• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘চলতি বছরই থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার জন্য থাইল্যান্ডকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরই দেশটির সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর করা হবে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বর্তমানে থাই প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফরে রয়েছেন। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের কাছে থাইল্যান্ড একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সমুদ্রবন্দর কেন্দ্রিক যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। এর আগে থাইল্যান্ডের রাজা ও রানি মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রানি সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে রাজা ও রানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। সাক্ষাৎকালে তারা কুশল বিনিময় এবং দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এদিন সকালে জাতিসংঘের এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন। ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন। দুই দেশের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনার আগ্রহপত্রসহ বেশ কয়েকটি সহযোগিতার নথিতে স্বাক্ষর করবে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড। বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ড সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতিসংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে। পাশাপাশি শক্তি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ), সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য পর্যটন খাতে সহযোগিতা এবং শুল্কসংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আরও দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে পারে দুই দেশ।
২ ঘণ্টা আগে

থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে যান তিনি। এ সময় থাই প্রধানমন্ত্রী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। শুরুতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সেখানে থাই কুহ ফাহ বিল্ডিংয়ের সামনের লনে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এসময় থাইল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল কর্তৃক প্রদত্ত গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে স্রেথা থাভিসিন তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের শেখ হাসিনার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। শেখ হাসিনা পরে সরকারী ভবনের অতিথি বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করতে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক নথিতে স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে। সরকারি বাসভবন ত্যাগের আগে শেখ হাসিনা সেখানে আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তার থাই প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর করছেন।
১ ঘণ্টা আগে

থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ
থাইল্যান্ডের রাজা ও রাণী মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রানী সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে রাজা ও রানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং জানায়, থাইল্যান্ড সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডুসিট প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে রাজা এবং রানীর সাথে সাক্ষাৎ করেন।   সাক্ষাতকালে তারা কুশল বিনিময় এবং দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে বুধবার (২৪ এপ্রিল) থাইল্যান্ডে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । এর আগে সকালে জাতিসংঘের এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন। ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন। দুই দেশের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনার আগ্রহপত্রসহ বেশ কয়েকটি সহযোগিতার নথিতে স্বাক্ষর করবে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড। বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ড সরকারী পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে। পাশাপাশি শক্তি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ), সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য পর্যটন খাতে সহযোগিতা এবং শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আরও দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে পারে দুই দেশ।
৫ ঘণ্টা আগে

যুদ্ধ নয়, আলোচনায় সমাধান সম্ভব : প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধ নয়, আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-ইরান যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যুদ্ধ কখনো কোনো সমাধান দিতে পারে না। তাই যুদ্ধ বন্ধ করে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়-বিষয়ক জাতিসংঘের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন, ইসরাইল-ইরান-প্যালেস্টাইনের যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আমি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। যুদ্ধের ভয়াবহতা আমি জানি। বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধ চায় না। যুদ্ধের কারণে যারা এখনও বিভিন্নভাবে কষ্ট পাচ্ছেন তাদের দিকে দেখে বিশ্বনেতাদের যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা এবং মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিয়ন্ত্রণে আসিয়ানকে ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। এর আগে, গতকাল বুধবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দেশটিতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। থাইল্যান্ডে পৌঁছালে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় বরণ করে নেওয়া হয়। থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত মন্ত্রী পুয়াংপেট চুনলাইদ অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দরে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান এবং ১৯ রাউন্ড গান স্যালুট দেওয়া হয়। থাইল্যান্ডে পৌঁছানোর পর শেখ হাসিনা দেশটির প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) একান্ত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। এরপর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন। সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে থাই প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া একটি রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী রাজপ্রাসাদে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরাক্লাওচাওয়ুহুয়া এবং রানী সুথিদা বজ্রসুধাবিমলালক্ষণের রাজকীয় দর্শকদের সঙ্গে থাকবেন। ২৫ এপ্রিল ইউএনএসক্যাপ-এর ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন। একইদিনে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল এবং এসক্যাপের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫২

ঢাকায় কাতারের আমির, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক আজ
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি দুদিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন। সফরের দ্বিতীয় দিন আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন কাতারের আমির। দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকগুলো (এমওইউ) সই হ‌বে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তিনি। সফরে কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হওয়ার কথা রয়েছে। চুক্তিগুলো হলো- দ্বৈতকর পরিহার, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা, সাগরপথে পরিবহন, বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বদলি ও যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন। সমঝোতা স্মারকের মধ্যে রয়েছে- শ্রমশক্তি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, বন্দর পরিচালনা, উচ্চ শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যুব ও ক্রীড়া সহযোগিতা এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ সহযোগিতা। এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানান, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাতারের আমিরের সফরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে জ্বালানি বিষয়ে দুদেশের মধ্যে বহুমুখী আলোচনা হবে। এ ছাড়া বিপুল অঙ্কের সার্বভৌম তহবিল রয়েছে কাতারের এবং বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনাময় বিনিয়োগের উৎস হতে পারে ওই তহবিল। একইসঙ্গে বাংলাদেশের জন্য জ্বালানি আমদানির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসও কাতার। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও কাতারের বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর, বন্ধুত্বপূর্ণ ও বহুমুখী। কাতার বঙ্গবন্ধুর সরকারকালীন ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া অন্যতম মুসলিম রাষ্ট্র। প্রধানমন্ত্রীর বিগত ২০২৩ সালের মার্চ ও মে মাসে দুবার কাতার সফরের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সুদৃঢ় অবস্থানে উপনীত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কাতারের আমিরের এ সফর। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও কাতারের বন্ধুত্বের নিদর্শনস্বরূপ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন মিরপুরের কালশী এলাকায় বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী উড়াল সেতু পর্যন্ত সড়কটি আমিরের নামে নামকরণ করার কার্যক্রম চলছে। আগামী ২৩ এপ্রিল বিকেল ৩টায় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির এ দুটি স্থাপনা উদ্বোধনের কথা রয়েছে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নতুন সরকার গঠনের পর মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ থেকে এটিই প্রথম উচ্চপর্যায়ের সফর।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৩

জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম : শেখ হাসিনা  
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণে বাংলাদেশের অবদান খুবই সামান্য হলেও ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। জলবায়ু পরিবর্তনের এ বিরূপ প্রভাব বাংলাদেশের সম্ভাব্য উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য হুমকি। সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ন্যাশনাল অ্যাডাপশন প্ল্যান (ন্যাপ) এক্সপো-২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় সবসময়ই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।  প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি। যাতে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস পায়। এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ লাখ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন এবং গ্রামাঞ্চলে ৪৫ লাখেরও বেশি উন্নত চুলা বিতরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা ২০২৩ সালে মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান (এমসিপিপি) প্রণয়ন করেছি। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে বিপদাপন্নতা থেকে সহিষ্ণুতা এবং সহিষ্ণুতা থেকে সমৃদ্ধি পর্যায়ে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এমসিপিপিতে অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রমে স্থানীয় জনগণের স্বপ্রণোদিত অংশগ্রহণ, প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান ও সমাজের সকলের অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় ১৯৯২ সালে। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক আগেই ১৯৭২ সালে এ বিষয়ে কার্যকর ও সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষার জন্য ১৯৭২ সালে তিনি উপকূলীয় বনায়নের সূচনা করেন। একই বছর ‘ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি’ প্রণয়ন করেন যা ১৯৭৩ সালে উদ্বোধন করা হয়। জীবন ও সম্পদ রক্ষায় তিনি উপকূলীয় অঞ্চলে ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেন। এসব আশ্রয়কেন্দ্র স্থানীয়দের কাছে ‘মুজিব কিল্লা’ নামে পরিচিত। ‌বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফোরামে উত্থাপন করেছিলেন। ১৯৭৪ সালের ২৫-এ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে প্রদত্ত ভাষণে তিনি বলেছিলেন, দুর্যোগের কবলে পড়ে যে সকল দেশ বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাংলাদেশ তাদের অন্যতম। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্ব সমাজকে এগিয়ে আসার উপযোগী একটি নিয়মিত প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গঠনে বাংলাদেশের বিশেষ স্বার্থ নিহিত রয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, দেশের উদ্ভিদ প্রজাতি সংরক্ষণ ও গবেষণার জন্য তিনি ১৯৭৫ সালের ১ জুলাই ন্যাশনাল হার্বেরিয়াম প্রতিষ্ঠা করেন। দেশের বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর সার্মথ্য অর্জনে তিনি বহুবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নিজস্ব সম্পদ দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। অভিযোজন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ২০০৯ সালে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড’ প্রতিষ্ঠা করেছি। এর আওতায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ৯ শত ৬৯টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সরকার প্রধান বলেন, সামুদ্রিক বাঁধ, সাইক্লোন শেল্টার, উপকূলীয় বনায়ন ইত্যাদি কর্মসূচিতে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ২৫টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে সংঘটিত ১৯৭০ সালে মহাপ্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু ২০২৩ সালে ঘূর্ণিঝড় মোখায় কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। এটি জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বাংলাদেশের সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ।  সরকার প্রধান আরও বলেন, আমরা গত ১৫ বছরে পার্বত্য ও শাল বনাঞ্চলের প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার ৫শ ৪৮ হেক্টর এলাকায় বৃক্ষরোপণসহ ৮৯ হাজার ৮শ ৫৩ হেক্টর উপকূলীয় বন সৃজন করেছি। স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে আমরা সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০১০ (সংশোধিত) প্রণয়ন করেছি। জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারের জন্য কক্সবাজার জেলায় আমরা বিশ্বের বৃহত্তম ‘খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প’ নির্মাণ করেছি। এ প্রকল্পের আওতায় ১৩৯টি বহুতল ভবন নির্মাণ করে ৪ হাজার ৪০৯টি জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া আমরা জলবায়ু উদ্বাস্তু, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভূমিহীন, গৃহহীন, সমাজের পিছিয়ে পড়া অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষকে জমিসহ ঘর প্রদান করেছি এবং তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত আমরা প্রায় ৪২ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন করেছি। এ সময় জলবায়ু অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি ও ঝুঁকি হ্রাসে আন্তর্জাতিকভাবে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণে ৬ দফা প্রস্তাবনার দেন প্রধানমন্ত্রী।  
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০৪

নতুন সরকারের ১০০ দিন
দেশে টানা চতুর্থ দফা ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ, এই মেয়াদে সরকারের প্রথম ১০০ দিন পূর্ণ হলো শনিবার (২০ এপ্রিল)। প্রথম ১০০ দিন নিয়ে সরকারের ঘোষিত কর্মসূচি না থাকলেও ছিল বেশ কিছু উদ্যোগ। এর মধ্যে অন্যতম হলো– দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠা, জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে তোলা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও নাগরিক অধিকার সুরক্ষা। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এসব উদ্যোগের অনেকটির ক্ষেত্রেই কাঙ্ক্ষিত সফলতা এসেছে।  নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ  বর্তমান সরকারের ১০০ দিনের মধ্যে রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। সরকারের নানামুখী পদক্ষেপে স্বস্তিতে কেটেছে রমজান মাস। শাকসবজি, পেঁয়াজ ও ফলমূলসহ স্থানীয় মৌসুমি ফলের দাম ছিল নিম্নমুখী। ব্যাপকভাবে কমেছিল তরমুজের দাম। চাল, ভোজ্যতেল, চিনি, গম ও আটার দাম অপরিবর্তিত ছিল। জিরার পাশাপাশি দেশি পেঁয়াজ, দেশি রসুন, শুকনা মরিচ, হলুদসহ কয়েকটি মসলার দামও কম ছিল। সুলভে দুধ, ডিম, মাংস কিনেছে ৬ লাখ মানুষ রোজায় ঢাকাসহ ৩৫ জেলায় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম, মাংস বিক্রি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এতে প্রায় ছয় লাখ মানুষ এসব পণ্য কিনেছে বলে জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ৩৫টি জেলায় এসব পণ্য বিক্রি হয়েছে। উদ্বোধনের দিন থেকে ২৭ রোজা পর্যন্ত মোট পাঁচ লাখ ৯১ হাজার ৯৭১ জন সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম, মাংস কিনেছেন। গরিব মানুষের জন্য ঈদ উপহার ঈদ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণভান্ডার থেকে গরিবদের শাড়ি, লুঙ্গি ও পাঞ্জাবি দেওয়া হচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে ঈদ উপহার হিসেবে প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল বিতরণের কাজ চলছে। জনপ্রতিনিধিরাও নিজ নিজ আসনের দুস্থ মানুষকে উপহারসামগ্রী দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণভান্ডার থেকে দেশের ৩০০ সংসদ সদস্যের মাধ্যমে গরিব মানুষের জন্য সাত ধরনের উপকরণ দেওয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে শাড়ি, থ্রি-পিস, পাঞ্জাবি, শার্ট, প্যান্ট, লুঙ্গি ও বিভিন্ন ধরনের পোশাক।  স্বাস্থ্য খাতে শৃঙ্খলা ফেরানোর চেষ্টা  স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ১০০ দিনের কোনো পরিকল্পনা নেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘স্বাস্থ্য খাতের জন্য এক শ’ দিন খুবই অল্প সময়। ১০০টি হাসপাতালও এখন পর্যন্ত পরিদর্শন করতে পারিনি। তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন ও বেসরকারি হাসপাতালে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করছি। সেবামূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। অবৈধ হাসপাতাল বন্ধে কাজ চলমান। সেবা বিকেন্দ্রীকরণে উদ্যোগ হাতে নিয়েছি।’ স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য খাত দুর্নীতিমুক্ত করা মূল লক্ষ্য বলে জানান তিনি। দুর্নীতিমুক্ত ভূমি ব্যবস্থাপনা দুর্নীতিমুক্ত ভূমি ব্যবস্থাপনা কার্যকর করতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের হটলাইন ১৬১২২, ফেসবুক, ওয়েবসাইট ও সরকারের ৩৩৩ হটলাইনের মাধ্যমে ভূমির দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ দুর্নীতিমুক্ত ভূমি ব্যবস্থাপনা কার্যকর করতে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছেন। এ লক্ষ্যে তিনি এসিল্যান্ড অফিস, ইউনিয়ন ভূমি অফিস পরিদর্শন করছেন। এরই মধ্যে ঢাকার ধানমন্ডি ও লালবাগ এসিল্যান্ড অফিস পরিদর্শন করেছেন। দেশের ১৬টি জেলা, ৩২টি উপজেলা, ৬৪টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসকে ঘিরে এক শ’ দিনের পরিকল্পনার আওতায় আনা হয়েছে। জেলা পর্যায়ের জমির মালিকদের খতিয়ান দেওয়া, উপজেলা পর্যায়ে নামজারি নিশ্চিত করা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় নিশ্চিত করা হচ্ছে।  এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র‍্যাম্প চালু সরকারের প্রথম ১০০ দিনে বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগে। এ বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন শনিবার গণমাধ্যমকে বলেন, গত ১০০ দিনের মধ্যে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি গেটের কাছের র‍্যাম্প চালু হয়েছে। এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাশ পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সড়ক চারলেন করা হয়েছে। বিআরটির বোর্ডবাজার পর্যন্ত নিচের অংশও চালু হয়েছে। ঢাকা ইপিজেড থেকে তিন কিলোমিটার সড়ক নতুন দুটি লেন চালু করে মোট তিনটি লেন হয়েছে। এসব কারণে ঈদযাত্রা সহজ হয়েছে। এ সময় আরও কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, যেগুলোর সুফল আগামীতে দেখা যাবে। চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে চায় সরকার ২০২৬ সালে এলডিসি তালিকা থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার এ সময়ের মধ্যেই চীনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করতে চায় বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে গত ২৮ মার্চ যৌথভাবে খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করে দু’দেশ। এরও আগে গত ডিসেম্বরে জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের এফটিএ স্বাক্ষরের লক্ষ্যে যৌথ সমীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। একইভাবে অন্যান্য দেশের সঙ্গে এ ধরনের কার্যক্রম এগিয়ে নিতে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টায় ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো গত ৭ জানুয়ারির ভোটের পর বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার কথা বলেছে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো। এর মধ্যে রয়েছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সবচেয়ে তৎপর দেশ যুক্তরাষ্ট্রও। দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছ থেকে এসেছে দু’দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বার্তা। নির্বাচনের পরপরই সম্পর্ক জোরদারে ঢাকা সফরে আসেন চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ভাইস মিনিস্টার। নতুন সরকার গঠনের পর জার্মানির মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথম ১০০ দিনে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সুইডেনের রাজকন্যা, আয়ারল্যান্ডের বাণিজ্যমন্ত্রী, ভুটানের রাজা, ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারিসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা বাংলাদেশ সফর করেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতসহ বিভিন্ন দেশে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় ফোরামের বৈঠকে অংশ নেন। কাতার, জর্ডান ও মরিশাসে কর্মী পাঠানো চূড়ান্ত প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন জানান, সরকারের প্রথম ১০০ দিনে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রচুর কাজ করেছে। এ সরকারের প্রথম তিন মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭০০ মিলিয়ন ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। কাতার, জর্ডান ও মরিশাসে কর্মী পাঠানোর বিষয়টি চূড়ান্ত প্রায়। নতুন শ্রমবাজারের মধ্যে রাশিয়াতে শ্রমিক যাওয়ার বিষয়টিও প্রায় চূড়ান্ত। কোরিয়া ও জর্ডানে গার্মেন্টস শ্রমিক যাবে। কুয়েতে যাবে নার্স। কথাবার্তা চলছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া দুবাইয়েও শ্রমিক যাবে। এ মন্ত্রণালয়ের বড় কাজ দক্ষ শ্রম জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা, সেটি জোরদার করা হয়েছে। বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ  পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, পানিদূষণ, প্লাস্টিক-পলিথিন দূষণ এবং পাহাড় কাটা বন্ধে অংশীজনের পরামর্শ নিচ্ছেন। মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি নিশ্চিত করতে তিনি চেষ্টা চালাচ্ছেন। বৈশ্বিক বায়ুদূষণ সূচকে প্রথম দিকে থাকা ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়। বায়ুদূষণ মান ২৫০-এর উপরে গেলে অ্যালার্ট জারি করার ঘোষণা দেন মন্ত্রী। আড়াই মাস ধরে পরিবেশ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে বায়ুদূষণ নিয়ে প্রতিদিন তথ্য থাকছে। কক্সবাজারের উন্নয়নে মাস্টারপ্ল্যান  গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, সরকারের প্রথম ১০০ দিনে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাস্টারপ্ল্যান প্রজেক্টের আওতায় উপাত্ত সংগ্রহ (ডেটা কালেকশন) ও জিআইএস তথ্য সংগ্রহ করে বিশেষজ্ঞ মতামত সংগ্রহ হয়। তা ছাড়া মহেশখালীতে নির্মাণাধীন যাত্রী ছাউনি ও ভাস্কর্যের প্রথম ধাপের কাজ শেষ করে দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরু হয়েছে।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৮

মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কেউ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা বারবার ক্ষমতায় এসেছে, তারা এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, এটাই দুর্ভাগ্য। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পুরাতন বাণিজ্যমেলার মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ’৭৫ পরবর্তী যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তাদের কারও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা ছিল না মন্তব্য করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো। কিন্তু অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা বারবার ক্ষমতায় এসেছে, তারা এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, এটাই দুর্ভাগ্য। খাদ্যের পর পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই সরকারের লক্ষ্য জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির সময়ে খাদ্য ঘাটতি ছিল। এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে দেশ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করলাম, তখন দেখলাম ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি। এ অবস্থায় আমরা যাত্রা শুরু করেছি। তখন রিজার্ভ মানিও তেমন ছিল না। এশিয়ায় তখন খাদ্যমন্দা। আমাদের লক্ষ্য ছিল, আমরা কারও কাছে হাত পেতে চলব না। নিজের ফসল নিজে উৎপাদন করব। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সবসময় বলতেন, ‘আমরা কারও কাছে ভিক্ষা চাইব না, কারণ ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না। আমরা মানসম্মান নিয়েই বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে চাই।’ সেই আদর্শে আমরা দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি। অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ১৮ থেকে ২২ এপ্রিল দেশব্যাপী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে ১৮ ও ১৯ এপ্রিল দুই দিন প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া দেশব্যাপী ৬৪টি জেলার ৪৬৬টি উপজেলায় এই প্রদর্শনী একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। এসব প্রদর্শনীতে স্ব স্ব উপজেলা থেকে উন্নত জাতের এবং অধিক উৎপাদনশীল জাতের গবাদিপশু যেমন- গাভী, বাছুর, ষাঁড়, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, মুরগি, হাঁস, দুম্বা, কবুতর, সৌখিন পাখি, পোষা প্রাণী এবং বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রদর্শন ইত্যাদি স্থান পাবে।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৫৯

২৪ এপ্রিল থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
আগামী ২৪ এপ্রিল থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্যাংককে ইউএনএসকাপ কমিশনের ৮০তম সভা এবং দ্বিপক্ষীয় সফরে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি দেশটি সফর করবেন বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে ছয়টি চুক্তি হতে পারে আশা করা হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রস্তুতি নিচ্ছি। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শীর্ষ পর্যায়ের সফর নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত সৌদি আরব ও গাম্বিয়া সফর বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র। সৌদি আরবে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের বিশেষ বৈঠক এবং গাম্বিয়াতে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনের শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য সফরের কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এ বিষয়ে একজন কর্মকর্তা বলেন, মঙ্গলবার বিকালেও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ওই তিনটি সফরে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু রাতে এ সফর বাতিলের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৪

দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
দেশবাসীকে ‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩১’-এর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ শুভেচ্ছা জানান। শেখ হাসিনা বলেন, আসুন, নতুন বছরে অতীতের সকল ব্যর্থতা-দুঃখ-গ্লানি পিছনে ফেলে সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করি।  দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, বর্ষ পরিক্রমায় আবারও আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে নতুন বছর। আপনারা যারা দেশে-বিদেশে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের সকল ভাই-বোনকে জানাই বঙ্গাব্দ ১৪৩১-এর শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ। কবি সুফিয়া কামালের ভাষায় উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন- ‘পুরাতন গত হোক! যবনিকা করি উন্মোচন তুমি এসো হে নবীন! হে বৈশাখ! নববর্ষ! এসো হে নতুন।’ শুভ নববর্ষ। উল্লেখ্য, আগামী রোববার (১৪ এপ্রিল) সারাদেশে উদযাপিত হবে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। সূত্র : বাসস
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৩৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়