• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
প্রবাসীর স্ত্রীকে টার্গেট করে প্রতারণা, হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা
প্রথমে নারীদের টার্গেট করেন। বিভিন্নভাবে কৌশলে ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও নিজের মোবাইলে কপি করে নেন। এরপর ব্লাকমেইল কতরে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা। তার নাম নুরুল ইসলাম ভুটো (৪০)। বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে। প্রবাসীর স্ত্রীর অশ্লীল ছবি টিকটকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে শ্বশুরবাড়ি থেকে ভুটোকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এসময় তার কাছ থেকে অশ্লীল ছবিসহ মোবাইলফোন জব্দ করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোরে সিরাজপুর ইউনিয়নের বড় রাজাপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার নুরুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের শ্যামেরগাঁও গ্রামের আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন আহমেদ। পুলিশ জানায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার এক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীর স্ত্রী (৩২) বসুরহাট আরডি শপিং মলে মোবাইল মেরামত করতে যান। এসময় নুরুল ইসলাম মেকানিক সেজে তার মোবাইল থেকে ব্যক্তিগত ছবি সরিয়ে রাখেন। পরে ওই ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। নুরুল ইসলাম বিভিন্ন সময়ে ওই নারীর কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেন। পরে তিনি শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় ওই নারীর ব্যক্তিগত ছবি টিকটকে ছেড়ে দেন। বিষয়টি ভুক্তভোগীর ভাই নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানকে লিখিত ভাবে জানালে তিনি ডিবিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। ওসি নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন নুরুল ইসলাম ভুটো। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে

নওগাঁয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে সালাউদ্দিন ওরফে টনি (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।  সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।   জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল খালেক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আদালত ও মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে নিয়ামতপুর উপজেলার ধানসা গ্রামের আবু কালামের মেয়ে তুকাজ্জেবার (২৪) সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের সালাউদ্দিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সালাউদ্দিন তুকাজ্জেবার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। ২০২০ সালের ২৯ জুন তুকাজ্জেবা স্বামী সালাউদ্দিনকে নিয়ে বাবার বাড়ি নিয়ামতপুরের ধানসা গ্রামে বেড়াতে আসেন। পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুরবাড়িতে থাকা অবস্থায় ১ জুলাই সালাউদ্দিন তার স্ত্রী তুকাজ্জেবার গলায় কাঁচি দিয়ে খুঁচিয়ে গুরুতরভাবে জখম করে। ওই দিন সকাল সাড়ে ৫টার দিকে তুকাজ্জেবা ও সালাউদ্দিনের ঘর থেকে চিৎকারের শব্দ পেয়ে তুকাজ্জেবার বাবা ও মা  বাইরে থেকে ঘরের দরজা খোলার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে প্রতিবেশীরা দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে তুকাজ্জেবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় সালাউদ্দিনের হাতে কাপড় কাটার কাঁচি দেখতে পান প্রতিবেশীরা। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তুকাজ্জেবাকে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্ত্রীকে আহত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন সালাউদ্দিনকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় নিহত তুকাজ্জেবার বাবা আবু কালাম বাদী হয়ে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে নিয়ামতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে  মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ২০২২ সালের ২২ জুন আদালতে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালতে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল খালেক এবং আসামিপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আতিকুর রহমান। সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল খালেক বলেন, সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করেছেন। রায়ে হাইকোর্ট বিভাগে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা সাপেক্ষে আসামি সালাউদ্দিনকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে।  এ রায় হত্যা মামলার ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করেন আইনজীবী আব্দুল খালেক।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১২

স্ত্রীকে টয়লেট ক্লিনার খাওয়ানোর অভিযোগ তুললেন ইমরান
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান দাবি করেছেন, তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে টয়লেট ক্লিনার মিশ্রিত খাবার খাওয়ানো হয়েছিল। শনিবার (২০ এপ্রিল) পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।  রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের দুর্নীতির রেফারেন্সের শুনানির সময় ইমরান খান বিচারক নাসির জাভেদ রানাকে জানান, আদালত কক্ষে অতিরিক্ত দেওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে, যা একটি বন্ধ আদালতের পরিবেশ তৈরি করেছে। শওকত খানুম হাসপাতালের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. আসিম ইউসুফ শিফা ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে বুশরা বিবির পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (পিআইএমএস) হাসপাতালে পরীক্ষা করানোর ব্যাপারে জেল প্রশাসন অনড় বলেও জানান তিনি। ইমরান খান আদালতকে জানান, বুশরা বিবির খাবারে টয়লেট ক্লিনার মেশানো হয়েছে, যার ফলে প্রতিদিনের পেট জ্বালার সঙ্গে সঙ্গে তার স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে। আদালত শুনানি চলাকালীন ইমরানকে সংবাদ সম্মেলন করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছিল, তার জবাবে খান বলেছিলেন যে তার বক্তব্যগুলো ভুলভাবে উদ্ধৃত হয়েছে এবং তিনি সেগুলি স্পষ্ট করার জন্য সাংবাদিকদের সাথে জড়িত ছিলেন। শুনানির পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়ে আদালত শালীনতার গুরুত্বের ওপর জোর দেন। শুনানি শেষে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে তাঁকে ১০ মিনিট কথা বলার অনুমতি দেওয়ার আর্জিও জানান তিনি।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৯

মাদকের টাকার জন্য স্ত্রীকে ধর্ষকদের হাতে তুলে দিলেন স্বামী
কুমিল্লায় মাদকের বকেয়া টাকার বিনিময়ে স্ত্রীকে তিন ধর্ষকের হাতে তুলে দিয়েছেন আবুল খায়ের নামের এক ব্যক্তি। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এ ঘটনায় তিন ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ। গত বুধবার জেলার বরুড়া উপজেলার শাকপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তাররা হলেন- ওই গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম নুরু, তার সহযোগী মনির হোসেন ও মাহিন উদ্দিন। জানা গেছে, মাদকাসক্ত আবুল খায়ের একই গ্রামের নুরুল ইসলাম নুরু থেকে নিয়মিত মাদক নিতেন। সম্প্রতি ওই মাদক ব্যবসায়ীর কাছে ৫ হাজার টাকা বাকি পড়ে যায় তার।  কিন্তু বকেয়া টাকা দিতে না পারায় কৌশলে বুধবার স্ত্রীকে ওই মাদককারবারীর হাতে কৌশলে তুলে দেন খায়ের। ওইদিন গভীর রাতে স্থানীয় এক বিলে নুরু তার সহযোগী মনির ও মাহিনকে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। এরপর ওই গৃহবধূ তার বাবার বাড়িতে ঘটনাটি জানায়। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূ বরুড়া থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই তিন ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে।   নির্যাতনের শিকার নারীর চাচা আলা উদ্দিন ওই গৃহবধূর স্বামী ও ধর্ষকদের বিচার দাবি করেছেন। এ বিষয়ে বরুড়া থানার ওসি রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী জানান, গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তার স্বামীকেও খুঁজছে পুলিশ। তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।  
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩৭

বন্ধুর স্ত্রীকে শাড়ি উপহার দিয়ে সমালোচনার মুখে ব্যারিস্টার সুমন
ত্রাণভাণ্ডারের শাড়ি দুই বন্ধুর স্ত্রীকে উপহার দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট ও মাধবপুর) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক ওরফে ব্যারিস্টার সুমন। জানা গেছে,  ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৪০০টি শাড়ি, ৪৮টি থ্রি-পিসসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক বরাদ্দ পান হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক। যা ছিল তার নির্বাচনি এলাকার গরিব ও দুস্থদের মধ্যে বিতরণের জন্য।  সেখান থেকে সুমন তার এসএসসি-৯৫ ব্যাচের আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের গাদি শাইল গ্রামের পশু চিকিৎসক আব্দুল মুকতি ও গেরারুক গ্রামের মো. সানু মিয়ার স্ত্রীকে শাড়ি দেন। এরপর তার বন্ধু সানু আহমেদ ও আব্দুল মুকতি এ শাড়ি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন, যা সমালোচনার ঝড় তুলেছে। সানু আহমেদ তার পোস্টে লিখেছেন, ব্যারিস্টার সুমনের দেওয়া আমার বউয়ের জন্য যাকাতের সুতি শাড়ি, যার বাজার মূল্য প্রায় ২৮০ টাকা। পিএস সোহাগের কারসাজি। আমার বউ এসব শাড়ি পরে না। আগামীকাল একজন অসহায় মানুষ দেখে শাড়িটি দিয়ে দিব। আর দুলালের কথায় কেন ৯৫ বন্ধু শুনতে হবে!? অপর বন্ধু আব্দুল মুকতি লিখেছেন, ঈদের আগের রাত ১২টার সময় আমার বউয়ের জন্যে শাড়িটি পাঠাইছে ব্যারিস্টার সুমন, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী রায়হানের মাধ্যমে। তবে ব্যারিস্টার সুমন হয়তো জানে না, সেটা নিখুঁত পরিচালনা করেছে পিএস সোহাগ। বাড়িতে নিয়ে খুলে দেখি, এটা যাকাতের শাড়ি, ততক্ষণাৎ ফেরত পাঠানোর কোনো ব্যবস্থা না না-পেয়ে, যাদের জন্য যাকাত খাওয়া প্রযোজ্য এমন একজন অসহায় মহিলাকে দান করে দিলাম। যারা আমার পোস্টে নেগেটিভ কমেন্ট করেছেন, তাদের কাছে বলছি, চোখের পানি আর বুক ফাটা কান্না কি এমনি এমনি আসে!? এরপর ওই পোস্টে নানা ধরনের মন্তব্য শুরু হয়। শফিকুর রহমান সাপু নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, শুরুতেই এ অবস্থা না জানি ৫ বছরে কি হবে।  রিপন আমিন লিখেছেন, আপনি যথেষ্ট স্বাবলম্বী। যাকাতের শাড়ি কেন আপনার বউ পাবে? আপনিই বা কেন নিতে যাবেন? আপনার কি ভাবির জন্য শাড়ি কেনার তৌফিক নেই। দামী শাড়ি হলে বিষয়টা সোস্যাল মিডিয়ায় না এনে নীরবে ভাবিকে গিফট করতেন। এখানে দু’জনই সমান অপরাধী। আপনি কেন নিলেন? সোহাগ ভাই কেন দিলেন?। হযরত আলী নামে এক মন্তব্য করেছেন, দুই নাম্বারি চলছে। আলী আক্কাস নামে আরেক ব্যক্তি মন্তব্য করেন, সরকারি শাড়ি নিজের মানুষ মনে করে দিয়েছেন সুমন ভাই।  এ বিষয়ে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক গণমাধ্যমে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে গত ২০ বছর আমার আসনের কোনো সংসদ সদস্য তা প্রকাশ করেননি। এবার প্রথম আমি এই তালিকা জনগণের মধ্যে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রকাশ করি। প্রধানমন্ত্রীর এ উপহার আমার দুই উপজেলায় বিতরণের জন্য যাদের দায়িত্ব দেই, তাদের একজন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চান। তিনি তার এক বন্ধুর স্ত্রীকে এ শাড়ি বিলি করেন। আবার তারাই একই শাড়ি অন্যজনকে দিয়ে ফেসবুকে এ প্রচারণা চালান। প্রকৃত বিষয় হচ্ছে, একটা পক্ষ আছে, যারা আমার ত্রুটি খুঁজে বেড়ায়। এ পক্ষই এখন এ শাড়ি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৩৬

মাদক সেবন করে স্ত্রীকে মারধর, কারাগারে স্বামী 
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাদক সেবন করে স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগে রিপন মিয়া (২৬) নামে এক মাদকসেবী স্বামীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় তাকে দু’মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রাহাতুল ইসলাম এ দণ্ডাদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত রিপন মিয়া পৌরসভার দেবগ্রাম এলাকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা বাচ্চু মিয়ার ছেলে।  ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে রিপন মিয়া মাদকাসক্ত ছিলেন। মাদক সেবন করে তিনি প্রায়ই তার স্ত্রীর উপর অত্যাচার করতেন। মঙ্গবার দুপুরে রিপন মিয়া মাদক সেবন করে স্ত্রীকে মারধর করলে তার স্ত্রী বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান।   এরপর বিকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রাহাতুল ইসলাম আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় গিয়ে তাকে আটক করে দু’মাসের কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫৩

যে কারণে জেল থেকে বের হয়েই স্ত্রীকে হত্যা করল স্বামী 
গাজীপুরের শ্রীপুরে স্ত্রী শরিফা খাতুনকে (২২) নির্যাতনের মামলায় কারাভোগ শেষে জেল থেকে বের হয়ে স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আরাফাত শুভর (২৫) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী ও শাশুড়ি ইয়াসমিন খাতুনকে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ৮টায় শ্রীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নের তালতলী পূর্বপাড়া (মুরগি বাজার) স্বামীর বাড়ি থেকে পুলিশ ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান। গৃহবধূ শরিফা খাতুন শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা (সুতা পাড়া) গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে এবং একই ইউনিয়নের আরাফাত শুভর স্ত্রী।  স্বামী আরাফাত শুভ একই ইউনয়নের তালতলী পূর্বপাড়া (মুরগি বাজার) গ্রামের শাহজাহানের ছেলে। তিনি পেশায় প্রাইভেটকার চালক। তাদের ঘরে ইসরাত আক্তার নামে আড়াই বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। গৃহবধূর মামা ওমর ফারুক বলেন, ‘শুভ ও শরিফা খালাতো ভাই বোন। প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে তারা একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই শুভ তার স্ত্রীকে নির্যাতন শুরু করেন। নির্যাতনের বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা না হওয়ায় স্ত্রী শরিফা স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে ওই মামলায় স্বামী শুভ কারাভোগ শেষে সম্প্রতি জেল থেকে জামিনে বের হয়ে আসেন। রোববার (১৪ এপ্রিল) রাতে তাদের ঘরে ঝগড়ার আওয়াজ শুনতে পাই। সকালে শুনি আমার ভাগনি মারা গেছে। মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পেরে তার স্বামী ও শাশুড়ি পালিয়ে যেতে চাইলে এলাকাবাসী তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়।’ স্থানীয়রা জানান, ওই গ্রহবধূর স্বামী আরাফাত শুভ নারী লোভী ও জুয়া খেলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এসব অনৈতিক কাজে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝগড়া লেগেই থাকতো। শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাখাওয়াত হোসেন জানান, গৃহবধূর মৃত্যুর খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে। এলাকাবাসী গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদেরকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৪

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারলেন স্বামী
চাঁদপুরের মতলবে যৌতুকের জন্য স্ত্রী খাদিজা আক্তারের (২৩) গায়ে শ্যালো ইঞ্জিনের ডিজেল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা করলো স্বামী ইব্রাহিম প্রধান।  বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদুল ফিতরের দিন সকাল ৭টার দিকে ইব্রাহিম তার স্ত্রীর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাতে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে খাদিজা মারা যান। অভিযুক্ত ইব্রাহিম শ্যালো ইঞ্জিন চালিত সেচপাম্প চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। তার বাড়ি মতলব দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাঁও ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বকচর গ্রামে।  জানা গেছে, চার বছর আগে একই গ্রামের দিনমজুর খোকন মিয়ার মেয়ে খাদিজাকে বিয়ে করে ইব্রাহিম (৩৮)। এরপর থেকেই যৌতুক হিসেবে টাকা দাবি করে খাদিজাকে নির্যাতন শুরু করত ইব্রাহিম। ঘটনার দিন সকাল ৭টার দিকে খাদিজার শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় ইব্রাহিম। এরপর তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানায়, খাদিজার শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ পুড়ে যায় আগুনে। বিষয়টি গোপন করে খাদিজার স্বজনদের না জানিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন লাশ দাফন করেন। আজ (রোববার) মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ পান খোকন মিয়া। পরে মতলব দক্ষিণ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। খোকন মিয়া বলেন, বিয়ের পর থেকেই খাদিজাকে যৌতুকের জন্য মারধর করতো ইব্রাহিম। এসব নিয়ে অনেকবার সালিশ-বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু তার যৌতুক দেওয়ার সামর্থ্য নেই দেখে মেয়েটা মুখ বুঝে সবকিছু সহ্য করে গেছে। তিনি এ ঘটনায় জামাতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এলাকাবাসী জানায়, এটি ইব্রাহিমের তৃতীয় বিয়ে। যৌতুকের জন্য নির্যাতন সইতে না পেরে আগের দুই স্ত্রী পালিয়ে বেঁচেছেন। শেষরক্ষা হয়নি হতদরিদ্র বাবার মেয়ে খাদিজার।  মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিপন বালা বলেন, খাদিজার শাশুড়ি যায়েদা খাতুনকে (৬৭) বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। পলাতক ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।  
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:১০

প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে উধাও ছাত্রলীগ নেতা
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সিঙ্গাপুর প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে উধাও হয়েছেন ছাত্রলীগের এক নেতা। শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৯টার সময় উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের বুধিরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত রোমান খান (২৬) উপজেলার বহুরিয়া গ্রামের আউলাদ খানের ছেলে ও বহুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক বলে জানা যায়। এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার বুধিরপাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে হাছানের সঙ্গে সখিপুর উপজেলার হতেয়া রাজাবাড়ী গ্রামের বারেক মিয়ার মেয়ে চম্পা আক্তার (২৫) এর পারিবারিকভাবে ২০১৭ সালে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ১৯ মাস বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। প্রবাসে থাকার সুযোগে ছাত্রলীগ নেতা রোমান খান চম্পা আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। প্রবাসী হাছানের জমানো নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ৯ ভরি ওজনের বিভিন্ন স্বর্ণালঙ্কারসহ চম্পাকে নিয়ে উধাও হন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রোমান খান।  প্রবাসী হাছানের বাবা দেলোয়ার হোসেন শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে মির্জাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। উধাও হওয়া ছাত্রলীগ নেতা রোমান খানের মন্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তাকে এলাকায় পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। মির্জাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সেতাব মাহমুদ বলেন, আমি ঢাকায় রয়েছি। বিষয়টি আপনার মাধ্যমেই শুনতে পেলাম। এ ব্যাপারে আমাকে কেউ অবগত করেনি। আমি খোঁজ নিচ্ছি। এ বিষয়ে মির্জাপুর থানাও ওসি মো. রেজাউল করিম জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৮

ঈদে স্ত্রীকে মাংস কিনে খাওয়াতে না পারায় চিঠি লিখে আত্মহত্যা
জামালপুরে ঈদের দিন স্ত্রীকে মাংস কিনে খাওয়াতে না পেরে স্বামী হাসান আলী (২৬) নামের এক যুবক চিঠি লিখে আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে জেলার বকশিগঞ্জে উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের বান্দের পাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাজমিস্ত্রী রহাসান আলী ওই এলাকার রহমত আলীর ছেলে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যান হাসান আলী। শুক্রবার স্ত্রী আফরোজা বেগমকে শ্বশুর বাড়ি থেকে আনার কথা ছিল। সকাল  ১১টা পর্যন্ত তিনি শ্বশুর বাড়িতে না যাওয়ায় আফরোজা বেগম নিজেই বাড়ি চলে এস দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ। এ সময় ঘরের বেড়ার ফাঁক দিয়ে আফরোজা দেখেন তার স্বামী আড়ার সঙ্গে ঝুলছেন। তার চিৎকারকে স্থানীয় লোকজন এসে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করেন। চিঠিতে হাসান আলী লিখেছে, ‘মা-বাবা তোমরা ক্ষমা করে দিও। আমি মরার পরে আমার বউ বাচ্চাকে দেখে রেখো। আমি জানি আমার বউ আমার সাথে রাগ করছে। ঈদে সবাই গুছ (গোস্ত) খাইছে, কিন্তু আমি বউকে গুছ খাওয়াইতে পারি নাই। আমি আমার বউয়ের মুখ ঈদের দিন বেজার (মন খারাপ) দেখছি। যদি পারো আমাকে ক্ষমা করে দিও। আফরোজাকে আমি অনেক ভালবাসি, তাকে ও আমার সন্তানকে দেখে রেখো। স্ত্রীর উদ্দেশে তিনি লেখেন, আফরোজা তোমার জীবন স্বাধীন করে দিলাম। তোমার জীবনে কেউ নাই। বকশিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান বলেন, পরিবারের আপত্তি না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়