বৃথা সৌম্যের দেড়শ, রেলিগেশন এড়ালো ব্রাদার্স
সৌম্য সরকারের ১৫৪ রানের ইনিংস চাপিয়ে শেষ বলে জয় তুলে নিলো ব্রাদার্স ইউনিয়ন। অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৩৩৫ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করে এবারের মতো রেলিগেশন এড়ালো দলটি। হারলেই নেমে যেতে হতো প্রথম বিভাগে। বলা যায় দুই দলের জন্যই ম্যাচটা বাঁচা-মরার ছিল।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠ ব্যাটসম্যানদের জন্য স্বর্গ বলা যায়। এই পিচে রান না পাওয়া মানে ব্যাটসম্যানের বিশাল ব্যর্থতা। বুধবার সকালে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
অগ্রণীর দুই ওপেনার শাহরিয়ার নাফিস আর সৌম্য সরকার দেখে শুনেই ইনিংস শুরু করেন। তবে ৮.১ ওভারের সময় ২৯ বলে ২৪ রান করে নাফিস থামলেও এত দ্রুত থামেননি সৌম্য।
১২৭ বলে ১৫৪ রানের ইনিংস খেলেন জাতীয় দলের এই ওপেনার। বাম-হাতি এই তারকার বিশাল এই ইনিংসে ছিল ১১টি ছয় আর নয়টি চার।
মিডল অর্ডারে ভারতীয় অলরাউন্ডার ঋষি ধাওয়ানের ১০২ বলে ৮০ রানের উপর ভর করে ৪৯.১ ওভারে অগ্রণী ব্যাংকের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩৩৪ রান। ব্রাদার্সের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন সোহরাওয়ার্দি শুভ আর শাখাওয়াত হোসেন।
বিকেএসপির এই মাঠে ৩৩৪ রান না শুধু, ৩৯৪ রানের লক্ষ্য দিয়েও প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে স্বস্তিতে থাকতে পারেনি আবাহনী লিমিটেড। এতটাই ব্যাটিং সহায়ক যে দেখে শুনে খেললেই ম্যাচ বের করে আনা যায়।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অগ্রণী ব্যাংকের বোলারদের উপর চেপে বসেন ব্রাদার্সের দুই ওপেনার মিজানুর রহমান আর জুনাইদ সিদ্দিকী।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: ‘কেউ আর নিরাপত্তার অজুহাত দেখাতে পারবেনা’
--------------------------------------------------------
এই জুটি থেকে আসে ১২১ রান। ১৩.৪ ওভারের সময় ৪৫ বলে ৬২ রান করে ইসলামুল আহসানের বলে সৌম্য’র হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মিজানুর রহমান।
মিজানুর ফিরলেও একে একে জুটি গড়েন জুনাইদ, মাইশুকুর রহমান, দেবব্রত দাসরা।
জুনাইদ করেন ৭৭ বলে ৮৩ রান। ৯৫ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলেন মাইশুকুর। মিডল অর্ডারে নেমে দেবব্রতর ৬২ বলে ৭৩ রানের ইনিংস ব্রাদার্সকে নিয়ে যায় জয়ের দ্বারপ্রান্তে। ইনিংসের শেষ বলে নাজমুস সাদাতের বাউন্ডারিতে ৪ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে ব্রাদার্স।
অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ভারতীয় অলরাউন্ডার ঋষি ধাওয়ান। ১টি করে উইকেট নেন শফিউল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক এবং ইসলামুল আহসান।
ব্রাদার্স ইউনিয়ন জয় পেলেও ১৫৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলার জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠে সৌম্য’র হাতে। এই হারে কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সঙ্গে প্রথম বিভাগ ক্রিকেটে নেমে গেলো অগ্রনী ব্যাংক।
আরও পড়ুন:
এমআর/ওয়াই
মন্তব্য করুন