• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বিশ্বকাপে দুইবার হ্যাটট্রিকের নায়করা

কুশল ইয়াসির

  ২৫ এপ্রিল ২০১৮, ১৬:৩৩

আর মাত্র ৫০দিন বাকি! আগামী ১৪ জুন রাশিয়ায় পর্দা উঠছে ফিফা বিশ্বকাপের। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল খেলায় এ পর্যন্ত মোট ৫০টি হ্যাটট্রিক করা হয়েছে।

৮৮ বছরের ইতিহাসে মোট চারজন দুটি করে হ্যাটট্রিক করেছেন। আর এই মহানায়কেরা হচ্ছেন সানডোর কোসিস, জাস্ট ফন্টেইন, জার্ড মুলার ও গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা।

সানডোর কোসিস

১৯৫৪ সালের আসরে মোট আটটি হ্যাটট্রিক হয়। এর মধ্যে দুটি করেন সানডোর কোসিস। গ্রুপ পর্বে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ছেলে খেলা করেছিল হাঙ্গেরি। এশিয়ার দলটির বিপক্ষে ৯-০ গোলে জয় পান তারা। একাই তিনটি গোল করেন কোসিস।

আরও পড়ুন : তাসকিনের নতুন বাসায় মিরাজ-সাব্বির

সুইজারল্যান্ড বিশ্বকাপে ফের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেন এই হাঙ্গেরিয়ান স্ট্রাইকার। এবার প্রতিপক্ষ শক্তিশালী পশ্চিম জার্মানি। ৮-৩ গোলে জয় পাওয়া ওই ম্যাচে চারটি গোল করেন কোসিস।

জাস্ট ফন্টেইন

১৯৫৮ বিশ্বকাপে ছয় ম্যাচে মোট ১৩ গোল করেছিলে জাস্ট ফন্টেইন। চমৎকার পারফরম্যান্সের কারণে এক বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ড এই কিংবদন্তির।

গ্রুপ পর্বে প্যারাগুয়ে আর তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে দুটি হ্যাটট্রিক করেছিলেন এই ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড।

জার্ড মুলার

জার্মান কিংবদন্তি জার্ড মুলার ১৯৭০ বিশ্বকাপে ছয় ম্যাচে ১০ গোল করেন। এতে ‘দ্য বোম্বার’ উপাধি পেয়ে যান।

মেক্সিকোতে আয়োজিত ওই বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে বুলগেরিয়া এবং পেরুর বিপক্ষে করে ফেলেন পর পর দুটি হ্যাটট্রিক। যদিও পুরো টুর্নামেন্টের প্রতিটি ম্যাচে দুর্দান্ত খেলতে থাকা মুলারের পশ্চিম জার্মানিকে সেমিফাইনালেই থামতে হয়েছিল। ইতালির বিপক্ষে ৪-৩ গোলে হারতে হয়েছিল জার্মানদের।

গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা

১৯৯৪ সালের আমেরিকা বিশ্বকাপে ডোপিং কেলেকাংরিতে জড়ান ডিয়েগো ম্যারাডোনা। বিশ্বসেরা তারকাকে ছাড়া মাঠে নামতে হয় আর্জেন্টিনা দলকে। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করলেন ২৫ বয়সী এক তরুণ। গ্রিসের বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই গোল করলেন গ্রাভিয়েল ওমার বাতিস্তুতা। শেষ পর্যন্ত ৪-০ গোলে জয় পায় আলসিলেবেস্তেরা। গ্রুপ পর্বে চ্যাম্পিয়ন হলেও শেষ ষোলোর লড়াইতে রোমানিয়ার কাছে ৩-২ গোলে বিদায় নেয় দুই বারের বিশ্ব সেরা দলটি।

সেই আসরে আরেকটি হ্যাটট্রিক হয়েছিল। ক্যামেরুনের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে ৬-১ গোলে জয় পায় রাশিয়া। পাঁচটি গোল একাই করেছিলেন রাশিয়ান ফরোয়ার্ড ওলেগ সালেনকো।

পরের আসরের কোয়ালিফাইয়িং ম্যাচগুলোতে তৎকালীন কোচ ড্যানিয়েল পাসারেলার সঙ্গে দ্বন্দ্ব থাকার কারণে বেশিরভাগ ম্যাচেই দলের হয়ে নামেননি বাতিস্তুতা। সমস্যা সমাধান হলে দলে মূল পর্বে দলে ফিরে আসেন।

১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে জ্যামাইকার বিপক্ষে ফের হ্যাটট্রিক ‘বাতিগোল’ খ্যাত এই তারকার। দল জয় পেলো ৫-০ গোলে। ফ্রেঞ্চ লিগের অন্যতম জনপ্রিয় দল মার্সেইর মাঠে কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডেসের বিপক্ষে ২-১ গোলে হারতে হয় আর্জেন্টাইনদের। ফের ভঙ্গ হয় বিশ্বকাপ স্বপ্ন।

আরও পড়ুন :

ওয়াই/জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh