দুটির বেশি বিদেশি লিগে খেলতে পারবেন না সাকিব-তামিমরা
বিশ্বজুড়ে এখন ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগের ছড়াছড়ি। আইপিএল, বিগ ব্যাশ, সিপিএল, পিএসএলের মতো চার-ছক্কার ধুম ধাড়াক্কা টুর্নামেন্টে নিয়মিত খেলছেন সাকিব-তামিমরা। তবে সেসব লিগে অবাধ বিচরণে এবার তাদের পায়ে শিকল পরাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বছরে দুটির বেশি বিদেশি লিগে খেলতে পারবেন না তারা। এরই মধ্যে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে বোর্ড। জানালেন বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
তার বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, বছরে দুটির বেশি বিদেশি লিগে খেলার জন্য কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা খেলোয়াড়েরা বিসিবি থেকে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) পাবেন না। নতুন এই বিধিনিষেধ সম্পর্কে এরই মধ্যে ক্রিকেটারদের অবহিত করা হয়েছে।
নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানান, ‘চিঠি দিয়ে চুক্তিবদ্ধ সব ক্রিকেটারকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। প্রতি বছর বাইরের দুটি লিগে খেলার জন্য আমরা অনাপত্তিপত্র (এনওসি) দেব। এ সিদ্ধান্ত দ্রুত কার্যকর হবে।’
সবার মনেই প্রশ্ন উঠতে পারে হঠাৎ করেই কেন এমন সিদ্ধান্ত? বিসিবি প্রধান নির্বাহীর বিবৃতিতে এর উত্তরও মিলেছে, ‘আমরা ক্রিকেটারদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিশ্চিত করতে চাচ্ছি। চাচ্ছি ইনজুরি ঝুঁকি এড়াতে। সব খেলোয়াড়কে আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফিট পেতে চাই। বিদেশি যেকোনো ফরম্যাটেই (টি-টেন, টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে) হোক না কেন বছরে দুটির বেশি লিগে খেলার অনুমতি পাবেন না চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটাররা।’
কার্যকর হতে যাওয়া এ বিধানে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও ক্রিকেটারদের খেলা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
কখন থেকে এমন ভাবনার উদ্রেক ঘটে? অবশ্য নিজামউদ্দিন চৌধুরীর ভাষ্যে এর উত্তর মেলেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর এ নিয়ে চিন্তাভাবনা করে বিসিবি। ওই সফরে গিয়ে চোটজর্জর হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ইনজুরির কারণে মাঝপথে ফিরে আসতে বাধ্য হন তামিম ইকবাল ও মুস্তাফিজুর রহমান।
এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সাকিব আল হাসান। একমাত্র বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বের সব ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ খেলে থাকেন তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে অন্য ক্রিকেটারদেরও সেসবে প্রবেশাধিকার বেড়েছে। এখন দেখার বিষয় বিসিবির এমন সিদ্ধান্তে ক্রিকেটারদের প্রতিক্রিয়া।
ডিএইচ
মন্তব্য করুন