• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গাজায় এক কবর থেকেই উঠে আসছে শত শত লাশ
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় খান ইউনিস শহরের একটি হাসপাতালের পাশে গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। কবরটি থেকে এখন পর্যন্ত ৩০০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কবর খোঁড়ার কাজ শেষ হয়নি এখনও। এরই মধ্যে এতগুলো মরদেহ উদ্ধারের খবর হতবাক করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে।  খবর সিএনএনের।  খান ইউনিসের বেসরকারি প্রতিরক্ষা বিভাগের পরিচালক কর্নেল ইয়ামেন আবু সুলেমান জানিয়েছেন, গত শনিবার নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে একটি গণকবরের সন্ধান পেয়েছেন তারা। এই গণকবর থেকে সোমবার আরও ৭৩টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ২৮৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আল শিফা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আরেকটি গণকবরে পাওয়া গেছে ৩০টি মরদেহ। তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি মরদেহের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে। কারও গায়ে মাঠেই ফাঁসি দেওয়ার চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া তাদের জীবিত কবর দেওয়া হয়েছিল নাকি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল তা আমরা জানি না। বেশিরভাগ লাশই পচে গেছে। এর আগে খান ইউনিস বেসরকারি প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র এবং এই অনুসন্ধান মিশনের প্রধান রায়েদ সাকার বলেছিলেন, গত ৭ এপ্রিল ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পর তারা আরও ৪০০ নিখোঁজ মানুষের মরদেহের সন্ধান করছেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, মরদেহগুলো বর্জ্যের স্তূপের নিচে চাপা পড়েছিল। তাদের মধ্যে নারী ও বয়স্ক মানুষও ছিল। গাজার হাসপাতালে শত শত লাশের গণকবরের সন্ধান পাওয়ার খবর আতঙ্কিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তিনি বলেছেন, গাজায় নাসের এবং আল-শিফা হাসপাতাল ধ্বংস করা এবং সেখানে শত শত মরদেহ গণকবর দেওয়ার প্রতিবেদন দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত আমি।  প্রসঙ্গত, গত ৭ এপ্রিল দক্ষিণ গাজার এই শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। শহরে থেকে ইসরায়েলি সেনারা চলে যাওয়ার পরই এই গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায়। চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের আশপাশের এলাকায় তীব্র বোমাবর্ষণ করে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়া হামাসের যোদ্ধাদের সঙ্গে তাদের তুমুল লড়াইও হয়েছে। এসব কারণে এলাকাটি বর্তমানে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে যে, তারা ইসরায়েলে জিম্মি শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য গাজা থেকে কয়েক ডজন মরদেহ সরিয়েছে।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৩

গাজায় হাসপাতালে মিলল গণকবর, ৫০ লাশ শনাক্ত 
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে খান ইউনিস শহরে নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে একটি গণকবরে ৫০টি মরদেহের সন্ধান পাওয়া গেছে। ফিলিস্তিনের জরুরি সেবা বিভাগ গণকবরটির উন্মোচন করে। চলতি মাসের শুরুতে ইসরায়েলি বাহিনী এই শহরটি ছেড়ে যায়।  রোববার (২১ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে ৫০টি মৃতদেহ সংবলিত একটি গণকবর উন্মোচন করেছে ফিলিস্তিনি জরুরি পরিষেবা। পরিষেবাটি বলেছে, ‘আমাদের দলগুলো আগামী দিনে অবশিষ্ট শহীদদের খোঁজে তাদের অনুসন্ধান অভিযান অব্যাহত রাখবে। কারণ তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক এখনও (গণকবরে) রয়েছে।’ আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গত ৭ এপ্রিল গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করে। আর এরপরই সেখানে এই গণকবর শনাক্ত হলো। মূলত কয়েক মাসের নিরলস ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ এবং ভারী লড়াইয়ের পরে গাজার এই শহরের বেশিরভাগ অংশ এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর হামাসের আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ কোনো ধরনের আশ্রয় ছাড়াই বসবাস করছে এবং প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ত্রাণবাহী ট্রাক এই অঞ্চলে প্রবেশ করছে। ইসরায়েল গাজার ওপর ব্যাপকভাবে অবরোধ আরোপ করে রেখেছে। এর ফলে এই ভূখণ্ডের জনগোষ্ঠী বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দারা অনাহারের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন। ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।  
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪৭

পুকুরে ভাসছিল শিশুর মরদেহ, টানাটানি করছিল কুকুরে!
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে পুকুর থেকে দুই বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার পারশী এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তার নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। মরদেহ কুকুরে টানাটানি করছিল। ধারণা করা হচ্ছে কয়েক দিন আগে হত্যার পর শিশুটিকে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।   ঘাটাইল থানার ওসি তদন্ত সজল খান জানান, দুপুরে উপজেলার পারশী এলাকার একটি পুকুরে শিশুর মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। তবে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:০১

ডেকে এনে তরুণকে কুপিয়ে হত্যা, লাশ ফেলা হলো পুকুরে
রাজধানীর বাড্ডা থেকে কৌশলে পল্লবী এলাকায় ডেকে এনে পাভেল খান নামে এক তরুণকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। রেববার (১৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পল্লবী সুখনগরে একটি পুকুর থেকে ২৫ বছর বয়সী ওই তরুণের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত পাভেল নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার শায়েস্তা খানের ছেলে। তিনি বাড্ডার পাঁচতলাবাজার এলাকায় থাকতেন। কাজ করতেন বাসচালকের সহকারী হিসেবে। তার নামে থানায় একাধিক মামলা আছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে পল্লবী থানার ওসি অপূর্ব হাসান জানান, খুন করার জন্যই পাভেলকে কৌশলে বাড্ডা থেকে পল্লবী এলাকায় ডেকে আনা হয়। পরে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলা দেওয়া হয়। পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।  এ ঘটনায় পল্লবী থানা একটি হত্যা মামলা হয়েছে। হত্যাকারীদের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।   
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১০

নিখোঁজের ৫ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে মাদরাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নিখোঁজ হওয়ার পাঁচদিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে মারুফ হোসেন নামে এক মাদরাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে জেলার তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগড় ইউনিয়নের ঝরঝুরি বাজারের একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।  মরদেহ উদ্ধার হওয়া মারুফ হোসেন তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগড় ইউনিয়নের ঝরঝুরি গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে ও স্থানীয় হাফিজিয়া মাদরাসার ছাত্র। মরদেহ উদ্ধার অভিযান চলাকালে প্রেস ব্রিফিংয়ে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১২ অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মারুফ হোসেন বিপিএম জানান, গত ৫ তারিখে তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগড় ইউনিয়নের ঝরঝুরি বাজার থেকে মাদরাসা ছাত্র মারুফ হোসেন নিখোঁজ হওয়ার পরদিন তাড়াশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি ও র‌্যাব-১২ হেডকোয়ার্টারে অভিযোগ করেন নিখোঁজ ছাত্রের বাবা। অভিযোগ পাওয়ার পর দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করা হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে মারুফ হোসেনকে হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তারা। র‌্যাব-১২ অধিনায়ক মারুফ হাসান বিপিএম আরও জানান, মাদরাসা ছাত্র কিশোরকে অপহরণ করার পর থেকে তার বাবার নিকট মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল, এমনকি তাকে হত্যা করার পরও মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ব্যাপক তদন্ত করা হচ্ছে।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩০

ফজরের নামাজ পড়তে বেরিয়ে ফিরলেন লাশ হয়ে
টাঙ্গাইলে ঘাটাইলে ফজরের নামাজ পড়তে বেরিয়ে ট্রাকচাপায় প্রাণ হারিয়েছেন ওয়াদিওর রহমান ওরফে বাবলু ডাক্তার নামে এক বৃদ্ধ (৭০)।  রোববার (৭ এপ্রিল) ভোরে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ঘাটাইল উপজেলার আঠারদানা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া।  নিহত বাবলু ডাক্তার উপজেলার দিঘর ইউনিয়নের আঠারোদানা এলাকার বাসিন্দা। নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, বাবলু ডাক্তার সেহেরি শেষ করে ফজরের নামাজ পড়তে বাড়ি থেকে বের হন। বাড়ির সামনের টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পার হয়ে মসজিদে যাওয়ার সময় একটি দ্রুতগামী মিনিট্রাক তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১৮

আম বাগানে পড়ে ছিল নারীর গলাকাটা লাশ
গাজীপুরের মেম্বারবাড়ী (পাঁচপীর মাজার) সংলগ্ন আম বাগান থেকে এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আনুমানিক ৩৭ বছর বয়সের ওই নারীর পরিচয় পাওয়া যায় নি।  শনিবার (৬ এপ্রিল) সদর উপজেলার পাচপীর মাজার এলাকার ওই বাগান থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম খলিল জানান, শনিবার সকালে সদর উপজেলার পাঁচপীর মাজার সংলগ্ন আম ও কাঁঠাল বাগানে অজ্ঞাত এক নারীর গলাকাটা লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। তার পরনে হলুদের মধ্যে সবুজ রংয়ের প্রিন্টের ম্যাক্সি ও সবুজ রংয়ের ছায়া রয়েছে। লাশের পাশ থেকে একটি রক্তমাখা চাকু, কালো রংয়ের একটি বোরকা, বাদামী রংয়ের ভ্যানিটি ব্যাগ ও একজোড়া স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়েছে।  ওসি ইব্রাহিম খলিল আরও জানান, নিহতের গলায় দু’টি গভীর ক্ষত এবং গোপনাঙ্গে রুমাল ঢুকানো রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শনিবার সকালের আগে যেকোনো সময় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তবে কি কারণে কারা তাকে হত্যা করা হয়েছে তা তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের নাম পরিচয় সনাক্তের কাজ চলছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১:১৩

ঈদের শপিংয়ে বের হন ১১ বন্ধু, লাশ হয়ে ফিরলেন ৩ জন
ঈদের বাজার করতে ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে বসে কুমিল্লার থেকে চট্টগ্রামে যাচ্ছিলেন ১১ জন বন্ধু। ট্রেন চলাচলের সময় রেল ক্রসিংয়ে গেট না ফেলায় ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৩ বন্ধুর। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ফেনীর ফাজিলপুর রেলস্টেশন ও মুহুরিগঞ্জ রেলস্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।   এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে তিনজন হলেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের শাকতলা গ্রামের তিন বন্ধু। তারা হলেন- ওই গ্রামের নুরুল হকের ছেলে দিল মোহাম্মদ (২৩), রুহুল আমিনের ছেলে মোহাম্ম রিপাত (১৭) ও মোহাম্মদ ইয়াসিনের ছেলে মো. সাজ্জাদ (১৮)।   শাকতলা গ্রামের বাসিন্দা আবদুল মালেক জানান, ১১ জন বন্ধু একসঙ্গে ঈদের বাজার করার জন্য চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনায় ৩ জন মারা যাওয়ার পর অন্য বন্ধুরা তাদের লাশ নিজ গ্রামে নিয়ে যায়। লাশগুলো গ্রামে পৌঁছার পর পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। পরিবারগুলো শোকে হতবিহ্বল হয়ে যায়। বিকেলে তাদের লাশ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। চিওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের বলেন, বন্ধুরা মিলে ঈদের শপিং করার উদ্দেশ্যে তারা চট্টগ্রামে যাচ্ছিলেন। পথে দুর্ঘটনায় তিন বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। বিকেলে শাকতলা আজিজিয়া মাদ্রাসার মাঠে জানাজা শেষে পাশাপাশি কবরে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।   এ দুর্ঘটনায় নিহত বাকি ৩ জনের মধ্যে দুজন হলেন বাবা-ছেলে। তারা হলেন- কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার মনোহর পুর গ্রামের আমিন হোসেনের ছেলে আবুল খায়ের মিয়া (৪০) ও তার ছেলে আশিক (১৪)। আশিক ও তার বাবা আবুল খায়ের ট্রেনের ইঞ্জিনে বসে চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন। এমন সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আবুল খায়ের ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর গুরুতর আহত অবস্থায় আশিককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। ফেনী রেলস্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ হারুন জানান, দুর্ঘটনার পর ওই ট্রেনটি পুনরায় পেছনের দিকে ফাজিলপুর স্টেশনে নিয়ে আসা হয়। সেটি বেলা সাড়ে ১১টার পর আবার চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় যায়। ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তিনি সকালে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন। এ ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।   
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:১০

শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ গুম, যুবকের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ডাকাতিয়া নদীতে ফেলার দায়ে মোহাম্মদ আলী ওরফে বাপ্পী (২৬) নামের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১–এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন আসামি মোহাম্মদ আলী। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ওই শিশুকে তেঁতুল খাওয়ানোর কথা বলে মোহাম্মদ আলী টিনের ঘরে নিয়ে যান। এরপর তিনি শিশুটিকে ধর্ষণ করে হত্যার পর লাশ কাঁথা দিয়ে মুড়িয়ে ডাকাতিয়া নদীতে ফেলে দেন। ঘটনার পর নিজেই অটোরিকশা ভাড়া করে শিশুটির নিখোঁজের সংবাদ মাইকিং করেন। একপর্যায়ে তার আচরণে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। পরে তাকে পিটুনি দিলে শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ গুমের কথা স্বীকার করেন। পরে শিশুটির বাবা পরদিন চৌদ্দগ্রাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। মামলায় মোহাম্মদ আলীকে একমাত্র আসামি করা হয়। ২০১৯ সালের ২ জুন মোহাম্মদ আলী ও একই গ্রামের মো. মিজানের (২২) নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক ইকবাল মনির। ২০২০ সালের ৮ মার্চ এই মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) আদালত মোহাম্মদ আলীকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। অপর আসামি মো. মিজানকে বেকসুর খালাস দেন বিচারক। শিশুটির বাবা বলেন, এ রায়ে আমি খুশি। দ্রুত ফাঁসির আদেশ কার্যকর দেখতে চাই। আমার অবুঝ শিশুর মুখে ও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য ঘাড় মটকিয়ে দেওয়া হয়। পরে কাঁথা মুড়িয়ে লাশ বাড়ির পাশের ডাকাতিয়া নদীতে ভাসিয়ে দেয় মোহাম্মদ আলী। একসঙ্গে এতগুলো অপরাধ করা ব্যক্তির ফাঁসি দ্রুত হলে আমি শান্তি পাব। কুমিল্লা আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি প্রদীপ কুমার দত্ত গণমাধ্যমকে বলেন, রায়ের দ্রুত কার্যকর চান তারা। অবুঝ শিশুর ওপর নির্মম নির্যাতন করেছেন মোহাম্মদ আলী। এই রায় ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, রায়ে বিবাদী পক্ষ খুবই অসন্তুষ্ট। রায়ের কপি পাওয়ার পর তারা আপিল করবেন।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৬

বিয়ের ৩ মাসের মাথায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
প্রেম করে বিয়ের তিন মাসের মাথায় মারিয়া উলফা সাফিকা (১৯) এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুর একটার দিকে ওয়ারীর নারিন্দা দক্ষিণ মুসন্দির আট তলায় ভাড়া বাসায় এই ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরের ৩ তারিখে মারিয়াকে বিয়ে করেন সায়মন নামের এক যুবক। বিয়ের পর থেকে মারিয়ার পরিবার তাদের মেনে নেয়নি। এমনকি বিয়ের পরে মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জিডিও করা হয়েছিল। স্বামী সায়মন জানান, সোমবার সকালে তিনি কাজে বের হওয়ার পর দুপুরে খবর পান মারিয়া ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে বিকাল পৌনে তিনটার দিকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সায়মন বলেন, মারিয়া সব সময় তার মা-বাবার ছবি দেখে কান্নাকাটি করতো। গতকাল রাতে অনেক কান্নাকাটি করেছে, আমি তাকে অনেক বুঝিয়ে সকালে কাজে বের হই। ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, মৃতদেহটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় অবগত করা হয়েছে। মারিয়ার স্বামী ফারাবি আহমেদ সায়মন ওয়ারি এলাকায় একটি কাপড়ের দোকানের সেলসম্যান হিসেবে কাজ করেন। নিহত মারিয়ার বাবার নাম মৃত কামাল উদ্দিন। পুরান ঢাকার বংশালের বাসিন্দা মারিয়া এক ভাই এক বোনের মধ্যে ছোট ছিল।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়