• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বাংলাদেশের সামনে ৩৬৯ রানের পাহাড়

স্পোর্টস ডেস্ক

  ২২ অক্টোবর ২০১৭, ১৭:৫৬

ইস্ট লন্ডনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সম্মান ছাড়া পাওয়ার কিছুই নেই বাংলাদেশের। টেস্ট সিরিজে ধোলাই খেয়েছে টাইগাররা। প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ওয়ানডে সিরিজও হাতছাড়া। চোট-জর্জর বাংলাদেশ দলে আজ নেই দুই সেরা খেলোয়াড় তামিম ও মুস্তাফিজ। দুর্যোগের এমন ঘনঘটায় টাইগারদের উজ্জীবিত হওয়ার উপলক্ষ একটাই-প্রিয় ও হার না মানা ক্রিকেটারের অধিনায়কত্বের ৫০তম ম্যাচ। টাইগার-সমর্থকদের প্রত্যাশা ছিল, খাদের কিনারায় পড়া দলটির সবাই মাথা উঁচু করে, জার্সির কলার ঝুঁকিয়ে জয়টা ছিনিয়ে আনবে। অন্তত মাশরাফির সম্মানের জন্যই। তবে প্রথমার্ধে ব্যর্থ হয়েছেন বোলাররা। তাদের নির্বিষ বোলিংয়ে ৩৬৯ রানের পাহাড় গড়েছে প্রোটিয়ারা। এখন ব্যাটসম্যানরা সেই পাহাড় ডিঙাতে পারেন কি না-তাই দেখার।

রোববার ইস্ট লন্ডনের বাফেলো পার্কে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন স্বাগতিক অধিনায়ক ডু প্লেসিস। হাশিম আমলা বিশ্রামে থাকায় কুইন্টন ডি ককের সঙ্গে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামেন টেন্ডা বাভুমা। প্রায় ১ বছর পর ওয়ানডে খেলতে নামেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তবে তার ব্যাটিং দেখে তা বোঝার উপায় ছিল না। ডি ককের সঙ্গে উড়ন্ত সূচনা করেন বাভুমা। উদ্বোধনী জুটিতেই তুলে ফেলেন ১১৯ রান।

তাদের ব্যাটিং তাণ্ডবে গেলো দুই ওয়ানডের মতো এই ম্যাচেও শুরুতে উইকেটহীন থাকে বাংলাদেশ। অবশেষে দলকে কাঙ্ক্ষিত ব্রেক থ্রো এনে দেন মিরাজ। দলীয় ১১৯ রানে বাভুমাকে (৪৮) লং অনে লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান তিনি। প্রথম উইকেটের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হলেও দ্বিতীয়টি আসে দ্রুত। দলীয় ১৩২ রানে বিপজ্জনক ডি কককে কট অ্যান্ড বোল্ড করে ফেরান এই অফস্পিনার।

পর পর দুই উইকেট খোয়ানোয় রানের গতি একটু কমার কথা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। কিন্তু ঘটেছে ঠিক বিপরীত। তা ছিল ছিল বাংলাদেশ বোলারদের জন্য দুঃস্বপ্নের মতো। মাঠে নেমেই টাইগার বোলারদের ওপর স্টিম রোলার চালান এইডেন মার্করাম। রানের নহর বয় ডু প্লেসিসের ব্যাটেও। তাদের ব্যাটে উল্কার গতিতে ছুটে চলে প্রোটিয়ারা। বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।

ভালো খেলতে খেলতে হঠাৎই শারীরিক ব্যথা অনুভব করেন ডু প্লেসিস। শেষ পর্যন্ত মাঠে স্থায়ী হতে পারেননি তিনি। ফিজিওর কাঁধে চড়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান প্রোটিয়া অধিনায়ক (৯১)।

সহযোদ্ধার এমন দৃশ্য দেখার পর মাঠে টিকতে পারেননি এইডেন মার্করামও (৬৬)। দলীয় ২৮৯ রানে ইমরুল কায়েসের অসাধারণ থ্রোতে রানআউট হয়ে ফেরেন তিনি। এর সঙ্গে ডু প্লেসিস-মার্করাম জুটিতেও ভাটা পড়ে। বাংলাদেশও পায় স্বস্তি।

কিন্তু টাইগার শিবিরে সেই স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ক্রিজে এসেই ঝড় তোলেন গেলো ম্যাচে টাইগার বোলারদের চোখ ও নাকের জল এক করে দেয়া এবি ডি ভিলিয়ার্স। তবে সেই ঝড় বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ব্যক্তিগত ২০ রান করে রুবেলের বলে মাশরাফির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৩৬০ ডিগ্রী খ্যাত ব্যাটসম্যান।

ভিলিয়ার্সের বিদায়ের পর চটজলদি ফিরে যান প্রোটিয়া লেট অর্ডারের আরো দুই ব্যাটসম্যান। দলীয় ৩২৯ রানে তাসকিনের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফেরেন উইলিয়াম মুল্ডার (২)। এর কিছুক্ষণ পরই মুশফিকের গ্লাভসবন্দি করে আন্দিলে ফিকোয়াওকে (৫) ফেরান এই ডানহাতি পেসার।

তবে একপ্রান্তে শিকড় গেড়ে থেকে যান বেহারদিন। শেষদিকে কাগিসো রাবাদাকে নিয়ে যতটা সম্ভব দলের রান বাড়িয়ে চলেন তিনি। তাতে ক্যামিও খেলে যোগ্য সমর্থন দেন রাবাদাও। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৬৯ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। বেহারদিন ৩৩ ও রাবাদা ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন।

এদিন বাংলাদেশের সেরা বোলার তাসকিন আহমেদ ও রুবেল হোসেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটসম্যানদের টর্নেডোর মাঝে তারা তুলে নেন ২টি করে উইকেট।

ডিএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (২৬ এপ্রিল)
বাংলাদেশ-চীনের সামরিক মহড়া, যে প্রতিক্রিয়া জানাল ভারত
‘অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে বাংলাদেশের সম্পর্ককে দেখে না যুক্তরাষ্ট্র’
বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই : পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
X
Fresh