• ঢাকা সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

চ্যাপেল বাদ দিলেও ভেঙে পড়িনি, লড়েছিলাম

স্পোর্টস ডেস্ক

  ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১১:৩৯

২০০৮ সালে ভারতের সফল অধিনায়কদের একজন হিসেবেই বিবেচিত হয়েছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। কিন্তু হঠাৎ করেই ওই বছরের ১০ নভেম্বর দেশের জার্সি গায়ে আর না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কেনো আচমকা এত বড় একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন? এতদিন পর সেই গোপন কথা ফাঁস করলেন কলকাতা মহারাজ।

চলতি মাসের শেষেই আত্মপ্রকাশ ঘটবে তার বই ‘আ সেঞ্চুরি ইজ নট এনাফ’-এর। আর সেই বইতেই অবসরে নেয়ার কারণসহ ভিতরের অনেক খবরই লিখেছেন। কোচ গ্রেগ চ্যাপেলের আমলে দল থেকে বাদ পড়ার পরও কীভাবে ঘুরিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন সৌরভ, সে কথা কারও অজানা নয়। কিন্তু সেই সৌরভ যে বুকের ভিতর কীসের ক্ষোভ আর অভিমান নিয়েই বাইশ গজকে বিদায় জানিয়েছিলেন, তা অনেকেরই অজানা। সে কথাই বিস্তারিতভাবে নিজের বইয়ে লিখেছেন তিনি।

ভারত-অস্ট্রেলিয়ার চার টেস্টের সিরিজ চলাকালীনই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এ নিয়ে সৌরভ বলছেন, ক্রিকেট ক্যারিয়ারে অনেকবার প্রত্যাখ্যান আর হতাশার শিকার হয়েছি। অনেক সমালোচনা শুনেছি। এখনও মনে আছে কীভাবে প্রত্যাখানগুলোকে মেনে নিয়েছিলাম। এতটাই চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে এগিয়েছি যে, মনে হত কোনও রোলার-কস্টারে চেপে রয়েছি। কোনো প্রতিভাবান অথচ আবেগপ্রবণ ব্যক্তি এমন পরিস্থিতিতে মাথানত করে ফেলেন। কিন্তু আমি লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলাম। মনকে বুঝিয়েছিলাম, এগুলো পাওনা। পরিশ্রম করলে ফল পাবই। তাই হাল ছাড়িনি। জানতাম একদিন জিতবই। আর তাই কখনও নিজের উপর আস্থা হারাইনি। আমি সফল হব। সেই সঙ্গে আমার দলও। এই প্রত্যাশা নিয়েই রোজ ঘুম থেকে উঠতাম।

কিন্তু ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দল বাছাই নিয়ে সৌরভ এতটাই ক্ষুব্ধ ছিলেন যে আর সেই অপমান সহ্য করতে পারেননি।

ঠিক কী হয়েছিল? টেস্ট শুরুর আগে ওয়ার্ম-আপ ম্যাচের জন্য বোর্ড প্রেসিডেন্ট একাদশ দলে রাখা হয়েছিল সৌরভকে। কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্তের নির্বাচন কমিটিই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এর অর্থ একশোরও বেশি ম্যাচ খেলা ভারতীয় অধিনায়ককে ফের ট্রায়ালের সামনে দাঁড় করানো হয়েছিল। সে দলে তার পারফরম্যান্স দেখেই বিচার হবে অজিদের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে তার ঠাঁই হবে কিনা।

আর এই বিষয়টিই মেনে নিতে পারেননি সৌরভ। স্মৃতির পাতা ঘেঁটে বলছেন, ভীষণ রাগ হয়েছিল। সেদিনই বাবাকে জানিয়েছিলাম, অনেক হয়েছে। এবার সিদ্ধান্তটা নিতেই হবে। বাবা শুনে একটু অবাকই হয়েছিলেন। চ্যাপেল আমায় দল থেকে বাদ দিলেও সে সময় এতটা ভেঙে পড়িনি। নিজের জন্য লড়েছিলাম। কিন্তু সেদিনের অপমান সহ্য করতে পারিনি।

তার বইয়ে তিনি আরও বলেন, আমার বিদায়ী টেস্টে তৎকালীন অধিনায়ক ধোনি ম্যাচের দায়িত্ব আমার কাঁধেই তুলে দিয়েছিলেন। শুরুতে আমি রাজি হইনি। কিন্তু তার জোরাজুরিতে শেষ পর্যন্ত রাজি হই। কিন্তু বেশিক্ষণ সেই দায়িত্ব নিয়ে খেলেননি।

তিনি বইয়ে লেখেন, অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ের শেষ পর্যন্ত বোলিং পরিবর্তন আর ফিল্ডিং সাজানো করেছি। কিন্তু মনোনিবেশ করতে পারছিলাম না। তিন ওভার পর আমি সেটা ধোনিকে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম এটা বলে, যে এটা তোমার কাজ। আর দু’জনেই হেসে ফেলেছিলাম।

গাঙ্গুলী বইয়ে তার হতাশার কথা বলতে গিয়ে বলেন, শেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি করতে না পারার হতাশা রয়েই গিয়েছে। প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে আউট হন। আর দ্বিতীয় ইনিংসে কোন রানই করতে পারেননি। যদিও সেই টেস্টে ভারত জয়ী হয়েছিল। এটাই সৌরভের কাছে আনন্দের।

সৌরভ বলেন, আমার শেষ ইনিংসে বাজে শট খেলে আউট হয়েছিলাম কোনও রান না করে। খারাপ শট ছিল। কিন্তু সেঞ্চুরি না করতে পারাটা হতাশ করে এখনও।

এএ/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
দিল্লি বিমানবন্দরে বাংলাদেশি গার্মেন্টসের রপ্তানি বাড়ায় ভারতীয় ব্যবসায়ীদের আপত্তি
৯ মে ঢাকায় আসছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রস‌চিব
বাইডেনের ‘জেনোফোবিক’ মন্তব্যে জাপান-ভারতের প্রতিবাদ 
ভারত থেকে আসবে পেঁয়াজ, এলসি খুলছেন ব্যবসায়ীরা
X
Fresh