্তবায়নের তাগিদ দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন করে দুটো ব্যাংক একীভূত করতে যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করেছে।  
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (১১ মে)
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য দিনকে দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য তাই মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন বৈদেশিক মুদ্রা। লেনদেনের সুবিধার্থে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে ১১ মে ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হার তুলে ধরা হলো- বৈদেশিক মুদ্রার নাম   বাংলাদেশি টাকা   ইউএস ডলার   ১১৬ টাকা ৯৯ পয়সা   ইউরোপীয় ইউরো   ১২৬ টাকা ১০ পয়সা   ব্রিটেনের পাউন্ড   ১৪৬ টাকা ১৬ পয়সা    ভারতীয় রুপি   ১ টাকা ৩৭.৬৮ পয়সা   মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত   ২৪ টাকা ৫০ পয়সা   সিঙ্গাপুরের ডলার   ৮৬ টাকা ২৫ পয়সা   সৌদি রিয়াল   ২৯ টাকা ২৭ পয়সা   কানাডিয়ান ডলার   ৮৪ টাকা ২০ পয়সা   অস্ট্রেলিয়ান ডলার   ৭৭ টাকা ০৫ পয়সা   কুয়েতি দিনার   ৩৮০ টাকা ২২ পয়সা   ** যেকোনো সময় মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তন হতে পারে।
যে কারণে কিছু দেশ নিজেদের মুদ্রার দাম কমিয়ে রাখতে চায়
ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরও এক দফা কমানো হয়েছে। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালু করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ১১৭ টাকায় মার্কিন ডলার ক্রয়-বিক্রয় করার নির্দেশ দেয়। এদিন সকালেও ডলারের বিনিময় হার ছিল ১১০ টাকা। অর্থাৎ ক্রলিং পেগ পদ্ধতির কারণে ডলারের বিপরীতে টাকার বড় ধরনের অবমূল্যায়ন ঘটেছে। ক্রলিং পেগ হলো মুদ্রা বিনিময়ের এমন পদ্ধতি, যেখানে মুদ্রার দরের একটি সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন সীমা নির্ধারণ করা থাকে। ফলে তা একবারেই খুব বেশি বাড়তে বা কমতেও পারবে না।  কোনো কোনো দেশ অর্থনৈতিক লাভের জন্যও নিজেদের মুদ্রার দাম কমিয়ে দেয়। এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকটি কারণেও কোনো দেশ তার মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঘটাতে পারে। অর্থনীতি ও মুদ্রা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তথ্য, গবেষণা এবং সংবাদমাধ্যম ঘেঁটে এর তিনটি প্রধান কারণ চিহ্নিত করা যায়। রপ্তানি বাড়ানো বিশ্ববাজার প্রতিযোগিতামূলক। সেখানে একটি দেশের পণ্যের সাথে অন্য দেশগুলোর পণ্যের বাজার দখলের প্রতিযোগিতা চলতে থাকে। আমেরিকার গাড়ি নির্মাতাদের যেমন প্রতিযোগিতা করতে হয় ইউরোপ ও জাপানের সঙ্গে। অর্থ ও বিনিয়োগসংক্রান্ত সংবাদমাধ্যম ইনভেস্টোপিডিয়াতে এমন উদাহরণ টেনে বলা হয়েছে, ডলারের বিপরীতে ইউরো বা জাপানি ইয়েনের দরপতন হলে, ইউরোপ বা জাপানে প্রস্তুতকৃত গাড়ির দাম ডলারের মাপকাঠিতে কমে যাবে। অন্যদিকে যে দেশের মুদ্রা বেশি শক্তিশালী সে দেশ থেকে রপ্তানিকৃত জিনিসের দাম অন্য দেশের বাজারে বেশি হয়। যেমন, ডলার অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী বলে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত পণ্য অবমূল্যায়িত মুদ্রায় কিনতে গেলে সেটি অধিকতর ব্যয়বহুল হবে। অর্থাৎ দুর্বল মুদ্রার দেশের আমদানি ব্যয় বেড়ে যায়। আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক ২০১৫-তে বলা হয়, মুদ্রার দর ১০ শতাংশ কমালে রপ্তানির পরিমাণ জিডিপির দেড় শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। সুতরাং এতে বিশ্ববাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেড়ে যায়। এতে রপ্তানি উৎসাহিত হয়, নিরুৎসাহিত হয় আমদানি। তবে দুটি কারণে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। প্রথমত, বিশ্বব্যাপী কোনো দেশের পণ্যের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সে সবের মূল্যও বাড়তে শুরু করবে। অবমূল্যায়নের প্রাথমিক উপকারটুকু আর মিলবে না তখন। দ্বিতীয়টি হলো, অন্যান্য দেশগুলো যখন এই প্রভাবটি টের পাবে তারাও নিজেদের মুদ্রামান নিচে নামাতে চেষ্টা করতে পারে। ফলে তখন একটি ‘ওয়্যার অব কারেন্সি’ বা ‘মুদ্রা-যুদ্ধ’ দেখা দিতে পারে এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকেই তা অনিয়ন্ত্রিত মুদ্রাস্ফীতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস করা এই ধরনের পদক্ষেপে রপ্তানি উৎসাহিত এবং আমদানি নিরুৎসাহিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট দেশের রপ্তানি বাড়বে এবং আমদানি কমবে। এতে বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস পায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ্ উদ্দিন আহমেদ বলেন, যখন কোনও দেশের ফরেন কারেন্সি কম আসে, সেই তুলনায় দেশ থেকে বিদেশি মুদ্রা বেশি বেরিয়ে যায় তখন ডিভ্যালুয়েশন করতে হয়। সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাওয়া, আমদানি বৃদ্ধি প্রভৃতি কারণে সাধারণত বৈদেশিক মুদ্রার সংকট দেখা দেয় বলে জানান সালেহ্ উদ্দিন আহমেদ। এতে বাণিজ্য ঘাটতিও প্রকট হয়। টানা ঘাটতি অবশ্য খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও অনেক দেশই বছরের পর বছর ধরে ভারসাম্যহীন বাণিজ্য চালিয়ে আসছে। বাংলাদেশেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাণিজ্য ঘাটতি হাজার কোটি ডলারের ওপরে ঘোরাফেরা করেছে। ইনভেস্টোপিডিয়া জানাচ্ছে, অর্থনীতির তত্ত্ব অনুসারে টানা ঘাটতি দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর। এটি দেশকে বিপজ্জনক ঋণ পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। পঙ্গু করে দিতে পারে একটি অর্থনীতিকে। ‘হোম কারেন্সি’র বা নিজস্ব মুদ্রার অবমূল্যায়ন লেনদেনের ভারসাম্য ঠিক রেখে এই ঘাটতি কমাতে সাহায্য করতে পারে। যদিও এই যুক্তির একটি নেতিবাচক দিকও আছে। দেশের মুদ্রার অবমূল্যায়ন বিদেশি ঋণের বোঝাও বাড়িয়ে দেয়। ইনভেস্টোপিডিয়া বলছে, ভারত, আর্জেন্টিনা বা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে যেখানে ডলার বা ইউরোতে ঋণ শোধ দিতে হয় তাদের জন্য এটা বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিতে পারে। অর্থনৈতিক সংকটের মুখে ২০২২ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কা রুপিকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত অবমূল্যায়িত করে। আইএমএফের ঋণ প্রাপ্তির শর্ত হিসেবে এটি করেছিল তারা। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক, আগের বছরের অক্টোবর থেকে প্রচলিত ২০০-২০৩ টাকার সীমা থেকে বাড়িয়ে প্রতি ডলারে ২৩০ টাকা বিনিময় হারের সীমা নির্ধারণ করেছিল। রয়টার্সকে কয়েকজন বিশ্লেষক তখন বলেন, সম্ভবত রেমিট্যান্সকে উৎসাহিত করার জন্য রুপির অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার অন্যতম প্রধান উৎস প্রবাসী আয়। ২০২১ সালে কোভিড মহামারির ফলে এই আয় ১০ বছরের সর্বনিম্ন ৫.৪৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছিল। মুদ্রা বাজারে শিথিলতা আইএমএফের ঋণ পাওয়ার পূর্বশর্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছিল। সরকারের ঋণের ভার লাঘব করা কোনো সরকারের যদি বড় অংকের ঋণ থাকে মুদ্রার মান কমলে তাদের সুবিধা হয়। কারণ, যদি পরিশোধের হার সমান থাকে তাহলে টাকার দাম কমলে তাকে সময়ের সঙ্গে কম অর্থমূল্য পরিশোধ করতে হয়। ধরা যাক, সরকারকে তার বকেয়া ঋণের সুদ পরিশোধে প্রতি মাসে ১০০ টাকা দিতে হয়। যদি দেশীয় মুদ্রার অর্ধেক অবমূল্যায়ন করা হয়, তাহলে ১০০ টাকার মান ৫০ টাকার সমান হয়ে যাবে। সুতরাং অবমূল্যায়নের পর ১০০ টাকা শোধ করলে আদতে সরকারের আর্থিক সম্পদ কমবে ৫০ টাকার। আবার, এই কৌশলটিও সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে ইনভেস্টোপিডিয়ায়। ‘যেহেতু, বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেরই কোনো না কোনোভাবে কিছু ঋণ বকেয়া থাকে, তাই একটি ‘রেস টু দ্য বটম কারেন্সি ওয়্যার’ বা মুদ্রা হিসেবে তলানিতে যাবার যুদ্ধও শুরু হয়ে যেতে পারে’, সতর্ক করে দিচ্ছে তারা। যদি দেশটিতে প্রচুর পরিমাণে বিদেশি বন্ড বা বিদেশি ঋণ থাকে সেগুলোর সুদের অর্থ দিতে হিমশিম খেতে হবে। তখন আর এই পদ্ধতি কাজ করবে না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। অবমূল্যায়নের ধরন ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ব্লগের এক প্রবন্ধে বলা হয়েছে, যদি কোথাও ভিন্ন ভিন্ন দামে ডলার বেচাকেনা হয় তাহলে বিনিময় হারের সেই ব্যবধানকে একত্রিত করার দুটি পন্থা রয়েছে। ‘হোয়াট কান্ট্রিজ নিড টু কনসিডার হোয়েন ডুয়াল এক্সচেঞ্জ রেটস আর আ প্রবলেম’ বা দ্বৈত বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণে করণীয় নিয়ে লেখা ওই প্রবন্ধটি ২০২১ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। তাতে উল্লিখিত পন্থাদুটির প্রথমটি এক দফায় বা ‘বিগ ব্যাং’ পদ্ধতিতে এবং দ্বিতীয়টি ধাপে ধাপে বা ধীরে ধীরে অবমূল্যায়ন। বিগ ব্যাং পদ্ধতিতে আকস্মিক অবমূল্যায়ন বাণিজ্যে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে বলে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ব্লগের ওই প্রবন্ধে সতর্ক করা হয়েছে। তখন, রপ্তানি করে স্থানীয় মুদ্রায় বেশি অর্থ উপার্জন করা যাবে। কিন্তু আমদানি হয়ে যাবে ব্যয়বহুল। কারণ, সমপরিমাণ ডলারের জন্য আগের চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে। এটি বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের খরচ হুট করে বাড়িয়ে দেয়। ফলে আন্তর্জাতিক ঋণ শোধে অসুবিধা হতে পারে। বিশ্বব্যাংকের ব্লগে আরও বলা হয়, যদি দেশি ব্যাংকগুলো তাদের দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রে খুব বেশি ডলার-নির্ভর হয়, শেষে তা একটি ব্যাঙ্কিং সংকটের দিকে নিয়েও যেতে পারে। কারণ, তখন তার‍ল্য সংকট দেখা দিতে পারে। বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এখানে জোর করে ডলারের বিপরীতে টাকার মান ৭৯ বা ৮০তে ধরে রাখা হয়েছিল। বাংলাদেশের ব্যাংকের উচিত ছিল কম দামে ডলার বিক্রি না করে বাজারকে অনুসরণ করে ‘ডিভ্যালু’ করা। “তা না করে অল্প দিনের মধ্যেই একশোর কোটা পেরিয়ে যাওয়ায় অর্থনীতি সামাল দিতে বেগ পেতে হচ্ছে।” তবে, এ ধরনের অবমূল্যায়নের মূল সুবিধা হলো একবারেই মুদ্রার মানে পরিবর্তন ঘটে যায়। ফলে বারবার পরিবর্তনের অস্থিরতা দেখা দেয় না। ক্রমান্বয়ে অবমূল্যায়নের পদ্ধতি ক্রমবর্ধমান হারে পরিবর্তন আনে। উচ্চ স্তরের বৈদেশিক ঋণ বা অভ্যন্তরীণ খরচের বড় অংশ আমদানিতে ব্যয় হলে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ইনভেস্টোপিডিয়ায়। নইলে একবারে ধাক্কাটা সামলানো কঠিন হয়ে যায়। সূত্র : বিবিসি বাংলা